রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প ২৬

রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প – ভাইয়ের বন্ধু বর পর্ব ২৬ | Love Story

রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প – ভাইয়ের বন্ধু বর পর্ব ২৬: জীবন যে সিনেমার চেয়েও বিচিত্র তা হাড়ে হাড়ে টের পেলাম। শত ঘাত প্রতিঘাত আর হাসি কান্না পেরিয়ে আমাদের সংসার জীবন কাটছে। এর মধ্যে কত বিচিত্র অভিজ্ঞতা আর অনুভূতি পেয়েছি যা ভুলার নয়।

নতুন অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি

আমি নিশির সাথে আয়নির জন্মদিনের অনুষ্ঠানে চলে গেলাম। কিন্তু সাথে করে ফোনটা নিতে ভুলে গেছি। ফোনটা আমার রুমেই রয়ে গেলো।

কিছুক্ষণ পর আমি ও নিশি আয়নির বাড়ীতে পৌছালাম। আয়নির বাড়ীতে এসেই আমার মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো। আমি ভেবেছিলাম, অনুষ্ঠানে শুধু আয়নি আর নিশির ফ্রেন্ডরা আসবে। কিন্তু এখানে নিশি আর আয়নি থেকে বড় কিছু লোকও আসছে। আর ছেলে মেয়ে এক সাথে নাচ গান করছে, যা খুবই অসহ্য লাগছে। নিশি এসব কি? তুমি বললে আয়নির জন্মদিন। তাহলে এরা কারা, এরা নিশ্চয়ই তোমাদের ফ্রেন্ডস না। বয়সে অনেক বড় তোমাদের, তার উপর এখানে অনেক ছেলেরাও আছে। তোমার ভাইয়া জানতে পারলে আমাকে মেরেই ফেলবে। তুমি কেনো আমাকে এখানে আনলে?

ভাবী বিশ্বাস করো আমিও জানতাম না। আমি ভেবেছিলাম ও শুধু আমাদের ফ্রেন্ডসদের ইনভাইট করেছে। কিন্তু এখানে এসে আমিও কিছুটা হতোভম্ভ তোমার মতো। আর এরা মনে হয় আয়নির ভাইয়ের বন্ধুরা। কারণ এদের মধ্যে কয়েকজনকে আমি চিনি।

যাই হোক, এখানে আমি আর এক মুহুর্তও থাকবো না। চলো বাসায় যাই।

কিন্তু ভাবী আয়নি…..

আয়নিঃ আরে নিশি দোস্তো। কখন আসলি? আর এখানে দাঁড়িয়ে আছিস কেনো? ভেতরে চল। দেখ, সবাই আসছে। আরে এটা কে তোর পিছে?

নিশিঃ মাহি, আমার ভাবী। তোকে বললাম না, নাবীল ভাইয়ের বউ।

আয়নিঃ ওওওও ভাবী, বাহিরে কেনো? ভেতরে চলুন। আপনে তো সেইই সুন্দরী, নিশিতো ঠিকই বলছে।
(আমার হাতটা ধরে টেনে ভেতরে নিয়ে গেলো)

নিশি তার ফ্রেন্ডসদের সাথে ব্যস্ত হয়ে পরলো। অনেকবার আয়নিকে বলতে চাইছিলো চলে যাবার জন্য। কিন্তু আয়নি কোন কথাই শুনছে না নিশির।

উপায় না পেয়ে আমিও ঘরের এক কোণায় দাঁড়িয়ে আছি। আর আল্লাহ আল্লাহ করছি, এ কোন বিপদে ফেল্লা আমায়। আমি নিশিকে এই ভিড়ে অনেকবার ডাকার চেষ্টা করলাম। কিন্তু মিউজিক এতো জোরে চলছে যে, আমার গলার সুর ওর কানে পৌচাচ্ছে বলে মনে হয় না। কেনো জানি ভীষণ ভয় লাগছে।

এদিকে নাবীল, ফোনটা খুলেই মাহির ফোনে কল করছে। কিন্তু মাহি কল ধরছে না। ধরবেই বা কি করে ফোনতো বাসায়। এভাবে অনেকবার কল করার পরও যখন দেখলাম মাহি ফোন ধরছে না, তখন বাসার নাম্বারে কল দিলাম। ফোনটা মা ধরলো,

নাবীলঃ মা মাহি কোথায়?

নাবীলের মাঃ কেনো, তুই জানোস না?

নাবীলঃ মানে, কি জানবো?

নাবীলের মাঃ মেয়েগুলোকে এতো করে বলে দিলাম তোকে বলে জেতে। না, আর পারি না এদের নিয়ে।

নাবীলঃ কোথায় গেছে, আর কার সাথে?

নাবীলের মাঃ নিশি আর মাহি, নিশির কোন বান্ধবী আয়নি আছে না, ওর নাকি জন্মদিন আজ। ওখানে গেছে দুজন।

নাবীলঃ কিকিকি…তুমি অনুমিত কেনো দিলে?

নাবীলের মাঃ আরে আমি কি জানি, ওরা তোকে কিছু না বলে চলে গেছে। তাহলেতো যেতেই দিতাম না।

নাবীলঃ আচ্ছা, আমি রাখি।

ফোনটা রেখে নিশিকে কল করলাম। কিন্তু নিশিও কল রিসিভ করছে না। মন তো চাইতাছে দুটারে সামনে পেলে একটা আছাড় মারতাম।

ভয়ানক অনুভূতি

অলরেডি ৮টা বাজে, আর এতো রাতে মেয়ে দুটো বাহিরে। তার উপর ফোনও রিসিভ করছে না। আজ শুধু বাসায় আসুক। তারপর দেখাচ্ছি। এই বলে নাবীল অফিস থেকে বের হয়ে বাসায় গেলো।

নাবীলঃ মা মা মা…..

নাবীলের মাঃ কি হলো, নাবীল?

নাবীলঃ ওরা আসেনি এখনো।

নাবীলের মাঃ না রে বাবা, দুজনকেই কল করছি। কিন্তু কেউ কল ধরছে না। এখন তো আমারো টেনশন হচ্ছে।

নাবীলঃ ওকে, তুমি টেনশন করো না।

আমি দেখছি বলে নাবীল রুমে গেলো। ফ্রেস হওয়া দরকার আগে। ফ্রেস হয়ে কাপড় চেন্জ করার সময় মাহির ফোনটা রুমে পায়, রাগের চোটে ফোনটা আছাড় মারে। কাপড় চেন্জ করে সোজা বাহিরে চলে যায়। ড্রাইভার কে ফোন করে এডড্রেসটা নিয়ে নেয়। বিকেলে মাহি ও নিশা যে গাড়ী দিয়ে এসেছে আয়নির বাসায়।

এতো রাত হয়ে গেছে নিশির কোন খবর নেই। চিন্তা করতে করতে কারো সাথে ধাক্কায় হাতের জুশটা আমার শাড়ীতে পরে গেলো।

আয়নিঃ আরে ভাবী, কি হলো।

মাহিঃ এইতো জুশটা পরে গেছে শাড়ীতে।

আয়নিঃ ভাবী এক কাজ করো, তুমি আমার রুমে গিয়ে পরিষ্কার করে নেও তা না হলে দাগ লেগে যাবে। এই শুনো, ভাবীকে আমার রুমটা দেখিয়ে দেও।

আমাকে একজন সার্ভেন্ট আয়নির রুমটা দেখিয়ে দেয়। আমি রুমে গিয়ে শাড়ীটা ভালো করে পরিষ্কার করে নি। রুম থেকে বের হতে নিবো দেখি সামনেই কিছু মানুষ জড়ো হয়ে কথা বলছে, হাসাহাসি করছে আর ড্রিংকস করছে। তা দেখে আমার মেজাজটা আরো খারাপ হয়ে গেলো। কারণ যখন এসেছিলাম তখন কেউ ছিলো না, হয়তো সবাই সামনের রুমে ছিলো, এখন বের হয়ে গিয়েছে।

আমি আর কিছু চিন্তা না করে শাড়ীর আচলটা দিয়ে ভালো করে নিজেকে ঢেকে তাদের পাশ কেটে চলে যেতে নিলাম। হঠাৎ কারো ডাকে দাঁড়িয়ে গেলাম কিন্তু আমার বুকটা ধকধক করছে ভয়ে। কারণ এখানে আমি একা, আর সব গুলো ছেলেই ড্রিংকস করা, আমি ভয়ে ভয়ে পেছনে না ঘুরেই,

মাহিঃ জি, বলুন।

নিলয়ঃ Who r u? আর এখানে কি করছেন? পার্টিতো নিচে। আপনে এখানে কেনো? (নিলয়, আয়নির ভাই)

মাহিঃ আসলে আ …মি….(একটু আমতা আমতা করে) শাড়ীতে জুশ পরেছিলো, তাই আয়নি আমাকে এখানে পাঠালো।

আমি একবারের জন্যও ঘুড়লাম না। তখন ওদের মধ্যে একজন বললো,

আরে একটু সামনে ঘুড়ুন। আমরা দেখতে এতো খারাপ না, এ কথা বলই সবাই হা হা করে হেসে উঠলো।

আমি চলে যেতে নিলে, কেউ আমার নাম ধরে ডাক দেয়।

মাহিএএএএএএ……..।

স্বামীর কথা মনে পড়ে

আমি চমকে যাই, সাথে সাথে পেছনে তাকাই। একি এতো রনি, শফিক ভাই আর নাবীলের ফ্রেন্ডস। লোকটা সেদিনও আমার কাছে সুবিধার মনে হয়নি, আর আজ তার সাথেই দেখা। খোদা…

রনিঃ আরে এ দেখি মাহি, তুমি এখানে। তোমাকেই স্মরণ করছিলাম। আর তুমি দেখি সত্যিই আমার সামনে উপস্থিত। আমার তো বিশ্বাসই হচ্ছে না, একটু ছুঁয়ে দেখি।

রনি ভাইয়া আমার হাতটা ধরতে এলে আমি দুপা পেছনে চলে যাই।

রনিঃ আরে রেরে ভয় পাও কেনো? ভালোই হলো তোমাকে এখানে পেলাম, সেদিনতো কথাই বলতে পারিনি।

নিলয়ঃ মেয়েটা কে রনি, তুই চিনিস?

রনিঃ আরে শফিককে চিনোস না। ওর বোন মাহিএএএএ।

নিলয়ঃ মেয়েটা অদ্ভুত সুন্দর, আর সবথেকে সুন্দর ওর চোখের চাহনী। কেমন ভাবে জেনো তাকায়! অনেকটা মায়া কাজ করে। দেখলে দেখতেই মন চায়, চোখ জেনো ফিরানো যায় না। কিন্তু দেখেই বুঝা যাচ্ছে রনিকে ভীষণ ভয় পাচ্ছে, হয়তো ওর স্বভাব সম্পর্কে অবগত। রিলেক্স ব্রো ওকে যেতে দে। আমাদের ক্লাশ মেটের বোন, তাই ….। আপনে যেতে পারেন।

আমি চলে যেতে চাইলে আমার পথ আগলে রনি দাঁড়ায়। আমি ভীষণ ভয় পাই। ভয়ে সেই ছেলেটার দিকে তাকাই, কারণ একমাত্র তার চোখে আমি আমার জন্য কোন খারাপ কিছু দেখতে পাই নি।

মেয়েটাও অদ্ভুতভাবে আমার দিকে তাকায়। মনে হয়, চোখের ঈশারায় বলছে তাকে সেভ করতে। তার চোখের ভাষা আমি পরতে পারছি। আমি গিয়ে রনিকে সরে যেতে বললাম। কিন্তু রনি সরবে না।

নিলয়ঃ রনি কি করছিস? যেতে দে ওকে। এভাবে সিনক্রিয়েট করবি না আমার বাসায়। তোর ড্রিংকস একটু বেশি হয়ে গিয়েছে বলে মনে হয়। এই জাহিদ, ওকে নিয়ে যা।

জাহিদ রনিকে ধরতে এলে রনি জাহিদকে ধাক্কা দেয়।

রনিঃ আই এম ওকে দোস্ত। আমার নেশা এখনো চড়েনি। জানোস, ওকে প্রথম দেখার পর থেকেই কোনও নেশা কেনো জানি ধরেই না, তাই কথা বলতে দে। চলো মাহি, আমার সাথে।

স্বামী যখন নায়ক

রনি আমার হাতটা ধরতে এলে আমি নিলয়ের পেছনে চলে যাই।

মাহিঃ প্লিস ভাইয়া, সেভ মি, প্লিস। (পারি না কান্না করে দি)

নিলয়ঃ রিলেক্স, আমি আছি। আপনে ভয় পাবেন না।

রনি নিলয়কে সরিয়ে মাহির কাছে যেতে চাইলে কেউ এসে রনিকে ঠাসসসস করে একটা চড় মারে। উপস্থিত সবাই শোকড লোকটাকে দেখে। কারণ সে আর অন্য কেউ না নাবীল। রনি ফ্লোরে অনেকটা নিস্তেজ হয়ে পরে থাকে। কারণ সে আগের থেকেই নেশাগ্রস্ত ছিলো। আর নাবীলের থাপ্পড়ে আর নড়তে পারছে না।

নাবীলঃ মাহিএএএএ।

আরে এতো নাবীল, আমি নিলয়ের পেছন থেকে সামনে তাকাই। মনে হয়, আমার জানের মধ্যে এখন জান এসেছে।

নিলয়ঃ নাবীল, তুই এখানে। তুই এখানে কি করছিস? আর মাহির সাথে কি সসম্পর্ক! (মনে মনে)

নাবীলঃ তোর বাড়ীতে আসার আমার শখও নাই।

নিলয়ঃ তাহলে….।

নাবীলঃ আমার একটা অমুল্য জিনিস তোর বাড়ীতে না বুঝে এসে পরেছে। তাই আমার জিনিস আমি নিতে এসেছি।

নাবীল আমার দিকে তাকিয়ে আছে, আর আমি নিচের দিকে ভয়ে।

নিলয়ঃ কিকিকি…..সেটা। যা তোর ঠিকানা ভুলে আমার ঠিকানায় এসে পড়েছে।

আমি নিলয়ের সামনে গিয়ে মাহির হাতটা ধরে সামনে নিয়ে এলাম।

নাবীলঃ মিসেস নাবীল আহমেদ। মাহি আমার ওয়াইফ। আর আমি আমার ওয়াইফকে নিতে এসেছি।

নিলয় জেনো আকাশ থেকে পড়লো, এতোক্ষণ যে মেয়েকে নিয়ে এতো চিন্তায় মগ্ন ছিলো, সে নাকি তারই শত্রুর ওয়াইফ।

কিছুটা এটিটিউড নিয়ে নাবীলকে বললো,

নিলয়ঃ সুন্দরী বউকে সামলিয়ে রাখতে হয়। তা না হলে বাহিরে শুকুনের অভাব নেই। কখন কি করে বসে, এরপর প্রস্তুত হবে। সবাই আমার মতো ভালো না। (একটু বাকা হেসে)

নাবীলঃ আই নো দেট বেটার দ্যান ইউ। আর আমার পাখিকে নজর দেয়া এতো সহজ না।

রাগী ভালোবাসা

নাবীল মাহির হাতটা ধরে চলে জেতে নিলে নিলয়ের কথায় আবার তাকায়।

নিলয়ঃ তাহলে পাখি আজ খাঁচা থেকে উড়লো কিভাবে? এটা অসতর্কতার লক্ষণ। পাখির খেয়াল রাখতে না পারলে বলিস আমি নিয়ে আসবো, আর খেয়ালও রাখবো।

নাবীল কথাটার অর্থ ভাল করে বুজতে পারছে, তাই রাগে কটমট করতে করতে মাহির হাতটা শক্ত করে ধরে বাহিরে চলে এলো।

নাবীল আমার হাতটা এমনভাবে ধরলো মনে হয় হাতটা এখনি ছিড়ে যাবে। আমাকে টানতে টানতে গাড়ীর সামনে এনে বসিয়ে দেয়। আমি লুকিং গ্লাসে নিশিকে দেখতে পাই। এক গালে হাত দিয়ে কাঁদছে। মনে হয়, নাবীল ওকে ডুস দিয়ে দিছে। এখন আমারটা বাকি। আমাকে আজ কি করবে আল্লাহই জানে। আমার হাত পা জেনো এখনি কাপছে।

কিছুক্ষণের মধ্যেই আমরা বাড়ীতে এসে পরেছি। নিশি গাড়ী থেকে নেমেই দৌড়ে নিজের রুমে চলে গেলো। কিন্তু আমি ভয়ে গাড়ী থেকে নামতেই পারছি না। নাবীল গাড়ী থেকে বের হয়ে আমার হাতটা ধরে সোজা রুমে নিয়ে গেলো। রুমে গিয়ে দেখি আমার ফোনটা আগেই ইন্তেকাল করেছে, এখন আমার বাকি। নাবীল সোফায় হেলান দিয়ে বসে পড়েছে চোখ বন্ধ করে। আর আমি অপরাধীর মতো দাঁড়িয়ে আছি।

নাবীলঃ কার অনুমতি নিয়ে তুই বাসা থেকে বের হলি?

মাহিঃ আ…মি…আ…মি…আপনা…কে..কল…করে….ছিলাম। কিন্তু আপনার ফোনটা বন্ধ ছিলো।

নাবীলঃ ফোন খোলার ওয়েট করলি না কেনো?

মাহিঃ নিশি বললো, মা নাকি জেতে অনুমতি দিয়েছে। তাইইইই…। আমি সত্যি জানতাম না।

নাবীলঃ নিশির কথা বাদ দে, আমাকে বলে যাওয়া তোর উচিৎ ছিলো কিনা? বলিসনা কেনো…..(ধমক দিয়ে)

মাহিঃ জিজিজি মানেননন সরিরিরি।

ঠাসসসস……নাবীল শরীলের সমস্ত জোর দিয়ে থাপ্পড়টা মারে।

কষ্টের ভালোবাসা

তাল সামলাতে না পেরে আমি গিয়ে বিছানায় পরি, তাই ব্যাথা কম পাই। কিন্তু নাবীলের পাঁচটা আঙ্গুলের দাগ বসে যায় গালে। নাবীল আমাকে টেনে আবার দাঁড় করিয়ে আমার দুবাহুতে শক্ত করে চেপে ধরে।

নাবীলঃ তোর সাহস কি করে হলো আমাকে না বলে বাড়ীর বাহিরে যাওয়া। জানোস আজ কি হয়ে জেতো, যদি নিলয় না থাকতো, সেই নিলয় যে আমার আর শফিকের শত্রু কলেজ থেকে। আজ ও তোকে বাঁচিয়েছে। কেনো তুই কিছু বুঝিস না, তোর কি মনে হয় তোকে সারাক্ষণ চোখে চোখে রাখা আমার অপরাধ। আজ তোর কারণে নিলয় আমাকে কি বলেছে শুনিস নাই। আমি আমার পাখির খেয়াল রাখতে পারিনা। সত্যি কি আমি তোর খেয়াল রাখতে পারিনা। বল….বলোস না কেনো? (ধমক দিয়ে)

মাহিঃ আমি…. (কান্না জরিত কন্ঠে) আই এম সরি। প্লিস, মাপ করেদিন। আমি জানতাম না, এমন কিছু হবে।

নাবীল রাগে মাহিকে বিছানায় ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়।

নাবীলঃ আমি হয়তো তোর যোগ্যই না, তাইতো তোর খেয়াল রাখতে পারিনা। এ কথা বলে দেয়ালে একটা জোরে ঘুষি মারে। আর সাথে সাথে হাত দিয়ে রক্ত পরতে থাকে।

মাহিঃ একি করলেন…।

আমি দৌঁড়ে গিয়ে হাতটা ধরলাম। হাতটা থেকে রক্ত বের হচ্ছে।

মাহিঃ দোষ আমার ছিলো, আপনে নিজেকে কেনো আঘাত করলেন?

আমি একটা রুমাল নিয়ে সাথে সাথে বেধে দিলাম। উনি হাতটা ছাড়িয়ে রুম থেকে চলে গেলেন। আমি জানি অনেকটা কষ্ট দিয়ে ফেলেছি আজ। আই এম সরি নাবীল বলে ফ্লোরে বসে পড়লাম। চলবে…

পরের পর্ব- রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প – ভাইয়ের বন্ধু বর শেষ পর্ব

সকল গল্পের ধারাবাহিক সব পর্ব এখানে গিয়ে খুঁজুন – ধারাবাহিক পর্বের গল্প

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *