একটি বিষাক্ত প্রেমের সম্পর্ক – X Girl Friend Story

একটি বিষাক্ত প্রেমের সম্পর্ক – X Girl Friend Story: বন্ধুর বিবাহ দিতে গিয়ে আমিই বিয়া কইরা ফেললাম। এখন বুজলাম কিডন্যাপার হলে নিখুত বুদ্ধি লাগে। নাহলে আমার অবস্থা হয়ে যাবে।


পর্ব ১

বিকেলবেলা বন্ধুদের সাথে বসে আছি। ভিবিন্ন জিনিস নিয়ে আলোচনা করতেছি। আমাদের বেকারদের একটাই কাজ সারাদিন আড্ডা দেওয়া। আলোচনার ভিতরে কোনো ভালো কিছু পরে না। যা আছে হুদাই কারে কেমনে বাশ দেওয়া যায় এসব আরকি। আড্ডার মাঝে হঠাৎ রাফি আসল। এসে কেঁদে কেঁদে বলল,

~ ভাই আমারে বাঁচা?
~ হালা তুই তো জীবিতই আছোস। তো যদি মরে যাইতি। বাঁচানোর চেষ্টা করতাম। তাও বেশি না একটু। তুই মরলেই ভালো তোর চল্লিশা খাইতে পারতাম।

তখন আরেক বন্ধু বলে ওঠল,
~ আরে আলভী তুই পাগল হয়ে গেছিস নাকি?
~ কেন পাগল হবো কেন?

~ রাফির আব্বা যেই কিপটা ও মইরা গেলেও চল্লিশা খাওয়াবে না।
~ হুম দোস্ত কথাটা ঠিক ই বলছিস।

তখন রাফি কান্না করতে করতে বলল,
~ দোস্ত এ সময় ফাইজলামি করিস না। নাহলে আমি সত্য মরে যাব? এই দেখ বিষ নিয়ে আসছি।
~ বোতলটা হাতে নিলাম। শুকে চেক করে

নিলাম। আসলেই তো এটা বিষ। কিন্তু ওর কি এমন হয়ছে যে বিষ খেতে চাচ্ছে। আমি তখন বললাম,
~ কিরে তোর হঠাৎ কি হলো সকালেও হাসিখুশি ছিলি। এখন বিষ খেতে চাচ্ছিস?

~ দোস্ত আমার সব শেষ। কান্না করতে করতে। ?
~ দোস্ত কি হয়ছে খুলে বল?
~ আজকে মেঘলার গায়ে হলুদ কালকে বিয়ে হয়ে যাবে। আমি ওকে ছাড়া বাচমো না।

~ দোস্ত চিন্তা করিস না সব ঠিক হয়ে যাবে। আমরা মেয়েটাকে তুলে নিয়ে আসবো?
~ সত্যি দোস্ত। প্লিজ এনে দে ওকে। আমি তোকে হাত জোড় করে বলতাছি?

~ এনে দিব একটা শর্তে?
~ কি শর্ত?
~ আমাদের সবাইকে খাওয়াতে হবে?
~ ওকে দোস্ত

তারপর বন্দুদের সব প্লানিং বুজিয়ে দিলাম। সালারা বুঝছে। বাট আল্লাই জানে হালারা কি বেজাল পাকিয়ে দেয়। সবাই দোয়া কইরেন যাতে রাফির হবু বউকে তুলে নিয়ে আসতে পারি?

রাতের বেলায় সবাই মিলে যাচ্ছি। আজকে বউ কিডন্যাপ করব ভাবতেই কেমন একটা কিডন্যাপার কিডন্যাপার ভাব চলে আসল। ওদের বাড়িতে গেলাম।

বাহ কত জাকজমক ভাবে বিয়ে দিচ্ছে। আজকেযেহেতু গায়ে হলুদ তাহলে অবশ্যই খাওয়ার আয়োজন করা হয়েছে। তাই এখান থেকে বিড়িয়ানী খেয়ে যেতে পারলে ভালো হতো। সবাইকে বললাম,

~ দোস্ত আমি একটা প্লান এড করছি?
~ কি প্লান?
~ দোস্ত দেখ এখনো কিছু খাই নাই। অনেক ক্ষুধা লাগছে। আগে বিড়িয়ানী খাই পরে সব চিন্তা ভাবনা?

~ হুম দোস্ত ঠিকই বলছিস। চল আগে খেয়ে নেই?

তারপর ইচ্ছা মতো বিড়িয়ানী খেলাম। আমারই একমাএ কিডন্যাপার যে কিনা বউ চুরি করতে এসে তাদের বাড়ির বিড়িয়ানী খেয়ে যাচ্ছি।

তারপর সবাই সবার জায়গা মতো সেট হয়ে গেল। রাফি বাইরে গাড়ি নিয়ে আসছে। আমি প্রথমে জেনারেটর এর লাইনটা নষ্ট করে দিলাম। পরে মেইন সুইচ অফ

করে দিলাম। আর ওই সুযোগে মেয়ে নিয়ে আসছে। আর এসে আমাকে মেসেজ দিল। আমি সোজা গাড়িতে ওঠে বসলাম। তারপর একটা হোটেলের সামনে নিয়ে

গেলাম। গাড়ি থেকে নামাতে গিয়ে আমি টাশকি খেয়ে গেলাম। কারন এখানে মেয়ে দুইটা। তখন আমি বললাম,
~ ভুত ভুত?

~ আরে হালা ভুত কই থেকে আসব?
~ এই দেখ এখানে দুইটা বউ?
~ আরে আমরা তো দুইজনকে তুলে নিয়ে আসছি?
~ কি বলিস এগুলো? দুইজন কেন?

~ আসলে দোস্ত দুইটা মেয়ে সেইম সাজে বসে আছিল পরে কোনটা বউ চিনতে পারিনি। পরে দুইটার মুখে ওই স্পে মারছি। পরে দুইটাকে নিয়ে আসছি।

~ সাব্বাস বেডা তোর বাপের বাচ্চা। এই নাহলে তোরা আমার বন্ধু
~ হুম।

বাট দুইটা মেয়ের মধ্য একটা মেয়েকে খুব চেনা চেনা লাগছে। কোথায় জানি দেখছি। দূর এই ছোট শহরে কত মানুষদের দেখি। ওরেও কোথাও দেখছি। এসব ভেবে লাভ নেই। যা করতে আসছি তাই করি?

মেয়ে দুইটাকে নিয়ে রুমে আসলাম। রাফি ও আসল কাজিও রেডি। তখন আমি বললাম,
~ রাফি তোর বউ কোনটা?

~ আরে দোস্ত চিনতে পারতেছি না। তুই ওদের মুখে পানি মার?
~ ওকে।

আমি প্রথম একটার উপর পানি মারলাম। আর সেটা হলো মেঘলা। মেঘলাও রাফিকে দেখে অনেক খুশি। তারপর তাদের বিয়ে দেওয়া হলো।

বিয়ার শেষে বললাম,
~ আরে এখন এই মেয়েকে কি করা?
~ কোন মেয়ে? (মেঘলা)
~ এইযে ওই মেয়ে?

~ আরে এটা তো মিম আপু? ওনাকে নিয়ে আসছেন কেন?
~ মিম নামটা বড্ড চেনা। এইটা ওই মিম না তো? (মনে মনে)
~ আরে কথা বলছেন না কেন?

~ আরে তোমরা দুইজন যেইভাবে সাজছিলা। চিনতে পারিনি তাই তুলে নিয়ে আসছি।
~ আল্লাহ এখন কি হবে। আমার জিবন তো শেষ? (মেঘলা)

~ কেন?
~ উনি যদি আব্বুকে বলে দেয়?
~ বলবে না আমি সেই ব্যবস্থা করতেছি।
~ ওকে ভাইয়া থ্যাংকু?

আমি ওই মেয়েকে নিয়ে বাইরে চলে আসলাম। পরে পানি ছিটিয়ে দিতেই আমি অবাক। এইটা তো আমার এক্স গার্লফ্রেন্ড। তখন ওর জ্ঞান ফিরল ও আমাকে দেখে অবাক। মিম বলল,
~ তুই এখানে?

~ আরে তুই এখানে?
~ আমি এখানে এলাম কিভাবে? আমার বোন কোথায়?
~ তোর বোনের বিয়ে দিয়ে দিছি এখন ও বাসর ঘরে লুডু খেলতেছে?

~ কি বলিস? আমি মামাকে সব বলে দিব?
~ তো যা গিয়ে বলে দে? তোরে কি ধরে রাখছি?

আমার এসব কথাকাটি দেখে বন্ধুরা আগেই কেটে পড়ল যাওয়ার সময় বলে গেল। চালিয়ে যা ভাই। হয়ে যাবে। তখন মিম বলল,

~ আমি এখন কি করব? কোথায় যাব?
~ কেন তোর মামার বাসায় যাবি?
~ আমি চিনি না। আমাকে একটু দিয়ে আই?

~ আমারে তো পাগলা কুওা কামরাইছে তোরে নিয়ে যাবো। আর তোর মামা আমাকে ধোলাই দিবে?
~ দিয়ে আসবি না তো? তাহলে আমাকে তুলে এনেছিস কেন? আমার কলার ধরে?

মিম আমার কলার ধরে আছে। তখন একটা পুলিশের গাড়ি আসল আর যা হলো….


পর্ব ২

মিম আমার কলার ধরে আছে। তখন একটা পুলিশের গাড়ি আর যা হলো তা হলো,

পুলিশ আমাদের কাছে এসে। আমাকে বলল,
~ কিরে কাজ করে এখন টাকা দিতে পারতেছিস না?
~ কিসের কাজ? আমি কিছু বুজতেছি না?

~ থানায় চল। সব বুজতে পারবি। আকাম করার কি পরিনতি?
~ আরে স্যার আমি আবার কি করলাম? কি কথা বলতাছেন?

~ এই যে মেয়েটার সাথে ইয়ে করে এখন টাকা দিতে পারতেছিস না। এখন কলার ধরে আছে?
~ আরে স্যার তেমন কিছু না। আপনি যা ভাবতাছেন তা সম্পূর্ণ ভূল।

~ ভুল কি না সঠিক থানায় গেলে বুজতে পারবি?
~ থানায় যাব না?
~ লাঠি দিয়ে বাড়ি দিলযাবি না?
~ যাব স্যার যাব।

গাড়িতে ওঠে বসলাম। এই মিম এর জন্য এই অবস্থা। ওনি সুধু আমার সাথেই পারে। পুলিশের সাথে কথা বলতে পারে না। একবারে ভয়ে চুপসে গেছে। মিম যদি পুলিশকে দুই একটা কথাও বলতো তাহলেও হয়তো থানায় নিয়ে যেতো না। সালার জিবনা তেজপাতা হয়ে যাবে। মিম এখনো চোখ বন্ধ করে আছে?

থানায় নিয়ে আসা হলো। ভিতরে বসে আছি। দুর মশা যেভাবে কামড় দিতাছে। আমার শরীর থেকে রক্ত শূন্য করে দিবে। আর মিম ওই দিকে মোবাইল চালাচ্ছে

বয়ফ্রেন্ড এর সাথে চ্যাট করতাছে হয়তো? আল্লাহ এই মশার কামড় থেকে বাচাও। আমি মিমের কাছে গেলাম
~ তোর জন্য আজকে এই অবস্থা হয়ছে?
~ আমার জন্য কেন হবে। মুখ সামলে কথা বল?
~ তোরে কেমনে বলা উচিত। তোর জন্য মশা কামড় খেতে হচ্ছে জেল খাটতে হচ্ছে।

~ হুম ভালো হইছে। তোর এরকমি হওয়া উচিত। আমি এখান থেকে কিভাবে বের হব সেই আইডিয়া বের করছি। ডিস্টার্ব করিস না?
~ তোকে ডিস্টার্ব করতে ঠেকা পড়ে নাই।

আমি এক কোনে বসে আছি। মশার জ্বালানো অত্যাধিক পরিমানে বেড়ে গেছে। না কিছু একটা করতে হবে। নাহলে রক্তশূণ্যতায় ভোগতে হবে। এই হালা

পুলিশকে ডাক দেই দেখি সালা কিছু করতে পারে কিনা। পুলিশকে ডাক দিলাম
~ ও ভাই এদিকে আসেন।
~ কি হয়ছে?

~ ভাইয়া আপনাকে দেখতে অনেক সুন্দর লাগতেছে। বাট এই পুলিশের চাকরি নিলেন কেন?
~ ভাই সবই কপাল। কপাল খারাপ হলে যা হয়?
~ হুম ভাই বুজছি আপনার দুংখটা। বাট একটা হেল্প করবেন বড় ভাই?
~ কি হেল্প?

~ ভাই দেখেন এখানে কত মশা যদি একটা কয়েল এনে দিতেন?
~ আচ্ছা ভাই দাড়ান নিয়ে আসতেছি।

পুলিশটা মনে হয় ভালো। সহজেই রাজি হয়ে গেল। বসে আছি। একটু পরে একটা কয়েল নিয়ে আসলো। তখন আমি বললাম,

~ ধন্যবাদ ভাইয়া। অনেক বড় একটা হেল্প করছেন?
~ ধন্যবাদ দেওয়া লাগবে না। এটা আমার কর্তব্য ছিল।
~ হুম ভাই।

আমি বসে আছি। আর বসে বসে সারারাত জগড়া করছি। সকাল হতেই অফিসার টা আসল
~ কিরে রাতটা কেমন কাটলো?

~ আপনি যে হালে রাখছেন ওই হালেই কাটছে?
~ বেশি বকিস না। ঠান্ডা দিয়ে টান্ডা করে দিব। শোন তোদের বাবা মাকে খবর দে। তোদের ছুটিয়ে নিয়ে যেতে বল?

~ স্যার দেখেন আমি সত্য কিছু করিনি। আর আব্বু আম্মু এসব বিষয় জানলে কষ্ট পাবে। প্লিজ স্যার একটা সুযোগ দিন? ছেড়ে দেন? মিম বলল,

~ স্যার আমার সত্যি কিছু করিনি। ছেড়ে দেন আমায়? মামা জানলে আমাদের মেরেই ফেলবে?
~ তোর মামার নাম কি?

~ আশরাফ হোসেন?
~ তুই স্যারের ভাগনি হয়ে এরকম কাজ করে বেড়াস? তবে তোদের কাছে দুইটা শাস্তি আছে। এক তোরা দুজন দুজনকে বিয়ে করবি। নাহলে পরিবারে খবর দিবি?

~ স্যার আমরা একটু ভেবে নেই? (মিম বলল,)

তারপরে দুইজনে অনেক ভেবেচিন্তে দেখলাম বিয়ে করে নেওয়াটাই ভালো। কারন মিম তার পরিবারে জানাতে পারবে না। আমিও আমার পরিবারে এসব

জানাতে পারব না। জানালে কেলেংকারি হয়ে যাবে। আর বিয়ে করে নিলে কয়েকদিন পরে ডিবোস দিয়ে দিব। এটাই ভালো হবে। মিম ও রাজি এই সিদ্ধান্তে। কতক্ষন পর পুলিশ আসল

~ কিরে কি সিদ্ধান্ত নিলি?
~ স্যার আমরা বিয়েই করবো।
~ হুম ওকে।

তারপর বিয়ে দেওয়া হলো। বিয়ে পড়ানোর পর আমাদের ছেড়ে দিল। আমি বাসার দিকে যাচ্ছি। মিম ও আমার পিছন পিছন আসলো। ভাবতে লাগলাম। বন্ধুর বিবাহ দিতে গিয়ে আমিই বিয়া কইরা ফেললাম। এখন বুজলাম কিডন্যাপার হলে নিখুত বুদ্ধি লাগে। নাহলে আমার অবস্থা হয়ে যাবে। আমি বাসার সামনে গিয়ে বললাম,

~ কি ব্যাপার তুই আমার পিছন পিছন আসছিস কেন?
~ তাহলে আমি কোথায় যাবো? আমি তো এখানকার কিছুই চিনি না।
~ ও ভালো।

আমি বাসার ভিতরে ডুকলাম। দরজা খোলাই আছে। আব্বু লাঠি নিয়ে বসে আছে। বুজছি আজকে আমার কপাল খারাপ। আব্বুর কাছে গেলাম

~ আব্বু লাঠি হাতে নিয়ে বসে আছো কেন?
~ তোরে পিঠামো?

~ কেন আব্বু?
~ রাতে কোথায় ছিলি?
~ ইয়ে মানে ডেডি বন্ধুরে সাধি করাইছি
~ কি মহান এক কাজ করলি। এবার বাড়িতে বিচাড় আসলে খবর আছে

তখনি মিম রুমে ডুকে পড়ল। আব্বু মিমের দিকে তাকিয়ে বলল,
~ এই মেয়ে কে তুমি?
~ আসলে আব্বু আমি ওর বউ। আমাকে বাইরে দাড় করিয়ে রেখে দিছে?

তখন আব্বু আমাকে বলল,
~ কিরে হারামী তুই না তোর বন্ধুর বিয়ে দিতে গেছিলি? এখন এই মেয়ে কে?
~ ইয়ে মানে আব্বু

~ লাঠি দিয়ে বারি দিয়ে বলল,। হারামী চুপ থাক। এই এই কই তোমরা আসো? দেখো তোমার গুনধর ছেলে কি করছে?

আম্মু আর ছোট বোন নিচে আসলো। আর এসে যা করলো


পর্ব ৩

আম্মু আর ছোট বোন নিচে আসলো। আর এসে যা করলোতা হলোআব্বুকে এসে জিজ্ঞেস করল,?
~ আরে কে এটা?

~ বউ
~ কার বউ? তুমি কি আবার বিয়ে করলা নাতো? এই আলভী ঝাড়ুটা নিয়ে আই?
~ আরে তুমি ভুল বুজতেছো? ওটা আমার বউ

না। তোমার গুনধর ছেলের বউ। যিনি আজকে রাতে এই মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে আসছে?
~ ওমা তাই নাকি। কত সুন্দর বউ। আমার ছেলেটার পছন্দ আছে। কিরে আলভী তুই তো আমার সাথে সব শেয়ার করিস। এটা শেয়ার করলি না কেন?

~ আসলে ইয়ে মানে আম্মু? হইছে কি?
~ হইছে আর লজ্জা পেতে হবে না। বিয়ে ঠিক ই করে নিয়েছিস এখন লজ্জা পেয়ে আর কি হবে?

মিম ও লজ্জায় মাটিতে চেয়ে আছে। আর আমার ছোটবোন পিক তোলাতে ব্যাস্ত। তখন আম্মু বলল,
~ এই যা তুই বরন ডালা নিয়ে আই?
~ তোমার জন্য ঠিক মতো পিক ও তুলতে পারব না। আচ্ছা যাচ্ছি।

ছোটবোন যাচ্ছে বরন ডালা নিয়ে আসতে। আম্মু মিমকে দেখে অনেক খুশি। একদিকে আমি লজ্জা পাচ্ছি। আরেকদিকে রাগ উঠতেছে একবার রুমে

যাই বুঝাবো আজকে। আমাকে এই অবস্থায় ফেলে এমন ভাব ধরে আছেন মনে হয় তিনি কোনো কিছুই জানেন না। তখন আব্বু বলে ওঠল

~ আরে তুমি ওদের মেনে নিলা?
~ মানবো না তো কি করব? কত সুন্দর কিউট একটা মেয়ে?

~ বাহ বাহ ভালোই। মিলে মিশে থাকতে পারলেই হলো। ওকে আমিও মেনে নিলাম। তা মা তোমার নাম কি?
~ মিম।

~ ও অনেক সুন্দর নাম। তোমার বাসা কোথায়? (আম্মু)
~ ঢাকায়?

~ ~ এত আমার এই ফাজিল ছেলের সাথে পরিচয় কেমনে?
~ আরে তুমি চুপ কর। সে সব পরে শুনবো। ওকে রেস্ট নিতে দাও? (আম্মু)

তারপর বরন ঢালা দিয়ে বরন করে নিল। আমি আমার রুমে আসলাম মিম ও আসলো। তখন আমি মিমকে বললাম,

~ কিরে তুই আমার বউ সেটা পরিচয় দিতে গেলি কেন?
~ তো কি দিব? আমাকে বিয়ে করছিস এখন এই পরিচয় ই দিব?

~ শোন তোর সাথে সংসার করার কোনো ইচ্ছাই নাই। তোকে ডির্বোস দিয়ে দিব?
~ হুম আমার ও টেকা পরে নাই।

~ তুই তোর পরিবারে কল দে?
~ দিয়ে কি বলমো?
~ তোর যা ইচ্ছা বল
~ ওকে?

মিম তার পরিবারে কল দিলো। আর বলল,
~ হ্যালো আব্বু আমি বিয়ে করে ফেলছি?
~ তুই বিয়ে করে ফেলছিস। আজকে থেকে তুই আমার মেয়ে না। আজকে থকে মনে করবো আমাদের

মেয়ে মারা গেছে।
টুটটুট
~ হ্যালো হ্যালো

তখন আমি বললাম,
~ তুই এটা বলতে গেলি কেন? সব দিক দিয়ে প্যাচ লাগাইতেছিস?

~ তোকে এসব নিয়ে ভাবতে হবে না।
~ আল্লাহ এই ছ্যাচড়াকে কেন আমার কপালে দিলা?

~ এই আলভী মুখ সামলে কথা বল। তুই ছ্যাচড়া। আর তোর মতো ছ্যাচড়া দুইটা নাই।
~ যা যা। প্লিজ বইন আর ক

থা বলিস না। তোর কথা শুনলে আমার ঘা জ্বলে।
~ আমি তোর বইন ঠিক আছে ভাইয়া?
~ হুম বইন আমাকে ঘুমাতে দে।
~ ওকে ঘুমা।

আমি কতক্ষণ ঘুমিয়ে নিলাম। ৩ ঘন্টা পরে ওঠলাম। ফ্রেশ হয়ে খাবার খেলাম। মিম বেড়ে বেড়ে দিছে। যদিও অনেক রাগ ওঠছিলো। আব্বু আম্মুর সামনে কিছু বলতে পারিনি। খাওয়া শেষ করে বাইরে গেলাম। সবাই কেমন অদ্ভুত করে

তাকাইতাছে। সালা নিজেকে ভিন গ্রহের প্রানি মনে হয়তেছে। বাট কেউ কিছু বলতে পারতেছে না। যদি আবার ওল্টা পাল্টা কিছু বলি। তখন ক্লোজ এক ছোটভাই আসলো এসে বলল,

~ ভাই আপনে এই কামডা কেমনে করলেন?
~ কি করলাম?
~ ভাই কোনো মতেই মানতে পারতেছি না?
~ দেখ রাগ তুলিস না। কানের নিছে খাওয়ার আগে বল?

~ ভাই আপনি বিয়ে করছেন আমাদের বলেন নাই কেন?
~ তোরে কে বলছে?
~ আপনার ছোটবোন ফেইসবুকে আপলোড দিছে। সারা এলাকার সবাই জানে আপনি বিয়ে করছেন। ভাই ট্রিট কবে দিবেন?

মেজাজ গরম হইছিলো। তাই ওর গালে একটা দিছি। তবুও হালায় কয়
~ ভাই এই ব্যাথা শরীরে লাগছে। মনের ব্যাথা কেমনে দূর হবে। মনে অনেক ব্যাথা।

~ দাড়া তোর ব্যাথা দূর করতাছি

আমি একটা বাশ নিলাম। শালা দাড়া তোর ব্যাথা দূর করায়। ও হালায় দৌড় দিল। আমার মাথা পুরাই গরম। বাশ নিয়ে রাফির কাছে গেলাম। ও আমাকে দেখে বলল,

~ আরে দোস্ত বাশ নিয়ে এসেছিস কেন?
~ তোকে আদর করার জন্য?
~ কি বলিস। তোর ভাবি সেই আদর দিছে আর লাগবে না

~ হুম লাগবে। ওর পাচায় দুইটা বারি দিলাম।
~ দোস্ত আমার বউয়ে কসম তুই আমাকে মারিস না
~ আমি আরেকটা বাড়ি দিলাম।
~ দোস্ত তোর কি হয়ছে সেটা বল?

তারপর সাথে যারা ছিলো আমাকে মিমের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করল। ওরাও নাকি এফবিতে পোস্ট দেখছে। বাট বিশ্বাস করে নাই। পরে আমি সব ঘটনা খুলে বললাম,। সালারা হাসতে হাসতে শেষ। তারা

বলতেছে যদি তাদের কপালে এমন হতো। তারা অনেক আফসোস করতেছে। বাট আমি জানি মিম কেমন গিরগিটি। কিছুক্ষণ কথা বলে রাফিকে জিজ্ঞেস করলাম

~ কিরে তোর ডেড মেনে নিছে?
~ হুম
~ কেমনে পসিবল মেন?
~ আরে বলছি দেখো আব্বু বিয়ে করছি।
~ ওনি তেড়ে আসলেন?

~ আমি বললাম,। আব্বু তোমার লাভ হইছে?
~ বিয়ে করছিস তুই লাভ হইছে আমার? বোকা পাইছোস আমাকে?

~ আরে বিয়ে করছি তোমার একটা পয়সাও খরচ হয় নাই। তুমি দেখো কতগুলো টাকা বেচে গেছে?
~ হুম তাইতো এই নাহলে আমার ছেলে। একটা কাজ ভালো করতে পেরেছিস

পরে আর কি। টাকার প্রতি ভেবে মনে নিছে।
~ ও ভালো। সালা তোর বাপ এক পিস ওই
~ হুম।

~ চল?
~ কোথায়?
~ আজকে আমাদের খাওয়ানোর কথা ছিলো?
~ হুম রাতে খাওয়াবো
~ আচ্চা ওকে

সারাদিন ঘুরে ফিরে কাটালাম। বাসায় গেলাম না। রাতে পার্টি শেষ করে বাসায় ফিরলাম। আম্মু বকা দিল। আর আমার ঘরে বাসর সাজানো হলো। আর বাসর ঘরে যা হলো


পর্ব ৪

সারাদিন ঘুরে ফিরে কাটালাম। বাসায় গেলাম না। রাতে পার্টি শেষ করে বাসায় ফিরলাম। আম্মু বকা দিল। আর আমার ঘরে বাসর সাজানো হলো। আর বাসর ঘরে যা হলোতা হলো

আমি বাসর করে গেলাম। মিম কার সাথে যেনো কথা বলতেছে। হয়তো ওর বি এফ। আমি যে রুমে ডুকলাম মাএ খেয়াল করল। আমি দরজা লাগিয়ে বিছানার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। তখন মিম ফোনটা রেখে আমাকে বলল,

~ এই তুই এদিকে আসতেছিস কেন?
~ শয়তানি হাসি দিয়ে বললাম, তোর সাথে আজকে সাপ লুডু খেলব।

~ খবরদার তুই আমাকে স্পর্শ করবি না। নাহলে ভালো হবে না?
~ কি ভালো হবে না? এগিয়ে যেতে যেতে বললাম,।
~ তোকে আমি মেরে ফেলব। কারন আমি অন্য কাওকে ভালোবাসি।

~ স্বাভাবিক বারোভাতারী এমনই হয়। বাট আমার প্রাপ্য আমি নিয়ে যাই?
~ কিককি নিবি? তুতলিয়ে
~ দাড়া দেখাচ্ছি

তখন মিম বলল,
~ এটা কি হলো?
~ কেনো আমি বালিশ কাথা নিলাম।
~ ওহহ আমি তো ভাবছিলাম

~ পুরোটা শেষ হওয়ার আগে বললাম, শোন তোর মত মেয়েকে স্পর্শ করলে আমার ঘৃনা লাগে। তোর মতো মেয়েকে স্পর্শ করলে ভালোবাসাকে অপমান করা হবে।

শোন যেভাবে আছিস সেভাবে থাকবি। কোন বিষয়ে নাক গলাতে আসবি না। আর কয়টা দিন ই আছিস এই বাড়িতে। পরে আমি ডিবোস দিয়ে দিব।

~ মিম আমার কথা গুলো শুনে অবাক চোখে তাকিয়ে আছে। ও নিজেও ভাবতে পারতেছে না আমি এমন কথা বলবো। ও ভাবছিলো হয়তো কিছু দিন জগড়া করে আমার মনে মায়া সৃষ্টি করবে। কিন্তু আমি যে যেমন কথা বলবো ভাবতেও পারিনি।

~ এভাবে তাকিয়ে লাভ নাই। আমি আর তোকে ভালোবাসিনা। তোকে ভালোবাসার চেয়ে বারোবাতারীকে ভালোবাসা ভালো।
~ তুমি এভাবে কথা বলতাছো কেন?

~ আমি তোর সাথে কেমনে কথা বলবো?
~ ভুলে যেও না আমি তোমার বউ?
~ হাহাহা। আমি তোকে বউ হিসেবে মানি না
~ কেন মানবা না?

~ কারন তুই ছলনাময়ী। বিশ্বাসঘাতক
~ যা ঘুমিয়ে পড়?
~ হুম। তুমিও ঘুমাও।

মিম শুয়ে শুয়ে ভাবছে। আমি কি ওকে এত কাছে পেয়েও আবার হারিয়ে ফেলব। আমি তো ওকে এখনো ভালোবাসি। এগুলো সব তো নাটক ছিল। আমি যেভাবে চাইছি তার বিপরীত হয়ে

যাচ্ছে। এত কষ্ট করে প্লান করে বিয়ে করলাম। এখন ওকে হারাতে পারব না। যেভাবেই হোক আগের মত ভালোবাসা সৃষ্টি করে নিতে হবে। এখন থেকে আর খারাপ ব্যবহার করব না। আমি আর ওকে হারাতে

পারব না। রাগের কারনেই তো তুই তুকারি করে কথা বলতাম এখন থেকে আর এগুলো বলা যাবে না। ওই দিন যদি ছেড়ে চলে না আসতো। তাহলে কি আর এভাবে কথা বলতাম যাই হোক ওর ভালোবাসা পেতেই হবে।

এদিকে আমি ভাবতেছি। মিমের মুখে এত মধু আসলো কিভাবে। আগে তুই তুকারি করে কথা বলতো এখন। তুমি করে কথা বলে কাহিনি

কি? আবার কোন নাটক করতেছে কে জানে। আমি আর ওর মাঝে হারাতে পারব না। যেভাবেই হোক থেকে দূরে থাকতে হবে। আর আপনারা ভাবতাছেন মিম আমার এক্স হয় কিভাবে? ওরে কেন আমি সহ্য করতে পারিনা? কেনোই বা ডিবোস দিয়ে দিতে চাই?

আসুন তাহলে ফ্লাশব্যাকে যাই? ৷
ফ্লাশব্যাক

আজকে ভার্সিটির প্রথম দিন। আমিও ভার্সিটি গেলাম। ভার্সিটিতে ডুকতেছি আর হাজার হাজার ক্রাশ খাচ্ছি। কারন ক্রাশ ই একমাএ খাদ্য যেটা ফ্রিতে বেশি বেশি খাওয়া যায়। আমি মেয়ে দেখতেছি আর

ভাবতেছি। আহা কি সুন্দরী মেয়ে। ওফস একটা প্রেম না করলেই না। বাট এখন তো পটানো যাবে না। আমি তো নতুন এখন তো চাইলেও সম্ভব না। তখনি একটি মেয়ে ডাক দিল
~ এই ব্লাক শার্ট?

~ আমার ঘোর কাটল। বাট কে জেনো বলল, ব্লাক শার্ট। এদিক ওদিক তাকতেই দেখি একটা মেয়ে। বাব্বাহ কত সুন্দর ওরে দেখে প্রথম দেখাতেই প্রেমে পড়ে গেলাম। এখন ওনার বি এফ না থাকলেই হলো। তাহলে আমার লাইন ক্লিয়ার। তখন আবার ডাকল

~ এই ব্লাক শার্ট?
~ আমি আশে পাশে তাকিয়ে দেখলাম কেউ আছে কিনা? ব্লাক শার্ট পরা? কিন্তু আমি বাদে কেউ নেই? আবার ওই মেয়ে বলল,
~ কিরে তুই এদিক ওদিক তাকাতেছিস কেন?
~ জ্বি আমাকে বলছেন?

~ হুম তোকেই বলছি? আর কেউ তো নেই?
~ হুম সেটাই তো। বাট কি বলবেন। খুব খুশি হয়ে। আমার খুশি দেখে কে? যাকে দেখে প্রেমে পড়লাম সে নিজেই এসে কথা বলতেছে। আহা কি শান্তি

~ নতুন নাকি?
~ হুম হেসেহেসে?
~ কোন ইয়ার?
~ ফাস্ট ইয়ার। আপনি?
~ আমি তোর সিনিয়ার।

সো আপু বলে ডাকবি। আর তোর সাথে যে কথা বলছি এত খুশি হওয়ার কিছুই নাই। তোর চেইন খুলা?
~ বিশ্বাস করেন ভাই। একথা শুনে হাসি যে কোথায় হারিয়ে গেল। এখম মান ইজ্জত বাচানো কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমি তখন প্যান্ট এর চেইনের দিকে তাকালাম। তখন ওই মেয়েটা বলল,

~ আরে প্যান্ট এর না। তোর ব্যাগের চেইন খোলা?
~ ওফফ প্রানটা ফিরে পেলাম। প্যান্টের চেইন খোলা হলে মান ইজ্জত যাইত। তখন আমি বললাম,ব্যাগের চেইন খোলা বলল,েই পারতেন। এভাবে বলার কি ছিলো?
~ সর্ট কার্ট বলে দিলাম।

~ ওহ ভালো করছেন। তা আপু একটা কথা বলবো?
~ বলি কি আপনি অনেক কিউট। একবারে সন্দেশ এর মতো। বাট কথা এত বেসুরা কেন?
~ তোকে বলতে হবে।
~ আপনার আম্মু মনে হয় আপনাকে মধু দেয় নাই মুখে?
~ তোকে বলছে। তোরে ভালো ভাবছিলাম। তুই দেখি খাটাস। বেয়াদব পোলা।
~ হুম উচিত কথা বলল,ে এমনি লাগে।

তখন ওর বান্ধবীরা এসে বলল,
~ এই মিম চল। কার সাথে কথা বলিস?
~ আরে এই ছেলেটাকে ভালো ভাবছিলাম। কিন্তু বেদায়ব একটা।

~ তুই এইসব ফালতু ছেলেদের কথা বলতে আসিস কেন?
~ হুম ঠিক ই বলাটাই ভুল হইছে।
~ চল চল

মিম চলে গেল। আহা কি ভালো যে লাগতেছে। ফ্রিতে নামটাও জেনে নিলাম। কি ভাগ্য আমার। বাট যেভাবেই হোক পটাতে হবে। প্রেম করতেই হবে।

আশে পাশে তাকিয়ে দেখলাম সবাই তাকিয়ে আছে। নিজেরে এলিয়েন লাগতেছে। কিউট বলেই তাকাইতেছে হয়তো। হিহিহি

তারপর ক্লাসে গেলাম। কয়েকটা বন্ধু হয়ে গেল। তাদের সাথে আড্ডা দিলাম। তাদের কাজ থেকে মিমের কাছ থেকে সম্পর্কে জেনে নিলাম। ওর বাবা অনেক বড়লোক। আরো সবকিছু।

তারপর দীর্ঘ তিনটা মাস লাড্ডুর মতো পিছনে ঘুরছি। পিছনে ঘুরতে ঘুরতে জুতা ক্ষয় হয়ে গেছে। আমি মিমের দিক থেকে কিছু পজিটিভ সিগনাল আসছিলো। তাই ভাবলাম প্রপোজ করে দেই।

আজকে যাচ্ছি প্রপোজ করতে।


পর্ব ৫

তারপর দীর্ঘ তিনটা মাস লাড্ডুর মতো পিছনে ঘুরছি। পিছনে ঘুরতে ঘুরতে জুতা ক্ষয় হয়ে গেছে। আমি মিমের দিক থেকে কিছু পজিটিভ সিগনাল আসছিলো। তাই ভাবলাম প্রপোজ করে দেই।

আজকে যাচ্ছি প্রপোজ করতে। মিমের সামনে গেলাম। এই শোন মিম
~ কি আমি তোর কি হই?

~ তুমি আমার কি হউ? দাড়াও একটু ভেবে নেই।
~ তোর ভাবা লাগবে না। আমি তোর বড় সো আপু ডাকবি?
~ সেটা কোন দিন ও পসিবল না?
~ কেন?

~ কারন তোমাকে দেখতে আমার বউ বউ লাগে।
~ সালা কি বলল,ি তুই?
~ আমি যাই বলিনা কেন তা কোনো মেটার না। এখন যা বলতে আসছি তা শোন?
~ কি বলবি বল। বলে আমাকে উদ্দার কর? এত কথা কেমনে যে বলিস?

~ একটা প্লাস্টিকের পাইপ এগিয়ে দিলাম। যার মাথায় গোলাপ ফুল ছিল। শোন বালিকা তোমাকে আমার আম্মুর ছেলের বউয়ের মত লাগে। আমি আমার জন্য না তোমাকে চাইনা আমার মা বাবার পুএ বধু হিসেবে চাই। তুমি জানো আমি আবার অনেক অলস।

তোমার পিছনে লাইন মারা ছাড়া কোন কাজ নেই। সো পড়ালেখা যেহেতু করিনা কেউ আমাকে চাকরি দিবে না। তুমি তোমার বাবা মায়ের একমাত্র মেয়ে আর কেউ নেই। সো তোমার বাবার অনেক টাকা।

সেগুলা আমরা বসে বসে খাবো। সো শেষে একটা কথা আমি তোমাকে পাবজির মত ভালোবাসি।
~ কি বলল,ি তুই আমাকে কিসের মতো ভালোবাসিস। আর এতক্ষণ কি জানি বলল,ি? (পাইপটা নিতে নিতে)

~ আমি তোমাকে পাবজির মত ভালোবাসি,?
~ দাড়া তুই। বলেই লাঠি নিয়ে তেড়ে আসল।

আমি সেখান থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য দিলাম ভো দৌড়। মিম তো আমার পিছে দৌড়াছে। আমি তখন দৌড়াই আর বলি আমার ভালোবাসা তো বুজলা না এই যুগে এরকম ভাবে কেউ ভালোবাসতো

না। একটা ছেলে জি এফ ছেড়ে দিবে তবুও পাবজি ছাড়বে না। আর তুমি কি আমার ভালোবাসার দাম দিলা না।

তখন মিম ও দৌড়াতে দৌড়াতে বলল,। আই শালা তোরে আমি ভালোবাসা শিখাই। একটা বার তুই দাড়া তোরে একটা বার পেয়ে নেই?

পাবা পাবা জামাই হিসেবেই পাবা। চিন্তা করে না সোনামনি। তারপর ওর কাছ থেকে দূরে যাওয়ার জন্য আরো জুড়ে দৌড়াতে লাগলাম। হঠাৎ একটা গাছের জরে উস্টা খেলাম। আর উরে উরে কারেন্ট এর খাম্বা সাথে ধাক্কা খেলাম। পরে আর মনে নাই

হাসপাতালে শুয়ে আছি। ২ দিন পর আমার জ্ঞান ফিরল। দেখি পাশে একটা সুন্দরী নার্স। যা শালা আমার তো মাথা ফেটে গেছে। সারা শরীর ও কেমন। আমার কি হয়ছে? ওহহহ মনে পড়ছে মিম এর

দৌড়ানি খেয়ে এই অবস্থা। আরে যাই হোক সুন্দরী নার্স টার সাথে একটু মজা করে নেই। তখন আমি নার্সটাকে বললাম,
~ কেমন আছেন দুলাভাই?

~ কি আপনার কি মাথা গেল নাকি। আমাকে দুলাভাই ডাকেন কেন? আপনার জ্ঞান কখন ফিরলো?
~ আমি কে আন্টি?
~ দাড়ান আমি ডাক্তার ডেকে দিচ্ছি। বাশ দিয়ে একটা বারি দিলেই সব মনে পরে যাবে?
~ আরে না না। আপনাকে দেখেই আমার সব মনে পরে গেছে। আপনি এত সুন্দর আমার আপনাকে

দেখে অতীত বর্তমান ভর্বিষ্যত সব দেখতে পারছি?
~ যা কি যে বলেন নালজ্জা পেয়ে
~ তা আমি এখানে আসলাম কিভাবে?
~ কয়েকটা মানুষ আপনাকে দিয়ে গেছে।
~ ওহহহ। কারা বলতে পারেন?
~ না কেউ পরিচয় দেয়নি।
~ আচ্ছা ওকে

তারপরে আরো দুইদিন লাগল সুস্থ হতে। মিমকে দেখার জন্য মনটা উতাল পাতাল করতেছে। কালকেই ভার্সিটি যাবো আর মিমকে দেখবো।

অসুস্থ শরীর নিয়ে ভার্সিটিতে গেলাম। আমার খুব হিসু পাইছে। তাই একটা নির্জন জায়গায় হিসু করতে লাগলাম। তখনি কে যেন পিছন থেকে জড়িয়ে ধরল। আমি ভুত মনে করে চিৎকার দিলাম

~ আম্মু ভুত ভুত।
~ নিশ্চুপ
~ ওই ভুত আমাকে ছেড়ে দাও। আমি আর কোনোদিন দেয়ালে হিসু করবো না।
~ কান্না করতেছে। আর বলতেছে আমি ভুত না আমি তোর আম্মুর বউমা?
~ আরে এটা তো মিমতখন আমি বললাম, ছাড়ো হিসু করতে দাও?

~ ছি ছি ছি লজ্জা শরম নাই তোমার?
~ সবার ক্ষেএে আছে বাট তোমার ক্ষেএে নাই। তা বলো কান্না করতেছো কেন?
~ তুমি এতদিন ভার্সিটিতে আসো নাই কেন?
~ তোমার জন্যই আসি নাই। কি দৌড়ানি দিছিলা মনে আছে? তোমার দৌড়ানি ফলেই আমি উস্টা খেয়ে পড়ছি। হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম।

~ তা তুমি এভাবে প্রপোজ করছিলা কেন? এর জন্যই তো রাগ ওঠছে। এখন আমি তোমাকে ভালোবাসি?
~ হঠাৎ ভালোবেসে ফেল্লা কাহিনি কি?
~ আরে আগে যখন পিছু পিছু ঘুরতা তখন থেকেই ভালোবাসি।
~ তাহলে এতদিন বলো নাই কেন?
~ তুমি আমার পিছু পিছু ঘুরলে আমার মজা লাগত। তাই
~ তা এখন যে ভালোবাসি বলে দিলা?
~ আরে বইলো না। তুমি যখন ভার্সিটি আসো নাই

তোমাকে অনেক মিস করছিলাম। তোমার জন্য কষ্ট হতো। রাতে কান্ন ও করতাম। এই কয়দিনে বুজলাম আমি তোমাকে অনেক ভালোবেসে ফেলেছি। তাই বলে দিলাম আমি তোমাকে ভালোবাসি।
~ ভালোবাসি বলল,ে হবে না

~ কেন?
~ আগে আমি তোমাকে প্রপোজ করছিলাম। এখন তুমি আমাকে প্রপোজ করো সোনা?
~ ওকে। আমি তোমার আম্মু র বউমা হতে চাই। তোমার বেবীর আম্মুর হতে চাই। প্রত্যক রাতে তোমার বুকে মাথা রেখে ঘুমাতে চাই। আমার

প্রত্যকটা নিঃশ্বাসে তুমি। তুমি আমার বেচে থাকার অক্সিজেন। আমার বেচে থাকতে হলে তোমাকে প্রয়োজন। আমি তোমাকে অনেক বেশি ভালোবাসি আলভী। ভালোবাসি ভালোবাসি

~ হুম আমিও তোমাকে ভালোবাসি। আচ্ছা সোনা পাপ্পি দেই?
~ এই লুচ্ছামি শুরু হইছে?
~ কেনো গো। কি লুচ্ছামি করলাম?
~ শোন বিয়ের আগে এগুলো কোন কিছুই হবে না। যা হবে বিয়ের পরে?

~ দাওনা না?
~ বললাম, তো দিবনা
~ ওকে লাগবেনা?
~ রাগ করার কিছুই নেই। আচ্ছা আমি একটা জিনিস ভেবে পাচ্ছি না?

~ কি জিনিস?
~ তুমি আমাকে পাইপ দিয়ে প্রপোজ করছিলে
কেন?

~ আরে তুমি যদি আমাকে চড় দিতা। গাল লাল হয়ে যেতো। তাই চড় খাওয়া থেকে বাচার জন্য পাইপ দিয়ে করছি। বাট বাচতে তো আর পারলাম না ওল্টা মাথা ফেটে গেছে।

~ হুম বুজছি মাথায় অনেক বুদ্ধি। চল বাহিরে যাই?
~ ওকে চল
~ ওই তোমার চেইন খোলা?
~ আজকে ব্যাগ নাই। সো চেইন খোলা না?
~ তোমার ব্যাগের না আজকে তোমার প্যান্টের চেইন খুলা।
~ ওহহহ সিট ম্যান। ওকে লাগাইতেছি৷

আমাদের ভালোবাসার সূচনা এভাবে হয়েছিল। আস্তে আস্তে একটা বছর চলে গেল। প্রেম ভালোবাবেই চলে গেল।

আস্তে আস্তে মিম কেমন জানি হতে লাগল। আমাকে আগের মতো সময় দিতো না। অনেক বিরক্ত হয়ে কথা বলতো। আর যা হলো


পর্ব ৬

আস্তে আস্তে মিম কেমন জানি হতে লাগল। আমাকে আগের মতো সময় দিতো না। অনেক বিরক্ত হয়ে কথা বলতো। আর যা হলোছেলেদের সাথে বেশি মেলামেশা করত। আমাকে মিথ্যা বলত।

এভাবে তো আর সম্পর্ক টিকে না। অনেক বেশি মিথ্যা বলত। সারাদিন ওয়েটিং এ থাকত। জিজ্ঞেস করলে বলত। ওর কাজিন ছিল। ওর মামা ছিল। আমি দেখা করতে চাইলে করত না। বিভিন্ন কারন দেখাত

একদিন আমি দেখা করতে চাইলাম। আসলে মিমকে দেখতে অনেক ইচ্ছা করছিলো। তাই আমি মিমকে কল দিলাম। বাট ওয়েটিং এ পেলাম। বাট কল দিতেই থাকলাম। কতক্ষণ পর রিসিভ হল। আমি মিমকে বললাম,

~ কার সাথে কথা বলছিলা?
~ আমার মামার ছেলের সাথে?
~ তা এতো কিসের কথা?
~ তোমাকে বলতে হবে কিসের কথা?
~ হুম তাও ঠিক আমাকে বলবা কেন?

~ কিসের জন্য কল দিছো?
~ আজকে দেখা করতে পারবা?
~ পারবো না। আব্বু বাসায় অন্যদিন কর?
~ আচ্ছা।
ফোনটা রেখে দিলাম। আর হাসতে লাগলাম। মানুষ এত সুন্দর মিথ্যা কেমনে বলে। কেমনে পারে ওরা?। মিমের বাবাকে মাএ অফিসে যেতে দেখলাম। আর মিম বলল, ওর বাবা বাসায়।

বিকেলবেলায় বসে আছি। ভালো লাগে নাকি কিছুই। মিমকে কিভাবে আমার করে নেওয়া যায়? মিমকে যতই বুঝাই। ওল্টা আমাকে কথা শুনায়। আমাকে নিম্ন শ্রেনীর মানুষের সাথে তুলনা

করে। ওরে অনেক বেশী ভালোবাসি। এভাবে চলতে থাকলে সব আমারি কষ্ট বেশী হবে। এর একটা বিহিত করতেই হবে। এই সম্পকের ইতি টানলেই দুজন এরই ভালো হবে। বুঝালে তো বুজেই না ওল্টা বকাবকি করে। ওকে মুক্তি দিয়ে দিব।

এসব ভাবছিলাম। তখন রাফির ডাকে হুশ ফিরল
~ কিরে এভাবে বসে কি ভাবিস?
~ কিছু না। তুই এভাবে সেজে আছিস কেন?
~ আরে বলিস না একটা মেয়েকে অনেক ভালোবাসি ও আজকে দেখা করতে চাইছে। বাট আমি একা যেতে লজ্জা পাচ্ছি। তুই আমার সাথে চল

~ আমি পারব না।
~ ভাই প্লিজ এই হেল্পটা কর?
~ অনেক জোরাজোরি ফলে রাজি হলাম যেতে।

আমি রেডি হয়ে ওর সাথে গেলাম। রেস্টুরেন্টে ডুকতেই আমার চোখ আকাশে ওঠে গেল। কারন দেখি মিম তাদের ক্লাসের একটা ছেলেরা সাথে বসে আছে ছেলেটা আর কেউ না ভার্সিটির প্লে বয় নামে

পরিচিত। ওর নাম আবির। দেখে অনেকটা কষ্ট পেলাম রাফিও দেখে ফেলল। তখন রাফি আমাকে বলতে লাগল
~ কিরে তোর গার্ল

~ আমি ওকে পুরোটা বলতে না দিয়ে বললাম, এদিকে আস?
~ আসছি বল। আর তোর গার্লফ্রেন্ড আবির এর সাথে কি করে?
~ আবির এর সাথে কি করে আমি কি জানি। শোন এই রেস্টুরেন্টে যাওয়া যাবে না পাশের টাই চল?

~ বাট এটাতেই তো ভালো ছিলো?
~ আরেকদিন এটাতে আসিস? এখন ওটাতে যা। দুইজন বস আমি এখনি আসতেছি।
~ তুই কই যাবি?

~ ভিতরে যাব আর আসব?
~ ওকে। ওল্টা পাল্টা কিছু করিস না?
~ ওকে

ওরা পাশের রেস্টুরেন্টে গেল। আমি মিম যেটাই ডুকছে ওটাই গেলাম গিয়ে দেখি ভালোই হাসাহাসি করতেছে। আমি মাক্স পরে গেলাম। চিনতে পারল

না। আমি কয়েকটা পিক তুলে নিলাম। আর আসার সময় বলে আসলাম।
~ বেস্ট অফ লাক ব্রো?

এটা বলে চলে আসলাম। দুইজন অবাক চোখে তাকিয়ে আছে। মিম আবিরকে বলছে
~ ছেলেটাকে খুব চেনা চেনা লাগছে?

~ আরে বাদ দাওতো। আমার কোনো ছোট ভাই হবে। দেখে উৎসাহ দিয়ে গেল
~ হুম। তাই হবে হয়তো

ওরা আবার আড্ডায় মন দিলো। আমি ভাবতে লাগলাম। আমি এতটাই অপ্রিয় হয়ে গেছি। দেখাটা পর্যন্ত করতে চাইনা। না মুক্তি করে দিব। বাট একটা স্পেশাল ডে তে মুক্তি দিব। ওর মতো মিথ্যাবাদীকে

জীবনে জড়ালে জীবন কয়েল হয়ে যাবে। দেখা যাবে বিয়ার পর পরকীয়া করবে। এর চেয়ে আমি দূরে চলে যাব সেটাই ভালো।

আমি রাফির কাছে গেলাম। ও ওই মেয়েটার সাথে কথা বলল,। তারপর আমার সাথে পরিচয় করিয়ে দিল। মেয়েটাকে ভালোই মনে হলো। যদি মিমের মত বারোভাতারী হয়। তাইলে রাফির জীবন কয়েল।

পরে রাফি আর আমি বাসায় চলে একটা বাসায় চলে আসলাম। আমি আর রাফি একটা বাসা নিয়ে থাকি। রাফিই একমাএ ভালো বন্ধু।

রাফি বাসায় এসে অনেক খুশি। এটা বলতাছে ওটা বলতাছে। আমি হাসিমুখে হুম,ওকে,ভালো,চালিয়ে যা এগুলা উওর দিচ্ছি। তখন রাফির গফ ওরে কল দিল। রাফি কথা বলতে চলে গেল।

আমিও মিমকে একটা কল দেই। যদিও এখন থেকে একটু একটু ঘৃনা জন্মাইতেছে। তাও একটু কথা বলে নেই৷ কল দিলাম। রিং হওয়ার পরে ধরল
~ হ্যালো মিম কেমন আ

ছো?
~ ভালো আছি তুমি?
~ ভালো। তা কি কর?
~ সামনে এক্সাম পড়তে বসছি। আজকে সারাদিন পরছি
~ ওহহ। সারাদিন পড়ছো? বাইরে যাও নাই বুজি?
~ মানে কি

তোমাকে রেস্টুরেন্টে দেখছে। তাই বললাম, বাইরে গেছো কিনা?
~ ওহহ হ্যা গেছিলাম। আমার কাজিনের সাথে।
~ ওহহ। তাহলে মিথ্যা কথা বলছো কেন?
~ তুমি বকবা বলে।

~ ওহহ।
~ আচ্ছা এখন রাখি। পড়তে হবে।
~ আচ্ছা পড়

কল শেষে একটা সিগারেট ধরালাম। ভালোবাসার মানুষটি পরিবর্তন হলে কেমন লাগে একমাএ তারাই জানে। যাদের সাথে এমন হইছে। কি মনে করে আবার জানি কল দিলাম। হাজার হলেও ভালোবাসি তো। দেখলাম ওয়েটিং এ আছে।

আর এভাবে দিন চলে যাচ্ছে। আগের চেয়ে আরো বেশি ঘৃনা করি। কয়েকদিন পর ওর জন্মদিন। জন্মদিনেই সব শেষ করে দিব। চলে যাব মিমের থেকে অনেক দূরে। আমাকে যেন কোনোদিন খুজে না পাই।
সকাল সকাল রাফি আসলো। এসে বলল,
~ দোস্ত একটা হেল্প কর?
~ কি হেল্প?
~ আজকে ওর সাথে দেখা করব। তুই ও সাথে চল।
~ ওকে চল

ওরা বসে আছে। আমি একা একা ঘুরাঘুরি করছি। তখন দেখলাম মিম আর আবির অনেক ক্লোজ হয়ে বসে আসে। দেখি মিম আবিরকে কিস করতেছে। সেটা দেখে ঘৃনায় আমার গা জ্বলতেছে। কিছু না বলে ভিডিও করে নিলাম।

পৃথিবীর দুইটা জিনিস যদি দেখতে না পারি তারমধ্য মিম ও একজন। ঘৃনা করে এখন দেখলে। অনেক সহ্য করছি আর না।

ওর বার্ডডে আসল৷ আমাকে ইনবাইট করল। আমি গেলাম না। একটা মেসেজ দিলাম আর বিডিও গুলো পাঠালাম। আর সবকিছু থেকে ব্লক করে দিলাম। মিম পার্টিতে ছিলা মেসেজটা সিন করে নাই। ভাবছে পরে দেখবে।
আমি এখানে থাকতে পারব না। যত বার ওকে দেখব ততই কষ্ট হবে। এর চেয়ে আব্বু আম্মুরা কাছে চলে যাওয়া ভালো। আমি কাওকে কিছু না বলে বাসায় চলে আসলাম। রাফি সবটাই জানত৷

এখানে আসার পর আব্বু আম্মু অনেক খুশি। কারন বাবার যে টাকা আছে সারাজীবন বসে খেলেও শেষ হবে না। কিম্তু কেন এসে পড়েছি। এটা অনেকবার জিজ্ঞেস করছে। আমি কিছু বলি নাই।

দুইটা দিন চলে গেল। মিমকে অনেক মিস করি। বাট ওর ওই সব চরিএ যখন মনে পরে। নিজেই হেসে ওঠি। কতটা বোকামি করছি।

এদিকে মিম ভাবতেছে কি হলো আলভীর দুই দিনে একটা কল ও দিল না। একটা মেসেজ ও দিলো না। আবার আমার বার্ডতেও আসলো না। দেখি ওই দিন কি মেসেজ দিছিলো। আর মেসেজ ওপেন করতেই যা হলো


পর্ব ৭

এদিকে মিম ভাবতেছে কি হলো আলভীর দুই দিনে একটা কল ও দিল না। একটা মেসেজ ও দিলো না। আবার আমার বার্ডতেও আসলো না। দেখি ওই দিন কি মেসেজ দিছিলো। আর মেসেজ ওপেন করতেই যা হলোতা হলো

মিম মেসেজটা পড়েই নিচে বসে পড়ল। আর কান্না করতে লাগল। কান্না করার একটাই কারন। এত অবহেলা করার পর ও কখনো ওর পিছু ছাড়িনি। সব সময় পিছু পিছু লেগে থাকতাম। তাই আমার শূন্যতা বুঝতে পারেনি। এখন আমি নেই আমার শূন্যতা বুজতে পারতেছে। আর মেসেজটা এরকম ছিল

হায় মিম কেমন আছো? আশা করি ভালোই আছো। ভালো থাকারই কথা। আজকে তোমার বার্ড ডে। আর আজকেই আমার দেওয়া সর্বশেষ গিফ্টটা তোমাকে দিব। হয়তবা কখনো দেখা হবে না। আসলে তোমাকে ছাড়া থাকা বড় কষ্টকর। তবুও কিছু বাস্তবতা মেনে নিতে হয়। হুম আমিও

নিলাম। আজকে যে গিফ্টটা দিব। আশা করি অনেক হ্যাপি হবা। কি দরকার ছিল আমাকে এত অবহেলা করার? কি দরকার ছিল আমাকে ছেড়ে অন্য ছেলের সাথে ঘুরাফেরা করা? বড্ড বেশি বিরক্ত করতাম তাই না? হুম ভালোবাসতাম বলেই এতটা বিরক্ত করতাম। কিন্তু আগে যতটা তোমাকে

ভালোবাসতাম এখন তার চেয়ে আরো বেশি ঘৃনা করি। হুম আমিও একটা মানুষ ছিলাম। বাট আমার পক্ষে আর নেওয়া সম্ভব না। আমার অবর্তমানে অন্য ছেলের সাথে পার্কে নষ্টামি কর? সারাদিন ছেলেদের সাথে কথা বলো। রেস্টুরেন্টে বসে কফি খাও?

? হুম ও দিনের ছেলেটা আমিই ছিলাম। বেস্ট অফ লাক আমিই বলছিলাম। কারন আমি অনেক বুঝাইছি তোমাকে বাট লাভ হয়নি। আর তুমি নষ্ট হয়ে গেছো। যা করছো তোমাদের কালটারে কমন বেপার এগুলো। বাট আমার পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব না।

তাই নিজে থেকে দূরে চলে গেলাম। আর শেষে একটা কথা। আলভীর শূন্যতা একদিন বুঝবা৷ তখন আর পাবা না। কারন আমি তোমার থেকে বহুদূরে। তুমি যা করছো সবটা ঠিক। আমার কাছে কোনো ভুল

নাই। কোনো মাফ ও নাই। কোনোদিন তোমাকে মেনে নিব না। তুমি বারোভাতারি। তোমার মূল্যবান সময় নষ্ট করার জন্য সরি। ভালো থাকো। দোয়া করবা

আমার কপালে যেন তোমার মত বারোভাতারী না পরে। আর বিডিও আর পিক গুলো দেখে নিও। মুক্তি দিলাম তোমাকে। এটাই তোমার জন্মদিনের সেরা গিফট যেন আমি তোমাকে ছেড়ে যাই এটাই তো

চায়ছিলা। ছেড়ে দিলাম প্রিয় মানুষের চাওয়া অপূর্নতা রাখতে হয় না। বাই ফরেবার।
মিম বসে বসে কান্না করছে। আমার ফোন অফ। আইডিও ডিএকটিভ। সব যোগাযোগ ছিন্ন হয়ে গেছে। মিম বুঝতে পারতেছে তার জীবন থেকে কি

হারিয়ে ফেলছে। কি করবে ভেবে পাচ্ছে না। তখন মিম ভাবল রাফি হয়তো কিছু বলতে পারবে আলভী কোথায় গেছে। আমি এখন রাফির কাছে যাই। আমি এখন থেকে আর এসব করবো না। ভালো হয়ে যাব।

শুধু আলভীকে পেলেই হলো। আলভী আমাকে মেনে নিবে তো? না মানলে আমি মরে যাব। কেন করলাম এগুলো। এখন রাফির কাছে যাই

মিম আমার আর রাফির বাসার উদ্দেশ্য রওনা দিল। গিয়ে দেখে রাফি ফোনে কথা বলতাছে। তখন মিম রাফিকে ডাক দিল
~ এই রাফি
~ জ্বি আপু? ফোনটা রেখে।

~ আলভী কই?
~ জানিনা আপু৷
~ ও না তোমার সাথে থাকতো?
~ জ্বি আপু দুইদিন হলো চলে গেছে?
~ কোথায় গেছে জানো?
~ না আপু জানিমা।
~ ভার্সিটি আসবে কবে?

~ আপু ও আর আসবে না। একবারে চলে গেছে?
~ কি বলো? ওর বাসা কোথায় চিনো?
~ কিশোরগঞ্জ বলছিলো
~ আরে আমিও তো জানি কিশোরগঞ্জে বাট বাসাটা কি চিনো?
~ না আপু চিনিনা। বলে নাই কখনো

~ আচ্ছা ওকে কখনো পেলে আমাকে খবর দিও।
~ জ্বি আপু৷

মিম কান্না করতে করতে বেরিয়ে আসল। মিম তার বাসায় গেল শুয়ে শুয়ে কান্না করতাছে। কিভাবে পাবে সেটা পরিকল্পনা করতেছে। বাট কোনো ভাবেই হিসাব মিলতেছে না। কান্না করতে করতে মিম ঘুমিয়ে পড়ল।

এদিকে আপনারা ভাবতাছেন? আলভী নিশ্চয় গাঁজা খেয়ে স্টোরি লিখতে বসছে। আমি কিন্তু গাজা খায় নাই? কারন আপনারা ভাবতাছেন এক রাফি বিয়ে করছে। যেই রাফি বিয়ে করছে সেটা আমার পাড়া

প্রতিবেশী৷ আমার নেংটা কালের বন্দু। আর মিম যেই রাফির সাথে কথা বলছে সেটা অন্য রাফি। এই রাফির সাথে আমার পরিচয় ভার্সিটি তে। সেখান থেকে বন্ধুত্ব। এখানে দুইটা মানুষ দুইটা নাম একটা৷ আর

যেই রাফি বিয়ে করছে যদি এখানে এক রাফি হতো তাহলে মিমকে প্রথমেই চিনতে পারত। সে কিন্তু চিনতে পারে নাই। সো এখানে দুইটা রাফি। কথা কিলিয়ার নাকি বেজাল আছে? আর নেংটা
কালের বন্ধু রাফি যাকে বিয়ে করছে সেটা মিমের কাজিন। এখন ক্লিয়ার হইছে তো?

এবার গল্পে আসি। আমি এদিকে নিজের শহরে চলে আসছি। কয়েকটা দিন কষ্ট হলো। তারপরেও নিজেকে মানিয়ে নিলাম। আগের মতোই বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতাম। হাসিখুশি থাকতাম।

মাঝে মাঝে মিমের কথা মনে পড়ত। তখন খুব কষ্ট হতো। হাজার হলেও রিয়েল লাভ ছিল।

আর এদিকে মিম ভালো হয়ে গেছে। কোনো ছেলের সাথে কথা বলে না। আর আগের মত হাসে না। মন মরা হয়ে থাকে। শহরে প্রত্যকটা জায়গায় আমাকে খুজে। প্রত্যকটা রাতে আমাকে ভেবে কান্না করে।

এভাবেই চলতে লাগল আমাদের দিন। ওর সাথে আমার কোনো যোগাযোগ নাই। আমার সাথেও মিমের কোনো যোগাযোগ নাই। দিনশেষে দুইজন দুইজনকে মিস করতাম।

আমি কম বাট সেটাতে ঘৃনা মিশ্রিত ছিল। আর ও আমাকে মিস করত যেটাতে অনেক ভালোবাসা ছিল।

দেখতে দেখতে কয়েকটা বছর চলে গেল। আর কয়েক বছর পরই মিম তার মামার বাড়িতে আসল তার কাজিন এর বিয়ে উপলক্ষে। আর পরের কাহিনি সবাই জানেন।

এটা ছিল ফ্লাশব্যাক। এবার আসি বাস্তবতায়।

আমি শুয়ে আছি বাসর ঘরে। যেখানে সাপ লুডু খেলার কথা সেখানে আমার জীনবের গল্প বলতেছি। এখন ভাবতাছেন। মিম আমাকে তুই করে বলছিলো কেন? আসলে সেটা রাগে বলছিলো। ভার্সিটি থেকে চলে আসছিলাম। যার ফলে কষ্ট পেয়েছিলো। আর অনেকদিন পর আমাকে পেল। রাগ করাটাই স্বাভাবিক। আর অভিমান করাটাও স্বাভাবিক।
আপনারা আবার মনে কইরেন না। আমি ওকে মেনে নিব। কারন ওরে এখন আমি দেখতেই পারিনা। দেখলেই রাগ ওঠে। কারন ওর চরিএ কেমন জানেন
এত সহজে মেনে নিব না। মানলেও অনেক কষ্ট দিব।

পরে চিন্তা ভাবনা করা যাবে। মেনে না মিলেই ভালো হবে। এসব ভারোবাতারী জিবনের জন্য ক্ষতিকর।

এতক্ষণ তো শুনলেন সব কাহিনী। সব বেজাল ক্লিয়ার করে দিলাম। এখন ঘুমানো দরকার আপনারা ও ঘুমিয়ে পড়েন। আর পরেদিন সকালে যা হলো


পর্ব ৮

এতক্ষণ তো শুনলেন সব কাহিনী। সব বেজাল ক্লিয়ার করে দিলাম। এখন ঘুমানো দরকার আপনারা ও ঘুমিয়ে পড়েন। আর পরেদিন সকালে যা হলোতা হলো

সকালে ঘুমিয়ে আছি। তখন আমার মুখে পানি পরল। যার ফলে ঘুমটা ভেঙে গেছ। কিন্তু আমার বাসার ছাদ কি ভেঙে গেছে? পানি আসলো কোথা থেকে? এসব ভাবছি। তখন আবার পানি এসে

পড়ল। আমি চোখ খুলে তাকালাম। দেখলাম মিমের ভেজা চুলের পানির আমার মুখে এসে পড়ছে তাই ঘুমটা ভেঙে গেছে। আমার মেজাজটা খারাপ হয়ে গেল। সকালে একটু ঘুমাব তা ও না। ঘুম যেহেতু

আকাশে পাঠিয়ে দিছে। একটু অপমান করি। নাহলে প্রত্যক দিন ভেজা চুলের পানিতে সাত সকালে ঘুম ভাঙাবে। যত অপমান করব তত তারাতারি আমাকে ছেড়ে চলে যাবে। ওকে দেখার কোনো ইচ্ছাই নাই। তাই ওকে বললাম,

~ এই শোন?
~ কি বলো?
~ তুই চাইছিসটা কি আমাকে বলবি?
~ কেন কি করছি?

~ তুই সাত সকালে আমার ঘুম ভাঙালি কেন?
~ এত ঘুমানো লাগে না। শরীর খারাপ করবে?
~ আমার শরীর নিয়ে ভাবতে হবে না। আমার ভালো মন্দ আমি বুজি। তুই তো আমার স্বাস্থ্যর জন্য ক্ষতিকর?

~ কেন কি করছি আমি?
~ সকালে সকাল ঘুমটা ভাঙিয়ে দিলি। আর তোর ভেজা চুলের পানির গন্ধ পঁচা ডিমের মত। আমার বমি আসতাছে।

~ কি বলল,া তুমি? আমার চুলের পানির গন্ধ পচা ডিমের মত?
~ তা নয়ত কি? পচা ডিমের গন্ধ ও ভালো। তোর চুলের পানির গন্ধ তার চেয়েও বাজে।

~ ভালো। রিলেশনে থাকা অবস্থায় খুবতো বলতা। আমাকে প্রত্যক দিন তোমার চুলের পানি দিয়ে ঘুম ভাঙাবা। ভুলে গেছো সব?
~ আমি কি জানতাম নাকি। তোর চুলের পানির গন্ধ এত বাজে।

~ হুহ ভালো। অপমানটাই করতে পারবা। আর তো কিছু পারবা না?
~ আমি যে তোকে অপমান করব তুই সেটার ও যোগ্য না। আগে যোগ্যতা অর্জন কর?

~। মন খারাপ করে বলল,ওকে ভালো
~ তা তুই সাত সকালে গোসল করলি কেন? আমি তোকে তো কিছুই করি নাই?
~ এমনি করছি। যাও তুমি ও করে নাও।

~ দূর এত সকালে গোসল করতে পারমু না। যা এখান থেকে।
~ যেতে বলছি যাও। নাহলে আমি সবাইকে বলে দিব তুমি আমার সাথে কি করছ?

~ ওয়েট আমি তোর সাথে কি করব। উল্টা তুই কিছু করস নাই তো?
~ আমি কি করব আমি ছেলে নাকি?

~ তুই কি তার চেয়ে কম নাকি। সত্যি করে বল। আমি যখন ঘুমিয়ে ছিলাম। তখন কিছু করিস নাই তো?
~ না। আমি মোটেও এমন না।
~ তুই কেমন আমি ভালো করে জানি।

আমি ওঠে ওয়াশরুমে গেলাম। আর ওর চুলের পানি মোটেও পচা ডিমের মত না। ওরে অপমান করার জন্য বলছি। ওরে দেখলেই গা জলে। কবে যে ওরে ডিবোস দিব। আমি কবে যে মুক্তি পাব। এসব ভাবতে ভাবতে ফ্রেশ হলাম।

ফ্রেশ হয়ে বসে আছি। মিম সাজতেছে নিছে মানুষের শব্দ শোনা যাচ্ছে। মানুষ আসলো কোথা থেকে। সালার বউ দেখেতে আসছে মনে হয়। আমি

বসে আছি। তখন পাশের বাসার ভাবি আসল। এসে আমাকে বলল,
~ এটা কিন্তু ঠিক না?
~ আমাকে না জানিয়ে বিয়ে করে ফেললা?
~ আরে শোন?

~ হইছে আমি সব বুজি। বউটা সুন্দরী আছে। আচ্চা কে সুন্দর আমি না তোমার বউ?
~ আরে ভাবি কি যে বল। আমি তোমার তোমার মত সুন্দর মেয়ে একটাও দেখি নাই। ভাইয়া বিয়ে না করলে আমি করে ফেলতাম

মিম অবাক চোখে তাকিয়ে আছে। চোখ বড় বড় হয়ে গেছে। কিছুটা রেগে গেছে। কিছু বলতে পারতেছে না। তখন আবার ভাবি বলল,

~ হুম আমিও তোমাকে বিয়ে করে নিতাম। তুমি কতো কিউট৷ গুলুমুলু
~ তাই ভাবি সব কপাল। তা নিছে এত মানুষ কিসের?

~ আরে তোমার বউ দেখতে আসছে। সারা এলাকার মানুষ জানে তুমি বিয়ে করছো। সবাই দেখতে আসছে।
~ ওহ। দেখার কি আছে?

~ দেখবে আলভীর বউটা কত সুন্দর। তা রাতে কয় রাউন্ড হয়ছে?
~ আমি লজ্জা পেলাম। তখন মিম বলে ওঠল

~ আরে ভাবি বইলেন না। আপনার দেবর যা দুষ্টু রাতে পুরা পাচ রাউন্ড খেলছে।

ভাবি হা হয়ে আমার দিকে তাকাচ্ছে আবার মিমের দিকে তাকাচ্ছে। মিম এই কথা বলবে ভাবতে পারেনি। আমিও অনেকটা লজ্জা পেলাম। আমার মুখ দিয়ে কিছু বের হচ্ছে না। তখন ভাবি বলল,

~ কি আলভী সত্যি নাকি। তোমার ভাই তো বাসর রাতে লজ্জা পেয়ে শেষ হয়ে গেছিলো। আর তুমি পাচ রাউন্ড খেলছো?
~ ইয়ে মা~ মানে

~ হইছে আর লজ্জা পেতে হবে। নিছে আসো তোমার আব্বু আম্মু বসে আছে। আমাকে ডেকে দেওয়ার জন্য পাঠাইছে।
~ আচ্ছা আসতেছি। যাও তুমি।

ভাবি হাসি দিয়ে চলে গেল। আমি মহা লজ্জায় পরে গেলাম। একটা মেয়ে নাকি। রিলেশনে থাকা অবস্থায় অনেক জ্বালাইছে। এখন আবার আমার মান ইজ্জত শেষ করতাছে। একটু ধমক দিয়ে আসি?

~ তোর কি সরম নাই?
~ কেন কাপড় পড়েই আছি। দেখো তো শাড়িটা ঠিকঠাক আছে কিনা?

~ হুপ। শাড়ির মারে বাপ। তুই ভাবিকে এরকম করে বলল,ি কেন?
~ তো কি করব। তুমি কেন বলছিলা তুমি ওনাকে বিয়ে করতা?

~ তোর সাথে তো ডিবোস হয়ে যাবে। পরে তো আমার বিয়ে করতে হবে। এভাবে বলল,ে বউ থাকবে না।
~ না থাকলেই ভালো। আর এতো ডিবোস ডিবোস

করবা না। আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসা দিব?
~ তোর ভালোবাসা অনেক পাইছি। আর লাগবে না।
~ কেন লাগবে না?
~ জেনেশুনে পতিতা কে ভালোবাসা ভালো কোনো বারোভাতারি কে না।

~ ওহহহ। কান্না করে দিল কথা শুনে।

কান্না করতাছে। মিম কান্না করলে আমার কেমন জানি লাগে। কেমন জানি মায়া হয়। এখনো মায়া হলো তাই বললাম,

~ এতো কান্না করার কিছুই নাই। কেউ কান্না করলে আমার ইচ্ছে করে আরো বেশি করে কাদায়।
~ তোমার চাইবেই। ? কান্না করতে করতে

~ আরে মেকাপ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে?
~ হোক। তাতে তোমার কি?
~ আরে আব্বু আম্মু জানলে আমাকে বাসা থেকে বের করে দিবে। আর একটা কথা সবার সামনে এমন

ভাবে থাকবি যেন এমন ভাবে থাকবি। কেউ যেন ধরতে না পারে আমাদের সম্পর্ক টা?
~ ওকে থাকবো একটা শর্তে?
~ কি শর্ত?

~ আমাকে তুমি করে বলতে হবে।
~ জিবনেও পারতাম না?
~ তাহলে আমি আব্বু আম্মুকে সব বলে দিব?
~ ব্লাকমেইল করস?

~ মনে কর তাই?
~ একটু ভেবে বললাম, ওকে তুমি করে ডাকব।
~ লাভ ইউ জামাই?
~ হেট ইউ।

~ ভালোবাসো না?
~ ভালো কেমনে বাসে?
~ জানো না বুজি?

তখম আবার ভাবি আসল। এসে বলল,
~ আবার কি আরেক রাউন্ড শুরু করে দিলা?
~ মিম এবার লজ্জা পেল। তখন আমি বললাম,। না ভাবি

~ হুম বুজি বুজি। এত দেরি লাগে আসতে?
~ আচ্ছা চল

মিম আর আমি নিছে গেলাম। মানুষ দেখতে লাগল। আর বলতে লাগল এই বাদর ছেলে এত সুন্দর বউ কিভাবে পেল? বিশ্বাস করেন ভাই তখন

আয়নার সামনে যেতে অনেক ইচ্ছা করছিলো। আমাকে কোন দিক দিয়ে বাদর লাগে। সেটা দেখতে।

তারপর একের পর এক সবার দেখা শেষ হলো। আমি খাবার টেবিলে বসে আছি। আজকে এত আইটেম। একের পর এক সব সাভার করছি। এরকম রাজকীয়

খাবার আবার খেতে পারব যখন মিমকে ডিবোস দিয়ে আরেকটা বিয়ে করব। ভাবতেই কেমন জানি লাগে।

খেয়ে দেয়ে বাইরে গেলাম। বাইরে যেতেই মানুষ বলতে লাগল। জিতসেন ভাই জিতসেন। একটা আংকেল তো এসে বলেই ফেলল

~ বন্ধু তুমি আমাকে প্রেমের ক্লাস করাও?
~ আমি ওনার এই কথা শুনে আসমান থেকে পড়লাম। ওনি কি পাগল হয়ে গেলেন নাকি। সারাদিন জ্ঞান দেওয়া মানুষটা আমাকে বন্ধু বলতাছে। তাও

আবার প্রেমের ক্লাস করতে আসছে। আমি তখন স্বাভাবিক হয়ে বললাম,
~ আংকেল আপনি মনে হয় অসুস্থ। আপনাকে কি বাসায় দিয়ে আসবো?
~ আরে কিসের আংকেল বল। এখন থেকে দোস্ত ডাকবা।
~ কিন্তু কেন?

~ আমি তোমার প্রেমের অভিজ্ঞতা দেখে ফিদা হয়ে গেছি। আমি প্রেম করতে পারতেছি না তুমি আমাকে প্রেম করা শিখাও?
~ আংকেল আপনার কোথাও ভুল হচ্ছে। আপনি যা ভাবতাছেন আসলে তা না।

~ হুহ আমি তোমার বন্ধুদের কাজ থেকে সব শুনছি। আর আংকেল না বন্দু ডাকবা?
~ ওকে বন্দু।

সালার জীবন কি আজব মাইরি। আংকেল আসছে আমার বন্ধু হতে। ভাবা যায় এগুলো। আসলে ওনার অনেক শখ লাভ ম্যারেজ করার বাট লাভ ম্যারেজ

করতে পারেনি বলে এখনো বিয়ে করে নি। যতটা প্রেম করছে ততটাই ছ্যাকা খাইছে। তাই প্রেমের ক্লাস করতে আসছে।

আমি বন্দুদের কাছে গেলাম। অনেক্ক্ষণ আড্ডা দিলাম। আড্ডা দিয়ে বাসায় আসলাম। আর যা হলো


পর্ব ৯

আমি বন্ধুদের কাছে গেলাম। অনেক্ক্ষণ আড্ডা দিলাম। আড্ডা দিয়ে বাসায় আসলাম। আর যা হলোতা হলো

আড্ডা শেষ করে আসতে বিকেল হইছে। বাসায় আসার পর আব্বু বলল,
~ কিরে নবাবজাদা কোথায় ছিলি?
~ রাজ্য পাহারা দিতে গেছিলাম আব্বু।
~ ওহহ রাজ্য পাহারা দিতে গেছিলি। তুই কি কোনোদিন মানুষ হবি না?

~ জ্বি আব্বু সকালে যখন ফ্রেশ হইছিলাম। আয়নায় চেহারা দেখছিলাম। মানুষের মতই লাগলিছো। এখন জানিনা কেমন লাগতাছে?

~ আল্লাহ আমি এইটা কি জন্মদিলাম। এত বড় ফাজিল আমার ঘরেই কেন হলো?
~ আব্বু আমি হওয়ার সময় আপনার নিয়তে ক্রটি ছিল। তাই হবে মেবি?
~ ওই বউমা লাঠি টা নিয়ে আসো?

মিম দেখি লাঠি নিয়ে আসছে। মনে হয় লাঠি নিয়ে দাড়িয়ে ছিল আমি আসলেই আব্বুর কাছে লাঠিটা দিবে। তখন মিম আব্বুকে বলল,
~ এই নিন আব্বু লাঠি
~ দাও। এই হালালজাদাকে লাঠি চাষ ছাড়া ঠিক করা যাবে।

~ খবরদার আব্বু উল্টাপাল্টা কিছু করবা না। আমি আম্মুকে বিচার দিব?
~ তোকে মারমো না তোকে আদর করমো আই?
~ কেন আমি কি এমন কাজ করলাম। আমার উপর লাঠি চাষ করতে চাও?

~ এখন কয়টা বাজে?
~ ৫ টা ১২ মিনিট ১৩ সেকেন্ড
~ কয়টা বাজে বাসা থেকে বের হইছিলি?
~ ১০ টা বাজে।
~ তা এতো দেরি করে যে আসলি। মেয়েটা এখনো কিছু খায়নি। আমি খাওয়াী জন্য কত জোড় করলাম। বলল,

আলভী আসলে খাব। আর তুই এখন আসলি?
~ ওহ। আমি মিমের দিকে তাকালাম। দেখি মাথা নিচু করে আছে।
~ যা ফ্রেশ হয়ে খেতে আয়? লাঠি দিয়ে পাছায় বাড়ি দিয়ে।

~ আচ্ছা যাচ্ছি। লাঠি দিয়ে মারা লাগে?
~ এদিকে আই তুই? আরেকটা দেই?
~ জিবনেও আসমো না তোমার হাতের লাঠি চাষ খেতে।

আমি ফ্রেশ হতে গেলাম। একটা জিনিস ভাবতেছি। আচ্ছা মিম কেন আমার জন্য না খেয়ে আছে? দূর খেয়ে থাকলেই কি? না খেলেই কি? বাট জিজ্ঞেস করে নিব। কেন খায়নি?

ফ্রেশ হয়ে খাবার টেবিলে গেলাম। মিম আর আমি একসাথে খাবার খেলাম। একটা কথা বলেনি। আমি রুমে আসলাম। মিম ও একটু পরে রুমে আসলো তখন আমাকে বলল,

~ কোথায় ঘুরো সারাদিন?
~ বউ খুজি। আরেটকা বিয়ে করব?
~ সেটা ভেবে থাকলে ভুলে যাও?
~ কেন?

~ কারন আমি তোমাকে ভালোবাসি। আমি বেচে থাকতে অন্যকারো হতে দিব না।
~ আমিও তোকে না মানে তোমাকে মেনে নিব না। ভুলে যেও না তুমি কি ছিলা?

~ আমি যাই ছিলাম না কেন? তার জন্য আমি ক্ষমা চাচ্ছি। আমাকে ক্ষমা করে দাও? আমি তো ভালো হয়ে গেছি?
~ আমার কাছে ভুল ও নাই মাফ ও নাই। সব সঠিক। সব ভুলে যাও। আমি তোমাকে ডিবোস দিয়ে দিব। কারন আমি তোমাকে ঘৃনা করি।

~ যদি আমি তোমার মনে ভালোবাসা সৃষ্টি করতে পারি?
~ যেটা কখনো পারবে না। কারন তোমার জন্য শুধু ঘৃনা আছে।

~ সেই ঘৃনাকেই ভালোবাসায় পরিনত করব
~ চেষ্টা চালিয়ে যাও। বাট পারবা না কয়েকটা দিন ওই আছো
~ ওকে। যেভাবেই হোক আমাকে পারতেই হবে।
~ বৃথা চেষ্টা করে লাভ নাই। এর চেয়ে অন্য কাউকে পটাও দেখবা ভবিষ্যতে সুখি হতে পারবা।
~ আমি তোমাকেই চাই৷

~ জোকেস ভালোই বলতে পারো। তা না খেয়ে ছিলা কেন?
~ জামাইয়ের আগে বউরা খায় না
~ হাহাহা কে তোমার জামাই?
~ তুমি আমার জামাই?

~ আমি তোমার মত বারোভাতারীর জামাই হবো ভাবলা কেমনে?
~ মন খারাপ করে দিছে এখনি কান্না করে দিবে।

আমি চলে আসলাম। মানুষকে মারা লাগে না কথা দিয়ে প্রতিশোধ নেওয়া যায়। কথার দ্বারা জীবন্ত মানুষকেও মেরে ফেলা যায়। কিন্তু মিমকে কষ্ট দিলে

আমার ও খারাপ লাগে। আসে একটা শান্তির হাসি। খারাপ লাগলেও ওকে কষ্ট দিতে অনেক ভালো লাগে। মনে একটা অন্যরকম শান্তি আসে।

আমি বন্দুদের কাছে গেলাম। যেতেই আবার আড্ডা শুরু। আমাদের বেকার মানুষ এর একটা কাজ। আড্ডা দেওয়া। আমাদের আড্ডার টপিক হলো। গাছ

আগে না বীজ আগে। এসব আজাইরা বিষয় নিয়ে আড্ডা দিতে দিতে ঘন্টার পর ঘন্টা কাটিয়ে ফেলি। আড্ডা দিতে দিতে অনেক রাত হয়ে গেল।

আমি বাসায় চলে আসলাম আমার ফোনে অনেক গুলো কল আসছে। কিছু আম্মুর মোবাইল থেকে কিছু আব্বু মোবাইল থেকে। আর সবচেয়ে বেশি মিম এর মোবাইল থেকে৷

বুজতেই পারছেন কি বিপদ আসতাছে। দোয়া কইরেন যেন বেচে যায়। আব্বুর কাছ থেকে যেন লাঠি চাষ না খায়।

বাসায় চলে আসলাম। আসতেই দেখি সবাই ঠান্ডা মাথায় বসে আছে। আমি ভাবতে লাগলাম এদের আবার কি হলো

এতো ঠান্ডা মাথায় বসে আছে। আমি আব্বুকে বললাম,
~ কি আব্বু এখনো ঘুমাওনি?
~ না ঘুমাবো

~ আগে তুই খেয়ে নে। তোর ব্যবস্থা করে ঘুমাবো?
~ মানে কিসের ব্যবস্থা?
~ এই যে বউ রেখে এত রাতে বাইরে ঘুরে বেড়াস সেটার ব্যবস্থা?

~ ওহহ। মনে মনে ভাবতে লাগলাম মিম কি কিছু বলে দিল নাকি? তখন আবার আব্বু বলল,
~ খেয়ে নে?
~ ওকে আব্বু।

সবাই একসাথে খেতে বসছি। খাবার খেতে খেতে ভাবলাম। আজকে লাঠি চাষ করলো না করলো না কেন? কোনো না কোনো কাহিনি আছে? কি কাহিনি হতে পারে?

এসব ভাবতে ভাবতে খাওয়া শেষ হলো। আমি রুমের দিকে যাচ্ছি। তখন আব্বু কান টেনে ধরল। আর আমাকে বলতে লাগল
~ কিরে কোথায় যাচ্ছিস?

~ কেন রুমে?
~ তোর রুমতো ওইটা না৷
~ কোনটা?
~ ওই যে রান্না ঘর ওটা তোর ঘুমানোর জায়গা?
~ কিন্তুু কেন?

~ ওই যে লেট করে বাড়িতে আসিস। আজকে থেকে লাঠি দিয়ে মারবো না। রান্না ঘরে ঘুমাতে দিব
~ আব্বু কি বলো এগুলো?
~ হুম। যা সত্যি তাই। ১০ টার পরে আসলে ওখানে জায়গা হবে।

~ আব্বু এখন থেকে ১০ টাই আসবো?
এবার রুমে যাই?
~ না রান্না ঘরে যা

তখন মিম বলল,
~ আব্বু এবারের মতো মাফ করে দিন? পরে আসলে নাহয় রান্না ঘরে ঘুমাবে?
~ শোন গর্দভ বউমার জন্য মাফ করে দিলাম।
~ হুম।

আমি রুমের দিকে যাচ্ছি। বাব্বাহ লাঠি চাষ থেকে বড় শাস্তি এড হইছে। এখন থেকে ১০ টাই আসতে হবে না। না আসলে যদি রান্না ঘরে ঘুৃমাতে দেয়

তাহলে সারারাত না ঘুমিয়ে মশার সাথে হাডু ডু খেলতে হবে। মিমের জন্য এই যাএায় বেচে গেলাম। ওরে একটা থ্যাংকু বলে দিব।

আমি রুমে আসলাম। মিম ও আসল। আসতেই আমি বললাম,
~ থ্যাংকু
~ কেন?

~ এই যে আমাকে বাচিয়ে দিলে।
~ এতে থ্যাংকু দেওয়ার কি আছে?
~ আসলে আমি কোনো কাজ বাকি রাখি না। যার যেটা প্রাপ্য সেটা দিয়ে দেই।
~ ভালো

তার পর আমি সোফায় আর মিম বিছানায় ঘুমিয়ে পড়ল। সকালে ওঠে ফ্রেশ হয়ে খাবার টেবিলে গেলাম। তখন আব্বু বলল,
~ খাবার খেয়ে রেডি হয়ে নে?

~ কেন আমি কোথায় যাবো?
~ তোর শ্বশুর এর সাথে কথা হইছে। ওনি সব মেনে নিছেন। আজকে যেতে বলছে সো যা।
~ আমি পারবো না
~ না পারলে এই বাড়ির ভাত বন্ধ

দূর ভাল্লাগে না। আমার এই অবস্থা দেখে মিম খুব খুশি। আমি রুমে আসলাম। শুয়ে আছি। তখন মিম এসে বলল,

~ রেডি হয়ে নাও?
~ পারব না?
~ না পারলে আব্বুকে ডাকি?
~ না না। লাগবে না। আমি রেডি হচ্ছি।

তারপর রেডি হয়ে বসে আছি। আর মিম শাড়ীর কুচি দিতে পারতেছে না। তাই আমাকে বলল,
~ আমার শাড়ীর কুচিটা ঠিক করে দাও?
~ আমি কেন দিব?

~ আমি ঠিক করতে পারতেছি না দাওনা একটু?
~ আমার বোনকে ডেকে দিচ্ছি।
~ তোমার বোনকে ডেকে দিলে আব্বু আম্মুকে বলে দিবে। তখন কেমন হবে?
~ আচ্ছা দিতাছি।

ধুর বাল কি বিপদে পড়লাম। ওর শাড়ীর কুচি ঠিক করে দিলাম। যদিও কোনো ইচ্ছা ছিল না। তারপরে শ্বশুর বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। আর রাস্তায় যা হলো


পর্ব ১০

ধুর বাল কি বিপদে পড়লাম। ওর শাড়ীর কুচি ঠিক করে দিলাম। যদিও কোনো ইচ্ছা ছিল না। তারপরে শ্বশুর বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। আর রাস্তায় যা হলোতা হলো

গাড়িতে বসে আছি। মিম বলল,
~ খাবার নিয়ে আসো।
~ আমার কাছে টাকা নেই?
~ ওকে নাও টাকা দিলাম। যাও নিয়ে আসো?
~ আমি কি তোমার চাকর?

~ চাকর হবা কেনো। তুমি আমার লক্ষি জামাই। লাভু সোনা?
~ হেটু। ফিউচার এক্স বউ?
~ তোমার মুখে কোনো মধু নাই?
~ জন্মের সময় মনে হয় দেয় নাই।
~ হইছে যাও নিয়ে আসো

নিজের অনিচ্ছা থাকার পরেও খাবার আনতে গেলাম। এসে দেখি ওনি আমার সিটে বসে আছে। আমি বললাম,
~ এটা কি হলো?

~ কই কি হইছে? হইলে কান্না করতো।
~ আরে তুমি আমার সিটে বসছো কেন?
~ আমি জানালার পাশ ছাড়া বসতে পারি না তাই।
~ তুমি আমার সিট দিবা কিনা?

~ দিব। তোমার উপর বমি করলে পরে বকতে পারবা না?
~ কি মহা বিপদে পড়লাম। আচ্ছা বসো।
~ দাও খাবার দাও?
~ হুম

খাবার খেতে লাগল। বাস চলতে লাগল কিছু দূর যেতেই এক আচার ওয়ালা ওঠছে। ওইটারে মিম ডাক দিল
~ এই মামা এদিকে আসেন?
~ জ্বি আচার লাগবে? কয়টা দিব?

তখন মিম আমাকে বলল,
~ তুমি আচার খাবা?
~ না। আমি মেয়ে নাকি যে আচার খাবো।
~ ওকে তোমার খেতে হবে না। আমিই খাই?
~ খাও

মিম আবার আচাড়ওয়ালাকে বলল,
~ এগুলার দাম কত?
~ বিশ টাকা করে
~ দুই প্যাকেট দিন?
~ ওকে

মিম আছাড় নিয়ে আমাকে বলল,
~ এই টাকা দাও ওনাকে?
~ আমার কাছে টাকা নেই

~ এখানে যদি বলি তুমি আমাকে ডিস্টার্ব করতেছো। কি হবে ভাবছো? সো টাকাটা দিয়ে দাও।
~ ব্লাকমেইল করতাছো?
~ হুম মনে কর তাই। আমার কত কিউট জামাই টা।

আমি টাকাটা দিয়ে দিলাম। বিশ্বাস করেন ভাই। যত গুলা হকার ওঠছে সবার কাছে থেকে কিছু না কিছু কিনছে। আর সব টাকা আমি দিছি। আমার পকেট

ফাকা হয়ে যাচ্ছে। শ্বশুর বাড়ি যাওয়া শখ মিটে গেছেরে ভাই। জিবনেও বিয়ে করমো না। একা একা থাকাই ভালো। আমার পকেটের এই অবস্থা হলে দুইদিন পর ভিক্ষা করতে হবে।

তারপর কোন সারা রাস্তা আমার কাধে মাথা দিয়ে আসছে। আমি যখন বলছি
~ তোমার কি লজ্জা শরম নাই?
~ কেন?

~ এইযে আমার কাধে মাথা দিয়ে আছো?
~ আমার জামাই ইতো তুমি?
~ আমি কি তোমাকে জামাই এর অধিকার দিছি? তোমার পাপিষ্ঠ মুখে এসব মানায় না। মাথা সরাও?

~ সরাবো না। (মন খারাপ করবে)
~ সরাইতে বলছি সরাও?
~ বেশি কথা বলল,ে। সবাইকে বলব তুমি আমাকে ডিস্টার্ব কর?
~ কেউ বিশ্বাস করবে না

~ আচ্ছা দাড়াও দেখাচ্ছি।

মিম একটু জোড়ে বলল,
~ ওই
বাসের ছেলেরা বলতাছে

~ আপু কি হইছে? ছেলেটা কি আপনাকে ডিস্টার্ব করতেছে?

~ না ভাইয়া?
~ ডিস্টাব করলে শুধু বলবেন। পিঠায়া মানুষ বানায়া দিব।
~ ওকে ভাইয়া। সমস্যা হলেই বলবো।

আমি ভ্যাবাচেখা খেয়ে গেলাম। সালার উল্টাপাল্টা কিছু বলল,ে। বৃন্দাবন দেখতে হবে। মিম আবার কাধে মাথা রাখল। বাট এখন আর ভয়ে কিছু বলতে

পারলাম না। যেই মেয়ের ওই বলাতে ছেলরা আসে পিঠাতে। যদি বলে ডিস্টার্ব করে। তাহলে আগামি ছয়মাস শুধু নার্স দেখতে হবে।

তারপর কয়েকঘন্টা পরেই ঢাকায় আসলাম। সব কিছুই পরিবর্তন হয়ে গেছে। দিন দিন উন্নত হচ্ছে। মিম আমাকে নিয়ে তার বাসায় গেল। গিয়ে আমি

মিমের বাবাকে সালাম করলাম। ভালো মন্দ জিজ্ঞেস করলাম। তারপর ওনি রুম দেখিয়ে দিলেন। আর রুমে ডুকেই আমি অবাক হয়ে যাই। কারন রুমটা

ছিল মিমের। অবাক করার বিষয় হচ্ছে সারাটা রুমেই আমার ছবি। আমি তখন জিজ্ঞেস করলাম
~ এগুলো কি?
~ আমার ভালোবাসার সৃতি।

~ ওহহ। তোমার আব্বু আম্মু কিছু বলতো না?
~ আব্বু আম্মু জানতো আমি তোমাকে ভালোবাসি। তাই কিছু বলে নাই

~ ওহহ তোমার আম্মু কই?
~ সিরিয়াল দেখে?
~ ওহহ।

তারপর ওর আম্মুর কাছে গেলাম
সালাম করলাম। ওনি আমাকে দেখেই বলল,
~ কেমন আছো বাবা?

~ জ্বি ভালো। আপনি কেমন আছেন?
~ ভালো। তোমাকে কোথায় যেন দেখছ?
~ জ্বি। আমি আপনার বাসার আশে পাশেই ঘুরঘুর করতাম

~ ওহহ তুমি কি সেই ছেলে। যার উপরে আমি খাবারের ময়লা পানি ফেলছিলাম?
~ জ্বি আমি সেই ছেলে। (লজ্জা পেয়ে)

আসলে মিমের পিছনে যখন ঘুরঘুর করতাম তখন একদিন ওর নিচে দাড়িয়ে আছি। আর তখন মিমের আম্মু নোংরা পানি ফেলছিলো। আমি সেখান থেকে হোসাইন বোল্ট এর থেকেও বেশু স্পিডে দৌড়ে বাসায় আসছিলাম

ওনার কাছ থেকে চলে আসলাম রুমে বসে ভালো লাগতেছে না। তাই আগের আইডিটা একটিভ করলাম। ভার্সিটর বন্ধু রাফিকে পেলাম। ওর আগের

আইডি এখনো আছে। পরে মেসেজ করলাম। কথা হলো অনেকক্ষণ। ও এখন একটা জব করে পার্ট টাইম। আমি বললাম, কালকে মিট করার জন্য? পরে বলছে মিট করবে।

ওর সাথে কথা বলতাছি। এমন সময় কিছু মেয়ে আসলো। এসে মিমকে বলল,
~ কিরে আপু তোর জামাই কই?

~ এই যে দেখ আমার জামাই
~ ওমা কতো কিউট তোর জামাইটা। আমাকে দিয়ে। দে?
~ চোখ তুলে ফেলব একদম। ওর দিকে ভুলেও নজর দিবিনা।

~ জামাই পেয়ে আমাদের আবার ভুলে যাছ না?
~ হুহ

তখন মেয়েগুলো আমাকে বলল,
~ কেমন আছো ভাইয়া?
~ ভালো আছি। তোমরা?
~ ভালো না?

~ ওমা কেন?
~ তোমাকে দেখে রবির মত জ্বলে ওঠছি। কতো কিউট তুমি
~ ওমা তাই নাকি। তোমরাও অনেক কিউট।

মিম রেগে গেল। হইছে এত কথা বলতে হবে না। খেতে আসো। আমার ও প্রচন্ড ক্ষুধা লাগছে খেতে গেলাম। বড়লোক শ্বশুরের খাবার এর আয়োজন

দেখে মাথা ঘুরে গেল। এতো আইটেম। আমি তিনদিনেও খেয়ে শেষ করতে পারব না। তারপর ইচ্ছা মত খেলাম। সালার সব টাকার প্রতিশোধ খাবারে তুলে নিলাম।

এতো খাবার খেয়ে নড়তে পারতেছি না। লোভে খাদ্য। খাদ্যই বাশ। এখন বুজতে পারতেছি। মোরে বাচাও আল্লাহ। আর জিবনেও এত খাবার খাবো না। খাবারে লোভ করব না।

রাতে শুয়ে আছি। মিমের রুমে সোফা নাই। এখন আমি কোথায় ঘুমাব? আমি মিমকে বললাম,
~ আমি ঘুমাব কোথায়?
~ বিছানায়

~ তুমি কোথায় ঘুমাবা?
~ বিছানায়
~ মানে কি? তোমার মতো বারোবাতারী সাথে আমি ঘুমাতে পারবা না?

~ কি বলল,া তুমি। ঘুমাতে পারবা না মানে। না ঘুৃমালে এমন জায়গায় মারবো। বাবা হতে পারবা না। এটা আমার বাসা মনে রাখবা আমি যেভাবে বলবো সেভাবে চলবা?

~ জিবনেও না। কয়টা দিন ইতো। পরে কি করবা?
~ পরেরটা পরে দেখা যাবে।
~ এখন ঘুমাও

শরীর এ রাগ থাকার পরেও বিছানায় শুইছি। এছাড়া উপায় নাই। মিম ও এসে শুইল। মাঝখানে কোল বালিশ। সকালে ওঠে দেখি মিম আমার বুকে। ওর নিশ্বাস গুলো আমার মুখে পড়তেছে।

আমি কোনোরকম ওঠে ওয়াশরুমে গেলাম। ফ্রেশ হলাম মিম ও ওঠে গেল। সকালের নাস্তা করলাম একসাথে। খাবার টেবিলে অনেক কথা হলো। খাওয়া

শেষে আড্ডা দিলাম সবাই মিলে। আড্ডা দিতে দিতে দুপুর হয়ে গেল। দুপুরে খাবার খেয়ে রেস্ট নিলাম। বিকেল হয়ে গেল এর ভিতরে মিম অনেক জ্বালাইছে। রাগ ওঠলেও কিছু বলতে পারিনা। কেন জানি বারবার আটকে যাই।

আমি রেস্টুরেন্টে যাচ্ছি রাফির সাথে দেখা করব। রেস্টুরেন্টে ডুকে যা দেখলাম। তা দেখে মোটামোটি খুশিই হলাম। কারন আবির বউ বাচ্চা নিয়ে বসে আছে। এই সুযোগ প্রতিশোধ

নেওয়ার। আমার জি এফ এর সাথে ঘুরতি। এখন যখন পাইছি মজা বুঝাবো। আমি আবির এর কাছে গেলাম। গিয়ে বললাম,
~ ভাইয়া আগের ভাবিগুলো আরো বেশি কিউট ছিল

~ মানে কে তুমি কি বলতেছো?

তখন আবির এর বউ বলল,
~ মানে ভাইয়া আপনি কি বলতে চাচ্ছেন?
~ আগে যাদের নিয়ে আসত। তারা আরো বেশি সুন্দরী ছিল?

~ সত্যি নাকি আবির?
~ আরে না। আমি মোটেও এমন না। বল প্রমান দেখাইতে?

তখন আবার মেয়েটা বলল,
~ ভাইয়া আপনার কাছে কোনো প্রমান আছে?
~ জ্বি। প্রমান না থাকলে কি এসে বলতাম নি? এই নেনে দেখেন।

বিডিও আর পিক গুলো দিলাম। এগুলো মিমের আইডি তে। ছিল। মেয়েটা সব দেখল। আমি ফোনটা নিয়ে আসলাম।

পিছনে শুধু ঠাস ঠাস শব্দ হচ্ছে। আর আবির চিল্লাইতেছে। হঠাৎ দেখি গনপিঠুনি খাচ্ছে। ওর বউ মানুষকে বলছে আবির নাকি ওনার সাথে লুচ্চামি করছে। বাকিটা জনগন বুজে নিছে।

আমি বাইরে এসে দাড়ালাম দেখি আবির ওর পায়ে ধরে বলতাছে। মাফ করে দাও বউ। আর জিবনেও কারো দিকে চোখ তুলে তাকাবো ও না। তোর মতো

লুচ্চাকে জিবনেও মাফ করবো না। পরে দেখলাম যাষ্ট বুকে একটা লাথি দিছে। আর চলে গেছে। আবির পিছু পিছু দৌড়াচ্ছে।

আমার খুব আনন্দ লাগতেছে। এখন আবির এর ডিবোস হবে। বাসায় ও জায়গা দিবে না। কি মজা। মনে একটা শান্তির বাতাস বয়ে গেল। আমি অন্য
একটা রেস্টুরেন্টে গেলাম। আর রাফিকে ওইটাতে আসতে বললাম,পরে যা হলো


পর্ব ১১

আমার খুব আনন্দ লাগতেছে। এখন আবির এর ডির্বোস হবে। বাসায় ও জায়গা দিবে না। কি মজা। মনে একটা শান্তির বাতাস বয়ে গেল। আমি অন্য একটা রেস্টুরেন্টে গেলাম। আর রাফিকে ওইটাতে আসতে বললাম,পরে যা হলোতা হলো

রাফি এসে আমাকে জিজ্ঞেস করল
~ কিরে কেমন আছিস?
~ ভালো তুই। কেমন আছিস?

~ ভালোই। কিন্তু তুই ওই রেস্টুরেন্টের কথা বলে এখানে আনলি কেন?
~ কাহিনি আছে।
~ কি কাহিনী?

তারপর সব খুলে বললাম,। রাফি হাসতে হাসতে শেষ। আর বলতে লাগল
~ সালারে উচিত একটা শিক্ষা দিছস। বাট তুই হঠাৎ ঢাকায় কেন?

~ আসছি কি আর শখে?
~ কেন কি হয়ছে?
~ ঢাকায় শ্বশুর বাড়িতে আসছি।

~ কি বলিস বিয়ে করে ফেলছিস। এটা কিন্তু ঠিক না। মিমের কি হবে?

~ রাফি ওর সম্পর্কে কিছু বলতে চাইছে। তাাি জানার জন্য আমি ও বললাম,। ওর আবার কি হবে?
~ আরে ভাই মেয়েটা তোকে পাগলের মত

ভালোবাসে। তুই যাওয়ার পর পাগলের মত খুজত। তুই যাওয়ার পর কোনো ছেলের সাথেই কথা বলতো না। একা একা থাকত সারাদিন। আর তোর ফিরে

আসার অপেক্ষাই আছে এখনো। এখন যদি শুনে তুই বিয়ে করে ফেলছিস। তাহলে নিশ্চয় মিম সুইসাইড করবে।
~ আমি ওর কথাগুলো শুনে অবাক চোখে তাকিয়ে আছি। কি বলবো ভাষা খুজে পাচ্ছি না। তবুও বললাম,। ওর কথা বাদ দে অতীত তো অতীত ওই। তা তোদের রিলেশন এর কি খবর?

~ আমরা তো বিয়ে করে ফেলছি। বাচ্চা ও আছে।
~ কি বলিস দাওয়াত দিলিনা?
~ তোর সাথে যোগাযোগ ছিল না। তাই দিতে পারিনি৷ তা শ্বশুর বাড়ি কোথায়?

~ আপাদত এখানে আছে কয়দিন পর অন্য কোথাও হবে।
~ মানে। কি বলতেছিস?
~ হুম যাকে বিয়ে করছি তাকে কিছুদিনের মধ্যই ডির্বোস দিয়ে দিব।

~ কেন? কি করছে ভাবি? ডির্বোস দিবি কেন? আর মেয়েটা কে?
~ মেয়েটা আর কেউ না। আমার এক্স গফ মিম।
~ কি বলিস ভাই। তুই তো গাজা খাইতি না। এখন কি খেয়ে আসছিস নাকি?

~ হুপ বেটা। আমি এগুলা খায় না। তাহলে শুন?
~ হুম বল

তারপর সব বললাম,। কিভাবে কি হয়ছে। তবুও রাফি বিশ্বাস করে না। আমাকে বলে
~ তুই আমাকে বোকা ভাবছিস৷যেভাবে বলবি সেভাবে বিশ্বাস করব। মিম সেখানে যাবে কেন?

~ আরে সালা ওখানে ওর মামার বাড়ি। আর আমি ওকে ডির্বোস দিয়ে দিব।
~ আমার বিশ্বাস হয় না? প্রমান দেখা?
~ ওকে।

কাবিন এর কাগজের একটা পিক ছিল মোবাইলে ওটা দেখালাম। পরে রাফি দেখে বলল,
~ তুই মাসে কত টাকা কামাই করিস?

~ একটু ভাব নিয়ে বললাম,। এক টাকাও না।
~ তোর বাবার কত টাকা আছে?
~ সব মিলায়া আট দশ কোটি হবে। কিন্তু কেন?
~ আস্তে আস্তে লাইনে আসতেছি। ওয়েট

কর? তোর বিয়ের কাবিন কত?
~ কেন দশ লাখ টাকা মাএ?
~ তাইনা রে? এটা ভালো করে দেখ?

এটা দেখে মাথাটা ঘুরে গেল। আল্লাহ তুমি মাটি ফাক কর আমি ডুকে যায়। এই জীবন আমি না রাখুঙি। কারন সালার পোলারা কাবিন দশ লাখ

লেখতে গিয়ে ১০ কোটি লিখে ফেলছে? আমার বাবার পুরা সম্পতি বিক্রি করতে হবে। আল্লাহ আমার জীবনডা শেষ। আমি কি করব এখন? তখন রাফি আবার বলল,

~ কিরে ডির্বোস দিবি না?
~ শালা এখন মজা নিতছস? এত টাকা কেমনে দিব? কি করবো আমি?
~ একটা কাজ কর?
~ কি কাজ?
~ তুই ওকে মেনে নে?

~ জিবনেও না। মরে গেলেও মেনে নিব না।

তারপর রাফি অনেক্ক্ষণ বুঝাইছে। আমি শেষে ভেবে দেখলাম। ওকে মেনে নেওয়া উচিত। ও তো এখন ভালো হয়ে গেছে। বাট এত সহজে না আগে

অপমান করবো ইগনোর করব। কষ্ট দিব। পরে মেনে নিব। যাতে বুজে আমাকে কত কষ্ট দিছিলো।

আমি আরো কিছুক্ষণ রাফির সাথে আড্ডা দিলাম। পরে আমি বাসার দিকে রওনা দিলাম। রাফিও চলে গেল। আমি বাসায় ডুকতেই মিম বলল,
~ কোথায় গেছিলা?

~ মেয়ে দেখতে গেছিলাম।
~ তা কয়টা দেখছো?
~ অনেকগুলোকত কিউট।

~ কিউট তাই না। এমন জায়গায় তোরে মারবো বাবা হতে পারবি না। আর কোনো মেয়ের দিকে তাকালে চোখ তুলে ফেলব।
~ আমি আমার মতো চলতে ভালোবাসি। তুমি বলার কে? তুমি আজকে আছো কালকে নেই। সাইড দাও ভিতরে যাব।

আমি রুমে চলে আসলাম। মিম ওখানে দাড়িয়ে ভাবতেছে। ও এমন হলো কেন? আগে তো কতো ভালো ছিল? ও কেন বারবার বলে আমি দূরে চলে যাব। আমি তো ওকে ভালোবাসি। বুজে না কেন?

এসব ভাবতে ভাবতে মিম দরজা লাগিয়ে রুমে আসল। এসে দেখল আমি ওর বোনের সাথে গল্প করতেছি। আর এমন গল্প করতেছি যা শুনে মিম রেগে গেল। কারন গল্পগুলো এমন ছিল
~ আরে ভাইয়া শুয়ে আছেন যে ক্লান্ত নাকি?

~ না গো। এখনো ক্লান্ত হয়নি। তবে পরে হতে পারি।
~ আপনি কত কিউট। আপু যদি আপনাকে বিয়ে না করত আমি করে ফেলতাম।
~ হুম আমিও। তোমাকে আমার পছন্দ হইছে। তোমার ডাইনী আপু থেকে তুমি কত লক্ষী। আমিও তোমাকে বিয়ে করে নিতাম গো।

~ যাহ কি যে বলেন না ভাইয়া।
~ বিশ্বাস কর। তোমার মত লক্ষি মেয়ে হারিকেন জ্বালিয়ে খুজছি। কিন্তু পাইনি
~ হারিকেন জ্বালায়া খুজছেন তাই পাননি। যদি এর্নাজি বাল্ব দিয়ে খুজতেন তাহলে পেতেন।
~ আরে এর্নাজি বাল্বের দাম বেশি। তাই কিনে খুজতে পারিনি।

~ না ভাইয়া প্রতি পিস এনার্জি বাল্ব মাএ ১০০ টাকা
~ ওহহ তাই বলো। যা হওয়ার হইছে। এখন আর কি করা?
~ হুম কপালটা খারাপ

আর মিম সব কথাগুলো শুনছে। শুনে তেড়ে আসছে। আর ওর বোনের কান ধরে বলতেছে
~ কিরে বিয়ে করার শখ হয়ছে?
~ আরে আপু আমি তো মজা করছিলাম। কান ছাড়ো। ব্যাথা পাচ্ছি।
~ তোর মজা ছুটাচ্ছি। দ্বাড়া তোর বাবাকে বলে বিয়ের ব্যবস্থা করতেছি?

~ না আপু না আমি এখন বিয়ে করবো না।
~ সেটা কথা বলল,ে পরেই দেখা যাবে। এখন তুই রুম থেকে যা। আর আমার কলিজার দিকে চোখ তুলে তাকলে বটি দিয়া তোর চোখ তুলে ফেলব।

~ তাকাতে ঠেকে নাই আমার। তোমার চাঁদ তুমিই দেখো?
~ হুম। যা তাকবি না। তাকালে চোখ তুলে ফেলব।

মিমের বোন ভেংচি কেটে চলে গেল। আমি বোকার মত তাকিয়ে আছি। বলতে গেলে নিরব দর্শক। মিম তখন আমাকে বলল,
~ কিগো বিয়ে করার শখ জাগছে?
~ হুম। একটা দিয়ে হয়না তো তাই?

~ অনেকটা মায়াভরা চোখে তাকিয়ে বলল,। আমাকে কষ্ট দিতে তোমার ভালো লাগে?
~ আমি তার ওই চোখের দিকে তাকাই নাই। না তাকিয়ে বললাম,। মানুষ তার কষ্টের জন্য নিজেই দায়ী থাকে। যে যেরকম করবে। তার সাথেও ঠিক সেরকম হবে।

~ ওহহ। আমি তো ভুলের জন্য ক্ষমা চাইছি?
~ ক্ষনা তো কবেই করে দিয়েছি।

আমি রুম থেকে বাইরে চলে আসলাম। ছাদে বসে আছি। অনেকটা রাত হয়ে গেছে। তখন মিম আসলো আবার
~ এখানে বসে কি কর?
~ ভাবতেছি।

~ কি ভাবতেছো?
~ এই যে আকাশটা অনেক মেঘলা।
~ হুম ভালো। আব্বু আম্মু বসে আছে খেতে চল
~ হুম চল

তারপর খাবার টেবিলে গেলাম। অনেক কথা হলো। মিমের বাবা জিজ্ঞেস করল এখানে থাকতে কোনো অসুবিধা হচ্ছে নাকি? আমি বলছি না কোনো অসুবিধা হয়নি ভালোই লাগতেছে।

তারপর খাওয়া শেষ করে রুমে চলে আসলাম। শুয়ে আছি। একটু পরে মিম ও আসল। এসে শুয়ে পড়ল। পরে বলল,
~ বউ থাকতে কোলবালিশ লাগে?
~ আমার তো বউ নাই। তাই কোলবালিস লাগে।

~ তাহলে আমি কে?
~ আরে তুমি তো ক্ষনিকের জন্য আজকে আছো কালকে নেই।
~ ওহহহ

মিম চুপ হয়ে গেল। আমিও আর কথা বারালাম না। ঘুমিয়ে পড়লাম। কিছুক্ষণ পরে মিম ও ঘুমিয়ে পড়ল।

সকালে মিম আমার আগেই ওঠছে। আমার জন্য চা বানিয়ে নিয়ে আসছে। আর আমাকে ডাকতাছে
~ ওগো ওঠো তোমার জন্য চা বানিয়ে নিয়ে আসছি।
~ আম্মু যাও তো ঘুমাব।
~ আমি তোমার আম্মু না তোমার বউ।
~ ওহহহ

ওর ডাক শুনে ওঠলাম। আর আগে যখন আম্মু তুৃলে দিত। তাই ঘুমের ঘুরে ভাবছি আম্মুই ডাকতাছে। পরে মিম বলল,
~ তোমার জন্য চা বানিয়ে নিয়ে আসছি। খেয়ে নাও৷
~ হুম দাও৷

~ মিম চা দিল
~ আমি পুরো চা টা খেলাম। অনেক ভালো হইছে। কিন্তু ও আমাকে জিজ্ঞেস করলো
~ চা টা কেমন হইছে?
~ এগুলো চা নাকি গ্লুকোজ?

~ সবাই তো বলল, ভালো হইছে। তোমার কাছে ভালো হয়নি? মন খারাপ করে বলল,
~ না। আরো ভালো করে বানাতে হবে। এগুলা মানুষ খায় নাকি?
~ আচ্ছা নেক্সট টাইম থেকে ভালো করে বানানোর চেষ্টা করব।

আর ঘুরাঘুরি। আড্ডা সব কিছু মিলিয়ে দুইটা দিন চলে গেল। মিম দুইটা দিনে অনেক কাছে আসতে চেয়েছে। আমি বার বার দূরে ঠেলে দিয়েছি। ওর সাথে এমন ব্যবহার করলে আমার ও অনেক খারাপ লাগে।

আজকে মিমের বাবা মার থেকে বিদায় নিয়ে আমার বাড়িতে চলে যাচ্ছি। ভাবতেছি আসার দিন পকেট খালি করে দিছে এখন না জানি কি করে? কিন্তু আমার ধারনা ভুল ছিল। ও সারাটা রাস্তা মন মরা হয়ে ছিল। হয়তো বাবা মাকে ছেড়ে যাচ্ছে বলে। আমার কাছে কিছুই চাইনি।

আমি বাড়িতে আসার পর নানা প্রশ্মের উওর দিতে হলো। শ্বশুর বাড়ি কেমন? ঠিকমতো খাওয়া দাওয়া করাইছে। আরো কতো কি? আমি সব কিছুর ঠিকঠাক উওর দিয়ে রুমে এসে এক ঘুম দিলাম। মিম ও ঘুমিয়ে পড়ল।

আমি সকালে ওঠলাম। ফ্রেশ হয়ে বাইরে গেলাম। আর বন্দুদের কাজ থেকে যা শুনলাম তার জন্য মোটেও তার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। আর যা হলো


পর্ব ১২

আমি সকালে ওঠলাম। ফ্রেশ হয়ে বাইরে গেলাম। আর বন্ধুদের কাজ থেকে যা শুনলাম তার জন্য মোটেও তার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। আর যা হলোতা হলো

বন্ধুদের কাছে যেতেই বলল,
~ কিরে এতদিন কই ছিলি?
~ জাহান্নামে।
~ জাহান্নামে থাকলেও। এখন এমন কথা শুনাব যে তুই জান্নাতে চলে আসবি?
~ মানে তুই কি বলতে চাইছিস?

~ আরে তোর ছোটবেলার ক্রাশ নিলা আপু তোরে খুজতাছে
~ আমাকে খুজে কেন?
~ আমাদের কিছু বলে নাই। শুধু এটাই বলছে আমরা যেন তোকে বলি ওনার সাথে দেখা করার জন্য।
~ ওহহ। আচ্ছা দেখা করবো নে। মন খারাপ করে বললাম,।

~ কিরে তুই মন খারাপ করে আছিস যে। তোর তো সবচেয়ে খুশি হওয়ার কথা। কারন তোর ক্রাশ তোকে খুজে।
~ আরে মন খারাপ কি আর সাধে করছি?
আরে আমার বউকে ডির্বোস দিতে পারব না। আর ক্রাশকেও পটাতে পারব না।
~ কেন কি হইছে?

~ আরে সালার পুতেরা কাবিন ১০ লাখ লেখতে গিয়ে ১০ কোটি লিখে ফেলছে?
~ হাহাহাহা ভালো। তবে ভাবি কিন্তু অনেক সুন্দর। ডির্বোস না দিলেই ভালো হবে।
~ চুপ কর সালা। যার জ্বালা সেই বুজে।

~ আচ্ছা রাগ করিস না। চল খেলে আসি?
~ ওকে চল।

নিলা আপুর বাসার সামনে খেলতে যাচ্ছি। খেলার জন্য অনেক দিন ক্রাশের দৌড়ানি খাইছি। জানিনা আজকে কি হবে? আসলে ক্রাশের দৌড়ানি খেতেও ভালো লাগে। একটা মানুষের ভালোবাসার মানুষ একটাই থাকে। আর ক্রাশ থাকে হাজারটা। তেমনি আমার ভালোবাসার মানুষ ছিল মিম। আর ওই নিলা আপু ছিল ক্রাশ।

খেলা শুরু করে দিলাম। আমি ব্যাট করছি৷ আর রাফি বল করতেছে। আমি জোড়ে ব্যাট চালালাম। ভাগ্য খারাপ হলে যা হয়। বলটা নিলা আপুর উপরে পড়ছে। নিলা আপু কোথা থেকে ওর বাসার দিকে যাচ্ছে। বলটা পরা মাএই গুলির মত বেগে আমার কাছে আসল। মনে মনে ভাবতেছি আজকে আমার

কপালে কি আছে আল্লাহ ভালো জানেন। আল্লাহ বাঁচাও। আমার ধারনা ছিল নিলা আপু ব্যাট নিয়ে পিঠাবে। কিন্তু সেই ধারনা ভুল করে নিলা আপু আমার কলারে ধরে বলল,
~ এদিকে আস?
~ কেন আপু?

~ আমি তোর কোন কালের আপু লাগি?
~ ইয়ে মানে। বড়দের আপু ডাকতে হয়
~ তোর ইয়ে মানে ছুটাচ্ছি। আই আমার সাথে আই। এই তোরা খেল?

আমাকে মাঠের সাইডে নিয়ে গেল। আমি ভয়ে ভয়ে নিলাকে বললাম,
~ তুমি নাকি আমাকে খুজছিলা আপু?
~ হুম। খুজছিলাম তুই নাকি বিয়ে করেছিস? আর কয়দিন কই ছিলি?
~ জ্বি শ্বশুর বাড়িতে ছিলাম।

~ ওহহ তাই অন্য মেয়েকে বিয়ে করবি তো আমার পিছন পিছন যেতি কেন?
~ আরে আমি তো মজা করছিলাম। আসলে আমি ওকে অনেক আগে থেকেই ভালোবাসতাম?
~ তুই মজা করতি তাই না। এখন আমি তোর প্রেমে পরে গেছি। এখন আমার কি হবে?
~ আরে প্রেমের আগে ছ্যাকা খাইছো আপু। সমস্যা নাই তুমি দেখতে অনেক সুন্দর। আরো অনেক ছেলে পাবা?

~ তোর গালে দিব একটা। অন্য ছেলে লাগবে না আমার তোকেই লাগবে।
~ আরে বুজতাছো না কেন। বিয়ে মানুষের একবার ওই হয়। দেখবা আমার চেয়েও ভালো ছেলে পাবা?
~ পাবো না।
~ আচ্ছা আমি এনে দিব কেমন?
~ না লাগবে না। আমার তোকেই লাগবে।

তারপর এই নিলারে অনেক কষ্টে সেটিং দিলাম। মুখ দিয়ে ফেনা বের হয়ে গেছে। সালি কিছুতেই বুজতে চাইনা। ওফফ শেষ আমি। যাওয়ার সময় বদ দোয়া ও দিয়ে গেল। নিলা আপুর বদ দোয়া যেন আমার উপরে না পরে দোয়া কইরেন আপনারা।

নিলা আপু বাসায় চলে গেলা। আমি সামনের দোকানে গেলাম। তখনি ওই আংকেল এর দেখা। যদি এই আংকেল আমাকে আর নিলাকে এক সাথে দেখে থাকে তাহলে ১২ টা বাজিয়ে ছাড়বে। আমাকে দেখেই আংকেল বলল,
~ এদিকে আসো আলভী?

~ কোথায় যাবো আংকেল?
~ চোখ গরম করে বলল,। এদিকে আসো?

আমি আংকেলের সাথে গেলাম। তখন আমি আংকেলকে বললাম,
~ জি আংকেল বলেন?
~ তোমাকে চর মারা উচিত।

~ কেন। গালে হাত দিয়ে বললাম,
~ কতবার বলছি আমাকে দোস্ত বলে ডাকবা। আর তুমি কিনা আংকেল ডাকো? আমার সাথে কি আংকেল ডাক যায়?
~ আচ্ছা এখন থেকে দোস্ত বলে ডাকবো

~ হুম মনে থাকে যেন?
~ তা দোস্ত আমাকে ডাকলা কেন?
~ দোস্ত আমি তো পড়ে গেছি?

~ কি বল দোস্ত কখন পড়লা? কোমড়ে ব্যাথা পাওনি তো?
~ আরে ওই পড়া না বোকা। আমি প্রেমে পড়ছি?
~ তাই নাকি বন্ধু কার প্রেমে পড়লা?

~ নিলার প্রেমে পড়ছি। দোস্ত একটু সেটিং দিয়ে দাওনা?
~ আরে বন্ধু ওই মেয়ের পিছনে অনেক ছেলে লাইন দিয়ে আছে। কিভাবে সেটিং দিব বলো?
~ আমি জানি তুমিই পারবা। দাওনা একটু? প্লিজ বন্ধু প্লিজ?
~ আরে ইয়ে মানেপ্রেমের বিষয় যেহেতু খরচ পাতিও আছে।

~ ওহহ টাকা লাগবে তাইতো? মানি ব্যাগ বের করতে করতে বলল,
~ আমি মানি ব্যাগটা নিয়ে বললাম,। আরে দেন দেন এত কিছু ভাবা লাগবে না। কাজ হয়ে যাবে
~ সবটা নিয়ে নিবা?

~ হুম সবটাই দিয়ে দিন। তারাতারি কাজ হবে?
~ আচ্ছা দুই টাকা দেও?
~ কেন দুই টাকা দিয়ে কি করবা?
~ দুইটা চকলেট খাবো?
~ ওরে ছ্যাচড়া। তুই আছসিস প্রেম করতে। প্রেমের পর কি খাবি কে জানে? মনে মনে বললাম,

তারপর আংকেলকে দুইটাকা দিয়ে দিলাম। নিজেকে এভারেস্ট বিজয়ী এর মতই লাগতাছে। এই লোকের পকেট থেকে এক টাকাও বের হতো না। আর কিনা আমি ওর মানি ব্যাগ হাতিয়ে নিলাম।

খুশি মনে বাসায় চলে গেলাম। বাসায় যেতেই আব্বু বলল,
~ কিরে কই থাকিস সারাদিন?
~ আসলে সবার খোজ খবর রাখা শুরু করছি। সামনে ইলেকশন করব?
~ ওহহ ভালো। যা বাজার করে নিয়ে আই?

~ কি বলল,া? আমি বাজার করবো কেন? কাজের লোক কই?
~ কাজের লোক সব বিদায়।
~ কেন বিদায় করছো কেন?

~ কারন তোর মতো এতো দামড়া পোলা থাকতে কাজের লোক রাখার মানেই হয়না
~ ভালো তো। আমি এসব বাজার টাজার করতে পারব না।
~ না করতে পারলে। বাসার ভাত পাবিনা।
~ দূর তোমার মাথায় এসব ভুত কে চাপাইছে?
~ কেউ না। যা বলছি তাই কর?

পরে বাজার করতে চলে গেলাম। যা পারছি বাজার করছি। বাজার নিয়ে আসার সময় মানুষ বলতাছে। বিয়ে করে ছেলেটা সংসারী হয়ে গেছে। ভাল্লাগছে।

আরো নানা কথা শুনে রুমে ডুকলাম। রুমে ডুকতেই মিম এসে বলল,ল
~ কোথায় ছিলা?
~ ওইযে এগুলো নিয়ে পার্কে গেছিলাম।
~ বাজার নিয়ে পার্কে গেছো?

~ সবাই ফুল নিয়ে যাই আমি বাজার নিয়ে গেছি। সাইড দাও?
~ মুখে কি মধু নাই?
~ না নাই।

তারপর রুমে চলে গেলাম। ফ্রেশ হয়ে দুপুরের খাবার খেলাম। একটা ঘুম দিলাম। বিকেলে মিমের ডাকে ঘুম ভাঙল
~ ওই সোনা ঘুম থেকে ওঠো?
~ কি হয়ছে? ডাকতেছো কেন?

~ তোমার জন্য বিরিয়ানি রান্না করে নিয়ে আসছি।
~ তা কি এমন মহা জিনিস রান্না করছো। আমার সাধের ঘুমটা ভেঙে দিলা।
~ বিরিয়ানি তো তোমার প্রিয় তাই নিয়ে আসছি।
~ ওকে রেখে যাও?
~ হুম।

আমি ফ্রেশ হয়ে আসলাম। বিড়িয়ানীটা খেলাম। যাস্ট অসাধারন হইছে। পুরোটা খায় নাই। মিম এসে পড়ছে তাই। তাই ওকে জ্বালানোর জন্য বললাম,
~ কি হলো এগুলো কি রান্না করছো?
~ কেন বিরিয়ানি?

~ আমার তো মনে হচ্ছে এগুলো খিচুড়ী। এত বাজে রান্না কেউ করে। তোমার গুলা তুমিই খাও?
~ মিমের চোখ দিয়ে পানি চলে আসল। আমাকে বলতে লাগল সবাই তো বলছে ভালো হয়ছে। তোমার কাছে খারাপ লাগছে? আচ্ছা পরের বার ভালো করে রান্না করব?
~ সবাই তো ভালোই বলবে। নতুন বউ। কেউ তো আর খারাপ বলবে না।

আমি রুম থেকে রান্না ঘরে চলে গেলাম। কারন চুরি করে বিরিয়ানি খাব। যেভাবেই হোক খেতেই হবে। রান্নাঘরে যাওয়ার সময় আম্মু বলল,
~ এই তুই কোসায় যাচ্চিস?
~ আম্মু আচার খেতে যাচ্ছি?

~ সত্যি করে বল?
~ সত্যি আম্মু।

যদিও বিড়িয়ানী খাইতে গেছি। ইচ্ছামতো বিড়িয়ানী খেলাম। আহা কি লাগছে!! রাতে বাইরে আড্ডা দিলাম। ১০ টার ভিতরে এসে পড়লাম। বন্ধুরা বলল, বিয়ে করে বউ পাগল হয়ে গেছিস। আরে সালা তোরা আমার দুঃখ কেমনে বুজবি। ১০ টাই বাসায় না গেলে রান্নাঘরে থাকতে হবে।

বাসায় এসে রাতের খাবার খেয়ে শুয়ে পড়লাম। মিমকে জালানোর জন্য হুদাই। ফোন নিয়ে কথা বলতেছি। মিম রাগে আগুন হয়ে আছে। তখন আমাকে বলল,
~ এই তুমি কার সাথে এতক্ষণ কথা বলছো?
~ আমার ফিউচার বউয়ের সাথে।

~ কি বলল,া তুমি?
~ কানে সমস্যা যখন চোখের ডাক্তার দেখায়ো?
~ আমার কানে সমস্যা নাই। তুমি অন্য মেয়ের সাথে কথা বলতে পারবে না
~ আমি ১০০০ বার বলবো। তুমি বলার কে?
~ বলবা তাই না?

~ তোমার ফোনটার দাম কত?
~ ৪৮ হাজার
~ ফোনটাকে যদি পানিতে গোসল করাই কেমন হবে?
~ একদম ফোনে হাত দিবা না।

~ কেন হাত দিব না। জামাই এর ফোনে ১০০ বার হাত দিব?
~ কে তোমার জামাই?
~ তুমি?
~ কয়েকদিন পর এক্স হয়ে যাব।
~ ভালো

মিম আমার বুকে এসে শুইছে। তখন আমি বললাম,
~ এটা কি হচ্ছে? ওঠো বলছি?
~ তুমি আমার জামাই সো যতদিন আছো। আমার অধিকার আমি বুজে নেই?
~ খবরদার টাচ করবা না। তুমি দেহ পাবা কিন্তু মন পাবা না?
~ দুইটাই পাব সোনা। এখন ঘুমাও৷

মিমকে ছাড়াতে পারতেছি না। তখন আবার মিম বলল,
~ রান্না ঘরে যেতে চাও?
~ আজব রান্না ঘরে যাব কেন? ছাড়ো বলছি?
~ ছাড়ব না কি করবা?
~ ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিব।

~ আমি চিৎকার দিয়ে আব্বু আম্মুকে ডেকে বলব। তুমি আমাকে মারছো? পরে কি হবে ভাবছো?
~ দূর ভাল্লাগে না। কথায় কথায় ভয় দেখায়।

তারপর বুকের উপর শুয়ে আছে। এভাবেই ঘুমাতে হলো। সকালে ওঠে দেখি মিম বুকে নেই। তার মানে আগেই ওঠে গেছে। একটু পরে চা নিয়ে আসলো। চা খেয়ে আজকেও জারি দিলাম। তারপর বাইরে গেলাম। আংকেলের সাথে আাবার দেখা।

ওনি অনেক করে বলছে যেন। নিলাকে ওনার করে দেই। তাই আমি খাবার খেয়ে যাচ্ছি আমার ক্রাশের সাথে দেখা করতে। ক্রাশ হয়ে যাবে আন্টি। ভাবতেই কেমন লাগে। ক্রাশের কাছে গিয়ে যা হলো


পর্ব ১৩

ওনি অনেক করে বলছে যেন। নিলাকে ওনার করে দেই। তাই আমি খাবার খেয়ে যাচ্ছি আমার ক্রাশের চোখে। ক্রাশ হয়ে যাবে আন্টি। ভাবতেই কেমন লাগে। ক্রাশের কাছে গিয়ে যা হলোতা হলো

ক্রাশের বাসার সামনে দাঁড়িয়ে আছি। ক্রাশের বাবা আবার আমাকে একবারেই দেখতে পারে না। কারন উনার বাসার বহু জানালার কাঁচ আমি ভাঙছি। তাই ভিতরে যেহেতু ডুকা যাবে না। কিছু একটা করতে হবে। যেন ক্রাশ নিচে আসে। কাওকে দিয়ে খবর পাঠালে মন্দ হয়না। এখন কাকে দিয়ে খবর পাঠাব। আশে পাশে তাকিয়ে দেখি। একটা পিচ্চি ক্রাশের বাসার দিকে উকিচুকি করতেছে। আমি ওকে ডাক দিলাম

~ এই এদিকে আই?
~ জ্বি ভাইয়া?
~ তুই এখানে উকিচুকি করতেছিস কেন?
~ সিক্রেট বিষয় বলা যাবে না?
~ কানের নিচে খাওয়ার আগে বল?

~ আসলে ভাইয়া এখানে আমার গার্লফ্রেন্ড থাকে। ওকে দেখতে আসছি
~ তোর কি ফ্রেন্ড এখানে থাকে? অবাক হয়ে।
~ গার্লফ্রেন্ড মানে মেয়ে বন্ধু আমরা এক সাথে পড়ালেখা করি।
~ ওহহ তাই বল। আমার একটা হেল্প করে দে?
~ কি হেল্প?

~ ওই বাসায় তোর নিলা আপুকে গিয়ে বল নিচে আসতে?
~ পারবো না আমি?
~ আচ্ছা আমি তোর আব্বুকে গিয়ে বলবো আপনার ছেলেকে দেখলাম মানুষের ফ্ল্যাটে উকিচুকি দেয়। আর তোর আব্বুর সাথে আমার অনেক খাতির।

~ আচ্ছা ভাই যাচ্ছি। আর থ্যাংস
~ থ্যাংস কেন?
~ আমাকে ভিতরে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। কেউ ধরলে বলবো আপনি পাঠাইছেন।
~ আচ্ছা বলিস। যা এবার বাপ।

পিচ্ছিটা চলে গেল। মনে মনে ভাবতেছি। কি যুগ আইলোরে ভাই মায়ের পেট থেকে ফোটার আগেই প্রেম করা শুরু করে দিছে। পিচ্ছির মত বয়স থাকতে মোবাইল কি চিনতাম ই না। ক্যালকুলেটর দিয়ে হ্যালো হ্যালো করতাম। না এভাবে চলতে থাকলে আগামি একশ বছর পর শুনা যাবে। মায়ের পেটে গর্ভ অবস্থায় থাকতে ছেলের জন্য সুন্দর গফ ম্যানেজ করতে না পারায়। ছেলে আর পৃথিবীর মুখ দেখল না। পরপারে চলে গেল।

আমি দাড়িয়ে এসব ভাবতেছি। আমার ক্রাশ নিলা আপু এদিকে আসতেছে। যে আগে ক্রাশ আপু ছিল। এখন থেকে ক্রাশ আন্টি হয়ে যাবে। ক্রাশ আন্টি আমার কাছে আসতেই। আমি বললাম,
~ আস্সলামুআলাইকুম আন্টি?
~ ঠাস ঠাস ঠাস।

~ ও মাগো। আমার গালটা গেল। এত জোড়ে কেউ মারে?
~ তোরে যে জুতা খুলে পিঠায় নাই। সেটাই তোর ভাগ্য?
~ কেন আই কিচ্চি?

~ তুই আমাকে আন্টি ডাকতেছিস কেন? আমি কচি একটা মেয়ে আমার সাথে আন্টি ডাক যায়?
~ আসলে আন্টি ডাকার পিছনে বিরাট একটা কারন আছে?
~ কি কারন। জুতার বাড়ি খাওয়ার আগে বল?
~ বলতেছি ওয়েট। তুমি আগে ফুসকাটা খাও? (আসার সময় এটা নিয়ে আসছিলাম)

~ ওয়াও তুই ফুসকা নিয়ে আসছিস? দে দে তারাতারি দে?
~ ওকে নাও। অনেকগুলো নিয়ে আসছি?
~ ফুসকা খেতে খেতে বলল,। তুই কি বলতে আসছিস বল?
~ আসলে সবাই তো ভালোবাসা চায় তাই না?
~ হুম। চাই তো। আমিও চাই?

~ তুমি যেমন আমাকে ভালোবাসো তেমনি তোমাকে অন্যকেউ ভালোবাসে। তাই তোমার উচিত ওনাকে মেনে নেওয়া?
~ অনেকেই তো আমাকে ভালোবাসে। কিন্তু তুই কার কথা বলতেছিস?
~ আরে রফিক আংকেল আছে না? ওনি তোমাকে অনেক ভালোবাসে?

~ আলভীইইই তুই কি বলিস? ওই বুইড়া বেটা আমাকে ভালোবাসে। আমার পিছনে কত সুন্দর ছেলে ঘুরে তুই জানিস না?
~ হুম আপু জানি। বাট সুন্দর ছেলে দিয়ে কি করবা? তোমাকে সুন্দর ছেলের কথায় উঠতে বসতে হবে? আর ওনাকে ভালোবেসে বিয়ে করলে ওনাকে তোমার কথায় উঠাতে বসাতে পারবা? বয়স্ক ছেলেরা বউ এর কথায় উঠে বসে। তোমার কপাল খুলে যাবে।

~ তবুও আমি পারব না। ওনার বুড়ি কতটা বড়? আর বয়স ও বেশি?
~ আরে প্রেমের সময় কম কম খেতে বলবা। বুড়ি কমে যাবে। আর সব টাকাও তোমার নামে লিখে দিবে। এইযে ফুসকাটা খাচ্ছো এটাও ওনার টাকায়?
~ আচ্ছা আমি দুই মিনিট ভাবি।
~ ওকে ভাবো

দুই মিনিট পর বলল,,
~ তুই ঠিকই বলছিস। আমি রাজি। বাট ওগুলোর জন্য আমি রাজি হয়নি। আমি রাজি হয়ছি একটা কারনে
~ আপু কি কারনে?

~ ফুসকা আমার ফেভারিট খাবার। ওনি আমাকে ফুসকা খেতে দিছে। তাই রাজি হয়ে গেছি।
~ লও ঠ্যালা। ফুসকার কারনে প্রপোজাল এক্সেপ্ট করে ফেলছে।

কেউ কাওকে প্রপোজ করলে ফুসকা দিয়ে কইরেন। হয়তো কপাল খুলে যেতে পারে। আমি আবার নিলাকে বললাম,
~ আপু এখন বুজছেন আগে কেন আন্টি বলছি? আর এখন থেকে আন্টিই ডাকবো?
~ ওকে ডাকিস।

~ কিন্তু গাল দুইটা লাল করে ফেলছেন?
~ আই। বলেই গাল টেনে দিল।

তারপর ক্রাশের ওখান থেকে আংকেল এর কাছে আসলাম। আসতেই বললাম,
~ আংকেল টাকা লাগবে?
~ তোমাকে কতবার বলছি বন্ধু বলবা। তা কাজ হয়ছে?
~ টাকা লাগবে?

~ কত?
~ বিয়ার এর দাম দিলেই হবে?
~ ওকে এই নাও?
~ হুম দিন?

~ এখন বলো কাজ হয়ছে কিনা?
~ হুম পুরোপুরি হয়ে গেছে। এখন কল দেন?
~ ওকে

আংকেল মানে বন্ধু ড্যান্স দিতে দিতে চলে গেল। দেখলাম ফোনটা বের করে নিলাকে কল দিতাছে। আমি ও বন্ধুদের কাছে চলে গেলাম। আড্ডা দিয়ে বিকালে বাড়িতে গেলাম।

বাড়িতে গিয়ে দেখলাম। মিম সেজে আছে। আজকে নীল শাড়ি পরছে চোখে কাজল কপালে কালো টিপ। ঠোঠে হালকা লিপস্টিক। ওকে দেখে প্রেমে পরে গেলাম। মেয়েটা এমনিতেই অনেক সুন্দর। আজকে শাড়িতে আরো সুন্দর লাগতেছে। একবারে পরীর মত। নীল পরী যেটাকে বলে।

আমি রুমে বসে আছি। তখন মিম এসে আমাকে বলল,
~ আমাকে কেমন লাগতেছে? হাসি মুখে।
~ ভূতের মতো। ভুত ও এর চেয়ে সুন্দর?
~ হাসি মুখটা মলিন হয়ে গেল। ওহহ আমি তো ভুতের মতই। আজকের এই দিনেই তুমি আমাকে প্রপোজ করছিলা মনে আছে? তাই আজকে শাড়িটা পড়ছিলাম। আচ্ছা খুলে ফেলব। আগে তো খুব বলতা স্পেশাল দিনগুলোতে শাড়ি পরবা?
~ আমি কি জানতাম নাকি। শাড়িতে ভুতের মত লাগে?

মিম কান্না করে চলে গেল। আমার ও কষ্ট হলো। কারন ওরে কষ্ট দিলে আমার ও অনেক কষ্ট লাগে। হয়তো ভালোবাসতাম বলেই।

আর আমাদের দিন এভাবেই যেতে লাগল মিম আমাকে অনেক কেয়ার করে। বাট আমি মিমকে অনেক অবহেলা করি। যাস্ট ওকে কষ্ট দেওয়ার জন্য। ওকে নানা ভাবে অপমান করি। ইদনীং মিমের চেহারাটা আগের মত নেই। আমার সাথে কথা বলল,েই অপমান করি। রাতে হুদাই কল দিয়ে কথা বলি। যাতে মিম বুজে

প্রিয়জন রেখে অন্য জনের সাথে কথা বলল,ে কতটা কষ্ট হয়। রাতে বুকে মাথা রেখে ঘুমাতে চাইলে দুরে ঠেলে দেই। অনেক কষ্ট দেয়। অনেক ইগনোর করি। আগের মত বেশী কথা বলি না। এসব করে যে আমার কষ্ট হয়নি তা কিন্তু না আমার ও অনেক কষ্ট হয়ছে। দেখতে দেখতে চারটা মাস চলে গেল। আব্বু আম্মু কিছুটা বুজে ফেলছে আমাদের সম্পর্কটা

এর পরে আমার অনেক জ্বর হয়ছিলো। মিম সারাটা রাত না ঘুমিয়ে আমার মাথায় পানি দিছে। যতদিন জ্বর ছিল একটা রাত ও ভালো করে ঘুমাইনি। সারাটা রাত নির্ঘুম ছিল। সকালে যখন আমার ঘুম ভাঙত তখন দেখতাম মিম আমার মাথার পাশে বসে ঘুমাচ্ছে। কি জানি কি কারনে? আমার ঘুম ভাঙার সাথে সাথে মিমের ঘুম ভেঙে যেত। আবার আমার সেবাযত্ন শুরু করত।
কিছুদিনের মধ্যই সুস্থ হয়ে ওঠি।

এর মাজে ক্রাশ আর আংকেলের অনেক জগড়া হতো সেগুলাও সলভ করে দিতাম। মাজে মাজে ক্রাশের চড় ও খাইতে হইছে।
বিকেলে নদীর পাশে বসে আছি। ভাবতেছি মিমকে মেনে নিব। কিন্তু কোনদিন মেনে নেওয়া যাই? ওহহ পাইছি মিমকে আমার জন্মদিনেই মেনে নিব। এর আগে কঠোর হয়ে থাকব এর ভিতরে আরেকটু শাস্তি দেই। বুজুক আমার কতটা কষ্ট হয়ছিলো। অবশ্য অনেকটা বুজতে পারছে। অনেক অপমান করছি। শুধু একটা কথাই বলত যতই অপমান কর আমি কখনো ছেড়ে যাব না।

এর ভিতরে অনেক কাহিনী হয়ছে। আজকে সেই কাঙ্ক্ষিত দিনটা এসে পড়ল। হুম আজকেই আমার জন্মদিন। আমার জন্মদিনে মিম রাতেই উইশ করল। আমি কিছু না বলেই ঘুমিয়ে পড়লাম। ঘুম থেকে ওঠে যা হলো


পর্ব ১৪ (সমাপ্ত)

এর ভিতরে অনেক কাহিনী হয়ছে। আজকে সেই কাঙ্ক্ষিত দিনটা এসে পড়ল। হুম আজকেই আমার জন্মদিন। আমার জন্মদিনে মিম রাতেই উইশ করল। আমি কিছু না বলেই ঘুমিয়ে পড়লাম। ঘুম থেকে ওঠে যা হলোতা হলো

সকালে বাইরে গেলাম। বন্ধুদের সাথে বসে আছি। সবাই আমাকে শুদ্ধ ভাষায় উইশ করল। শুদ্ধ ভাষা বলতে এগুলো বুজাইছি। হ্যাপি পয়দা দিবস। হ্যাপি ডাউনলোড ডে। আর বন্ধুরা বলতে লাগল
~ দোস্ত আজকে পার্টি দিতে হবে?
~ আমার কিউনি দুইটা বিক্রি করে দে?
~ কেন?

~ আমার কাছে একটা টাকাও নাই। বাংলাদেশে দুইটা ফকির থাকলে আমি তার মধ্য অন্যতম।
~ আচ্ছা থাকলেও তো তুই দিবি না। সবাই মন খারাপ করে বলল,।
~ আচ্ছা যা দিব। রাতে পার্টি হবে।
~ ওকে ব্রাদার।

তারপর অনেকক্ষণ আড্ডা দিতে লাগলাম। পরে আংকেলের ফোন..
~ এই আলভী কই তুমি?
~ কেন। কি হয়ছে?

~ তোমার আন্টি রাগ করছে। রাগ ভাঙাতে পারতেছি না।
~ আংকেল আজকের মত আমাকে মাফ করেন। আজকে আমার পয়দা দিবসে চাই না আপনার গফ এর চড় খাইতে।

~ প্লিজ আলভী। নাহলে আমি মরে যাব। চিঠি লিখে যাব আমার মরার জন্য। আলভী প্লাস নিলা দায়ী।
~ দূর মিয়া। আপনার সাথে কথা বলাটাই ভুল। কি জন্য যে আপনাকে লাইন করায়া দিছিলাম। আচ্ছা যাচ্ছি?
~ সুন্দর ভাবে বুজায়ো?
~ ওকে।

বন্ধুদের কাছে থেকে বিদায় নিয়ে। নিলার বাসার সামনে গেলাম। সুখে থাকলে ভুতে কিলায়। এখন হারে হারে টের পাচ্ছি। নিলা আন্টি কে কল দিলাম
~ হ্যালো আন্টি?

~ হ্যালো। কি জন্য কল দিছিস বল?
~ আজকে আমার ডাউনলোড দিবস। হ্যাপি বার্ড ডে টু মি?
~ ওকে হ্যাপি বার্ডডে
~ আমি বাসার সামনে দাড়িয়ে আছি নিছে আস?
~ ওকে আসতেছি।

নিলা সামনে আসল। আসতেই আমি বললাম,
~ দুই গালে হাত দিয়ে বললাম,। আজকে কি জন্য জগড়া করছো?
~ দুই গালে হাত দিয়ে আছিস কেন?

~ যতবারই কারন জিজ্ঞেস করছি। গাল দুইটা টমেটো করে দিছো৷ এখন সেই টমেটো থেকে গালকে রক্ষা করার জন্য এই নিন্জা টেকনিক।
~ ওহহ এখন এমন জায়গায় মারব না বাবা হতে পারবি না৷ তুই হালা আমাকে একটা ছ্যাচড়া সাথে প্রেম করায়া দিছস?

~ আন্টি তোমার মুখ দিয়ে এত মধু বের হচ্ছে কেন? আর আংকেল কি করছে?
~ আরে গেছি রেস্টুরেন্টে। বলে আমি কেন এত ময়দা মেখে আসছি? ওনি আমার মেকাপ কে অপমান করছে। তাই ব্রেকাপ করে দিব

~ আরে আন্টি তুমি ন্যাচারাল অনেক সুন্দর। মেকাপ করলে কেমন জানি লাগে? মেকাপ ছাড়াই যেই চেহারা তোমার যে কোনে ছেলে প্রেমে পরে যাবে।
~ ওমা সত্যি বলছিস?

~ হুম আন্টি। আংকেল তো তোমার ভালোর জন্যই বলছে?
~ কথাটা অবশ্য মন্দ বলিসনি। আসলে লোকটা ছ্যাচড়া হলেও আমাকে অনেক ভালোবাসে। তখন তোর মত বুজিয়ে বলল,েই হতো?

~ আসলে অতিরিক্ত ভালোবাসার ফলে সব গুলিয়ে ফেলে। একটা বলতে গিয়ে আরেকটা বলে।
~ আচ্ছা আমি কল দিব নে। তুই বুইড়াটাকে কিছু শিখাইস?
~ লে হালুয়া। নিজের বয়ফ্রেন্ড কে বুইড়া বলে।

আমি বাসায় চলে আসলাম। ফ্রেশ হয়ে খেয়ে ঘুম দিলাম। বিকেলে ওঠলাম।

বিকেলে বসে বসে ভাবছি৷ আজকে মিমকে যেহেতু মেনে নিব। তার জন্য কিছু গিফট কিনা দরকার। যাই গিফট কিনে নিয়ে আসি।

মার্কেটে গেলাম। একা একা ঘুরতেছি কি কিনব বুজতেছি না। তখন ঘুরতে ঘুরতে রাফির বোনের সাথে দেখা। দেখেই আমাকে বলল,,
~ ভাইয়া।
~ আমার কলিজাটা ছ্যাত করে ওঠল। এতো মধুর সুরে কে আমাকে ভাইয়া ডাকে? আশে পাশে তাকাচ্ছি।
~ এইযে এখানে আমি। এইযে এখানে?

~ ওহহ রাফির বোনকে দেখতে পেলাম। কাছে গিয়ে বললাম,তুমি এখানে কি কর?
~ আরে ভাইয়ু আমি মার্কেট করতে আসছি। আপনি কিজন্য আসছেন?
~ আমিও তোমার ভাবীর জন্য কিছু গিফট কিনতে আসছি।

~ ওহহ ভালোই। তা এভাবে ঘুরাঘুরি করছেন কেন? কিছুই তো কিনলেন না?
~ আরে পছন্দ করতে পারতেছি না। ছোটবোন যদি কিছু মনে না করো আমাকে হেল্প কর একটু?
~ আচ্ছা ভাইয়া আসেন। আমি পছন্দ করে দিচ্ছি?
~ ধন্যবাদ ছোটবোন?
~ হুম ধন্যবাদ লাগবে না।

মেয়েটা অনেক কিছু পছন্দ করে দিচ্ছে। একটা নীল শাড়ি কিনল। নীল চুড়ি। নুপুর আরো কতো কি? এগুলা কিনার সময় অনেক হাসাহাসি করছিলাম। এটা মিম দেখে ফেলছে। মিম ও আমার জন্য গিফট কিনতে মার্কেটে আসছিলো? মিম যে আমাকে দেখে ফেললেও আমি তখনো মিমকে দেখি নাই।

মিম আমাকে অন্য মেয়ের সাথে দেখে বাসায় চলে গেল। ওখান থেকে কাওকে কিছু না বলেই ঢাকায় চলে গেল।

আমি এদিকে হাসিমুখে মিমের জন্য গিফট কিনেই যাচ্ছি। কারন আজকে রাতেই সব দুঃখ দূর হয়ে যাবে।
অনেক গুলো গিফট কিনে ফেলছি। আমি ছোট বোনকেও একটা শাড়ি গিফট করলাম। কারন অনেক কষ্ট করছে আমার সাথে।

শাড়ি পাওয়াতে মেয়েটা অনেক খুশিই হলো। আমি গিফটগুলো একটা জায়গায় রেখে দিলাম। এখন বাসায় নিয়ে যাওয়া যাবে না। রাতে দিব আর বুকে টেনে নিব।

রাতে বন্ধুরা বন্ধুদের সাথে পার্টি শেষ করে। বাসায় গেলাম গিফট নিয়ে। বাসায় যাওয়ার পর কাজের ছেলেটা দরজা খুলে দিল। আমি অনেকটা অবাক হয়ে গেছি। কারন মিম সব সময় দরজা খুলে দিত। আমি যতই দেরি করে ফিরতাম না কেন।

আমি মনে মনে ভাবলাম হয়তো অসুস্থ তাই রুমে শুয়ে আছে। আমি হাসিমুখে রুমে গেলাম। রুমে গিয়ে মিমকে পেলাম না। ডাক দিলাম মিম। এই মিম। কোনো সারা শব্দ পাচ্ছি না। আব্বু আম্মুও কোনো কথা বলছে না। আমার চোখ গেল বিছানায়। বিছানাতে একটা চিঠি পেলাম৷

মনে মনে ভাবলাম। হয়তো সারপ্রাজই দিবে। হয়তো চিঠিতে লিখা আছে ছাদে আসো। আমি হাসি মুখেই চিঠিটা খুললাম। চিঠিটা পড়া মাএই অজানা এক অভিমান এসে ভর করল। কারন চিঠিতে লিখা ছিল।

জন্মদিনের শুভেচ্ছা নিও। যখন তুমি এই চিঠিটা পড়বা আমি তোমার থেকে অনেক দূরে। তুমি তো এটাই চেয়েছিলে আমি যেন তোমাকে ছেড়ে চলে যাই। খুব বিরক্ত ছিলা আমার উপর। আর কখনো বিরক্ত করবো না। আজকে যখন দেখলাম তুমি অন্য একটা মেয়ের হাত ধরে মার্কেটে ঘুরছো। তখন অনেক কষ্ট

হয়ছিলো। আমি তোমাকে অন্যকারো সাথে সহ্য করতে পারিনা। আসলে তুমি আমার সাথে সুখী ছিলা না। তোমার মনে ভালোবাসা জন্মাতে পারিনি। তাই অন্য মেয়ের হাত ধরে ঘুরে বেড়াও তোমার মূল্যবান সময় করছি। এই সময় তো মেয়েটার সাথে ফোনে কথা বলতা। আজকেই শেষ। আর কখনো তোমার সামনে আসবো না ডিস্টার্ব করব না সারাটা দিনের হিসাব চাইবো না। জানো অনেক প্লান করে বিয়ে

করছিলাম। বাট সফল হতে পারলাম না। পুলিশ অফিসারটা আমার খালাতো ভাই ছিল। পরে ওনাকে সব বুজায়া বলছিলাম আর ওনিই আমাদের বিয়ে টা পড়িয়ে দিছিলেন। আচ্ছা এত কিছু করেও তোমাকে পেলাম না। তুমি ভালো থেকো। তুমি ভালো থাকলেই আমিও ভালো থাকব। তোমার সুখেই আমার সুখ। শেষ একটা অনুরোধ তোমার জন্য একটা নিল পাঞ্জাবি কিনছি ওটা পইরো। বাই। আল্লাহ হাফেজ।

চিঠিটা পড়ে হাসব না কাদব। কোনোটাই বুজতে পারছি না। ভাবছিলাম আজকেই বুজি তোমাকে ভালোবেসে বুকে জড়িয়ে নিব। আর তুমি কিনা ভুল বুজেই চলে গেলা।

অনেক অভিমান ভর করতেছে। আমার কাছে একটা বার জানতে ও চাইতে পারত৷ আমিই বলে দিতাম আর ওরই বা দোষ কোথায়? আমি প্রত্যকদিন হুদাই ফোন দিয়ে কথা বলতাম। আর এসময় অন্য একটা মেয়ের সাথে দেখলে এগুলা ভাবা স্বাভাবিক।

রাতটা এভাবেই কেটে গেল। সকালে ওঠে আব্বু আম্মু জানতে চাইল কি হয়ছে আমাদের মাঝে। পরে আমি বললাম, একটু জগড়া হইছে। আব্বু বলল,
~ তুই যদি বউকে নিয়ে না আসতে পারিস। তোর কোনো জায়গা হবে না। এখন বেড়িয়ে যা।

আমি বাসা থেকে চলে আসলাম। দূর ভাল্লাগে না। মিমকে অনেক বেশি মিস করতেছি। অর কেয়ারিং গুলো আরো বেশি মিস করি। আসলে ওর কেয়ারিং গুলো কখন থেকে ভালো শুরু করেছিল বুজতেই পারিনি। সারাক্ষণই মিমের কথা মনে পরে। এভাবপ দুইটা দিন কেটে গেল।

আর থাকতে পারতেছিনা। যেভাবেই হোক মিমকে ফিরে পেতেই হবে। তাই ওকে ফিরিয়ে আনতে ওর দেওয়া পান্জাবী পরেই ওর বাসায় রওনা দিলাম।

অনেক্ক্ষণ পর মিমের বাসায় গেলাম। যেতেই মিমের মা আমাকে জিজ্ঞেস করলো
~ কেমন আছো?
~ জ্বি ভালোই। আপনি কেমন আছেন?

~ ভালো। মিমের সাথে কি তোমার কিছু হয়ছে?
~ ইয়ে মানে একটু জগড়া হয়ছিলো।
~ তাইতো মেয়েটা দুইদিন ধরে কিছু খাই নাই। শুধু কান্না করে। জিজ্ঞেস করলেও কিছু বলে না।
~ আচ্ছা মিম এখন কোথায়?

~ এখন দেখলাম ছাদে গেছে।
~ আচ্ছা আমি আসতেছি।

আমি ছাদে গেলাম। গিয়ে দেখি মিম দাড়িয়ে আছে। কেমন রোগাটে লাগতেছে। আমি পিছনে ওর ঘাড়ে হাত দিলাম। আর বলতে লাগলাম
~ আমি কামিং বউ?

~ আমার দিকে চেয়ে মুখটা ঘুরিয়ে ফেলল।
~ কি হলো কথা বলো। দেখো ওই মেয়েটা রাফির বোন ছিল। আর তোমার জন্য গিফট কিনার জন্য ওই মেয়েটাকে সাথে নিছিলাম। এছাড়া আর কিছু না।
~ অন্যদিকে চেয়ে আছে।

~ আরে কিছু তো বলো? বলবা না তো?

মিম যেই রিয়েক্ট করতেছে কি করবো? ওহহ মনে পড়ছে মিম একবার বলছিলো জগড়া হলে লিপ কিছ করলেই সব মিটে যাবে। তাই আমি মিমকে জড়িয়ে ধরে লিপ কিস করে দিলাম। মিম তখন ছুটার জন্য চেষ্টা করতাছে। অনেক্ক্ষণ পরে ছাড়লাম ছাড়া পেয়ে হাফাতে হাফাতে বলল,
~ এভাবে কেউ কিস করে?

~ হুম আমি করি? কথা বলো না কেন?
~ তোমার সাথে কোনো কথা নাই। তুমি আমাকে শুধু কষ্ট দাও
~ হইছে বেবি আর রাগ করতে হবে না। তোমাকে অনেক বেশি ভালোবাসি তাই চলে আসছি।
~ ওহহহ ভালো তো। এতদিন ভালোবাসা কোথায় ছিল?

~ হালকা বাতাসে ভালোবাসা আকাশে।
~ তোমার ফাজলামো এখনো কমে নাই?
~ না গো আমার ফুসফুস। বউ দাওনা?
~ কি দিব?

~ তোমার লিপটা।
~ পারবো না। কষ্ট দাও সময় মনে থাকে না? এখন এসব কিছুই হবে না?
~ ওকে তাইলে আর কি অন্যকারো কাছে যাই?

~ ঠ্যাং ভেঙে ফেলব। এতগুলো দিন অনেক কষ্টে ছিলাম। এখন কথার অবাধ্য হলে বাবা হতে দিব না। এই বৃষ্টি আসতেছে রুমে চলো?
~ আরে কই যাও। বৃষ্টিতে ভিজবো।
~ জ্বর আসবে তো।
~ আসুক ক্ষতি নেই।

দুইজন দুইজন কে জড়িয়ে ধরে অনেক্ষন বৃষ্টিতে ভিজলাম। ভিজে রুমে চলে আসলাম। এখন বউয়ের সাথে এই বৃষ্টির দিনে একটু ইয়ে করে নেই। এখন যদি বাবা না হতে পারি। ফিউচারেও পারবো না। এই মিয়ারা যান আপনারা। আমাকে বাবা হতে দেন। আর নেক্সট স্টোরি পড়তে আইসা পইরেন। পূর্নতা পেল আরেকটা ভালোবাসার গল্প।

লেখা – আবিদ কাওছার

সমাপ্ত

(পাঠক আপনাদের ভালোলাগার উদ্দেশ্যেই প্রতিনিয়ত আমাদের লেখা। আপনাদের একটি শেয়ার আমাদের লেখার স্পৃহা বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। আমাদের এই পর্বের “একটি বিষাক্ত প্রেমের সম্পর্ক – X Girl Friend Story” গল্পটি আপনাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন। পরবর্তী গল্প পড়ার আমন্ত্রণ জানালাম। ধন্যবাদ।)

আরো পড়ূন – মাঝপথে – Notun sad love story Bangla

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *