শাশুড়ি-নির্যাতন

শাশুড়ি নির্যাতন – শাশুড়িকে উচিত শিক্ষা দেয়া

শাশুড়ি নির্যাতন – শাশুড়িকে উচিত শিক্ষা দেয়া: অফিসে যাবার পূর্বে আমার বউ মালিহা আমাকে থামিয়ে দিলো৷ সে আমার ডান হাতটা ধরে হিমশীতল কন্ঠস্বরে বলল, “এই শোনো পলাশ, তাড়াতাড়ি অফিস থেকে ফিরবে। তোমাকে নিয়ে একটা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ পারসোনাল কাজ করবো!”

বউয়ের গোয়েন্দাগিরি

বউয়ের কথা শুনে ভেতরটা ঝাঁকি মেরে উঠলো, সেইসাথে বুকটা ধারাক করে উঠলো৷ হকচকিয়ে গেলাম এবং বউয়ের মায়াভরা চেহারার দিকে নিষ্পলক তাকিয়ে রইলাম অবাক চোখে৷ ভাবলাম, বউ কি এমন বিশেষ কাজ করার কথা বলছে? বিষয়টা তো বেশ লজ্জাজনক৷ লজ্জা পেলাম আমি৷ ভ্রু নাড়িয়ে তাকে বললাম-
পলাশঃ কি কাজ করবে?
মালিহাঃ সেটা অফিস শেষ করে বাসায় ফিরলেই জানতে পারবে!
পলাশঃ এখন বললে কি হবে?
মালিহাঃ এখন বলা যাবেনা!
পলাশঃ কেন বলা যাবেনা?
মালিহাঃ আরে যাও তো অফিসে!
পলাশঃ না, বলো আগে, না বললে যাবোনা৷
মালিহাঃ বোকা, বিষয়টা চমকীয়! এখন সেটা বললে চমকটা আর থাকবেনা৷
পলাশঃ কি, কোনো রোমান্টিক বিষয় নাকি?

বউয়ের চেহারা মুহূর্তেই পাল্টে গিয়ে রক্তবর্ণ হলো৷ রেগে গেলো সে। অগ্নিশর্মা চেহারা নিয়ে গরম চোখে তাকিয়ে নাক উঁচিয়ে বলল,
“ধ্যাত্তেরি, শুধু আজেবাজে চিন্তাভাবনা! তিন পর্যন্ত গণনা করবো, এর আগে যদি বাসা থেকে না যাচ্ছো তবে তোমার খবর করে ছাড়বো।”

বউয়ের কথা শুনে ঢোক গিলে কাচুমাচু করতে করতে বাসা থেকে বের হয়ে গেলাম!

শাশুড়ি বউয়ের অভিমান

অফিস থেকে ফিরতে ফিরতে রাত ৯টা বেজে গেলো৷ বাসায় ফিরে বউয়ের সঙ্গে ডাইনিং টেবিলের চেয়ারে বসে খাবার খাওয়া শুরু করলাম৷ বুঝলাম না, আজকে আম্মু খাবার টেবিলে কেন এলোনা? বউয়ের সাথে ঝগড়া হলো নাকি? কিন্তু আম্মুর সাথে মালিহার সম্পর্ক তো ঠিক বান্ধবীর মত৷ নাহ ভেবে পাচ্ছিনা কিছু৷ বউকে আম্মুর কথা বললে সে বললো আম্মু খাবেনা৷ কিন্তু কেন খাবেনা এর উত্তর জানতে পারলাম না? আম্মুকে ডাকবো কি ডাকবো না বুঝতে পারলাম না৷

শেষপর্যন্ত আম্মুকে ডাকলে আম্মু জবাব দিলো ক্ষুধা নেই৷ বুঝতে পারলাম মালিহার সাথে কিছু হয়েছে৷ খাওয়া দাওয়া শেষ করে বেডরুমে গেলাম৷ মালিহা বেড রুমে ঢুকেই দরজাটা ধারাম করে বন্ধ করে দিলো!

অতঃপর আমার কাছাকাছি এসে ফিসফিস করে বলল,
মালিহাঃ তুমি কি রেডি আছো তো সেই কাজটি করার জন্য?
হকচকিয়ে উঠে বললাম-
পলাশঃ কোন কাজটা?
মালিহাঃ ওহ, বলা তো হয়নি। তবে শোনো কাজটা কি- তোমাকে মেয়ে হয়ে যেতে হবে৷ আর আমি হবো ছেলে!

বউয়ের আদেশ

বুকের ভেতরে কে যেন হাতুড়ি পিটিয়ে ঘন্টা বাাজাতে লাগলো৷ বউয়ের কথা শুনে আকাশ থেকে এমনভাবে পড়লাম যে মরলাম না, শুধু বেহুশ হবার মত অবস্থা হলো৷ হতভম্বের চোখে বউয়ের দিকে তাকিয়ে হতবুদ্ধি আমি বিস্ময়ের কন্ঠস্বরে বললাম-

পলাশঃ কি বলছো এসব? আমি মেয়ে হবো কেমনে?
বউ চোখ গোলগোল বানিয়ে বলল-

মালিহাঃ বোকা, তুমি মেয়ে সাজলেই মেয়ে হতে পারবে৷ এমন কস্টিউম ও মেকাপ ব্যবহার করবে যাতে একদম মেয়ে মেয়ে লাগে৷ আর এখনই তোমাকে শেভ করিয়ে দিবো, যদিও তোমার মুখে কোনো দাঁড়ি, গোফ নেই তবুও শেভ করে নিলে চেহারাটা মেয়েলী মেয়েলী লাগবে৷ তুমি ভাল করে জানো যে আমি ভাল মেকআপ আর্টিস্ট!
পলাশঃ ও আচ্ছা, এই ব্যাপার৷ ঠিক আছে, তোমার কাজটা করতে রাজি৷ কিন্তু, এটা করে কি হবেটা কি?
মালিহাঃ কি হবে সেটা পরেই জানতে পারবে!
পলাশঃ আচ্ছা, তাহলে শুরু করো।
মালিহাঃ এখন না, কাল সকালে করবো৷ ভাবছিলাম বিকেলের দিকে বাসায় ফিরে আসবে, কিন্তু তুমি তো এলে রাতে৷ এজন্য কাজটা কাল সকালে করবো৷ কাল অফিসে যেতে হবেনা তোমার!
পলাশঃ ঠিক আছে, তাহলে কাল সকালেই কইরো!

আমি বউ সে স্বামী

সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হবার পর মালিহা আমাকে রুমে নিয়ে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিলো৷ এরপর সে প্রথমে আমার ফেস শেভিং করতে লাগলো৷ অতঃপর তার ব্লাউজ, পেটিকোট আমাকে পরতে বললো, পরে নিলাম৷ এরপর সে আমাকে তার গোলাপী রঙের শাড়িটা পরিয়ে দিলো৷ শাড়ি পরা সমাপ্তি হলে মালিহা আমাকে আয়নার সামনে বসিয়ে দিলো৷ বসার পর সে তার মনমতন মেকআপ আমার চেহারায় লাগিয়ে দিলো৷

মেকআপ করা শেষ হলে আয়নাতে নজর দিলাম৷ নিজের চেহারা দেখে নিজেকেই চিনতে পারলাম না৷ একদম আদিদস্ত একটা মেয়েকে আয়নাতে দেখতে পাচ্ছি! ভ্যাঁবাচেকা খেয়ে নিজের নারীরুপী চেহারাটা দেখতে লাগলাম৷ আমাকে নারী সাজিয়ে দেবার পর মালিহা তার গা থেকে শাড়ি, ব্লাউজ সহ যাবতীয় পোশাক বদলে আমার জিন্সপ্যান্ট, গেঞ্জি ও শার্ট পরে নিলো ৷ এরপর চুলগুলো এমনভাবে বাঁধলো যে মনে হলো ছেলেদের চুল৷ সে চেহারাতে ফেক গোঁফ লাগিয়ে নিলো৷ এরপর মুখে এমনভাবে মেকআপ করলো যেন সে পুরুষ৷ দেখে অবাকের শেষপ্রান্তে পৌঁছলাম৷ থ হয়ে গেলাম বউকে দেখে৷

আবেগে আপ্লুত হয়ে তাকে জড়িয়ে ধরতে তীব্র ইচ্ছা হলো, জড়িয়ে ধরতে গেলে সে আমার পেটে ঘুষি মেরে বলল, ‘খবরদার, আজ ভুলেও টাচ করবানা!’ বউয়ের ব্যবহারে ভয় পেয়ে গেলাম৷ ভয়ের আতিসাহ্যে তার থেকে দূরে সরে গেলাম৷ বউ তীক্ষ্ণকন্ঠে বলল-

“এখন রুম থেকে বের হবে৷ কিছুই বলবেনা৷ একদম চুপ থাকবে৷ শ্বাশুরি আম্মা কিছু বললে সেসবের উত্তরে যা বলার আমিই বলবো!”

মিনমিন গলায় বললাম,
“ঠিকআছে, বউ!”

রুম থেকে বের হয়ে ড্রয়িংরুমে ঢুকলাম, ডাইনিং টেবিলের দিকে যেতে কিছু একটা ভাঙার শব্দ কানে এলো৷ লক্ষ্য করে দেখলাম আম্মুর হাত থেকে গ্লাস পরেছে মেঝেতে, এজন্যই বিকট শব্দের সৃষ্টি৷ আম্মু হতবাক হয়ে আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে!

অকস্মাৎ মালিহা আমাকে বলল,
“পলাশ, তুমি বাসায় থাকবে, রান্না করবে৷ আজ ইলিশ মাছের ঝোল রাঁধবে৷ আমি বিকেলে অফিস থেকে এসে তোমার হাতের রান্না করা খাবার খাবো!”

বউয়ের পাগলামি শাশুড়ি অজ্ঞান

মালিহার কথায় বুকের ভেতর ভোঁতা যন্ত্রণা অনুভূত হলো৷ কি বলে সে এসব?

বউকে বললাম,
“মালিহা কি বলছো এসব?”

মালিহা জবাব দিলো- “আমার শ্বাশুরি আম্মা ঝগড়ায় জিততে গি়য়ে বলেছিল, কাজ করে টাকা আনে আমার ছেলে, সেই টাকা দিয়ে খাদ্যদ্রব্য কেনা হয়৷ সেই খাবার খেয়ে তুই বড় বড় কথা বলিস৷ পারলে কাজ করে এনে খেয়ে-দেয়ে গলা বড় করিস!”

এটা ছিল তোমার মায়ের কথা৷ তোমার মায়ের কথামত আমি আজকে অফিসে যাচ্ছি৷ তবে মেয়ের রুপে কাজ করতে যাবোনা। কারণ আমি মনে করি নারীকে ঘরে মানায় অফিসে নয়৷ তাই নারী সাজ বদলিয়ে পুরুষের সাজ নিলাম৷ আর তুমি বাসায় থাকবে, কারণ আমি চাইনা তুমি বাইরে গিয়ে কাজ করো৷ বাসায় থাকবে, বাসার কাজ করবে৷ বাসার কাজ তো নারীরা করে, তাই তোমাকে কাজ করতে হলে নারী হয়ে কাজ করতে হবে! ব্যাস! আমি চাইনা আমার শ্বাশুরি আম্মার কোনো কথার বরখেলাপ হোক”

আম্মু বেহুশ, এদিকে আমিও মেঝেতে লুটিয়ে পরেছি!

লিখা: Sifat Arnab Rehan

আরো পড়ুন: দুষ্টু বউয়ের গল্প – পাগলীটা আমায় খুব বেশি ভালোবাসে

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *