আই লাভ ইউ মালিহা – Bengali love story

আই লাভ ইউ মালিহা – Bengali love story: সাদিক বাবা মায়ের রুম থেকে বেরিয়ে এসে একবার ঝর্ণার রুমে গেল জিজ্ঞেস করতে তার কিছু লাগবে কি না। কথার এক পর্যায়ে ঝর্ণা কান্না করতেই তাকে সামলাতে সাদিক মাথায় হাত বুলিয়ে দিল।


মূলগল্প

বলেই মালিহাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরল সাদিক। কিন্তু মালিহার কোন উত্তর নেই। না আছে কোন অনুভূতি। এক ঝটকায় সাদিকের হাত সরিয়ে দিল সে। তারপর চলে গেল। মালিহার চোখের দিকে নজর পড়তেই বুক কেপে উঠল সাদিকের। যে চোখে সবসময় সাদিক নিজের জন্য অফুরন্ত ভালোবাসা দেখেছিল আগে, সেই চোখে আছে আজ এক রাশ ঘৃণা। কারণটা সাদিকের অজানা। আগে কাছে গেলে যেই মালিহা লজ্জায় তার বুকে মুখ লুকাত, সেই আজ এক ঝটকায় হাত সরিয়ে অগ্নি দৃষ্টি নিক্ষেপ করছে সাদিকের দিকে। ২ বছরে কি তাহলে মালিহার ভালোবাসা কমে গেল তার জন্য। নাকি সেই ভালোবাসা বিলীন হয়ে গিয়েছে? বুঝতে পারছে না সাদিক।

দীর্ঘ আড়াই বছর পর আজ সাদিক নিজের বাড়ি ফিরেছে। মালিহা দরজা খুলতেই সাদিকের মুখ নজরে পড়তেই ডু হাত দিয়ে চোখ ঘষে সামনে আবার তাকাল। কয়েকবার এই করেও সাদিককে যখন দেখল সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে, তখন মুখে হাসি নিয়েই কেঁদে ফেলেছিল সে। কিন্তু যেই না জড়িয়ে ধরতে যাবে, তখন একটা মেয়ে পিছন থেকে এলো। তার কোলে এক কি দেড় বছরের একটি ফুটফুটে ছেলে। দেখতেই মালিহার মাথা ঘুরে উঠল। নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে থাকার শক্তি যেন পেল না। ভাবল যেমনটা ভাবছে, তেমন না হতে পারে। কিন্তু মালিহার ধারণা ভুল করে সাদিক মেয়েটিকে ভেতরে ডাকল। এতেও আশা হারায় নি সে। কিন্তু যখন সাদিক বলল,
~ও ঝর্ণা, আজ থেকে আমাদের সাথে থাকবে।

এটুকু শুনতেই মালিহা নিজের মুখ লুকিয়ে চলে আসলো ঘরের ভেতর। চোখের জল জ্জেন বাঁধ মাঞ্ছে না। অনেকক্ষণ কেঁদে তারপর নিজেকে স্বাভাবিক করে ঘর থেকে বের হয়ে আসলো তখন দেখল সাদিককে গেস্ট রুম থেকে বের হয়ে আসতে। এতে আর সেখানে থাকতে পারল না। দৌড়ে চলে গেল রান্না ঘরে।

মালিহা কখনো নিজের কষ্ট কাওকে দেখায় না। মেয়েটা বড্ড চাপা স্বভাবের। কিন্তু সাদিককে আরেকটা মেয়ের সাথে দেখে নিজের বিশ্বাস মুহূর্তে ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গেল। তাই সে আপাতত সাদিকের মুখোমুখি যাতে না হতে হয় সেজন্যই রান্না ঘরে চলে যায় সাদিককে পাশ কাটিয়ে। এতে সাদিকও বেশ অবাআক হয়। সে খেয়াল করল মালিহা তাকে এড়িয়ে চলছে। তাই সে সকাল থেকেই মালিহার সাথে কথা বলার চেষ্টা করছে, কিন্তু বলতে পারছে না। মালিহার চোখে ভালোবাসা দেখে সে অভ্যস্ত। তাই তার প্রিয় মানুষের চোখে ঘৃণা দেখে বুকের ভেতর রক্ত ক্ষরণ হচ্ছে সাদিকে। এক পর্যায়ে চোখে জল চলে এলো। ২ বছর পে সে মালিহাকে কাছে পেয়েও পাচ্ছে না। সে চাইলেই তার কাছে যেতে পারছে না। এটা মানতে পারছে না সাদিক।

দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে সোজা গেল বাবা মায়ের রুমে। এই ২ বছর সে কোথায় ছিল, কি করছিল সেটা বিস্তারিত জানাতে। আর জানালোও সাদিক। তার বাবা তাকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন্ন। মা মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন সব শুনে। কিন্তু আবার মালিহার কথা মনে পড়তেই দুজনের মুখ চুপসে গেল। তারা সাদিককে বললেন মালিহাকে সব খুলে জানাতে।

সাদিক বাবা মায়ের রুম থেকে বেরিয়ে এসে একবার ঝর্ণার রুমে গেল জিজ্ঞেস করতে তার কিছু লাগবে কি না। কথার এক পর্যায়ে ঝর্ণা কান্না করতেই তাকে সামলাতে সাদিক মাথায় হাত বুলিয়ে দিল। ঝর্নাও সাদিককে জড়িয়ে ধরল। সব শুনে বেরিয়ে আসতেই দেখল দরজার বাইরে মালিহা দাঁড়িয়ে আছে। মালিহাকে কিছু বলতে যাবে তার আগেই মালিহা ওদের রুমে চলে গেল। রুমে এসে দেখল মালিহা বেরিয়ে যাচ্ছে ঘর থেকে। তাই আর না পেরে বলেই উঠল সাদিক,
~মালিহা? আমি সেই কখন থেকে লক্ষ্য করেছি তোমাকে। সকাল থেকেই আমার সাথে কথা বলছ না। সকালে ভেবেছিলাম এটা তোমার অভিমান। কিন্তু এখন তোমার চোখে আমি আমার প্রতি ঘৃণা দেখছি। কেন মালিহা? এই এই ঘৃণা যে আমাকে কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে ভেতর থেকে।
~হয়েছে? আপনার কথা শেষ হলে আমি যেতে পারি?

~না, আমাকে আগে বল, কেন এমন করছ তুমি?
~২ বছর আগে কিছু না বলেই চলে যাওয়ার সময় মনে ছিল না? আজ যখন আরেকটা মেয়ের হাত ধরে আর একটা বাচ্চাকে নিয়ে ঘরে ঢুকলেন তখন আপনার ভালোবাসা কোথায় ছিল?
~মালিহা তুমি ভুল ভাবছ, ঝর্ণা তো
~নিজের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে একলা ফেলে রেখে যাওয়ার সময় আপনার মনে ছিল না। আমার কথা না ভাবেন, নিজের সন্তানের কথা ভেবে অন্তত থেমে যেতে পারতেন। আরেক জনের হাত ধরে চলে যেতেন না।

এই একটা কথা সাদিক কে থামিয়ে দিল। সাদিকের মাথায় কথাটা ঢুকতেই সে বলে উঠল,
~প্রেগন্যান্ট ছিলে তখন? মানে আমার সন্তান হয়েছে? কি হয়েছে? ছেলে না মেয়ে?

খুশিতে সাদিকের চোখ জ্বলজ্বল করে উঠল। কিন্তু সাদিকের চোখ এখনো মালিহার নজরে পড়ে নি। আর না সে দেখতে চাইছে। তার কাছে এখন সাদিক অপরাধী। সে কাঁদতে কাঁদতে হেঁচকি তোলা শুরু করে দিল। সাদিক মালিহাকে সামলাতে নিজের বুকে শক্ত করে চেপে ধরল। মালিহাও সাদিকের বুকে এলোপাথাড়ি কিল ঘুষি মারতে থাকল। একসময় থেমে গিয়ে কথা বলতে শুরু করল। সাদিকও এবার আর ওর কথার মাঝে ব্যাঘাত ঘটাল না। সে চায় আজ সব অভিযোগ সাদিককে বলুক মালিহা।

~আপনি কেন চলে গিয়েছিলেন আমাকে ছেড়ে। জানেন আমি কত কষ্ট পেয়েছি। আমি কত কান্না করেছি। আপনি কি জানবেন? জানলে আমাকে ছেড়ে যেতে পারতেন না। অন্তত আপনার মেয়ের জন্য কিন্তু আপনি তো জানতেনই না যে আপনার মেয়ে আছে, আপনি তো এটাই জানতেন না যে আমি প্রেগন্যান্ট। জানবেন কি করে? আমাকে জানানোর সুযোগই তো দিলেন না। তার আগেই আরেক মেয়ের হাত ধরে চলে গেলেন আমাকে ছেড়ে। জানেন আমি রোজ আপনার অপেক্ষা করতাম। এই আপনি আসবেন আর আমি আপনাকে জানাবো যে আপনি বাবা হতে চলেছেন, কিন্তু আপনি আসতেন না।

প্রতিবার দরজায় বেল বাজলে আমি দৌড়ে গিয়ে খুলতাম, কিন্তু আপনি ছিলেন না তখন দরজার অপারে। আমার আশা বারবার ভেঙে গিয়েছে, তাও আমি আশা ছাড়ি নি। আপনার অপেক্ষা করে গিয়েছি। না কোন চিঠি, না ম্যসেজ, না কল, কিচ্ছু করেন নি আপনি। আমি শুধু অপেক্ষা করে গিয়েছি। কিন্তু আপনি আসেন নি। আমি সবসময় আপনার ছবি বুকে আগলে রাখতাম। আপনার ব্যবহার করা শার্ট প্যান্ট, ঘড়ি, কলম সব। আপনার সব ছবি দেখতাম শুধু। কিন্তু আপনি আসেন নি। আমার পাড়া প্রতিবেশীরা শুধু আমাকে খারাপ কথা শোনাত। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কথা বলে আমাকে বাঁচাতে আসেন নি আপনি।

এটুকু বলে থামল মালিহা, সে তখনও ফুঁপিয়ে চলেছে। কান্না থামলেও কাঁপছে সে। অনেক কেদেছে আজ সে। আর সাদিকও তাকে থামাচ্ছে না। সে চায় মালিহার সব না বলা কথা শুনতে। নাজলে মালিহা যে চাপা স্বভাবের সেটা সাদিকের থেকে কেউ ভালো জানে না।

মালিহা সাদিকের বুকে থাকা অবস্থায় আবার বলতে শুরু করল,
~জানেন আমার যখন বেবি পেটের ভিতর বড় হতে থাকল তখন আপনি ছিলেন না আমার পাশে। আমার যখন বেবি প্রথন কিক করল তখন আপনি ছিলেন না। আমার যখন কোন ইচ্ছে জাগত, তখন আপনি ছিলেন না আমার আবদারগুলো শোনার জন্য। আমার যখন কথাও যেতে কষ্ট হত, তখন আপনি ছিলেন না আমার হাত ধরে সাহস যোগানোর জন্য। তার উপর অন্যদের কথা গুলোতে আমি মানসিক দিক থেক ভেঙে পড়েছিলাম। নিজেকে শেষ করে দিতে ইচ্ছে হত। কিন্তু পরে ভাবতাম, আপনি যদি ফিরে এসে আমাকে এই অবস্থায় দেখে তাহলে আপনি সহ্য করতে পারবেন না, আমার থেকে বেশি কষ্ট পাবেন। তাই আপনি যাতে কোন নালিশ না করতে পারেন তাই সব ঠিক মতো করতাম। কিন্তু আপনিই ওই প্রতিবেশীদের কথা সত্য করে অন্য মেয়ে আর বাচ্চাকে নিয়ে ঘরে আসলেন। চিন্তা করবেন না। আমি চল্র যাবো আমার মেয়েকে নিয়ে, আপনার থেকে অনেক দূরে। এতো দূরে যে আমাকে কোনোদিন খুজে পাবেন না।

বলেই সাদিককে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে আবার কাঁদতে কাঁদতে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ল মালিহা।

সাদিকও খাটে ধপ করে বসে পড়ল। এই আড়াই বছর মালিহার থেকে দূরে থেকে কম কষ্ট পায় নি সে। কিন্তু তার কষ্ট যে মালিহার কষ্টের কাছে অনেক কম। এতদিন মেয়েটা মরে মরে বেচে ছিল। কতটা কষ্ট পেলে সে মরে যাওয়ার কথা ভাবতে পারে? তাই ভাবল সাদিক।

নাহ, এভাবে আর চলতে দেয়া যাবে না। মালিহার ভুল ভাঙতে হবে। নাহলে দুজনেই কষ্ট পাবে। কিন্তু মালিহার সাথে তো সে কথাই বলতে পারছে না। কি করে ভুল ভাঙবে?

সাদিক আর মালিহার পুরো কথাটাই শুনেছে ঝর্ণা। তাই মালিহাকে ডাকল সে। মালিহা ঝর্ণার ডাক সুনেও না শোনার ভান করে চলে যেতে গেলে ঝর্ণা বলে ওঠে,
~আপনি যা ভাবছেন সেটা ভুল, আমি আপনাদের কথা শুনে ফেলে ছি। আপনি ২ মিনিট চুপ করে আমার কথা শুনুন। তারপর আপনি যা বলবেন তাই হবে।
এই কথা শুনে মালিহা জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকাল ঝর্ণার দিকে।
~আমি সাদিক ভাইয়ের ভাবি, আপনি যেমনটা ভাবছেন সেটা সত্যি না।

এবার মালিহার মাথায় বাজ পড়ল যেন। সে আরও কিছু বলতে যাবে তার আগেই ঝর্ণা বলে উঠল,
~আমার স্বামী একজন পুলিশ অফিসার। তিনি মারা যাওয়ার আগে একটা কেস হ্যান্ডেল করছিলেন। সব প্রমাণ তার কাছে থাকলেও সেটা অপরাধী নিয়ে যাওয়ার প্ল্যান করে। সেদিন আমি বাইরে গিয়েছিলাম। সে সময় তারা আমার স্বামীকে মেরে ফেলে আর প্রমাণ নষ্ট করে দেয়। আমি ঘরে ঢুকে যখন ওর রক্তাক্ত লাশ দেখি তখন হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। সেদিন ওর জন্মদিন ছিল।

আর সাদিক ভাই আর ও বেস্ট ফ্রেন্ড ছিল। সাদিক ভাইও সেদিন বাড়িতে এসে দেখে যে ওর লাস পড়ে আছে আর এক পাশে আমি বসে আছি। তখন ও শেষ বারের মত সাদিককে বলেছিল যে আমার খেয়াল রাখতে। তাই পরের দিন ওর জানাজা করে আমাকে নিয়ে এই বাড়িতে এসেছিল। কিন্তু বাইরে আসতেই আআম্র মনে পড়ে যে ওর কাছে সব প্রমাণের আলাদা কপি থাকে। সেটা জানতে পারলে ওরা আমার উপর এট্যাক করবে। তাই আমি এখানে আসতে সাফ বারণ করে দিই। এই আড়াই বছর সাদিক ওদের বিরুদ্ধে প্রমাণ জোগাড় করে ওদের শাস্তি দিয়েছে। তাচার আমার কেউ ছিল না, তার উপ আমি ২ মাসের প্রেগন্যান্ট ছিলাম। তাই তখন আমাকে দেখে রাখতে ও আমার সাথে ছিল। ওর জীবন কম ঝুঁকিতে ছিল না। তাই ও তোমাদের সাথে যোগাযোগ করে নি। সাদিক আমার ছোট ভাই এর মতো। আপনি ওকে ভুল বুঝবেন না।

সব কথা শুনে মালিহা আবার কান্নায় ফেটে পড়ল। ও জরনার কাছে অনেক ক্ষমা চাইল। তখন ঝর্ণা বলল,
~আমি কিছু মনে করি নি, আপনি চাইলে আমি চলে যেতে পারি, আপ
~তুই করে বল আপু। তুমি কথাও যাবে না। এখানেই থাকবে। নাহলে তোমার ছেলের সাথে আমার মেয়ের বিয়ে দেব কি করে?
এই কথা শুনেই ঝর্ণা হাসল, সাথে মালিহাও। এদের দুজনের হাসি শুনে ঝর্ণার ছেলেও হাসল।
~যা, এবার আমার ছোট ভাই এর সাথে সব ঠিক করে নে।
~ওকে আপু।

মালিহা হাজার চিন্তা করতে করতে রুমে ঢুকল। সাদিকও বাইরে যাচ্ছিল মালিহার সাথে দেখা করতে। কিন্তু উঠেই দেখল মালিহাকে ভেতরে ঢুকতে। তাই সে সিজা মালিহাকে বলল,
~আমার তোমার সাথে কিছু কথা আছি।
~আমি শুনতে বাধ্য নই।
~কিন্তু তোমাকে শুনতে হবে।
~আগে আপনি আমার কথা শুনেন।
~কিন্তু মালিহা
~ঝর্ণা আপুর ছেলের সাথে আমাদের মেয়ের বিয়ে দিলে কেমন হয়?
~ঝর্ণা আপুর ছেলের সাথে আমাদের মেয়ের বিয়ে
~হুম
~মানে?
~আমি জানি আপনি কেন এতদিন দূরে ছিলেন। আমাকে ক্ষমা করে দিয়েন, আমারই ভভুল ছিল। আমি আপনাকে ভুল বুঝেছি। অনেক কষ্ট দিয়েছি।
~না, মালিহা, আমার ভুল ছিল। আমি তোমার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে পাশে থাকতে পারি নি। আমার মেয়েকে প্রথমবার কোলে নিতে পারি নি। আমি তোমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছি। আমার ভুল ছিল, আমার

সাদিকের মুখে আঙুল দিয়ে ওর কথা থামিয়ে দিল মালিহা। তারপর কিউট ফেস করে বলল,
~পুরনো কথা এখন বাদ দিই? আমার খুব খারাপ লাগছে, প্লিজ।
সাদিকও মুচকি হেসে মালিহাকে জড়িয়ে ধরল।
~তুমি কিন্তু এখনো আমার কথার রিপ্লাই দিলে না, মালিহা
~কোণ কথা?
~আই লাভ ইউ
~পরে দিব।
~নাহ এখন
~মেয়ে চলে আসছে
তখনই একটা দেড় বছরের মেয়ে ”পা পা পা পা পা পা” বলতে বলতে আসলো।ও দাদির কোলে ছিল। সাদিক ওকে কোলে তুলে অনেক আদর করল।
~আচ্ছা ও কোথায় ছিল, সকাল থেকে তো দেখলাম না, আর আমাকেই চিনল কি করে?
শেষের কথাটা মুখ গোমড়া করেই বলল।

~ও ওর নানুবাড়ি ছিল। আর ও তোমাকে চিনে কারণ আমি ওকে তোমার ছবি দেখিয়ে চিনিয়েছি।
শুনে সাদিক মালিহাকে পাশ থেকে বাম হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরল আর ডান হাতে ওর মেয়ে। সাদিক মালিহার কানের কাছে মুখ নিয়ে বলল,
~এখন পার পেয়ে গেলে। কিন্তু মেয়ে ঘুমিয়ে পড়লে আমি তোমাকে ধরব। আজ কিন্তু তোমাকে আমার আই লাভ ইউ এর রিপ্লাই দিতেই হবে।

মালিহা একদমে বলে ফেলল,
~আই লাভ ইউ।
~এটা কিন্তু চিটিং।
~আমার বলা শেষ।
~তোমাকে আমি পরে দেখছি। এখন আগে আমার মামুনিকে দেখি। গেট রেডি।

লেখনী – সাদিয়া সৃষ্টি

সমাপ্ত

(পাঠক আপনাদের ভালোলাগার উদ্দেশ্যেই প্রতিনিয়ত আমাদের লেখা। আপনাদের একটি শেয়ার আমাদের লেখার স্পৃহা বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। আমাদের এই পর্বের “আই লাভ ইউ মালিহা – Bengali love story” গল্পটি আপনাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন। পরবর্তী গল্প পড়ার আমন্ত্রণ জানালাম। ধন্যবাদ।)

আরো পড়ূন – হেই জুনিয়র – Valobasha obiram

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *