পাগলী তোকে বড্ড বেশি ভালোবাসি – গল্প ভালোবাসার গল্প

পাগলী তোকে বড্ড বেশি ভালোবাসি – গল্প ভালোবাসার গল্প: ছাদের ঐ পাশে এক মেয়ে দাড়িয়ে দাড়িয়ে আমার সিগারেট খাওয়া দেখছে! আমি প্রথমবার হঠাৎ করে মেয়েটার দিকে তাকাতেই! ভয়ে কলিজা শুকিয়ে গিয়েছিলো!


পর্ব: ১

এটা আমার নতুন শহর। এখানে সবাই আমার অচেনা। চেনা শহর টা ছেড়ে এসেছি কারন হলো! ভালো ভার্সিটি তে পড়তে হলে আমার চেনা শহর টা ছাড়তে হবে এবং আমি সেটাই করেছি!

ছোটবেলা থেকে আমি পড়া লেখায় মনোযোগী। স্কুল ‘কলেজে রোল সবসময় ১ থাকতো! স্যার ম্যাডাম রা আমাকে নিয়ে গর্ব করে বলতো! আমি নাকি একদিন অনেক বড় কিছু করে দেখাবো!

সেই একি সপ্ন আমার বাবা, মায়ের সেজন্য একমাত্র ছেলেকে শুধু লেখাপড়ার জন্য দূরে পাঠিয়ে দিয়েছে! যাইহোক, শহর নতুন হলেও প্রথমে আব্বুর এক ফ্রেন্ডের বাসায় উঠলাম!
আব্বু তার ফ্রেন্ডের বাসায় থেকেই লেখাপড়া করতে বলেছে!
আংকেলঃ আন্টিও অনেক ভালো!

আমাকে অনেক আদর করে কারন আমি একটু ভদ্র টাইপের ছিলাম তাই!
আর আমার চোখে সব সময় সাদা এক সানগ্লাস থাকবেই!

অথচ আমার চোখে কিন্তু কোন পবলেম নেই!
তবুও কেমন যেনো ভালো লাগে!
হয়তো এটা ভদ্র ছেলেদের সভাব!
আন্টি আমার রুম দেখিয়ে দিলো!

রুমে গিয়ে আস্তে আস্তে সব গুছালাম!
অগোছালো থাকতে আমার মোটেও ভালো লাগে নাহ্!
দুপুরের খাবার খেয়ে বিছানাতে শুতেই ঘুমিয়ে পড়লাম।”

কারণ সারাদিন অনেক ধকল গিয়েছে!
সন্ধার দিকে ঘুম ভাঙলো।”
আর হ্যা আমি একটু ভদ্র টাইপের হলেও মাঝে মাঝে সিগারেট খাই বাট সিগারেট ছাড়া অন্য কিছু খাই নাহ্! সন্ধার দিকে ঘুম ভাঙতেই।”

বিছানা থেকে উঠে ছাদে চলে গেলাম!
রুমে সিগারেট খেলে যদি বুঝে ফেলে এজন্য ছাদে চলে আসলাম!
মাগরিবের আযান দিয়ে দিয়েছে!

রাতের ঘন কালো অন্ধাকার নামতে শুরু করে দিয়েছে!
বাট পুরোপুরি অন্ধাকার এখনো নামে নি!
আমি ছাদের এক পাশে দাড়িয়ে মনের সুখে সিগারেট টানছি!
সিগারেট শেষ করে যখন নিচে নামতে যাবো!

তখন লক্ষ্য করলাম!
ছাদের ঐ পাশে এক মেয়ে দাড়িয়ে দাড়িয়ে আমার সিগারেট খাওয়া দেখছে!
আমি প্রথমবার হঠাৎ করে মেয়েটার দিকে তাকাতেই!
ভয়ে কলিজা শুকিয়ে গিয়েছিলো!

কারন মেয়েটা এতখন চুপচাপ দাড়িয়ে দাড়িয়ে আমার সিগারেট খাওয়া দেখছিলো!
আর সন্ধার সময় ছাদে মেয়ে দেখে ভেবেছিলাম!
জ্বীনঃ পরী এমন কিছু একটা হবে!
কারন মেয়েটা এত সুন্দর যে হালকা অন্ধাকারের মধ্যেও তার চেহারাতে যেনো নূর ফুটতেছে! এতটা সুন্দর।’

আমি মেয়েটার দিকে তাকাতেই,
মেয়েটা নিচে চলে গেলো!
মেয়েটা হয়তো ফুল গাছ গুলোতে পানি দিচ্ছিলো!
কিন্ত এই মেয়েটা আবার কে?

বাসায় নতুন এসেছি কাকে কি জিজ্ঞেসা করবো!
কে আবার কি মাইন্ড করে!
থাক বাবা এত জিজ্ঞেসা করার দরকার নেই!
আমিও সিগারেট খেয়ে নিচে চলে আসলাম!
রাতের খাবার খেয়ে পড়তে বসবো। এমন সময় আম্মু ফোন করে জিজ্ঞেসা করলো সব ঠিক ঠাক আছে কি’না!

আমি বললামঃ হ্যা সব ঠিকঠাক!
আম্মুর সাথে কথা বলার পর পড়ার টেবিলে বসলাম!
খেয়াল করলাম বইয়ের ভাজে একটা চিরকুট!
যাতে লেখা ছিলোঃ ভদ্র ছেলে ভদ্র ছেলের মত থাকবেন।”ভদ্র ছেলের মুখোশ পরে সিগারেট খান কেনো যাতে কেও না বুঝে তাই নাহ্।”খুব চালাক মনে করেন নিজেকে!
চিরকুট টা পরেই বুঝতে পারলাম!

এটা সেই মেয়ে, মেয়েটা হয়তো এই বাসায় থাকে আমার বিষয়ে সব কিছু যানে, বাট মেয়েটা পাগল!
কারন সিগারেট খাওয়ার জন্য ভদ্র সাজতে হয়না।”আর সিগারেট খেলেই যে ছেলেটা খারাপ এমন টা কিন্তু না”

সিগারেট কখন খায়।”বেশির ভাগ কোন না কোন খারাপ কাজ করে এসে বিপদে পড়ে এরপর টেনশনে সিগারেট খাওয়া শুরু করে।”
তার মানে ছেলেটা সিগারেট খাওয়ার আগে থেকেই খারাপ ছিলো!
যাইহোক মেয়েদের বাজে কমেন্টে মাথা ঘামানোর টাইম নেই!
আমার এখন পড়তে হবে!

হঠাৎ আবার আম্মুর ফোন।”
আম্মু বললো, আন্টির হাতে ফোন দেওয়ার জন্য!
আমি রুম থেকে বেড়িয়ে আন্টির রুমে ঢুকতে যাবো!
দরজার বাহির থেকে শুনতে পেলাম!
আন্টি – আংকেল কে বলছে আমার এত যুবতী এক মেয়ে বাসায় থাকতেও ফারহান কে বাসায় থাকতে দেওয়া টা ঠিক হচ্ছে!
আন্টির কথা শুনে আংকেল ও কথা বলছে নাহ্!
আম্মু তখনো ফোনে ছিলো।”

আমি আমার রুমে এসে আম্মুকে মিথ্যা কথা বললাম: আন্টি বাসায় নেই আসলে আমি ফোন দিবো!
ফোন কেটে দিয়ে ব্যাগ গুছাতে শুরু করলাম!
কারন এই বাসায় আমি থাকি এটা হয়তো তারা চায় না!
বাট কিছু বলতেও পারছে নাহ্!
আব্বুর ক্লোস ফ্রেন্ড তাই।”

যাইহোক আমার তো জ্ঞান আছে!
আজ তো রাত হয়ে গিয়েছে।”আজ তো বাসা ছাড়তে পারবো নাহ্!
কাল সকালে ঘুম থেকে উঠেই চলে যাবো!
তাই ব্যাগ গুছিয়ে রাখছি!

এমন সময় সেই মেয়েটা রুমে আসলো।”
মেয়েটাঃ একি আপনি ব্যাগ গুছান কেনো?
আমিঃ এমনি কাল চলে যাবো এখানে থাকলে আমার লেখা পড়া করতে সমস্যা হবে!
মেয়েটাঃ তাহলে কই যাবেন কোথায় থাকবেন!

খাবেন কী?
আমিঃ আমাকে নিয়ে আপনার এক চিন্তা কেনো হুম?
আর আপনার নাম কি এই বাসায় কি ভাড়া থাকেন নাকি!

মেয়েটাঃ আমার নাম নীলা, আমি আপনার আব্বুর ফ্রেন্ডের মেয়ে!
আমিঃ তার মানে এটা আপনাদের বাসা?
নীলাঃ হুমম!
আমিঃ গুড, কিসে পড়েন।”

নীলাঃ সবেমাত্র পরিক্ষা দিয়ে কলেজে উঠলাম!
বাট করোনাভাইরাস – লকডাউন এসব এর জন্য এখন পর্যন্ত ক্লাস করতে পারেনি!
আমিঃ হুম অপেক্ষা করেন ২০২১ সালে ক্লাস পাবেন!
নীলাঃ ওমা এত লেট!

আমিঃ আচ্ছা আমি এখন আসতে পারেন।”
আপনার আম্মু সন্দেহ করতে পারে!
নীলাঃ কি সন্দেহ করবে আপনি আমার বয়ফ্রেন্ড?
আমিঃ আমি সেটা বলেনি বাট একটা ই আছে না!

নীলাঃ কি আছে না। “আমার আম্মু ওমন না অযথা কাওকে সন্দেহ করে নাহ্!
নীলার কথা শুনে আমি একটু মুচকি হাসলাম!
নীলাঃ এই এই আপনি হাসলেন কেনো!
আমিঃ এমনি আচ্ছা আমি ঘুমাবো সো বায় টাটা!
নীলাঃ ওকে।”

নীলা চলে গেলে আমি দরজা লাগিয়ে দিলাম!
এরপর ওয়ালেট বের করে দেখি ২ হাজার টাকা রয়েছে!
কাল তো আমার বাসা খুজতে হবে।”

এই টাকায় তো হবেই নাহ্!
বাসা থেকে তেমন ভাবে টাকা নিয়ে আসেনি কারন আমি তো আর যানতাম নাহ্!
এই বাসা ছাড়তে হবে!
যাইহোক দেখা যাবে।”
এই ভেবে ঘুমিয়ে পড়লাম।”

সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হয়ে।”ব্যাগ নিয়ে নিচে গেলাম!
নিচে গিয়ে দেখি ওনারা সবাই আমাকে রেখেই নাস্তা করতে বসে পড়েছে!
আমার হাতে ব্যাগ দেখে আন্টি বলল, কই যাও।
আমিঃ এইতো একটু বাহিরে!
আন্টিঃ ওকে যাও।”
সেখানে নীলা ছিলো না।

আর আন্টি আমাকে এক বাবের জন্যও নাস্তা করতে বললো নাহ্!
মানুষ অনেক প্রকার হয়!
এই আন্টি আংকেল যখন পালিয়ে বিয়ে করেছিলো।”
যখন কেও তাদের জায়গা দেইনি তখন সেই বিপদের সময় আমার আব্বু তাদের কে আমাদের বাসায় রেখেছিলো মাসের পর মাস!
আব্বুর কাছে শুনেছি।”

ওনারা নাকি বিয়ের পরও আমাদের বাসায় ছিলো ২ বছরের মত!
এরপর আংকেল ঢাকা জব পেলো টাকা পয়সা হলো এখন তারা এখানে বাসা করে নিয়েছে
বাকিটা ইতিহাস!

আমি বাসা থেকে বের হয়ে সোজা হাটা লাগালাম!
ভার্সিটির আশেপাশে কোন বাসা খুজতে লাগলাম!
বাসা একটা পেয়েছি,

বাট এইটার ভাড়া ৫ হাজার এতটাকা কি ভাবে দিবো!
ঠিক তখন বাসার সামনেই।”২ জন ছেলে এসে আমাকে বললো আপনি নিশ্চয় এই বাসাটা ভাড়া নেওয়ার কথা ভাবছেন, তাই না!
আমিঃ হুম বাট ভাড়া তো একটু বেশি হয়ে যায়!
ছেলেটাঃ তাহলে এক কাজ করি আমাদের ও বাসা লাগবে আমরা এখানে তিনজন আছি এই তিনজন মিলে বাসাটা নিলে টাকা কম খরচ হবে!
আমিও তাদের কথায় রাজি হয়ে গেলাম!

এক জনের নাম ছিলো অভি, অনেক জন আকিব!
এরপর তিনজন মিলে বাসা টা নিয়ে নিলাম!
পকেটে এখন ৫০০ শত টাকা পড়ে রয়েছে! খাবো কি চলবো কি দিয়ে!
বুঝতেছি নাহ্ পড়তে আসছি, নাকি প্যারা খেতে আসছি!


পর্ব: ২

আমিও তাদের কথায় রাজি হয়ে গেলাম!
এক জনের নাম ছিলো অভি, অনেক জন আকিব!
এরপর তিনজন মিলে বাসা টা নিয়ে নিলাম!

পকেটে এখন ৫০০ শত টাকা পড়ে রয়েছে! খাবো কি চলবো কি দিয়ে!
বুঝতেছি নাহ্ পড়তে আসছি, নাকি প্যারা খেতে আসছি!
বাসার ফোন দিলাম টাকা লাগবে টাকা পাঠাও।”
বাসায় বললাম নাহ্ তাদের ঠিক করা বাসা ছেড়ে দিয়েছি!
বাট আন্টি হয়তো বলে দিয়েছে!

এজন্যই অনেক কথা শুনলাম তবুও বললাম না,
কেনো বাসা ছেড়েছি!
বাসা থেকে টাকা পাঠানোর পর,
অভি আর আকিব বললো,

এত টাকা দিয়ে কি করবা ‘ চলো একদিন বসো আমাদের সাথে!
আমিঃ কোথায় বসবো আর কেনো বসবো?
আভি: ঢাকায় নতুন বুঝতে পারছি! ব্যাপার না হয়ে যাবে!
ওরা আমার কাছ থেকে কিছু টাকা নিয়ে,
নেশা করার জিনিস আনলো!

রাতের বেলা তিন জন মিলে নেশা করলাম!
এই প্রথম বার সিগারেট ছাড়াও অন্যসব নেশা করলাম!
ভালোই লাগছে মনে অন্য রকম একটা রোমান্টিক ফিল এসে গিয়েছে!
আমি ওদের বললাম কি জিনিস খাওয়ালে ভাই
পুরাই অস্থির!

এইটুকু বলেই বিছানাতে সুয়ে পড়লাম!
কখন যে চোখ লেগে গিয়েছে বুঝতেই পারেনি!
সকালে ঘুম ভাঙলো অভির ডাকে!

অভিঃ ঐ তুমার সাথে এক সুন্দরী মেয়ে দেখা করতে আসছে!
আমিঃ আরে ভাই সকাল সকাল জ্বালাতোন না করে ঘুমাতে দে তো! আমার সাথে দেখা করতে আসছে তাও আবার মেয়ে! ( ঘমু ঘমু কন্ঠে)
অভিঃ সত্যি রে ভাই।”

হঠাৎ মেয়ের কন্ঠে কে যেনো বলে উঠলো: ফারহান আমি এসেছি!
আমি ডুলতে ডুলতে বিছানা থেকে উঠে বললাম: কে তুমি।”ওহ্ নীলা!
নীলাঃ কি খেয়েছেন আপনি?
আমিঃ কি খাবো খাওয়ার জিনিস খেয়েছি!

নীলাঃ এগুলা কিন্তু ঠিক না, নেশা করে জিবন নষ্ট করে দিতেছেন আপনি!
আমিঃ ও হ্যালো বাপের টাকায় খেয়েছি আপনার কি তাতে।”আর আপনি এখানেই বা কেনো?
নীলাঃ ছিঃ মুখ দিয়ে এখনো বিচ্ছিরে গন্ধ আসছে!
আচ্ছা চলেন আপনি আমাদের বাসায় থাকবেন!
আমিঃ আপনি এখন এখান থেকে যেতে পারেন!

নীলা রাগ করে আমার জন্য যে খাবার গুলো নিয়ে আসছিলো। “সেগুলো ছুড়ে ফেলে দিয়ে বলল আপনি হয়তো যানেন না আপনার ঠিকানা খুজতে কত কিছু করতে হয়েছে।”
আর আপনার এই ব্যাবহার!
আমিঃ খুজতে বলেছে কে?
নীলা আমার কথা শুনে সাথে সাথে চলে গেলো!

আমার কাহিনি দেখো অভি বলে উঠলো:- এত সুন্দরী এক মেয়ের সাথে এমন ব্যাবহার!
অভি কে ধমক দিয়ে বললাম: চুপ!
অভিঃ তুমাকে ওগুলা খাওয়ানো টাই ভুল হয়েছে!
আমিঃ বেশি বকবক করলে লাথি মেরে ছাদ থেকে ফেলে দিবো।
ঘুমাতে দে আমায়!

আমার কথা শুনে অভি ভয় পেয়ে চুপ হয়ে গেলো!
আমি আবারো ঘুমিয়ে পড়লাম।”

একটু পর উঠে ফ্রেস হয়ে ভার্সিটি গেলাম!
গিয়ে দেখি এটা ভার্সিটি না এটা হলো রোমান্টিক পার্ক!
যাদের পার্কে যাওয়ার টাকা নেই তারা হয়তো এই ভার্সিটি এসে প্রেম করে বাহ্!
আমিও ভার্সিটি জয়া নামের শিল্পপতির এক মেয়েকে পটিয়ে ফেললাম!
জাস্ট টাকার জন্য!

মেয়েটাও কেমন! হালকা মিষ্টি কথা বলতেই পটে গেলো!
আর আমি বুঝলাম না একদিন নেশা করে এত মজা পেয়েছি যে অভি কে দিয়ে সে রাতেই আবারো জিনিস আনিয়ে ছিলাম!
বাসা থেকে যে টাকা গুলো দিয়েছিলো সব শেষ!
তাই জয়া কে পটিয়ে নিলাম!

কারন আমার শুধু টাকা লাগবে।”
রিলেশন ভালোই জমে গেলো এক দিনেই!
এরপর থেকে জয়ার সাথে দিন রাত ফোনে মেসেজে, কথা বলতে শুরু করলাম!
কিছুদিন পর জয়া কে বললাম।”

আমার কিছু টাকা লাগবে দিতে পারবে!
জয়াঃ কত টাকা লাগবে বলো বাবু আমি এখনি বিকাশে পাঠিয়ে দিচ্ছি!
আমিঃ বিশ হাজার লাগবে!

জয়াঃ ওকে আমি এখনি পাঠিয়ে দিচ্ছি!
জয়ার সাথে কথা বলা শেষ হওয়ার সাথে সাথে আমার বিকাশে বিশ হাজার টাকা এসে গেলো!
অভিঃ কিভাবে সম্বব?

আমিঃ তোমরা এখনো ছোট খোকা রয়ে গিয়েছো পরের টাকায় জিনিস খেতে শিখো
নিজের টাকা দিয়ে এইসব জিনিস আর খাবো নাহ্!
এরপর রাতের দিকে এক অচেনা মেয়ের ফেসবুক আইডি থেকে মেসেজ আসলো আমি নীলা!
আমিঃ তো কি হয়েছে?
নীলাঃ এমন হয়েছেন কেনো আগে তো এমন ছিলেন নাহ্!
আমিঃ তো!

নীলাঃ তো কিছু না রাতে খাইছেন?
আমিঃ হুম আপনি?
নীলাঃ হুম, আচ্ছা একটা কথা বলি।”
তখনি জয়ার ফোন আসলো।”

নীলাকে বললাম আপনার কথা পরে শুনবো এখন বিজি আছি!
জয়াঃ কি করো বাবু, আচ্ছা টাকা গুলো পেয়েছো?
আমিঃ হুমম পেয়েছি সোনা, তুমি কি করো?
জয়াঃ এইতো তুমার কথায় ভাবছিলাম!
আমিঃ ওমা আমার কথা কি ভাবছিলে!

জয়াঃ আমার আব্বু আম্মু তুমাকে দেখতে চেয়েছে! কবে আসবা?
আমিঃ আরে এখনি নাহ্ আগে দু’বছর জমিয়ে প্রেম করবো এরপর বিয়ে!
জয়াঃ তাই?
আমিঃ হুম তাই।
জয়ার সাথে কিছুক্ষন কথা বলার পর।”
আজকে আর অভিকে পাঠালাম নাহ্!

আমি নিজেই গেলাম জিনিস আনতে।”
কারন এখন আমার কাছেই এসব লিংক এর অভাব নেই!
রাত প্রায় ১০ টা বাজে আমি পিছনে ব্যাগ নিয়ে।”
বাসা থেকে বেড়িয়ে পড়লাম।”
সব কিছু নিয়ে যখন বাসায় ফেরার পথে।”
তখন পড়লাম বিপদে।

আমার থেকে কিছুটা সামনেই কতগুলো পুলিশ দাড়িয়ে রয়েছে!
মনে ভয় ডুকে গেলো!
যদি আমাকে চেক দেয় তাহলে আমি শেষ।”
কি করা যায় এখন।”

সামনের দিকে তাকিয়েই পিছনের দিকে পা ফেলতে ফেলতে শুরু করে দিলাম!
হঠাৎ এক পুলিশের নজরে পড়ে গেলাম।”
পুলিশ টা আমাকে ডাক দিয়ে বললো: এই ছেলে এদিকে আসো!
ভয়ে একদম ঘেমে গেলাম কি করবো এখন,

পিছনের দিকে দৌড় লাগাবো, নাকি!
পুলিশের সামনে গিয়ে দাড়াবো!
কিছুই মাথায় আসছে নাহ্!


পর্ব: ৩

ভয়ে একদম ঘেমে গেলাম কি করবো এখন,
পিছনের দিকে দৌড় লাগাবো!
নাকি!
পুলিশের সামনে গিয়ে দাড়াবো!
কিছুই মাথায় আসছে নাহ্!

সামনে পিছনে কোথাও যেতে পারলাম নাহ্!
এরপর পুলিশ আমাকে সার্চ করে নেশাযুক্ত অনেক জিনিস পেলো।”
আমাকে থানার দিকে নিয়ে যাচ্ছে!
থানায় আসার আগে বাসায় ফোন দিতে চেয়েছিলাম বাট কোন মুখে তাদের এইটা বলবো!
তাই সাহস করে বাসায় ফোন দিলাম নাহ্!

এরপর আমি জয়া কে ফোন দিলাম জয়া আমাকে সরাসরি বলে দিলো: আমি এইসব ঝামেলায় নেই তুমার যা ইচ্ছে তাই করো আমি থানায় আসতে পারবো নাহ্!
কোন উপায় না পেয়ে আমি নীলাকে ফোন দিলাম সব কিছু শুনার পর নীলা বলল আপনি কোন চিন্তা করবেন নাহ্ আমি আব্বুকে নিয়ে আসতেছি!
কিছুক্ষন পর থানার গেইট থেকেই আমাকে ছাড়িয়ে নিলো নীলার বাবা!
থানার গেইটে আমাদের আসার আগেই তারা দাড়িয়ে ছিলো!
এরপর আমাকে নীলাদের বাসায় নিয়ে আসলো!

আব্বু কোথা থেকে যেনো এসব শুনে ঢাকায় আসতেছে!
আব্বু নীলাদের বাসায় আসলো।”
এসেই আমাকে বকাঝকা শুরু করে দিলো!
বাট সব দূষ আংকেল কে দিলো!

আব্বু আংকেল কে বলল: তোকে কত সাহায্য করেছি এত তারাতারি ভুলে যাবি জানতাম নাহ্!
আমার ছেলেকে তোর বাসায় রাখতে বোঝা মনে হয় ওকে সমস্যা নেই আমার ছেলেকে আমি নিয়ে যাচ্ছি!
নীলার বাবা আমার আব্বুর পা য়ে পরে গেলো!
বলল: আমার ভুল হয়ে গিয়েছে আমার বউয়ের কথায় আমি অন্য রকম হয়ে গিয়েছিলাম!
প্লিজ মাফ করে দে!

আব্বু নীলার বাবা কে বুকে জরিয়ে নিয়ে বলল: হুম ওকে বাট আমি ফারহান কে নিয়ে যাচ্ছি এখানে থাকলে ও আরো খারাপ হয়ে যাবে!
আংকেলঃ আরে না এখন থেকে ফারহান কে আমার সাথেই রাখবো আমি চেক দিয়ে দিয়ে রাখবো প্লিজ দোস্ত না করিছ নাহ্!
আব্বুঃ কথা দিলি রাখতে পারবি তো!
আংকেলঃ হুম অবশ্যই!

তখন আব্বু আমাকে নীলাদের বাসায় রেখেই চলে গেলো!
আমার সাথে বেশি একটা কথা বললো না!
আব্বু চলে গেলে আংকেল বলল: আমার তো কোন ছেলে নেই তুমি আমার ছেলের মতই এই বাসায় থাকবে!
তুমার কোন রুম পছন্দ হয়।

সেই রুমেই থাকবে!
আমি বললামঃ আমার নীলার রুম লাগবে!
আংকেলঃ ওকে দিয়ে দিলাম। এই নীলা ফারহান আগে যে রুমে থাকতো সেই রুমে তুই থাকবি কেমন!
এইবলে আংকেল চলে গেলো!

নীলা আমার সামনে আমার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছে!
নীলা ওর রুম নিয়ে দুঃখে ডিপ্রেশনে চলে গিয়েছে!
নীলার চোখ মুখ লাল হয়ে গিয়েছে!
কিছু বলতেও পারছে নাহ্!

নীলা হয়তো মনে মনে ভাবছে: খাল কেটে কুমির এনেছে (গ্রামের প্রবাদ)
যে যাইহোক আমি রুমে গিয়ে নীলার বিছানাতে ধপাস করে সুয়ে পড়লাম!
ইস নীলার রুমের সব জিনিসের মধ্যেই সেই লেভেলের মিষ্টি সুঘ্রাণ আসছে!
নীলা ওর রুম থেকে জিনিস প্রত্র নিতে এলো!

আমি বললামঃ এই এই আমার রুমের জিনিসে হাত দিবেন নাহ্!
নীলাঃ আহা এইটা আপনার রুম তাই নাহ্!
আমার রুম কেড়ে নিয়ে নিজের রুম বানিয়ে ফেলেছেন!
আমার জিনিস আমি নেবো নাহ্!
আমিঃ না কিছু নিতে পারবে নাহ্!

নীলাঃ রুম দিয়েছি জিনিস নাহ্ ওকে!
আমিঃ জিনিস নিয়ে গেলে যে রুম খালি খালি দেখাবে!

নীলাঃ আমার প্রয়োজনের জিনিস দিয়ে আপনি রুম সাজাবেন, আপনি কেমন মানুষ হ্যা!
আমি এক ধমক দিলাম!
নীলা ভয়ে কাঁদতে কাঁদতে চলে গেলো!
নীলার কাহিনী দেখে আমি হাসতে হাসতে বিছানাতে সুয়ে পড়লাম! কিছুখন পর ঘুমিয়ে পড়লাম মধ্য রাতের দিকে ঘুম ভাঙলো নীলার রুমে রাখা এলাম ঘড়িটার জন্য!
হঠাৎ করে নীলার টেবিলের লাইট টা জ্বলে উঠলো!

লাইট টা একদম টেবিলে রাখা একটা ডায়েরীর উপর আলো দিচ্ছে!
আমি বিছনা থেকে উঠে টেবিলে বসে ডায়েরী টা হাতে নিয়ে পড়তে শুরু করলাম!
যদিও কারো পার্সোনাল জিনিস এভাবে দেখা ঠিক নাহ্!

তবুও কৌতুহল বসত ডায়েরী টা খুলতেই ডায়েরী প্রথম পৃষ্ঠা তে আমার কিছু ছবি লাগানো!
এটা দেখে আমি অভাক হয়ে দ্বীতিয় পৃষ্ঠা তে
লেখা: প্রিয় ফারহান।
দিন রাত অনেক ছোট হয়ে গিয়েছে!
নাকি সারাক্ষন তুমার কথা ভাবতে থাকি বলেই,
দিনরাত আমার কাছে অনেক ছোট মনে হয়!

এত কিছু বুঝি আমি তুমাকে ভালোবাসি এই কথাটা তুমাকে অনেক বার বলার চ্রেষ্টা করেছি বলতে পারেনি!
কারন তুমার সামনে যতদিন গিয়েছি ততদিন তুমি আমাকে অপমান করেছে!
তাই আর কিছু বলেনি বাট সত্যি তুমাকে অনেক লাভ করি।”এইটা কবে যে তোমায় বলতে পারবো যানি না!
কিন্তু তুমাকে আমি অন্যের হতে দিবো নাহ্! কারন তুমি আমার ফাস্ট লাভ!

নীলার ডায়েরী থেকে এসব পড়ার পর বিশ্বাস করতে পারছি নাহ্! ডায়েরী তে এটাও লেখা ছিলো:- তুমি হয়তো যানো না ফারহান, রাতের এই সময় আমার রুমের ঘড়ি তে এলাম দেওয়া এলাম বাজার সাথে সাথে টেবিল লাইট টা জ্বলে উঠে!

আমিও ঘুম থেকে উঠে তুমাকে নিয়ে লেখতে বসি!
কারন সারাদিন তুমাকে এত পরিমাণ মিস করি যে লেখালেখি করতেই ভালো লাগে নাহ্!
লেখাটা পড়ে আমি শিহরিত।”

আর এলাম বাজার সাথে সাথে টেবিল লাইট অন হয়ে যায় এটা আবার কোন সাইন্স।”
কাল নীলার কাছ থেকে শুনতে হবে!
আমি আবারো ঘুমিয়ে পড়লাম।”

ডায়েরীর আরো লেখা গুলো পরে পড়ে শুনাবো আপনাদের আগে একটু ঘুমিয়ে নেই!
সকালে ঘুম থেকে উঠার পর নেশা করার পেইন উঠলো।”
কি করবো এখন, আমি নেশার পেইন ছাড়াতে বার বার সিগারেট খেলাম কিন্তু কাজ হলো নাহ্!
এরপর ফ্রেস হয়ে বিছানাতে সুয়ে পড়লাম!
প্রচুর মাথা ব্যাথা করছে!

এমন সময় নীলা আমাকে নাস্তা করার জন্য ডাকতে আসলো!
এসে আমার এ অবস্থা দেখে।”

নীলা আমার পাশে বসে বলল: কি হয়েছে, আপনাকে কেমন যেনো অস্থির অস্তির লাগছে!
আমিঃ হুম এতদিন নেশা করেছি সেই পেইন উঠতেছে!
আমার এই কথা শুনে নীলা ওর উড়না ওর কোমড়েই বেধে নিলো!
আমিত ভয় পেয়ে গেলাম ‘

কারন যে ভাবে নীলা কোমড়ে উড়না বাধলো মারবে না তো আমাকে!
নীলা আমার কাছে এসে আমার মাথা টেনে আমার ঠোঁটে ওর ঠোটঁ লাগিয়ে কিস করে বসল!
ছাড়ছেও নাহ্!

আমিও কিছু বলছি নাহ্ জাস্ট ফিল নিলাম!
হঠাৎ নীলা আমাকে ধাক্কা দিয়ে ছেড়ে দিয়ে নিচে চলে গেলো!
সত্যি কথা বলতে নীলা কিস দেওয়ার পর! নেশার যে পেইন টা ছিলো, সেটা চলে গেলো!
বুঝলাম নাহ্ কিস টা তে কি জাদু ছিলো?


পর্ব: ৪

সত্যি কথা বলতে নীলা কিস দেওয়ার পর! নেশার যে পেইন টা ছিলো, সেটা চলে গেলো!
বুঝলাম নাহ্ কিস টা তে কি জাদু ছিলো?
নিচে গিয়ে নাস্তা শেষ করলাম।”

এরপর ভার্সিটির দিকে যাবো এমন সময় আংকেল বলল: ভার্সিটি যাওয়ার পথে নীলাকে কলেজে নামিয়ে দিয়ে আসতে!
আমি বাহিরে গিয়ে দাড়ালাম।”নীলা আসলো বাট রাস্তায় কোন রিক্সা দেখতে পাচ্ছি না!
নীলাঃ আচ্ছা চলেন আমরা হেটেই সামনের দিকে যাই!
আমিঃ ওকে।”
এরপর আমি আর নীলা রাস্তা দিয়ে পাশাপাশি হেটে যাচ্ছি, নীলা বার বার আমার দিকে তাকাচ্ছে!
আমি বললামঃ আমার চেহারা ভালো নাহ্।”

আমার দিকে এমন ভাবে তাকালে হয়তো আপনার সুন্দর চোখ দুটো নষ্ট হয়ে যাবে!
নীলা হাসতে হাসতে বলল: আপনার দিকে তাকিয়ে থাকলে আমার দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে!
আচ্ছা আপনার নাক এত ঘামে কেনো!
আমিঃ আম্মু বলে বেশি নাক ঘামা ছেলেরা নাকি আদুরে বউ পায়!
নীলাঃ হাহা তাই।

আমিঃ হুম তাই!
নীলাঃ আমার তো নাক ঘামে না তাহলে আমি কি স্বামীর আদর পাবো নাহ্!
আমিঃ নাহ্ তুমি তাহলে খারুচ, বদমাইশ টাইপের স্বামী পাবে!
নীলাঃ হুম আপনাকে দেখে ঐ টাইপের ই বুঝা যায়!
আমিঃ এই এই কি বললে?

নীলাঃ কই কিছু না তো!
আমিঃ আমি কিন্তু শুনেছি ওকে!
নীলাঃ শুনেছেন যখন তাহলে আবার জিজ্ঞেসা করেন কেনো!
আমিঃ এটা আমার স্বভাব আর শুনেন আমি খারুচ হই বা বদমাইশ হয় তাতে আপনার কী?
নীলাঃ আমার অনেক কিছু! থাক আপনার এত কিছু বুঝতে হবে নাহ্!

আমিঃ ওকে বাট এটা বলো আপনি আজ সকালে অনুমতি ছাড়া আমাকে কিস করলেন কেনো?
নীলাঃ কিস করতেও অনুমতি লাগে? কিছুদিন পর শুনবো চেয়ারম্যানের সার্টিফিকেট লাগবে!
আমিঃ ওকে এটাও বাদ দাও এখন বলেন,
রাতের বেলা ঘরিটার এলাম বেজে উঠার সাথে সাথেই টেবিল লাইটটা আপনাআপনি জ্বলে উঠে এটা আবার কোন সাইন্স?
নীলাঃ হাহাহা এটা কোন সাইন্স নাহ্!

ঐ টেবিল লাইটে একটা পবলেম আছে যার ফলে কারেন্টের পাওয়ার কম থাকলে লাইট কখনো অন হয় নাহ্!
রাতের ঐ সময়টা তে পাওয়ার বেশি থাকে তাই সুইচ অন থাকার কারনে আপনাআপনি জ্বলে উঠে!
আমিঃ উফফ আমি তো ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম!

নীলা আমার কথা শুনে প্রচুর পরিমাণে হাসতেছিলো!
নীলার হাসিটা একদম কলিজায় লাগার মত!
নীলার সাথে কথা বলতে বলতে কলেজের সামনে এসে পড়েছি!
এতখন আমাদের পাশ দিয়ে অনেক রিক্সা গিয়েছে!
বাট নীলা কখনো বলেনি রিক্সায় যাবে!

তার মানে আমার মতই দুজন একসাথে হেটে যাচ্ছি এটা ওর ও ভালো লাগতেছে!
নীলাকে বললাম, তুমার কলেজ চলে এসেছে!
নীলাঃ হুম যানি কিন্তু কলেজে যেতে মন চাচ্ছে নাহ্!
আমিঃ তাহলে কি করতে মন চাচ্ছে?
নীলাঃ আপনার সাথে ঘুরতে।”

আমিঃ আমি তো এখন ভার্সিটি যাবো।”
আর এমনিতে আমার বাইক তো আমাদের বাসায় রেখে আসছি।”
এভাবে হেটে হেটে ঘুরতে গেলে পা থাকবে?

নীলাঃ পা থাকবে কি থাকবে নাহ্ এটা পরের বিষয়, আপনি পাশে থাকলেই চলবে!
আমিঃ আহা কি সুন্দর কথা ওকে বায় আমি যাই!
নীলাঃ আরে মিয়া দাড়ান কই যাচ্ছেন!
আমিও আপনার সাথে ভার্সিটি যাবো!

আমিঃ পাগল নাকি আপনি আমার সাথে গিয়ে কি করবেন!
নীলাঃ কিছু না জাস্ট এমনি, ওকে প্রমিস কোন দুষ্টুমি করবো নাহ্ চুপচাপ আপনার পাশে বসে থাকবো!
আমি মনে মনে ভাবলাম জয়ার সাথে তো আমার কোন রিলেশন নেই!
বাট সে রকম ভাবে ব্রেকআপ করাও হয়নি!

জয়া যদি নীলার সামনে গার্লফ্রেন্ড দাবি করে তাহলে পড়বো আরেক বিপদে!
এদিকে নীলা ছাড়ছে নাহ্ আমার সাথে আজ ভার্সিটি ঘুড়বে। এটাই নাকি তার জিবনের শেষ ইচ্ছে!
আল্লাহ্ নাম নিয়ে নীলা কে ভার্সিটি নিয়ে আসলাম!
সব ছেলে মেয়ে নীলার দিকে তাকিয়ে রয়েছে!

কারন হলো এই পুরো ভার্সিটিতে নীলার মন ন্যাচারাল সুন্দরী মেয়ে লাইট দিয়ে খুজেও একটা বের হবে নাহ্!
তাই সব মেয়েরা হিংসের আগুনে জ্বলে মরছে!
হঠাৎ খেয়াল করলাম জয়া আমাদের দিকেই এগিয়ে আসছে!
যে ভয়টা পাচ্ছিলাম, সেটাই হয়তো সত্যি হবে!
জয়া আমাকে বললঃ এই মেয়েটা কে?
আমিঃ রিলেটিভ।”

জয়াঃ কেমন রিলেটিভ।”এই মেয়ে ও তুমার কাছ থেকে কত টাকা হাতিয়ে নিয়েছে!
নীলাঃ কি বলেন এসব, আর ফারহান ওনি কে ওনার বিহেভ এমন কেনো!
জয়াঃ বিহেভ এমন কেনো তখনি বুঝবে যখন তুমাকেও আমার মত চুষে খেয়ে ছেড়ে দিবে!
নীলাঃ ফারহান কি বলছে এসব আমি কিন্ত এখন ঠিক থাকতে পারছি নাহ্!
ঐ ফারহানের বাচ্ছা তোকে প্রশ্ন করছি চুপ কেনো তারাতারি জবাব দে!
জয়াঃ হুম ফারহান সাহেব জবাব দেন!

বুঝতে পারলাম নীলা রাগে আগুন হয়ে গিয়েছে! সাথে জয়া আরো পিন মারতেছে, একদম জলন্ত আগুনে কেরোসিন মারার মত!
এখন চুপ থাকলে নীলা হয়তো আমার শরিরেই হাত তুলবে। তাই আমি জয়া কে বললাম, প্লিজ এমন সিনক্রেট কইরো নাহ্, তুমার টাকা আমি ফিরিয়ে দেবো!
জয়াঃ টাকা তো দিতেই হবে, বাট মিথ্যা ভালোবাসার নাটক টা কি আমার টাকার জন্যই করেছিলে?
আমিঃ হুম!

তখন নীলা বলে উঠলো: ছিঃ ফারহান তুই এত নিচ আমি আগে যানতাম নাহ্!
এ কি, কার প্রেমে পরেছি আমি!
আমার কপাল টাই খারাপ, ফাস্ট লাভ করেছি তাও এমন একটা ছেলে কে, যে কি আর বলবো, হায় আল্লাহ্!
এইবলে নীলা চলে যেতে লাগলো!

আমিও নীলার পিছু পিছু ছুটলাম, নীলার হাত ধরতেই, নীলা হেচকা টান দিয়ে ওর হাত ছাড়িয়ে নিয়ে!
আর কাদঁতে কাঁদতে সামনের দিকে চলে গেলো!
আমি আবারো জয়ার কাছে আসলাম দুটা কথা বলতে!
তখন নীলা ছিলো তাই বলতে পারেনি!


পর্ব: ৫ (শেষ পার্ট)

নীলা কাদঁতে কাঁদতে সামনের দিকে চলে গেলো!
আমি আবারো জয়ার কাছে আসলাম দুটা কথা বলতে!
তখন নীলা ছিলো তাই বলতে পারেনি!

কিন্তু জয়াও আমাকে এড়িয়ে চলে যায়!
কি করবো বুঝতে না পেরে আবারো নীলার পিছু ছুটলাম!
নীলা একটা রিক্সা ঢেকে রিক্সায় উঠে পরলো!
আমিও দৌড়িয়ে গিয়ে নীলার পাশে বসলাম!

এখন নীলা আমাকে ধাক্কিয়ে রিক্সা থেকে নামানোর চ্রেষ্টা করছে!
বাট আমার শক্তির সাথে না পেরে নীলা চুপচাপ বসে রইলো!
আমি অনেক বার নীলাকে সরি বললাম কিন্তু কোন কাজ হলো না!
নীলা চুপচাপ অন্যদিক ঘুরে বসে রইলো!
অবশেষে বাসায় আসলাম!

এসেই দেখি আব্বু আম্মু নীলার বাবা, মায়ের সাথে হাসাহাসি করে কথা বলছে!
আমি আর নীলা যেতেই আমাদের বসতে বললো!
তারপর আব্বু, নীলা আর আমাকে বলল: শুনো
আমরা দু ফ্যামিলি থেকে ঠিক করেছি!
তুমাদের বিয়ে আগামী সপ্তায়!

এতে তুমাদের কারো কোন আপত্তি আছে!
এখন আমার তো কোন আপত্তি নেই,
তাই আমি ছোট করে ওকে বলে নিষ্পাপ শিশুর মত চুপচাপ বসে রইলাম!
নীলা আমার দিকে ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে রয়েছে!
আব্বুঃ নীলা মা তুমি চুপ কেনো তুমার কি কোন আপত্তি আছে?
নীলা মাথা নেড়ে না বলল ‘

তার মানে নীলা আমাকে মেনে নিয়েছে।”!
আমার মনটা একদম খুশি হয়ে গেলো!
কতটা ভালো লাগছে এখন বলে বুঝাতে পারবো নাহ্!
আমি উপরে চলে আসলাম ফ্রেস হতে!
আমি এটা খেয়াল করেনি নীলাও আমার পিছু পিছু আসছে!
আমি রুমে ডুকতেই নীলা আমার কর্লার টেনে দেয়ালে আমার পিঠ আটকে দিলো!
নীলাঃ জয়ার সাথে তোর কি সম্পর্ক?

এরপর…

আমি সব কাহিনি খুলে বলার পর নীলা বললঃ জয়ার টাকা আমি ফিরিয়ে দেবো কিন্ত তোকে যদি জয়ার সাথে কোন যোগাযোগ করতে দেখি তাহলে কিন্তু তিনটা লাশ পড়বে!
প্রথমটা তোর দ্বিতিয় টা জয়ার!

এরপর আমি নিজেই নিজেকে শেষ করে দিবো!
আমিঃ আচ্ছা শুনো এসব খুন খারাপি ভালো নাহ্!
আমি কথা দিলাম জয়ার সাথে সব রকমের যোগাযোগ অফ বাট আমার ২ টা শর্ত আছে!
নীলাঃ কি কি শর্ত শুনি?

আমিঃ প্রথম টা হলো জয়াকে আমাদের বিয়েতে ইনভাইট করতে হবে!
নীলাঃ জ্বি না তুমি আমার ঘা জ্বালানোর ব্যাবস্থা করতেছো তাই না!
জয়া কে দেখলেই আমার ঘা জ্বলে!
এইটা পাড়বো না দ্বিতীয়টা বলো!

আমিঃ দ্বিতিয় টা হলো আমার সাথে এখন টানা এক ঘন্টা রোমাঞ্চ করতে হবে!
নীলাঃ হুম এটা করা যায় বাট বিয়ে কিন্তু এখনো হয়নি সো বেশি কিছু করতে পারবো না ওকে!
আমিঃ বেশি কিছু আমিও চাইনি।”
তুমি যতটুকু পারবে ঐ টুকুই করো!
আমার কথা শেষ হতে না হতেই।”

নীলা আমাকে দেয়ালে ঠেকিয়েই কিস করতে শুরু করে দিলো!
আমিও নীলার মাজায় হাত দিয়ে আরো কাছে টেনে নিলাম!
এই ভাবে রোমাঞ্চকর ভাবে দিন কাটতে লাগলো!
বিয়ের আগেই প্রতিদিন সকালে নীলা আমার জন্য কফি করে নিয়ে আসতো!
আমি ঘুমিয়ে থাকলে,

আমার চুল গুলো এলোমেলো করে দিয়ে
আমার কপালে কিস করে!
আরো যা যা করা লাগতো সব করতো আমার ঘুম ভাঙাতে!
রাতের বেলা দুজন মিলে ছাদে আড্ডা হতো প্রতিরাতেই!
খুব দারুন সময় কাটছে,

বলতে গেলে আমার লাইফের বেষ্ট মুহূর্ত ছিলো তখন!
যখন নীলার সাথে ছাদে আড্ডা দিতাম!

কথার ফাকে ফাকে আমি সিগারেট খেতাম!
জাস্ট নীলার বুকনি শুনার জন্য!
এক রাতের আড্ডায়

নীলা বললঃ আচ্ছা বিয়েটা কদিন পরে করলে হয় নাহ্!
আমিঃ কেন এখন কি পবলেম!

নীলাঃ না তেমন কোন পবলেম না কিন্ত।
এখন যেমন সময় কাটাচ্ছি বিয়ের পর কি এমন সময় কাটাতে পারবো!
আমিঃ পারবো না কেনো!
অবশ্যই পারবো!

নীলাঃ এখন যেমন লাভ করো বিয়ের পর কি এমন লাভ করবে?
আমিঃ বিয়ের পর এর থেকে বেশি লাভ করবো সোনা!
নীলাঃ আমার কেমন যেনো মনে হয় বিয়ের পর আমাকে আর এমন ভাবে লাভ করবে না!
নীলার কথা শুনে আমি নীলার ঠোঁটে কামুড় দিতেই!
নীলার ঠোটঁ একটু ছিড়ে গেলো!
আসলে আমি এটাই চেয়ে ছিলাম!

এরপর বললামঃ কী আরো সন্দেহ করবে!
নীলাঃ নাহ্!
আমিঃ মনে মনে তো ঠিকও সন্দেহ করছো তাই নাহ্!
নীলাঃ একদম না নাহ্।”তুমি অনেক ভালো মন থেকেই বললাম!
আমিঃ এক কামুড় খেয়েই এই অবস্থা!

আরো কত কামুড় খেতে হবে ঠিক নেই!
নীলাঃ কী!
আমিঃ জ্বী!
নীলাঃ ওকে এখন থেকে তাহলে আমিও কামুড় দেবো!
আমিঃ ওকে কোন সমস্যা নেই!

দেখতে দেখতে বিয়ের দিন চলে এলো!
বিয়েতে আমি বাইক নিয়ে গিয়েছি!
নীলাকে বউ সাজিয়ে আমার বাইকের পিছনে বসিয়ে আমাদের বাসায় নিয়ে আসলাম!
সবশেষে।”

বাসর রাতে ঢুকতেই দেখি নীলা বিয়ের শাড়ী গহনা এসব খুলে!
একটা ট্রি-শার্ট আর প্লা জু, না কি যেনো বলে ঐ গুলো পরে নাক ডেকে ঘুম দিচ্ছে!
এই জন্যই মাঝে মাঝে মনে হতো,

নীলাকে দেখা যায় ভদ্র কিন্তু ও অনেক বড় মাপের দুষ্টু!
শখের সময় মাজা টান দিয়ে নাক ডেকে ঘুমাচ্ছে!
আমি নীলাকে অনেক ডাকাডাকি করলাম!
কিছুতেই উঠাতে পারলাম নাহ্!

কারন ঘুমন্ত মানুষ কে উঠানো যায় বাট ঘুমের ভাব নিয়ে শুয়ে থাকা মানুষ কে কখনো উঠানো যায় নাহ্!
শেষবার ডাক দিলাম এখন না উঠলে আমিও ঘুমিয়ে পড়বো!
কপাল ভালো ছিলো কারন শেষ বার যখন নীলাকে ডাক দিলাম!
তখন নীলার চোখ দুটো বন্দ ছিলো কিন্তু নীলা মুচকি মুচকি হাসছিলো!
কি শয়তান মেয়ে রে বাবা!

এরপর হঠার করেই ঐ ভাবেই আমাকে জরিয়ে ধরলো!
আমি কিছু বুঝে উঠার আগেই!
যাইহোক, ভালোই লাগছিলো!

নীলা কে বললামঃ ওগো শুনছো?
নীলাঃ হুম! ( মাথা নেড়ে)
আমিঃ আজ অনেক প্যারা দিয়েছো এখন তুমাকে বুঝাবো প্যারা কি জিনিস এবং কত প্রকার,
এইবলে আমি লাইট অফ করে দিলাম!

লাইট অফ মানে গল্পও শেষ, নাকি আরো শুনতো চান! নাহ্ থাক আর শুনতে হবে নাহ্, কারন আমার মত আরো অনেক সিংগেল অসহায় ভাই – বোন আছে!
তাদের মনে আগুন জ্বলে উঠবে।”আমার মনেও আগুন জ্বলে বাট পানি খেয়ে সাথে সাথে আগুন টা নিভিয়ে ফেলি!
আপনারাও নিভিয়ে ফেলবেন কেমন!

লেখা – ফারহান আহমেদ সাজ্জাদ

সমাপ্ত

(পাঠক আপনাদের ভালোলাগার উদ্দেশ্যেই প্রতিনিয়ত আমাদের লেখা। আপনাদের একটি শেয়ার আমাদের লেখার স্পৃহা বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। আমাদের এই পর্বের “পাগলী তোকে বড্ড বেশি ভালোবাসি – গল্প ভালোবাসার গল্প” টি আপনাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন। পরবর্তী গল্প পড়ার আমন্ত্রণ জানালাম। ধন্যবাদ।)

আরো পড়ুন – খালাতো বোনের সাথে বিয়ে – ভালবাসার গল্প

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *