সিনিয়র প্রেম ৪

সিনিয়র প্রেম – ডাক্তার মাইয়া যখন বউ – পর্ব ৪ | Senior Bou

সিনিয়র প্রেম – ডাক্তার মাইয়া যখন বউ – পর্ব ৪: হিমু খুঁজেতে গিয়ে তিনটি মেয়েকে উদ্ধার ও বাঁচাতে পেরেছি কিন্তু আমার হিমুকে পাগলের মত খুঁজছি। কোথাও পাচ্ছি না তাকে, বুকের ভিতর কলিজাটা যেন কেউ কেটে ফেলছে, এত যন্ত্রণা সহ্য করতে পারছি না। কি হবে? কি করব এখন আমি?

ক্লান্ত শ্রান্ত আমি

আমি মাটিতে বসে পড়ে চিৎকার করে বলছি হিমু সব দোষ আমার। আমি যদি তোমার সাথে যেতাম তাহলে এমনটা হতোনা। কেন আমি তোমার ওপর রাগ করলাম? আর কেন তোমার সাথে গেলাম না? আমার নিজের প্রতি তখন ঘৃনা হচ্ছে।

হঠাৎ চোখটা বন্ধ হয়ে যায়। সারা রাত ঘুম নাই। কখন চোখটা বন্ধ হয়ে গেছে বুঝতেই পারিনি। মাটিতে পড়ে গেলাম এত টুকুই মনে আছে। কারো ডাকে আমি চোখ মেলে তাকালাম।

অচেনা কণ্ঠঃ এই যে আপনি এই মাঠের মধ্যে শুয়ে আছেন কেন?

আমি তার কথাতে উঠে বসলাম। আমাকে যে ডাকছে তার বয়স ১০-১২ বছর হবে, মনে হয়।

আরমানঃ তোমার নাম কি বাবু?
অচেনা কণ্ঠটিঃ সুবর্না, আপনি এখানে এভাবে শুয়ে আছেন কেন?

আরমানঃ এমনিতেই।
সুবর্নাঃ কারো সাথে ঝগড়া করে বাড়ি থেকে চলে এসেছেন বুঝি?

আরমানঃ না তো কেন?
সুবর্নাঃ না, এমনিতেই।

আরমানঃ তুমি অনেক বড় হয়ে গেছো।
সুবর্নাঃ হ্যা, আমার মাও বলে।

আরমানঃ আচ্ছা, তাই।
সুবর্নাঃ হা।

মেয়েটার সাথে কথা বলতে আমার বন্ধু বাইক নিয়ে হাজির। আমাকে নিতে এসেছে। মেয়েটার কথাতে যাদু আছে। তার সাথে যখন কথা বলছিলাম। তখন মনের সব ব্যাথা হারিয়ে গেছিল। কিন্তু যখন আমার বন্ধু আসলো তখন আবার পুরাতন কথা মনে পড়ে গেল। আমার মাথাতে তখন আবার চিনচিনে ব্যথা শুরু হলো।

আমি বন্ধুর বাইকে করে হিমুকে খুজতে বের হলাম। পুরা সকাল আবার খুজলাম। কোথাও পেলাম না। হাল ছেড়ে দেয়া ছাড়া আর কিছু করার নেই। পকেটে হাত দিয়ে দেখি ফোন নেই। বন্ধুর সাথে বাড়ির পথে ফিরতে লাগলাম।

হিমুর পাগলামি আমার থাপ্পড়

বাড়িতে ফিরে মাথা নিচু করে ঢুকলাম। দেখি মা বাবা হিমুর বাবা মাও বসে আছে। তারা আমাকে দেখে কেমন চমকে ওটার মতো আমার কাছে চলে এলো।

আম্মুঃ তোর কিছু হয়নি তো বাবা?

মায়ের কথাতে জবাব দিলাম,

আরমানঃ আমার কিছু হয়নি কিন্তু হিমুকে পাইনি। আমি হিমুর মায়ের কাছে গেলাম। আন্টি আপনার মেয়েকে খুজে পাইনি আমাকে মাফ করে দিয়েন। আমার জন্য সব হয়েছে।

তাদের কথা বলার সুযোগ না দিয়ে ছাদে চলে এলাম। সকালের আলোতে মানুষের কাছে পৃথিবী আনন্দময় হয়। আর আমার কাছে বিভিশিখাময়। আলো থাকা সত্তেও কেমন অন্ধকার আচ্ছন্যময় লাগছে।

ছাদে দাড়িয়ে এসব ভাবছি হঠাৎ কারো হাত আমার পিঠে অনুভব করলাম। পিছনে ফিরে দেখি হিমু দাড়িয়ে। আমি নিজেকে বিশ্বাস করতে পারছিনা। যে হিমু আমার সামনে দাড়িয়ে আছে। নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। তাই হিমুর হাতে চিমটি দিলাম।

হিমুঃ উহ। চিমটি দিচ্ছো কেন?
আরমানঃ স্বপ্ন না সত্যি, তাই দেখছি।

হিমুঃ স্বপ্ন না সত্যি দেখতে মানুষ নিজের গায়ে চিমটি দেয়। আর তুমি আমার হাতে দিচ্ছো।
আরমানঃ কি জানি ভুলে গেছি! আপনি কি সত্যি হিমু?

হিমুঃ সত্যি। তোমার সামনে দাড়িয়ে আছি। এই দেখো বলে এক চড়। চড়ের ব্যথা অনুভব করলাম।
তারমানে এটা সত্যি হিমু। তারপর আমি দুইটা চড় দিছি। মেয়েটা কান্না করতে শুরু করছে।

হিমুঃ আমাকে এত জোরে মারলে?
আরমানঃ তো সোহাগ করবো? কাল দিন রাত কোথায় ছিলেন? আমার কতটা কষ্ট হয়েছে যানেন?

হিমুঃ আমারও মেলা কষ্ট লেগেছিল সকালে তোমার কথা শুনে। তাই ভাবলাম তুমি প্রতিশোধ নেয়ার আগে আমি নেই।
আরমানঃ কোথায় ছিলেন পুরা দিন রাত?

হিমুঃ তোমার রুমে।
আরমানঃ আমার রুমে?

হিমুঃ তোমার রুমে ছিলাম। কেউ জানেনা। চুপিচুপি করেছি। বিকালে কলেজ থেকে এসে।
আরমানঃ আরেকটা চড় দিলাম।

হিমুঃ আবার মারলে কেন?
আরমানঃ আমাকে সারারাত দিন শহর ঘুরানোর জন্য।

হিমুঃ তোমার সাথে কোন কথা নাই। আমাকে শুধু মারছো।
আরমানঃ আরেকটা চোড় দিয়ে। হিমুকে বুকের মাঝে জড়িয়ে ধরলাম।

ভালবাসাকে প্রথম জড়িয়ে ধরা

তখন মনের মধ্যে কেমন হচ্ছিল। মনে হচ্ছিল অনেক বড় কষ্টের মধ্যে থেকে বের হয়ে এলাম। হিমুকে সব সময় এভাবেই জড়িয়ে ধরে থাকি।

হিমুঃ এই ছোট। আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে। ছাড়ো।
আরমানঃ ছাড়বনা। আবার যদি হারিয়ে যান।

হিমুঃ হারাবনা। ছাড়ো।
আরমানঃ মনে থাকে যেন।

হিমুঃ ঠিক আছে, ছাড়ো।

হিমুকে ছেড়ে দিতেই হিমু সাইডে চলে যায়। তারপর হাফ ছাড়ে।

হিমুঃ তুমি তো আমাকে আরেকটু হলে মেরেই ফেলতে।
আরমানঃ মেরে ফেলার জন তো ধরিনি।

হিমুঃ আমার দম বন্ধ হয়ে আসছিল।
আরমানঃ সারা দিন রাতের কষ্টের সমাপ্তি সরুপ।

হিমুঃ অনেক কষ্ট হয়েছে না তোমার?
আরমানঃ আপনার জন্য এতো টুকু করাই যায়।

হিমুঃ আমি বুঝতে পারিনি যে তুমি সারা রাত বাহিরে থাকবে। তোমার ফোনে অনেকবার ফোন দিয়েছি। কিন্তু অফ বলছে।
আরমানঃ ফোনটা হারিয়ে গেছে।

হিমুঃ জানো আমিও সারারাত ঘুমাইনি। খাইনি।
আরমানঃ আপনার এমনটা করা উচিত হয়নি।

হিমুঃ কেন?
আরমানঃ আমি অনেক কষ্ট পেয়েছি।

হিমুঃ আমার ছোট ভাইটা দেখি অনেক কষ্ট পেয়েছে।

দুষ্টামি ও নিরব ভালবাসা

ভাইয়া কথাটা শুনে মনে হচ্ছে সব আবেগ আমার বুকের ভেতর থেকে বেড়িয়ে ছাদ থেকে লাফ দিছে। ভালোলাগার বাত্তি নিভে অন্ধকার। মনে হচ্ছে তুলে এক আছ্ড় দেই। আমি ওর কোন জন্মের ভাই লাগি?

হিমুঃ ছোট ভাইয়া কি বিড়বিড় করছো?
আরমানঃ ভাবতেছি, আপনাকে ছাদ থেকে ফেলে দেই।

হিমুঃ কেন কেন?
আরমানঃ আমি আপনার কোন জন্মের ভাই লাগি?

হিমুঃ তুমি তো আমার আদরের ছোট ভাই।
আরমানঃ আপনার ভাই এর গুষ্টি কিলাই।

বলে ছাদ থেকে চলে এলাম। হিমু আমাকে পিছ থেকে ডেকেই যাচ্ছে।

আমি আমার রুমে চলে এসেছি। এসে ভাবছি মনটা কতটা হালকা হয়ে গেছে। মনে হচ্ছে কোন পাথরের সমান চিন্তা মন থেকে নেমে গেল। জীবনে যতটা না কষ্ট টেয়েছি তার থেকে বেশি পেয়েছি এই একদিনে। মনে হচ্ছিল কোন বিভিশিখাময় স্বপ্ন দেখছিলাম।

হিমুকে দেখার পর সেই স্বপ্ন থেকে বাস্তব জীবনে চলে এসেছি। মানুষের জীবনে কিছু কষ্ট থাকে যা তার মনে পাথরের মতো সব সময় আঘাত করতেই থাকে। সে যন্ত্রণা কখনো যায়না। হয়তো মুখের হাসির আড়ালে থাকে।

মনটা হালকা হয়ে গেছে। ঘুমে চোখটাও বুজে আসছে। তাই ঘুমিয়ে পড়লাম। হঠাৎ মনে হচ্ছে কানের মধ্যে কিছু প্রবেশ করছে। হাত দিচ্ছি তখন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আবার এমন টা হচ্ছে। চোখ খুলে দেখি হিমু আমার সামনে ঝুকে থেকে এই কাজ করছে।

আমি ভাবছি আমার সাথে যখন এমন করছে তখন আমিও করি। বলেই তাকে জোড়াই ধরেছি। হিমু হোক চকিয়ে উঠেছে। বুঝতে পারেনি আমি এমনটা করবো। অনেক ছাড়ানোর চেষ্টা করছে। যখন দেখছে পারছেনা তখন। আমার হাতে দিল একটা কামড়।

আরমানঃ ওমা গো। এত জোরে কেউ কামড় দেয়?

ন্যাকামী ও পাগলামি

হাতটা ছেড়ে দিতেই হিমু পর্যাপ্ত দুরুত্বে চলে গেছে।

হিমুঃ তুমি যেভাবে ধরেছো ছাড়া পেতে তো দিতেই হবে।
আরমানঃ তাই বলে এতো জোরে?

হিমুঃ তোমার বড় আপু দিছে না তাই রাগ করেনা ভাই।
আরমানঃ ওরে আমার বোন আসছে রে।

হিমুঃ ঐ ছোট সাবধান। জোরে কথা বলবানা।
আরমানঃ বললে কি করবেন?
হিমুঃ এমন কিছু করবো যে এলাকায় মুখ দেখাতে পারবেনা।

আরমানঃ আপনাকে ভয় পাই নাকি।
হিমুঃ পাওনা বাট পাবে খুব তাড়াতাড়ি।

আরমানঃ তাই না?
হিমুঃ হু তাই।

বলে মুখ ভ্যাংচি কেটে দৌড়ে পালিয়ে গেল। আমি ভাবছি মেয়েটা কি করতে চায়? যে তাকে আমি ভয় পাবো?

ভেবে পাচ্ছিনা। তাই অতো ভেবে কাজ নাই। কাল কলেজে যেতে হবে। তাই বেশি চিন্তা ভাবনা করতে হবেনা। আম্মু রাতের খাবার খেতে ডাকছে।

আমি খেতে গিয়ে দেখি বাবা মার সাথে খাবার টেবিলে হিমু বসে আছে। এই চিকনি চামেলি কি আমাকে শান্তিমতো খেতেও দিবেনা? যেখানেই যাই সেখানেই ও। যাই হোক, সব কিছু ভুলে খেতে বসলাম।

বাবাঃ এক দিনে শরীরের কি হাল বানিয়েছো?
আরমানঃ কই ঠিকি তো আছি।

বাবাঃ আমার চোখ আছে। তোমার চোখ দিয়ে দেখলে কবেই মারা জেতাম!
আরমানঃ তুমি আমাকে ইন্সাল্ট করছো একটা মাইয়ার সামনে।

হিমুঃ ঐ ছোট আমাকে মাইয়া বলবেনা – বলবে বড় আপু।
আরমানঃ আমার খেয়ে দেয়ে কাজ নাই। আপনি আমার কোন জন্মের আপু লাগেন?

হিমুঃ বর্তমান জন্মের?
আরমানঃ তাই?

হিমুঃ হ্যা।
আরমানঃ তাহলে আপনার বাবাকে বলেন আমাকে যেন টাকার ভাগ দেয়?

হিমুঃ দিবে তো টেনশন করোনা ছোট?
আরমানঃ অ্যা? টাকার ভাগও দিবে?

হিমুঃ একশবার দিবে।
আরমানঃ আচ্ছা, আমাকে টাকার ভাগ কেন দিবে? আর যাতে ভাই না বলে সেজন্য বললাম বাট মাইয়া এদিকেও আমার থেকে এক ধাপ এগিয়ে। ডাক্তারি পড়াতে কি এই সব শিখায় নাকি?

বাবাঃ তোমরা থামো। আর হ্যা কাল থেকে প্রতিদিন তুমি হিমুকে তার কলেজে পৌছে দিবে।

বাবার আদেশ

ভাত মুখে দিছি তখনি বাবা এই কথাটা বলছে। আর ভাতটা গলাতে বেধে গেছে।

হিমুঃ ঠিক মতো খাবারও খেতে পারোনা? এই নাও পানি খাও?
আরমানঃ ওনার এত বড় গাড়ি থাকতে আমি কেন নিয়ে যাবো?

বাবাঃ সেফটির জন্য দিনকাল এতো ভালোনা।
আরমানঃ আমি পারবনা।

বাবাঃ তুমি পারবেনা, তোমার বাবা পারবে।
আরমানঃ বাবা পারবে যখন, তখন তুমি প্রতিদিন নিয়ে যাও।

বাবাঃ আমার সাথে ফাজলামু করো?
আরমানঃ তুমিই তো বললে আমি না পারলে বাবা পারে। আর তুমি তো আমার বাবা।

বাবাঃ পড়াশোনা করাচ্ছি এজন্য? কি শিখাচ্ছে তোমাদের শিক্ষকেরা?
আরমানঃ কি আবার, পড়াশোনা?

বাবাঃ হায় আল্লাহ আমি কি ছেলে জন্ম দিছি প্রতিটা কথা ফাজলামু করে।
আরমানঃ তুমি এলাকার সব চেয়ে ভালো ছেলে জন্ম দিয়েছো, বাবা।

বাবাঃ ভালো ছেলে যখন তখন যা বলেছি তাই করবে। না হলে কাল থেকে তোমার ভাত চাল হয়ে যাবে।
আরমানঃ আমার সাথে অন্যায় হচ্ছে। আমি পুলিশের কাছে যাবো।

মাঃ চুপ কর। তোর কথা অনেকক্ষণ ধরে শুনছি। মুখেমুখে কথা বলা শিখে গেছিস। চুপচাপ খেয়ে উঠে যা।
আরমানঃ ঠিক আছে।

হিমু খাচ্ছে আর হাসছে। সব চাল হিমুর। ও বাবাকে কি সব বুঝ দিয়েছে আল্লাহ ভালো জানে। খাবার খেয়ে রুমে চলে এলাম। এসে লম্বা একটা ঘুম দিয়েছি। স্বপ্নে দেখছি আমি হিমুকে নিয়ে যাইনি তাই বাবা আমাকে লাঠি নিয়ে পুরা শহর দৌড়ানি দিচ্ছে।

ধরা খাওয়া

স্বপ্নটা ভাঙতেই যেন হাপ ছেড়ে বাচলাম। যদি কাল হিমুকে না নিয়ে যাই তাহলে বাবা আমাকে সত্যি সত্যি পুরা শহর দৌড়ানি করাবেনা তো? আবার কাল একটা মেয়ের সাথে দেখা করার কথা আছে। বান্ধবি হয়। আর ও যদি দেখে তাহলে পুরা কলেজে আমার ইজ্জত পাংচার হয়ে যাবে।

সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে খাবার খেয়ে। কলেজের জন্য রেডি হয়ে গেটের সামনে দাড়িয়ে ভাবছি। হিমুকে নিয়ে গেলে যদি কেউ দেখে তাহলে পুরা কলেজে ইজ্জত থাকবেনা। আর না নিয়ে গেলে বাবা পুরা শহর ম্যারাথন দৌড়ানি দেয়াবে। যাই হোক দৌড়ানোর অভ্যাস আছে। কিন্তু এত বছরেরইজ্জত গেলে আর ফিরে পাবনা। আজকে এটকু সুন্দর গেটাপ নিয়ে বের হয়েছি।

কেউ যাতে দেখতে না পায় তাই চুপিচুপি গেট থেকে বের হয়ে যাচ্ছি। বুকটা ধুকপুক করছে। যদি কেউ দেখে তাহলে হিমুকে নিয়ে যেতে হবে। হিমুর বাড়ির সামনে দিয়ে যেতে হয়। তাই চিন্তাটা বেশি। হিমু দেখতে পেলে তো চিল্লাচিল্লি শুরু করে দিবে।

হিমুর বাড়ির সামনে আসতেই কেমন শব্দ শুনলাম। তারপর দেখছি বৃষ্টি শুরু হয়েছে আকাশে তো রোদ আছে। মেঘ নেই। আবার বৃষ্টিটা শুধু আমার ওপরেই হচ্ছে। আমি কি রাতে মেঘ মামার সাথে গন্ডোগোল করছি। এসব ভাবতে ভাবতে ওপরে তাকিয়ে দেখি মেঘটা আর কেউ না হিমু পাগলি । আমার দিকে দুইটা ফুটবলের সমান চোখ বের করে রাক্ষসীর মতো দাত কটমট করে তাকিয়ে আছে। আমার গলা শুকিয়ে গেছে। ঢোক চিপলাম, মনে হচ্ছে গলার মধ্যে খরার মৌসুম চলছে। চলবে…

পরের পর্ব- সিনিয়র প্রেম – ডাক্তার মাইয়া যখন বউ – পর্ব ৫

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *