রোমান্টিক প্রেমের গল্প ৭

রোমান্টিক প্রেমের গল্প – বান্ধবী যখন বউ – পর্ব ৭

রোমান্টিক প্রেমের গল্প – বান্ধবী যখন বউ – পর্ব ৭: গত পর্বে মিরা তার বান্ধবীদের মজার স্বপ্ন দেখার জন্য ট্রিট দিতে চেয়েছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই স্বপ্নের রাজকুমার কি কাব্য নাকি অন্য কেউ? চলুন জানার চেষ্টা করি।

মিরার স্বপ্নের রাজকুমার

মিরাঃ দেখ তোরা হয়তো আমার কথা গুলোকে বিশ্বাস করবি কি না সেটা তোদের ব্যাপার। তবে আজকে আমি তোদের যে জন্যে ট্রিট দিতে চাচ্ছি তা হলো আমি একজনকে মন থেকে ভালোবেসে ফেলেছি।

অধরাঃ যাক, তাও একটা ভালো খবর। কিহ্ তুই প্রেমে পড়েছিস। আমার তো বিশ্বাস হচ্ছে না।

মিরাঃ না হলে নেই। তবে এটাই সত্যি।(মিরা)

রিয়াঃ ছেলেটা দেখতে কেমন রে! নিশ্চয় অনেক টাকাওয়ালা মালিকের ছেলে!

মিরাঃ আচ্ছা তোরা কি বলতো? যেই শুনলি আমি প্রেমে পরেছি ওমনি তোরা আমার জামাইয়ের টাকা পয়সার দিকে চোখ দিয়েছিস। কিন্তু নজর দিয়ে লাভ নেই শাঁকচূর্ণীরা।
(মুখ ভেংচি কেটে বললো মিরা)

নীলাঃ বা বা বা তা মিরা যাকে বিয়ের আগেই তোর জামাই বানাইলি সে কি জানে যে তুই ওকে ভালবাসিস?

মিরাঃ না! ওকে তো বলি নাই যে আমি ওকে ভালবাসি। তবে হ্যাঁ আজকেই ওকে আমার মনের কথা জানিয়ে দিবো। কিন্তু ওকি আমাকে ভালবাসবে? (মুখটা মলিন করে বললো মিরা)

নীলাঃ আরে ইয়ার তুই যাকে ভালোবাসবি তার জীবনটাই পাল্টে যাবে। তোকে তো পাওয়া মানে সেই ছেলের জন্য আলাদিনের প্রদিব পাওয়ার সমান। তাই ওসব চিন্তা বাদ দে। আর এটা বল ছেলেটা কে?

মিরাঃ নারে! ও অন্য সবার থেকে সম্পূর্ণ অলাদা। অন্যদের মতো ওর টাকার প্রতি কোন লোভ নেই। সব সময় সৎ পথে চলতে চেষ্টা করে। তাছারা…..।

নীলাঃ তাছাড়া কি?

মিরাঃ তাছাড়া..! ও আমাকে শুধু বন্ধু ভাবে। যদি আমি ওকে প্রপোজ করি আর ও অন্যকিছু ভেবে বসে তাহলে?

নীলাঃ ওসব বাদ দে। তুই যদি তোর মনের কথা তাকে না বলিস তাহলে কিন্তু পরে আজীবন আফসোস করবি।

মিরাঃ হ্যাঁ ঠিক বলেছিস তোরা আমি আজকেই কাব্যকে প্রপোজ করবো।

মিরাঃ কাকে প্রপোজ করবি বললি? (সবাই এক সাথে বলে উঠল) কাকে আবার যার কথা তোরা তোদের কানে শুনলি তাকে। কিন্তু বদটা এখনো আসছেনা কেন?

মিরার মারের হাত আমার পিঠে

আমি কলেজে আসতেই দেখি সব কয়টা শয়াতান শাঁকচূর্ণীরা একসাথেই আছে! আমি ওদের কাছে এসেই বললাম,

কাব্যঃ কিরে রিয়া নীলা..! মিরার মুখটা আজ বাংলা পাঁচের মতো করে রেখেছে কেন?

মিরাঃ কিহ বললি হারামি একে তো আজ তুই দেরী করে আসছিস তার উপর আবার বলছিস আমি আমার মুখ বাংলা পাঁচের মতো করে রেখেছি। আজকে তো তোকে আমি বলেই মারতে শুরু করল মিরা….

কাব্যঃ আরে আরে মারবি না বোন প্লিজ। তুই তোর এই ছোট ভাইকে মাপ করে দে। (আরে কিছুই বুঝলাম না বোন বলার সাথে সাথেই মিরা আমাকে আরো জোরে জোরে মারতে শুরু করলো। আর ওর মার খেয়ে আমার অবস্থা কেরোসিন )

রিয়াঃ আরে মিরা কি করছিস টা কি! এভাবে মারতে থাকলে বেচারা আর এজীবনে বিয়ে করতে পারবে না।

মিরাঃ ঐ তোরা চুপ থাক! কাল থেকে যখনি ওর সাথে কথা হয় তখনি ও আমাকে বোন বলে ডাকছে। আমি ওর কোন কালের বোন লাগি।

কাব্যঃ কোন কালেরই না। এবারের মতো আমাকে ছেরে দে। জীবনে বেঁচে থাকতে তোকে আর বোন বলবো না।

মিরাঃ মনে থাকে যেন।

বলেই আমাকে ছেরে দিল। আর আমি পিঠ ডলতে লাগলাম। হঠাৎ দেখি মিরা কেমন যেনো অন্য মনস্ক হয়ে আছে। আর মুখটা কেমন যেনো কালো করে রেখেছে। তাই আমি নীলাকে বললাম,

কাব্যঃ কিরে নীলা? মিরার কি হলো আবার। এইতো একটু আগে আমাকে দিব্যি মেরে তক্তা করে দিলো। আর মুহুর্তেই মুখটা কালো করে ফেললো কেনো। ওর কি কিছু হয়েছে?

নীলাঃ কি আর হবে? বেচারি একজনকে খুব ভালোবেসে ফেলেছে। কিন্তু বেচারি তাকে বলতেই ভয় পাচ্ছে যদি ছেলেটা ওকে ফিরিয়ে দেয়।

(অধরার কথাটা শুনে কেনো যেনো হঠাৎ বুকের মধ্যে চিন চিন করে ব্যথা অনুভব করতে লাগলো। আচ্ছা মিরা কোন ছেলেকে ভালোবাসে তা শুনে আমার এত কষ্ট হচ্ছে কেন)

রিয়াঃ কিরে, তোর আবার কি হল? তুই আবার তোর মুখটা এমন কালো করলি কেন?

কাব্যঃ দূর তুই যে কি বলিস? আমি আবার মন খারাপ করতে যাবো কেন? আসলে হয়েছে কি বলতো কলেজে আসার পর থেকেই শরীরটা কেমন যেন করছে। তাই ভাবছিলাম যে বাসায় চলে যাব।

রিয়াঃ হঠাৎ বাড়িতে যাবি মানে ক্লাস করবি না?

কাব্যঃ না রে রিয়া ভালো লাগছে না। তোরা থাক আমি এখন গেলাম।

কাব্য ও মিরার না বলা কথা

তারপর আমি ওদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসছিলাম। আমি যেই কলেজ থেকে বের হতে যাবো ঠিক তখনি হঠাৎ জানি না কি মনে করে আবারো কলেজের ভিতর দিকে যাচ্ছি, তা আমি নিজেও জানি না ।

মিরাঃ কি রে..! বাঁদরটার আবার কি হলো যে ক্লাস না করেই চলে গেলো। (মন খারাপ করে বললো মিরা)

নীলাঃ আমার কি মনে হয় জানিস মিরা। কাব্যও তোকে হয়তো মনে মনে পছন্দ করে।

মিরাঃ কিহ্ তুই সত্যি বলছিস তো। কাব্য আমাকে ভালোবাসে। (খুশি হয়ে জিজ্ঞাস করলো মিরা)

নীলাঃ হ্যাঁ রে হ্যাঁ সত্যি বলছি!

আচ্ছা তুই একবার ভেবে দেখতো কাব্যকে যখন অধরা বললো যে তুই কাউকে ভালোবাসিস তখন ও কিরকম রিয়েক্ট করলো। আর ওর মুখটা দেখে তো মনে হচ্ছিলো যেন অনেক ও দামি কিছু একটা হারিয়ে ফেলেছে। তাই বলছিলাম কি, তুই যত তাড়াতাড়ি পারিস কাব্যকে তোর মনের ভিতরে জমিয়ে থাকা কথাগুলো বলে দে। তা না হলে এমনটা যেন আবার না হয়। তুই যাকে ভালোবাসিস তাকে অন্যকেউ যেন তার শাড়ির আচলে না বাধে। (বলেই হাসতে শুরু করলো মিরার অন্য সব বান্ধবীরা)

মিরাঃ ঐ তোরা একদম হাসবি না বলে দিচ্ছি। কাব্য শুধু এ মিরার হবে অন্যকারো না! আর যদি ভুল করেও কেউ আমাদের দুজনের মধ্যে আসে তো তাকে আমি উপরে তুলে দিবো। আর একটা কথা মনে রাখবি মিরা যাকে ভালোবাসে তাকে পাওয়ার জন্য মিরা সব কিছুই করতে পারে। (রাগ করেই বললো মিরা)

রিয়াঃ কুল ইয়ার কুল। এতে রেগে যাচ্ছিস কেনো। শান্ত হ আর ভাব তুই কি ভাবে কাব্যকে তোর মনের কথা বলবি।(রিয়া)

মিরাঃ দূর কোন ভাবাভাবি নেই কালকে যখন আমার কলিজাটা আসবে। তখনি ওকে আমি আমার মনের কথা আমার ভালোবাসার কথা বলবো। (বলেই লজ্জা পেল মিরা)

রিয়াঃ থাক থাক আর লজ্জা পেতে হবে না হে লজ্জাবতী! আর তার থেকে বরং একটা কাজ কর যাকে ভালোবাসিস তাকে প্রপোজ করে আয়।

মিরাঃ ওকে এখানে কোথায় পাবো? নয়তো…।

রিয়াঃ সামনে তাকিয়ে দেখ!

মিরার প্রপোজ

রিয়ার কথা মত সামনের দিকে তাকিয়ে দেখে, কাব্য কলেজে ফিরে আসছে। আর কাব্যকে ফিরে আসতে দেখে মিরা মনে মনে খুব খুশি হয়। কিন্তু হঠাৎ তখনি আবার ওর মনটা খারাপ হয়ে যায়।

(কারণ কিছুক্ষণ আগেই ছেলেটা কতো হাসি খুশি ছিলো। কিন্তু যখন ও জানতে পারলো আমি কোন ছেলেকে ভালোবাসি তখনি ওর হাসিটা কোথায় যেনো হারিয়ে গেলো। হয়তো ও আমাকে মনে মনে ভালোবাসতো বা লাইক করতো। কিন্তু কখনো মুখ ফুটে বলতে পারে নাই। আর বলবেই বা কেন সেদিন আমি যখন এই পেত্নিগুলোর সাথে বাজি ধরেছিলাম তখন তো ও সব শুনে ফেলেছিলো। কিন্তু আমাদের সাথে হনুমানটা এমনভাবে মিশতো জেনো ও কিছুই জানে না। আচ্ছা ওকে যখন আমি আমার মনের কথা বলবো তখন কি ও আমাকে ভুল বুঝবে।)

রিয়াঃ কিরে মিরা, তোর আবার কি হলো যে এমন মন মরা হয়ে গেলি?

মিরাঃ তেমন কিছুই নারে। ভাবছিলাম, আজকে আর ওকে কিছু বলবো না। অন্য একদিন বলবো। (উদাস হয়ে বললো)

নীলাঃ ঠিক আছে, তোকে কিছু বলতে হবে না। তার থেকে বরং আমিই তোর বরটাকে চুরি করে নিয়ে যাই। (মজা করে বললো)

মিরাঃ ঐ চুন্নির ঘরের চুন্নি শাঁকচূর্ণী। ভুলেও আমার জানটার দিকে নজর দিবি না। যদি দিস তো তাহলে তোর চোঁখ তুলে মারবেল খেলব। (রেগে লাল হয়ে বললো)

নীলাঃ আরে বা বা বা কি ভালোবাসা! এতই যখন ভালোবাসিস তাকে তাহলে তোর মনের কথা বলতে ভয় পাচ্ছিস কেন?

মিরাঃ কি বললি শাঁকচূর্ণী, আমি ভয় পাচ্ছি। তাও আবার আমি। তোরা এখানে বসে বসে দেখ আমি কি করতে পারি। (রাগ করে)

রিয়াঃ আরে আরে বোন আমার কথায় কথায় এত রাগ করিস কেন? আর কিইবা করতে চাচ্ছিস তুই।

মিরাঃ আমি এক্ষুণি কাব্যকে আমার মনের কথা বলে দিবো। আরও রাজি হলেই কলেজের সবার সামনেই ওকে জরিয়ে ধরবো।

এটা বলেই মিরা কাব্যর দিকে এগিয়ে যেতে লাগলো। মিরা যখন কাব্যর কাছে আসে আর কাব্যকে কিছু বলতে যাবে। তখনি মিরা শুনতে পায় একটা মেয়ে পিছন থেকে কাব্যকে কাব্য কাব্য বলে ডাকছে আর দৌঁড়াচ্ছে। মিরা ভাবলো মেয়েটা হয়তো অন্য কাউকে ডাকছে। কারণ পৃথিবীতে তো আর একটা কাব্য নেই আরো অনেক কাব্য নামের মানুষ আছে।

তাই মিরাও ওদিকে মন দিলো না। তবুও হঠাৎ করেই কিছু একটা হারানোর ভয়ে মনের ভিতর একটা অজানা ভয় কাজ করছিলো। আর তা অন্য কিছু নয় বরং কাব্যকে হারানোর ভয় কাজ করছে। তাই সে আর দেরী না করেই কাব্যর কাছে দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে যায়।

আর তখনি হঠাৎ…
থেমে যায় মিরা। ওর পা যেন আর সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে না। কারণ মিরা দেখলো মিরা কাব্যর কাছে যাওয়ার আগেই…

স্বর্ণা ইজ ব্যাক

মেয়েটা কাব্যকে জরিয়ে ধরে আছে। যা দেখে মিরার মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়লো। না এ আমি কি দেখছি আমি কি ভুল দেখছি। আমার সাথে এমন কেন হচ্ছে মেয়েটাকি কাব্যকে ভালোবাসে। ওকি আমার কাছ থেকে কাব্যকে কেড়ে নিতে এসেছে। হে আল্লাহ আমি কি করবো তুমিই বলে দাও। আমিতো কাব্যর জন্য ভালো হতে চেয়েছিলাম। ওকে আজ আমার মনের কথাগুলো বলতে চেয়েছিলাম তাহলে তুমি কেন এটা করলে? ওর জীবনে কি তুমি আমাকে না রেখে অন্য কাউকে রেখেছো।

কাব্যঃ আর এদিকে হঠাৎ কেউ আমাকে জড়িয়ে ধরায় আমি অবাক হয়ে গেলাম। আরে যে কলেজে আমাকে কেউ দেখতেই পারে না। সেখানে আমাকে কোন মেয়ে জরিয়ে ধরেছে। ভাবতেই আমার খুব অবাক লাগে। তবে কেন জানি মন চাচ্ছিলো মেয়েটাকে আমিও জরিয়ে ধরি। কারণ মেয়েটার স্পর্শ কেন জানি খুব পরিচিত পরিচিত মনে হচ্ছিলো। আর তার শরীরের গন্ধটাও কেন যানি আমার খুব কাছের মানুষের মতো লাগছে। তবুও নিজেকে সামলে নিয়ে আমি মেয়েটার কাছ থেকে নিজেকে ছারানোর চেষ্টা করছি। কিন্তু আমি যতই নিজেকে ছারিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। ততই মেয়েটা আমাকে আরো জরিয়ে ধরে কাঁদছে। হঠাৎ মেয়েটার কান্না শুনে বুকের ভিতর একটা অজানা ব্যথা অনুভব করলাম। জানি না কেন মেয়েটার কান্না সহ্য হচ্ছিলো না আমার?

আর মিরা দুর থেকে দেখে কাব্য মেয়েটাকে ছারানোর চেষ্টা করছে। আর ওর মুখে বিরক্তির ছাপ। যা দেখে মিরা ভাবছে, কাব্য মেয়েটাকে ছারানোর চেষ্টা করছে কেন?
তাহলে ওকি মেয়েটাকে চেনে না?

কথাটা ভাবতেই মিরার মন থেকে কাব্যকে হারানোর ভয় দুর হয়ে যায়। আবার এটা ভাবে আমি যেমন কাব্যকে ভালোবাসি। ঠিক তেমনি কাব্য হয়তো আমাকে ভালবাসে।
তা যদি না হতো তাহলে মেয়েটাকে ছারানোর চেষ্টা করতো না। আর মেয়েটাকে দেখে বেশ বড় ঘরেরই মনে হচ্ছে। সে যেই হোক আমার তাতে কি ওর সাহস কি করে হয় আমার ভালোবাসার মানুষকে জরিয়ে ধরার। দাঁড়া ছেমরি তোকে দেখাচ্ছি মজা। এই বলে মিরা ওদের দিকে রাগে ফুসফুসতে আসে।

আর এদিকে আমি অনেক চেষ্টা করছি কিন্তু বার বার ব্যর্থ হচ্ছি। কিছুক্ষণ পর মেয়েটা আমাকে ছেরে দেয়। যাক বাবা, অবশেষে ছেরে দিয়েছে। আর একটু হলে তো বুকের সব হাড় ভেঙে যেতো।

কিন্তু হঠাৎ দেখি কারো হাত খুব দ্রুত আমার গাল বরাবর আসছে। আমি ভয়েই চোঁখ বন্ধ করে ফেলি।

ঠাসসসস…

স্বর্ণা ও মিরার প্রেম যুদ্ধ

আমি যখন চোখ খুলে তাকাই তখন যা দেখলাম তা দেখে আমার পা কাপা শুরু হয়েছে। আমি দেখলাম মিরা আমার দিকে কেমন চোখ মুখ লাল করে তাকিয়ে আছে।
আরে আপনারা হয়তো ভাবছেন চরটা মিরা আমাকে মেরেছে?

আসলে তা নয়। ও চরটা আমাকে মারে নাই, আর আমি তো ওর রাগি মুখটা দেখেই ভয়ে কাপছিলাম। আসলে মিরার এই রুপ আমি আগে কখনো দেখি নাই।

তারপর হঠাৎ আমার মনে হলো মিরা যদি চড়টা আমাকে দিয়ে থাকে তাহলে আমার গালে তো ব্যথা পাওয়ার কথা। তাহলে আমি ব্যথা পেলাম না কেন?

যততা জোরে শব্দ হল, এতে আমাকে এতক্ষণে হাসপাতালে থাকতে হতো।

তাহলে চড়টা যদি ও আমাকে না দিয়ে থাকে, তাহলে কাকে দিলো?

হঠাৎ আমার চোখটা মাটির দিকে যেতেই দেখি। যে মেয়েটা আমাকে জরিয়ে ধরেছিলো সেই মেয়েটা এখন মাটিতে পড়ে আছে। আরে আমার বুঝতে বাকি রইলো না, কি হয়েছিলো তখন?

আমি মেয়েটার মুখ দেখতে পাচ্ছিলাম না কারণ ওর মুখটা চুলে ঢাকা পরেছে। তবে এটা ঠিক বুজতে পারলাম মেয়েটার ঠোট কেটে গেছে।

মেয়েটা ওর ঠোট মুছে মাটি থেকে উঠতে উঠতে বললো,

মেয়েটাঃ ঐ তুই কেরে আর তোর এতবড় সাহস তুই আমাকে চড় মারিস! বলেই যে মিরাকে মারতে যাবে তখনি মেয়েটার মুখ থেকে ওর চুল সরে যায়। আর মেয়েটার মুখ থেকে চুল সরে যাওয়াতে আমি যাকে দেখলাম তাকে দেখে যেন আমি পাথর হয়ে গেলাম।

আপনারা হয়তো ভাবছেন, আমি কাকে দেখেছি?
আরে এটা আর অন্য কেউ নয় এটা স্বর্না। এদিকে স্বর্না মিরাকে চড় দিতে গিয়েও থেমে যায়। আর মিরার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।

কিন্তু হঠাৎ করেই স্বর্না মিরার দিকে একরাস বিরক্তি ও রাগ নিয়ে তাকাচ্ছে।

মিরার ও একই অবস্থা মিরাও প্রথমে একটু অবাক হলেও তার কিছুক্ষণ পরপরই স্বর্নার দিকে একইভাবে তাকিয়ে আছে। আর আমি শুধু স্বর্নার দিকে তাকিয়ে আছি। ওকে দেখে আমার মনের ভিতর যেন আবার নতুন এক ভালবাসার ফুল ফুটতে লাগলো। কিন্তু যখন ওর অবহেলা আর আমার সাথে যে জঘন্য ভালোবাসার নাটক করেছিলো তা মনে পরতেই সেই ভালোবাসার ফুল ঝরে পরে এক রুক্ষ মরুভুমিতে পরিণত হলো।

তারপর আমার ভাবনার ছেদ ঘটিয়ে স্বর্না বললো, চলবে….

পরের পর্ব- রোমান্টিক প্রেমের গল্প – বান্ধবী যখন বউ – পর্ব ৮

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *