ভাইয়ার হবু শালিকা – প্রেম ভালোবাসা

ভাইয়ার হবু শালিকা – প্রেম ভালোবাসা: আরে উত্তেজিত কেন হচ্ছি। আমাদের এলাকার কুদ্দুস চাচা আছে তার যে মেয়েটা আছে। তার সাথে ফাইনাল করে আসলাম। তুই শুধু কালকে যাবি। রিং পড়াবি আর আসবি।


পর্ব ১

বড়লোকের বেটি লো লম্বা লম্বা চুল এমন মাথায় বেধে দিব লাল গেন্দাফুল।
ঠাসসস ঠাসসস করে কে যেন দুইগালে থাপ্পড় দিল।
মেয়ে দেখলে কি গান গাইতে ইচ্ছা করে। (মেয়েটি)
আমি মেয়ে দেখলে গান গাই মানে কি কি বলতে চান আপনি। (রাজ)

তো একটু আগে কি বললেন জোকস। (মেয়েটি)
না গান তো বলছি কিন্তু আপনাকে তো কিছু বলিনি। তাহলে থাপ্পড় মাড়লেন কেনো? (রাজ)
যা বাবা সকাল বেলা মুডটা নষ্ট করে দিল। কে এই মেয়ে? চিনি না জানি এসে কথা শুনালো।

কিছু বুঝতেছেন কি না বুঝলে বলি সকালে হাটতে বের হয়েছি। আর হেডফোন লাগিয়ে গানটি শুনতেছি। আর বলছি কোথা থেকে এই পেত্নী এসে, ওহ সরি, পেত্নী বললে ভুল হবে মেয়েটা দেখতে হেব্বি আছে। টানা টানা চোখ, গোলাপি ঠোট, কেশ কালো লম্বা চুল, একটা পরির কোনো অংশে কম না।
যাই বাড়ি যামু ইঁদুর মশাই লাফালাফি শুরু করছে।

চলুন পরিচয়টা দিয়ে দেই। আমি রাজ বাবা মায়ের তিন মাত্র সন্তান আমার বড় আরো দুইজন আছে। তাদের সাথে পরে পরিচয় করামু। বাবা ব্যবসায় করে আর মা বাসা সামলে মানে আমাকে। আর একটা পরিচয় আছে সেটা হচ্ছে গিয়া এই আইডি মালিক।
আপনাদের সাথে কথা বলতে বলতে বাসায় আইয়া পড়ছি।

আম্মু গো কই আছেন নি ইঁদুর দৌড় দিচ্ছে। একটু জলদি আয়েন ইঁদুরগুলো থামান। (রাজ)
কই কই কোথায় ইঁদুর? (আম্মু)
এই যে আমার পেটের ভিতরে দৌড়া দৌড়ী করছে। কিছু একটা, দিয়েন শান্ত করেন ইঁদুর গুলোরে। (রাজ)
বাদর ছেলে বস দিচ্ছি। (আম্মু)
হুম জলদি দিয়েন। (রাজ)

রুমে এসে ফিরি ফায়ার খেলছি।
আম্মু গো বাচাও তোমার পোলাডারে মাইরা ফেলাইলো আম্মু। (রাজ)
কে কে মারলো তোরে একবার বল। (আম্মু)
এই যে শালা হনুমান বান্দর তোমার বড় পোলা মারছে আমায়। (রাজ)
কি বলিস কি বাপু কিছু তো বুঝি না। (আম্মু)

গেম খেলছি সেখানে মারছে। (রাজ)
তোদের কি খেয়ে দেয়ে কাজ কাম নাই। তোর বাপ একাই ব্যবসায় সামলে তোরা তো একটু হাত লাগাতে পারিস। সারাদিন খাবে আর মোবাইল নিয়ে পড়ে আমাকে জ্বালাবে। (আম্মু)
কি বললো আম্মু সেটা না বুঝা আমি। (রাজ)

হ্যালো দোস্ত কই তুই, এটা আরেক হারামি শালা নিশ্চয়ই কোথাও খেলা নিয়েছে।
মিশনে আছি তাড়াতাড়ি বল না হলে মইরা যামু গা। (রাজ)
রাখ তোর গেম আজকে উত্তর পারার সাথে খেলা আছে চইলা আসস। (রেজওয়ান)
ভাই আমি যামু না আমার প্রচণ্ড জ্বর আইছে। (রাজ)

ওহ আচ্ছা আন্টিরে ফোন দিয়া বলি এই কথা। (রেজওয়ান)
তুই যাই কর আমি যামু না আমি ঘুমামু। (রাজ)
ভাইয়া প্লিজ না করিস না দেখ ৫ হাজার টাকার খেলা। তুই না থাকলে আমরা তো হেরে যাব। (রেজওয়ান)
যেতে পারি তবে ২ হাজার দিতে হবে। (রাজ)
আচ্ছা দিব তবুও আসিস। (রেজওয়ান)

খেলা কখন? (রাজ)
৪ টায়, চলে আসিস। (রেজওয়ান)
আচ্ছা যাব নে। (রাজ)
কি রে কই যাস? (আম্মু)
খেলতে যামুগা। (রাজ)

আচ্ছা দাড়াও দিল একটা খরচের লম্বা লিস্ট আগে এগুলো বাসায় আনবি। তারপর কই যাস যা। (আম্মু)
আমার জন্য এগুলো আনিস তো, এটা হলো আমার আপু সাথি চৌধুরী।
তোরও কি আজকে এনে দিতে হবে। (রাজ)

হুম লাগবে। (আপু)
আমি পারব না তোর জিনিস তুই আনবি আমি পারব না। (রাজ)
আম্মু দেখ কি বলে? (আপু)
ওই যা বলছে তাই কর সব এনেদিবি একটা যদি বাধ পরে তো তোর আজ ভাত বন্ধ। (আম্মু)
সব দিলেন এবার টাকাটা দিয়ে দেন আমি যাই। (রাজ)

তারপর ১হাজার টাকার নোট দিয়ে দিল, কপালটা আজ খুব লাকি শুধু টাকা আসতে চায় হাতে।
শালা রেজওয়ান শুধু ফোন দিচ্ছে। খেলা এই দিকে শুরু হয়েছে। আমার সব কেনা শেষ ৮০০শ টাকা দিয়ে মেকআপ করছি।
তাদের হাতে সব পৌছে দিয়ে বাই সাইকেল নিয়ে খেলা। মাঠে গেলাম বাহ অনেক দর্ষক এসেছে। খেলা দেখতে তখন আমার টিম একটা গোল খেল মনডা খারাপ হয়ে গেল। আমাদের টিম দুইটা গোল খেয়েছে আর বিপরীত টিম একটাও নাই।
ওহ বলতে ভুলে গেছি ফুটবল খেলার আয়োজন করা হয়েছে।

৪৫ মিনিটের খেলা শেষ হলো। তখন তাদের দলের লিডার বলল,
কি মামা তোমাদের কিং কই আজকে যে দেখছি না ভয়ে লুকিয়ে আছে না কি! (অন্তু)
রেজওয়ান কিছু বলছে না। কারন সেও জানে না আমি আসব কিনা।

আরে অন্তু ভাই এই কিং টা আবার কে আমি তো দেখছি। তুমি এই খেলার কিং যে দুর্দান্ত খেলছ না যা বলার বাহিরে। (সকালে মেয়েটা)
থ্যাংকস। (অন্তু)
আমি তখন জার্সি পরে বের হলাম আমায় দেখে অন্তুর হাসি মুখ কালো হয়ে গেল।
নে খুব বড় বড় কথা বলছিস না। এবার দেখব কে জিতে আর কে হারে! (রেজওয়ান)
আমার দলের সবার মুখে হাসি ফুঠে এলো।

কি রে নিজেকে কি কিং ভাবস! (রাজ)
অন্তু ভাই আপনি চুপ করে গেলেন কেন এই ছেলেকে দেখে। (মেয়েটি)
অনন্যা চুপ কর বলছি। জানিস, রাজ ভাইয়া ফুটবল খেলার কিং। আজ পর্যন্ত তার হাত থেকে একটা গোল মিস হয়নি। (জিনিয়া)
দূর তুইও না, এর মতো একটা ছেলে গোল দিবে দেখে মনে হয় না দৌড়াতে জানে। (অনন্যা)
ওহ মিস তাই নাকি! (রাজ)

হুম তাই, আর আপনার খুব নাম না আজকে হেরে যাবেন। সাহস থাকে তো অন্তু ভাইয়ার মোকাবিলা করেন। (অনন্যা)
তাই তাহলে বাজি হয়ে যাক। আমি যদি জিতে যাই যা বলব তাই করবেন। (রাজ)
ওকে ডান আর হারলে যা বলব তাই করতে হবে। (অনন্যা)
ওকে আগে তো হারি। (রাজ)

তুই কি পাগল হয়েছিস। বাঘের সামনে ইঁদুর দিয়ে তারা করতে চাইস রাজ তো জিতবে। আর যদি তোর সাথে উল্টা পাল্টা কিছু করতে চায় তখন। (জিনিয়া)
আরে দূড় তেমন কিছু হবে না আমরা জিতব। (অনন্যা)
আমি মাঠে নামলাম খেলা আবার শুরু হলো। আমরা একটা গোল দিতে পারলাম না। তারা ২- ০ গোলে এগিয়ে আছে সময় আর পনেরো মিনিট বাকি হে।
কি খবর কিং আজ কই গেল তোর খেলা। (অন্তু)

আরে অন্তু ভাই যে ছেলের ছেলে ওহ হবে এই খেলার কিং এখনো একটা গোল দিতে পারলে না। (অনন্যা)
তুই বেশি বলছি রাজকে এখনো চিনিস না। (জিনিয়া)
আমি একটা শুকনা হাসি দিলাম যার কোনো মানে নেই। কিন্ত শালা রেজওয়ান ঠিকই ধরছে এই হাসির মানে।
গায়েস সবাই নিজ নিজ পজিশন নেও ম্যাচ আমরাই জিতব। (রেজওয়ান)

তো কিং শুরু করো খেলা। (রাজ)
এবার আসলাম আসল খেলায় আমার দৌড়ের গতি আর বল কিক করার গতি দেখে গোল রক্ষকও শষ্যা ফুল দেখতে চোখে। অনন্যার মুখটা দেখার মতো ছিল প্যাচার মতো করে আছে।
আবশেষ আমরা ২- ৩ গোলে জিতে গেলাম।
মিস কই পালিয়ে যান। (রাজ)

কই কই আমি তো কোথায় যাচ্ছি না। (অনন্যা)
তা বললে তো হবে না আমার পাওনা দিয়ে যাও। (রাজ)
কিসের পাওনা আমার কাছে আপনি কি চান হুম। (অনন্যা)

মনে আছে তো সকালে চড় মারছেন সেটা শুধে আসলে তুলে নিব। (রাজ)
কি তুই রাজের গায়ে হাত দিছস। (জিনিয়া)
কি চান কি আপনি? (অনন্যা)
দুই গালে দুইটা চুমা দিয়ে দেও কতো কষ্টে আছে গাল দুইটো। (রাজ)
আমি পারব না আমি কোনো বাজি ধরিনি। (অনন্যা)

এত বড় মিথ্যা কথা বলতে পারেন। (রাজ)
তুই তো বাজি ধরছি আমি নিজেই সাক্ষী আছি। (জিনিয়া)
এই তুই এত কত কেন বলছি। (অনন্যা)
আরে আরে পাওনাটা দিয়ে যাও। (রাজ)
আচ্ছা বলেন কি চান? (অনন্যা)

সত্যি তো পরে না করতে পারবেন না। (রাজ)
অনন্যা কখনো কথা, দিয়ে না রাখার মেয়ে না।
ওকে তাহলে দুই গালে দুইটা পাপ্পি দিয়ে দেও। (রাজ)
ওকে চোখ বন্ধ করেন খুললে খবর আছে কিন্তু। (অনন্যা)
হুম বন্ধ করছি এখন দেন তাড়াতাড়ি।

চোখ বন্ধ করে দুগালে চমা দিয়ে ঘোর দৌড় ধরছে।
জানি তো লজ্জা পেয়েছে। এখন শান্তি লাগছে আমাকে বিনা কারনে থাপ্পড় মারা হা হা হা।
কি মামা কি হলো কাহিনী কত দূর? (রেজওয়ান)

কোনো কাহিনী নেই আমার টাকা দে আমি এখন যাই। (রাজ)
হুম নে তোর সাথে তো টাকা ছাড়া আর কোনো কথা বলা যায় না। (রেজওয়ান)
যা শালা রাখ দেখালো টাকা দিল আমি তো কিছু করলাম না যাই হউক আমার টাকা তো পাইছি।
আপনার আবার ভাববেন না আমি কিপ্টা আমি যেই টাকা খেলায় জিতি তা সব অনাথ বাচ্ছাদের জন্য দিয়ে দেই। আমার বাবার যে সম্পত্তি আছে তা আমার সন্তান খেয়েও বেচে যাবে।

বাসায় এসে খেয়ে নিলাম তারপর গেম খেলতে খেলতে কখন যে ঘুমিয়ে গেছি মনে নাই। সকালে।


পর্ব ২

বাসায় এসে খেয়ে নিলাম তারপর গেম খেলতে খেলতে কখন যে ঘুমিয়ে গেছি মনে নাই। সকালে।
ওগো জানু কাছে আস না তুমি এত দূরে কেন? উম্মাহ উম্মাহ। লজ্জা লাগে কিছু কমু না।
ধপাস করে কে যেন পড়ে গেল সেই শব্দ শুনে আপু আম্মু আব্বু সবাই আমার রুমে আসলো।
কি রে হিমেল তুই বিছানায় না শুয়ে কি মেঝেতে শুয়ে ছিলি না, কি। (আম্মি)

তোমার এই বদের হাড্ডি সয়তান পোল আমাকে ধাক্কা দিয়ে মেঝেতে ফাইলা দিছে আমারে উঠাও কেউ কোমরটা গেল রে। (ভাইয়া)
আপু ভাইয়াকে তুলে বিছানায় বসিয়ে দিল।
কি হয়েছে রাজ তোর আবার তুই তোর ভাইকে ফেলাই দিলি কেন? (আব্বু)
জানেন আপনার গুণধর ছেলে আমারে কি করছে?
কি করছে শুনি। (আম্মু)

কি রে বলব? ভাইয়াকে উদ্দেশ্য করে বললাম,
কি বলবি আর আমি কি করছি? (ভাইয়া)
আচ্ছা তাহলে আমি রেকড বের করি আন্নেরা নিজেই নিজে শুনেন আপনার ভদ্র পোলার কিলোর কৃত্তি তারপর মোবাইলের রেকড বের করে সবাইকে শুনালাম। ভাইয়া দেখি আমার দিকে রাগি আর অনুরোধের চোখে চেয়ে আছে।

তাহলে শুনুন ভাইয়া যখন আমাকে ঐটা দিতে ধরে আমার ঘুম ভেঙে যায়। তাই মোবাইল বের করে রেকড করে রাখছি। আজকে যে এ কাহিনী হয়েছে তা না প্রায় আমাকে জড়িয়ে ধরবে। আর এই অকামটা করবে বাকি গল্পে শুননে।

তোমার ছেলের কাহিনী কৃত্তি দেখলে। (রাজ
হুম দেখলাম, তা বাবা এসব কবে থেকে শুরু করছ। (আব্বু)
ভাইয়া লজ্জায় মাথা নিচু করে আছে।

কি হলো ভাইয়া, বলো না কেন? কবে থেকে শুরু করছ? (রাজ)
ভাইয়া তো লজ্জা পাইছে। তা তুই বল। (আপু)
আমি বলব, কি রে ভাই, বলব কি? (রাজ)
হুম বল তো। (আপু)

অনে।আমাকে আর বলতে না দিয়ে মুখ চেপে ধরে বাহিরে নিয়ে আসলো।
তুই কি আমার শত্রু না ভাইরে আমার মান সম্মান কি কিছু রাখবি না?
কেন তুই তো আমার অলটাইম বিপক্ষে খেলস?

সে গেম খেলার কথা বাদ দে না, প্লিজ। যা জানিস সব ভুলে যা আর কিছু বলিস না।!
ওকে বলব না কিন্ত আমার একটা বাইক লাগবে।
কি তোর এই একটা কথার জন্য বাইক ভাই থাক লাগবে না।

আচ্ছা আমি গিয়ে আব্বুকে বলি তুই রাস্তায় মেয়েদের ডিস্টার্ব করিস বুঝতে পারছি তোর কি হবে।
তোর যা মন চায় বল আমি বাইক কিনে দিতে পারব না।
ওকে তাহলে দেখ কি বলি।
কি বলবি তুই আবার?
সময় হলে বলব আমি চললাম।

খাওয়ার সময় সবাই বসে খাচ্ছি কি খাইতেছি বলব না। আপনাদের ভালো না সব জানতে চান।
আম্মু আমি বলি কি তোমার তো কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছে। তাই যদি কাউকে আনা যায়। (রাজ)
একটু একটু তো সমস্যা হয়। তা তুই আবার কবে থেকে কাজের লোক দেখা শুরু করলি। (আম্মু)
হা হা হা তোকে এই কাজে ভালো মানাবে। (ভাইয়া)

আরে এটা যেই সেই কাজের লোক না একবারে চিরদিনের জন্য কাজ করবে।
তা কে শুনি আর কাকে দেখে রাখলি। (আম্মু)
দেখতে হবে না কি! তোমার বড় ছেলেকে বলো কোন মেয়ের পিছনে ঘুরছে? তাকে তোমার বউ করে নিয়ে আস। তাহলে হবে। (রাজ)
কি বলতে চাইস একটু ক্লিয়ার করে বলত বাপু। (আম্মু)

কি আবার তোমার ছেলে বিয়ে দিয়ে দেও। তারপর?
তারপর কি? (আম্মু)
থাক কিছু না। এমা দেহি ভাইয়া তেলে আগুনে একাকার হয়েছে। মনে হয় আমি কত বড় বা একটা ভুল করলাম। ভাইয়াকে চোখ মেরে চলে আসলাম। এবার সামলা ভাই তুই।
রুমে এসে লুঙ্গি ড্যাস দিচ্ছি। আমার সাথে লাগা হুম মিয়া নিজেকে সামালাও এখন।

আম্মু রাজ তো ঠিকই বলছে ভাইয়া যা কাহিনী ঘটাচ্ছে বিয়ে দিয়ে দেও। না হলে আবার কি কাহিনী করে? (আপু)
আপুও চলে আসলো আমার রুমে।
আম্মু আব্বু আমি বিয়া করব না তোমার ঐ বদের হাড্ডির কথা বাধ দেও। (ন্যাকা করে ভাইয়া বলল)
আচ্ছা তুই যা ভেবে দেখি কি করা যায়? (আম্মু)

তুমি কি বলো রাজ ঠিকই বলছে। আমাদের তো নাতি নাতনি দেখতে ইচ্ছে করে না কি! (আম্মু আব্বুকে উদ্দেশ্য করে)
হুম ঠিক বলছ কিন্তু মেয়ে কোথায় পাব? (আব্বু)
কি রে আপু প্লান কাজ করবে তো। (রাজ)
আরে করবে না মানে তীর তো মিন পয়েন্টে লাগছে।

আমাকে বাশ দিয়ে হাসাহাসি করা হচ্ছে তোদের। (ভাইয়া)
তো কি হয়েছে আমার কথা শুনলে তো কিছু বলতাম না। (রাজ)
দূর তোদের সাথে কেন যে লাগতে যাই আমি। (ভাইয়া)
রাতে ডিনারের সময়।
রাজ তখন যেন কি বলছিলি? (আম্মু)
ভাইয়ার বিয়ে দিয়ে দেও।

হুম দিব কিন্তু বাচা মেয়ে তো তোকে দেখতে হবে। (আম্মু)
ওহ এটা কোনো কথা হলো তিন দিনের মধ্যে মেয়ের চৌদ্দ গুষ্টির খবর পেয়ে যাবে।
আপনারা আবার ভাবছেন তিন দিন কেনো আসলে ভাইয়া একজনকে খুব প্ছন্দ করে। আর মেয়েটা ভাইয়াকে প্রছন্দ করে কিনা তা জানতে পারলে হবে।
পরেরদিন মেয়ে খুজতে যাব। আমি তাই দিলাম মেয়ে পাগল সাকিবকে ফোন।

হ্যালো দোস্ত যেখানে থাকোস তাড়াতাড়ি চলে আয় তো মাঠে।
ফোন কেটের দেওয়ার পাঁচ মিনিট পর সাকিব আর রেজওয়ান বাইকে আসতেছে।
হ্যা বল এত জরুরি তলব কিসের? (সাকিব)

ভাইয়া যে মেয়েকে প্রছন্দ করে মানে পিছনে ঘুরে চল তার কাছে। (রাজ)
ওকে চল তাহলে?
শালার কপাল খারাপ বাইকের মাঝ রাস্তায় তেল শেষ। আমি আর রেজওয়ান পিঠাইতেছি সাকিবকে। শালা তুই বাইক আনছ আর তেল নাই।
ভাই আর মারিস না মনে ছিল না তেল কম আছে।

আচ্ছা চল হেটে যাই। তিনজনে হাটছি আর ঐ শালা দুইটা রাস্তার মেয়ে দেখে শির্ষ বাজাচ্ছে।
কে যেন এসে আমার গালে ঠাসস করে থাপ্পড় বসালো। এমা এটা তো দেখি পেত্নী থুক্কু অনন্যা রেগে আছে আমি আবার কি করলাম।
আপনার প্রবলেম কি, হ্যাঁ? রাস্তা ঘাটে কি মেয়ে দেখলে শির্ষ দিবেন। যাকে দেখবেন তাকে শির্ষ দিবেন, হুম। আপনার ঘরে কি মা বোন নাই ওহ আপনার মতো ছেলেরা তো এরকম নিজের মা বোন মা। আর অন্যের মা বোন মাল। আপনাকে দেখলে যেন আমার গা জ্বলে যায়। নেক্সট টাইম যদি আর আমার সামনে বেয়াদবি করা দেখছি না তাহলে আপনাকে থানার ভাত খাইয়া ছাড়ব। (অনন্যা)

এটা মেয়ে না কি আগুনের গোলা। আমি তো কিছু করিনি। উল্টা আমাকে কথা শুনালো মেয়েদের সম্মান করি বলে গায়ে হাত তুলি না। তাই বলে আমার বাবা মাকে টেনে আনবে। মিস আমাকে চেনেন। দেখব কি করতে পারেন? পাশে দেখি হারামি দুইটা নাই লুকিয়ে আছে আমার পিছনে।

শালা তোদের জন্য আজ মার খেলাম নে খা। সেখান থেকে চলে আসলাম আর ঐ মেয়ের সামনে কখনো যাব না। এমনকি এই এলাকাও না কি মনে করে ওহ নিজেকে। (মনে মনে)
অপরদিকে?

অনন্যা তুই কাজটা ঠিক করলি না। (জিনিয়া)
কি কাজ কি ঠিক করলাম?

তুই রাজের সম্পর্কে জানিস। তুই যে কথা বললি না রাজ বকাটে রাস্তা ঘাটে মেয়েদের ডিস্টার্ব করে তুই জানিস! রাজ ভাইয়ার জন্য এই এলাকায় কেনো আশপাশের কয়েকটা এলাকায় পর্যন্ত মেয়েরা শান্তিতে চলা চল করতে পারে।

কি বলতে চাস ওহ মতো ছেলে এই কাজ করবে হা হা হা হাসাইলি রে তুই আমায়। (অনন্যা)
আমি হাসির কথা বলি না হয়তো রাজ ভাইয়া সয়তানি প্ছন্দ করে। কিন্ত ওহ শির্ষ বাজায়নি আর হ্যা বিশ্বাস না করলে নাই। যেদিন নিজের চোখে দেখবি রাজ ভাইয়া কেমন মানুষ সেদিন তোর ভুল বুঝতে পারবি।

দূর ছাড়তো তোর জোকস। আমি মানুষ দেখলে বুঝে যাই কে কেমন?
সেদিন আর মেয়েটার দেখা পেলাম না। ওহ যেন কোন কলেজে পড়ে ওহ হ্যা মনে পড়ছে বেগম রোকেয়া কলেজে।
পরেরদিন কলেজের সামনে দাড়িয়ে আছি। আমি সাকিব আর রেজওয়ান সাথে মেয়ে পটানোর ওস্তাদ দিগন্ত আছে।

কলেজে ঢুকলাম সাকিব সব তথ্য নিয়ে আসছে। মাঠে দেখি অনন্যা আছে ওহ কি এই কলেজে পড়ে না কি। আমি আর গেলাম না সাকিব কে বললাম তুই দেখ কোথায় আছে?
আমি আর রেজওয়ান গাছের আড়ালে হলাম। তবুও শালা অনন্যা দেখলো এই মেয়েটা যে কি পায় শুধু আমার পিছনে পড়ে থাকে।
কি ব্যাপার বকাটের গুরু আজ কি আবার কলেজে আসছেন ডিস্টার্ব করতে না অন্য মেয়ে পটানো ধান্ধা আপনার তো আবার স্বভাব ঠিক নেই।
রেজওয়ান কিছু বলতে চাচ্ছিলো কিন্তু বাধা দিলাম।

কি বললেন মেয়ে পটাতে হবে হা হা হা চাইলে মেয়ের লাইন ধরিয়ে দিব।
আরে রাখেন মিস্টার বকাটে আপনার দৌড় কেমন জানা আছে।
রেজওয়ান চল আজকেও মুড নষ্ট করে দিবে এই মেয়ে এখানে থাকব না।

পিছন থেকে অনেক কথা বলছে হয়তো গালি দিচ্ছে তা অজানা আমার।
সাকিব একটা মেয়েকে নিয়ে আসলো আর শালা দিগন্ত তো মেয়েদের সাথে ভাব জমিয়ে ফেলছে।
আরে তুমি রাজ না। আমিও ঘুরের দেখি এটা তো মায়া যায় সাথে আজ এক বছর পর দেখা সেসব কাহিনী পরে শুনেন মায়ার কাজ থেকে।
আরে তুমি না ইটালিতে গিয়েছিলে?
আরে না যাওয়া হয়নি তা কেমন আছ?
জ্বি ভালো তুমি?

আমিও ভালো আছি তোমার সাথে এভাবে দেখা হবে ভাবিনী।
আমাদের কথা শুনে রেজওয়ান, সাকিন আর দিগন্ত অবাক সাথে আরও একজন সে কে পরে জানবেন।
হুম আচ্ছা চলো তোমার সাথে কিছু কথা আছে কপি শপে বসি তোমার সাথে অনেক দিন হলো আর কপি খাওয়া হয় না। (রাজ)
হুম চলো। (মায়া)

কপি খেতে খেতে, আচ্ছা তোমার পিছনে কি কেউ কিছুদিন আগে ঘুরত। (রাজ)
হুম একটা ছেলে কিন্ত কেনো?
আমি যদি বলি সে আর নাই বেচে। (রাজ)
কি বলো সে কি সত্যি নাই?

(দেখি মায়া কান্না করে ফেলছে আমার কথা শুনে)
তুমি কি তাকে ভালোবাস নাকি।
প্রথমে বাসতাম না কিন্ত কিছুদিন ধরে তার শূন্যতা অনুভব করছি মানে ভালোবেসে ফেলছি। (মায়া)
আমি যদি বলি থাকে তোমার বিয়ে করতে হবে করবে বিয়ে?


পর্ব ৩

তুমি কি তাকে ভালোবাস নাকি।
প্রথমে বাসতাম না কিন্ত কিছুদিন ধরে তার শূন্যতা অনুভব করছি মানে ভালোবেসে ফেলছি। (মায়া)
আমি যদি বলি,
তাকে তোমার বিয়ে করতে হবে করবে বিয়ে?

কিছুক্ষণ ভেবে, হুম করব কিন্তু তাকে পাব কোথায়? (মায়)
এটা নিয়ে চিন্তা করতে হবে না তোমায়। সেখান থেকে চলে আসলাম। এখন খুশি খুশি লাগছে আমার কাজ শেষ এখন যা করার আব্বু আম্মু করবে।
আপরদিকে,
আপু এই ছেলেটা তোর কি হয়? (অনন্যা)
কোন ছেলের কথা বলছি?
একটু আগে যার সাথে কথা বললি সে। (অনন্যা)

ওহ রাজের কথা বলছি সে হচ্ছে আমার আদরের ছোট ভাই। (মায়া)
মানে কি বলতে চাচ্ছি তুই। (অনন্যা)
আরে আমি আজ তোর সামনে তা রাজের জন্য দাড়িয়ে আছি। ছেলেটা খুব লাজুক রে। (মায়া)
অনন্যা তো অবাকের উপর অবাক হয়ে যাচ্ছে। কি বলতে চাচ্ছে তার উপর কিছু মাথায় আসতেছে না।
আচ্ছা শুন তোকে পরিষ্কার করে বলি,

আমি যখন SSC এর রাজ তখন নাইনের ব্যাচ তুই তখন নানুর বাড়িতে ছিলি। সেখান থেকে আমাদের পরিচয়। আমি ইন্টার পরিক্ষা দিয়ে বাড়ি আসার সময় বাসের সাথে ধাক্কা খাই সেই পথ দিয়ে রাজ আসার সময় আমাকে মাটিতে পড়ে থাকা দেখতে পায় প্রচুর ব্লাডিং হচ্ছিল আমার রাজ আমার রক্তের গ্রুপ এক ছিল বলে সেই সময়ে আমাকে রক্ত দিয়ে বাঁচিয়েছে। না হলে আমাকে বাচানো যেত না আর আজ একবছর পর তার সাথে দেখা বাকিটা তুই জানস।
আচ্ছা আপু রাজের কি ফোন নাম্বার আছে তোমার কাছে। (অনন্যা)
না কিন্তু তার পরিচিত কারো কাছে চাইলে পাবি কিন্তু তুই এই কথা কেনো বলছি। (মায়া)
ওহ তুই বুঝবি না। (অনন্যা)

আমি বুঝি না তুই যে প্রমে হাবুডুবু খাচ্ছি তা কে বলবে। (মায়া)
আরে না আপু তাকে সরি বলব জাস্তি সেটুকু আমি এসব আজাইরা খাবার খাই না। (অনন্যা)
সরি বলার জন্য না অন্য মতলব আছে তোর। (মায়া)

আরে না শুধু একটা সরি বলব। (অনন্যা)
তা সরি বলার কারনটা কি?
তারপর অনন্যা মায়াকে সব খুলে বলল।

কি তুই এই রকম কাজ করছি আচ্ছা কালকে মনে হয় রাজ আমার বাসায় আসবে কালকে সরাসরিভাব সরি বলিস। (মায়া)
কি খবর ঘটক মশাই মেয়ে পেলে। (খোটা দিয়ে ভাইয়া কথাটা বলল)
আরে পাইছি মানে রাজি করে আসছি তোর বিয়ের জন্য রেডি হয়ে নে ভাই। (রাজ)
মানে তুই এত তাড়াতাড়ি কেমনে করলি?

আরে উত্তেজিত কেন হচ্ছি। আমাদের এলাকার কুদ্দুস চাচা আছে তার যে মেয়েটা আছে। তার সাথে ফাইনাল করে আসলাম। তুই শুধু কালকে যাবি। রিং পড়াবি আর আসবি। (রাজ)
কি এই মটুকে বিয়ে করব আমি তুই কি পাগল হয়েছি না আমাকে পাবনার টিকিট কাটতে হবে।
সেটা তুই যাই বল মেয়ে রাজি তুই রাজি তাড়াতাড়ি ডাকমু না কি কাজি। (রাজ)
আম্মু ওহ আম্মু কই তুমি নিচে আসতো। (রাজ)

হ্যাঁ বল কি বলবি। (আম্মু)
আব্বু কই তাকে ডাকো কথা আছে। (রাজ)
এই তো এসে গেছি বল কি বলবি। (আব্বু)

আম্মু আমি এই মটুকে বিয়ে করব না এই বলে দিলাম। (ভাইয়া)
আমাকে ছাড়া কি নিয়ে কথা হচ্ছে শুনি। (আপু)
না তোকে ছাড়া কেমন করে হবে। (রাজ)
হুম বলতো বাপু কি বলবি অনেক কাজ পড়ে আছে। (আম্মু)

তোমার গুণধর ছেলের জন্য মেয়ে ঠিক করে আসলাম কালকে গিয়ে দেখে আসবে আর কি। (রাজ)
আমি এই মটুকে বিয়ে করব না আমি সারাজীবন ব্যাচেলর থাকব তবু এই বিয়ে করব না। (ভাইয়া)
আর একবার বলতো বিয়ে করবি না এই মেয়েকে। (আব্বু)

হুম করব না। (ভাইয়া)
ভাইয়া ভেবে বল কিন্তু মায়া ভাবি কিন্তু তাহলে অন্য ছেলের সাথে বিয়ে করবে। (অাপু)
মায়া, মানে কোন মায়ার কথা বলছি। (ভাইয়া)

কে হয় হউক তুই তো বিয়ে করবি না আম্মি আমি তাদের মানা করে দেই। (রাজ)
এই না ভাই প্লিজ আমি বিয়ে করব এমনটা করিস না মায়াকে আমি খুব ভালোবাসি। (ভাইয়া)
(এইরে কি বলে ফেললাম ভাইয়া মনে মনে)
কি বললি তুই মায়া না কি তাকে ভালোবাসি। (আব্বু)
আরে ভাই তোর লজ্জা পেতে হবে না আমি সব জানি সেই জন্য তো প্রতিদিন আমার উপর নির্যাতন করিস। (রাজ)

আজকে সবাই গিয়েছ মেয়ে দেখতে। শুধু আমি যাই নি কারনটা আপনাদের অজানা নয়। তারপরও বলি সেদিনের ব্যাবহারের জন্য আর এই এলাকা ডুকব না। ভাইয়া আপু ঠিকানা জানে তাউ আর আমাকে যেতে হয়নি অনেকবার আম্মু যাওয়ার জন্য বলছে কিন্তু আমি যাই নি।
অপরদিকে।

আম্মু আব্বু ভাইয়া আর আপু মায়াদের বাড়ি গিয়েছে। মায়াকে নিচে আনা হলো তারপর সালাম করল। মায়া যখন ঘোমটা সরালো তখন ভাইয়াকে দেখে অবাক আর খুশি দুইটাই হয়েছে। তারপর দুইজনকে একে রুমে পাঠানো হলো আলাদা ভাবে কথা বলার জন্য।
কেমন আছ। (ভাইয়া)
ভালো তুমি কেমন আছ। (মায়া)

জ্বি ভালে তোমার কি কিছু জিজ্ঞাসা করার আছে। (ভাইয়া)
না কিন্তু রাজ তোমার কি হয় আর আসলো না যে। (মায়া)
হুম তার না কি কাজ আছে তাই আসেনি আর আমার ছোট ভাই হয়।
ওহ আচ্ছা।
তারপর সব ঠিকঠাক মানে বিয়ে ফাইনাল ভাইয়া রিং পড়ালো।
কি ব্যাপার আপু রাজ এলো না যে। (অনন্যা)

তার না কি কাজ আছে পড়ে তাই আসেনি। (মায়া)
কাজ না ছাই আমার কথায় কষ্ট পেয়েছে সেদিন যদি না বুঝে এসব কথা না বলতাম তাহলে কিছু হতো না সন দোষ আমার আপু 😥(অনন্যা)
আরে পাগলি কাঁদছি কেন আমি তো ঐ বাড়িতে যাচ্ছি বউ হয়ে তখন তুই গিয়ে না হয় কথা বলিস। (মায়া)
মানে কি বলছিস। (অনন্যা)

হুম রাজ নাকি হিমেলের ভাই হয় তা কেবল জানলাম। (মায়া)
বসে বসে গেম খেলছি তখন কলিং বেল পড়লো।
দরজা খুলে দিলাম দেখি ভাইয়া এক হাড়ি মিষ্টি কিনে এনেছে মনে হয় যে আজকের মতো আর এমন শুখি কখনো হয়নি কিছি না বলে একটা মিষ্টি মুখে খাইয়ে দিল।
তা এত খুশি হবার কিছু নেই বিয়ের পর বুঝবি মজা কাকে বলে। (রাজ)

হু হু বিয়ে করব আমি আর তুই এত কথা কেন বলিস হুম(ভাইয়া)
হয়েছে আর বলতে হবে না এত কিছু করলাম ধন্যবাদ একটা দিবে তা না কথা শুনাচ্ছে। (রাজ)
রাতে শুয়ে ফেসবুক চালাইতেছি তখন অচেনা নাম্বার থেকে ফোন আসলো কেটে দিলাম তারপর আবার দিল ফির কেটে দিলাম আবার দিল এবার ব্যাক করলাম।
এই কে আপনি এত বার ফোন দিচ্ছেন কেনো(রাজ)

তার আগে বলো এত বার ফোন দেওয়ার পরও ধরো নি কেনো হুম। (মোবাইলের ওপাশ থেকে)
আরে বাস এটা তো মেয়ে না আগুনের গোলা যা মিস্টি কণ্ঠ না, এটাকে পটাতে হবে সিনিয়ার হলে আরও ভালে আমার আবার সিনিয়ারে সাথে প্রম করতে মন চায়🙄🙄।
ওহ্যালো আপনি কে যে আপনার ফোন ধরব(রাজ)

এই ধরবে না মানে হুম তুই না ধরলে তোর বাপ ধরবে। (মেয়েটি)
ওকেহ আমার বাপকে ফোন দেন আমাকে কেনো দিছেন। (রাজ)। (ফোনটা দিছি কেটে)
অপরপাশে, কুত্তা, সয়তান, বান্দর, লেজি বিড়াল হনুমান তুই ফোন কাটলি।

আবার ফোন দিল ফোনটা ধরলাম,
এই তোর সমস্যা কি তুই কোন সাহসে আমার ফোন কাটছিস। (মেয়েটি)
এই আপনি কে হুম তখন থেকে তুই তুকারি করে বলছেন। (রাজ)

একশ বার বলব তুই ফোন কাটলি কেনো। (মেয়েটি)। (মেয়েটির নাম এখনো জানি না)
বার তুই করে বলছে নিশ্চয়ই আমাকে চিনে এবার অন্য টেকনিকে কথা বলতে হবে দেখি।
ওহ জেসি তুমি আগে বলবি এভাবে পরিচয় গোপন করে কেউ কথা বলে। (রাজ)
ওই কুত্তা আমি জেসি না অনন্যা বলছি। (অনন্যা)। (এই মাত্র জানলাম)
কিই আপনি কেনো ফোন দিছেন আর নাম্বার কে দিলো। (রাজ)
তার আগে বলো জেসিটা কে(অনন্যা)
আমার জিএফ। (রাজ)

ফোন কাইটা দিছি। আমাকে ফোন দেয় এতবড় সাহস আবার তুই তুকারি করে বলে হুম। পুরো মেজাজটা গরম করে দিল যাই ঘুমাই।
সকালে আমি আর সাকিব হাটছি, প্রতিদিনই হাটি আমরা খুব ভালো লাগে সকালে পরিবেশ আমায়।
হাটতে হাটতে কখন যে অন্য গ্রমে ডুকছি মনে নেই।

এই রাজ আর এগোনো যাবে না দেখ অনন্যাদের এলাকায় আসছি। (সাকিব)
হুম তাই তো চল কেটে পড়ি আবার না হলে কি কথা শুনতে হয় কে জানে। (রাজ)
সেখান থেকে চলে আসতেছি তো পিছন থেকে কেউ ডাকছে।
দেখতো রে ভাই কে ডাকছে আমায়(রাজ)

আরে এটা তো অনন্যা চল মানে মানে কেটে পড়ি। (সাকিব)
হুম চল এখানে থাকা ভালো হবে না।
এমন দৌড় দিছি আর পায় কে অনন্যা অনেক বার ডাকছে কিন্ত না শুনে চলে আসলাম।
কলেজে বসে আছি ওহ আপনাদের বলা হয় নি আমি রংপুর কারমাইকেল কলেজে পড়াই থুক্কু পড়ি।


পর্ব ৪

হুম চল এখানে থাকা ভালো হবে না।
এমন দৌড় দিছি আর পায় কে অনন্যা অনেক বার ডাকছে কিন্ত না শুনে চলে আসলাম।
কলেজে বসে আছি ওহ আপনাদের বলা হয় নি আমি রংপুর কারমাইকেল কলেজে পড়াই থুক্কু পড়ি।

আড্ডা দেওয়ার সময় কে যেন পিছন থেকে ডাক দিল।
এই রাজ। (মেয়েলি কণ্ঠে)

পিছনে ঘুরে দেখি মায়া আর ভাইয়া দাড়িয়ে আছে, আমি উঠে তাদের কাছে গেলাম।
রাজঃ হুম বলো কি বলবে?
মায়াঃ আমাদের সাথে চলো ঘড়তে যাব।
রাজঃ তোমরা যাও আমি কাব্বামে হাড্ডি হতে চাই না।

মায়াঃ আরে আস তো। (জোড় করে গাড়িতে তুলতে লাগল)
রাজঃ এই দ্বারাও যাব না দেখ ভাইয়া মুখটা পেচার মতো করে আছে।
ভাইয়াঃ কি বললি আমি পেঁচার, মতো মুখ করে আসি।
রাজঃ হুম তা নয়তো কি আমি তোমাদের সাথে গেলে মনে হয় তোর অসুবিধা হবে?
মায়াঃ আরে আস গাড়িত বস। (জোড় করে গাড়িতে তুলল)

ভাবি আর ভাইয়া সামনে বসল আমি একাই পিছনে বসে আসি।
রাজঃ বলছি কি ভাবি তুমি পিছনে আস না একা বোরিং লাগছে।
মায়াঃ ওহ তাই। (ভাবি পিছনে বসল)
ভাইয়াঃ এটা কি হলো আমি কি গাড়ির ড্রাইভার না কি।

রাজঃ হুম চলেন এবার আপনাকে কি এমনি মাইনে দিয়ে রাখা হয়।
ভাইয়াঃ কি আমি ড্রাইভার।
মায়াঃ হুম চলেন তো এবার সময় নষ্ট না করে।
মায়া আর আমি হাসতেছি আর ভাইয়া, রাগে ফুসফুস করছে।

আমি মায়া ভাবির সাথে দুষ্টুমি করছি। ওহ এখন কিন্ত মায়া আমার ভাবি হয়নি হবে আর।
ভাইয়া যে পরিমাপ রেগে আছে সব রাগ গাড়ির উপর তুলছে। বেচারা কতদিন পর কাছে পেল তাও আবার আমার সাথে।
রাজঃ দেখ ভাবি ভাইয়া কেমন যেন হিংসুটে আমার পাশে তোমায় দেখতে পাচ্ছে না। (ভাইয়াকে রাগানোর জন্য)
মায়াঃ হুম তাই তো দেখছি।

ব্যাস ভাইয়া রাগ করে গাড়ি থামালো যেন ৪২০ ভোল্টেজের কারেন্ট শখ খেলো।
ভাইয়াঃ এই তুই গাড়ি থেকে নাম। (আমাকে উদ্দেশ্য করে)

রাজঃ চলো জানু এই গোমড়া মুখি পেঁচার কাছে না থাকায় ভালো।
সেখান থেকে নেমে আমি আর মায়া, ভাইয়াকে রাগানোর জন্য পাশাপাশি হাত ধরে হাটছি। কারণ আমার পার্কের সামনে এসে পড়ছি। যা হয়তো রাগের মাথায় ভাইয়া খেয়াল করেনি।
সেখান থেকে চলে আসার পর ভাইয়াকে দেখলাম পার্কে বসে নিজের রাগ কন্টোল করছে তো ভাবিকে বললাম।
রাজঃ ভাবি যাও তোমার বর মন খারাপ করে বসে আছে শান্তনা দেও।

মায়াঃ হুম যাচ্ছি আর শুন তুমি ঐ দিকে যাও তোমার জন্য একটা সারপ্রাইজ আছে। (মুচকি হেসে চলে গেল যে হাসির কোনো মানে যানা নেই আমার শুধু রহস্যটা রয়ে গেল)
আমি মায়া ভাবির দেখে দেওয়া জায়গা অনুযায়ী গেলাম কিন্তু কাউকে দেখতে পেলাম না।

অপরদিকে,

মায়াঃ এই যে শুনছ।
ভাইয়াঃ হুম শুনছি কি বলবে বলো।

মায়াঃ আরে তুমি রেগে আছে কেন রাজ তাহলে ঠিকই বলছে রাগলে তোমায় পেঁচার মতো লাগে।
ভাইয়াঃ দূড় যাও রাজের কাছে আমার কাছে কেন আসছ।
মায়াঃ ওলে বাবুলে রাগ করছে বাবুটা?
ভাইয়াঃ না না আমি কি রাগ করতে পারি।

মায়াঃ আরে রাগ করে বসে থাক না তো তোমার সাথে ফান করছি আমি আর রাজ চলে দুইজনে একসাথে হাটি।
ভাইয়াঃ আচ্ছা চলো।
পিছন থেকে কে যেন চোখ ধরল। কে আবার কোনো কিডন্যাপার না তো।
রাজঃ এই কে আপনি ছাড়েন বলছি?

অপরিচিতা:- না ছাড়ব না বলো তো কে হতে পারি।
এটা তো একটা মেয়ের কণ্ঠ তাহলে কে হবে, এই আপনি কে ছাড়েন আপনাকে আমি চিনতে পারছি না।
আমার চোখ থেকে হাত সড়ালো পিছনে ঘুড়ে দেখি অনন্যা।

রাজঃ এঔ আপনি এখানে আর কোন সাহসে আমার চোখ ধরেন।
অনন্যাঃ একশ বার ধরব তাতে তোর কি হুম।
রাজঃ আমার কি মানে আমার ধারের কাছে যেন না দেখি আপনাকে
রাগ দেখিয়া চলে আসতে যাব তখন। পিছন থেকে হাত টেনে ধরল।
রাজঃ এই কি করছেন হাত ছাড়ুন।

অনন্যাঃ সরি রাজ আমাকে ক্ষমা করে দেও সেদিন না বুঝে অনেক খারাপ কথা শুনিয়েছি।
কাহিনী কি আজ আমার কাছে ক্ষমা চাচ্ছে কিছু তো ঘোলাটে আছে(ভাবতেছি)
অনন্যাঃ কি হলো প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দেও।
রাজঃ দেখুন আপনি এমন কিছু বলেন নি যে ক্ষমা করতে হবে আপনি তো ঠিকই বলছেন আমি বকাটে রাস্তায় মারধর করে বেড়াই মেয়েদের টিজ করি তাহলে তো ক্ষমা করার প্রশ্নই আসে না।

অনন্যাঃ আমি জানি তুমি কেমন ক্ষমা করে দেও মানুষ তো ভুল করতে পারে তাই বলে ক্ষমা করা যাবে না।
রাজঃ আরে এভাবে বসে না থেকে উঠেন আপনাকে তো ক্ষমা করে দিছি।
অনন্যাঃ সত্যি ক্ষমা করছ। (খুশি হয়ে)
রাজঃ হুম করছি তো।
অনন্যাঃ তাহলে আজ থেকে কি আমরা বন্ধু হতে পারি?
আমি নিশ্চুপ।

অনন্যাঃ কি হলো চুপ কেনো ওহ বুঝেছি আমাকে এখনো ক্ষমা করতে পারনি তুমি(মন খারাপ করে)
এই রে এখন কি বলি। আচ্ছা যাই হউক ক্ষমা তো করব ক্ষমা করা মহৎ গুন।
রাজঃ হুম আজ থেকে বন্ধু।
অনন্যাঃ থ্যাংক ইউ কিন্তু আপনি বলা যাবে না তুমি করে বলতে হবে।
রাজঃ ওকেহ বলব।

অনন্যাঃ আচ্ছা চলো ঐ দিকে যাই ওখানে আইসক্রিম ওয়ালা আছে আইসক্রিম খাব।
রাজঃ আচ্ছা চলো।
দুইজনে পাশাপাশি হাটছি। কিছুদূর যেতে ভাইয়া আর মায়া ভাবিকে দেখলাম তারাও আইসক্রিম খাচ্ছে।
রাজঃ এই অনন্যা চলো অন্য জায়াগা যাই সেখানে আইসক্রিম খাব।
অনন্যাঃ আরে চলো তো তুমি এত ভয় পাচ্ছ কেনো। (হাত ধরে ঠেনে নিয়ে গেল)

আজ কপালে শনি মঙ্গল দুইটাই আছে না জানি ভাইয়া এখন কি বলবে আর আমাকে জ্বালানোর সুযোগ পেল।
অনন্যাঃ হাই দুলাভাই
ভাইয়াঃ হাই,
আমি তাদের কথা শুনে কি বলব বুঝতেছি না অনন্যা কেনো ভাইয়াকে দুলাভাই বলল।
মায়াঃ তো তোদের মিটমাট হলো এবার
অনন্যাঃ হুম আপু।

রাজঃ এই এক মিনিট আমাকে কি কেউ বলবে এখানে আসলো হচ্ছেটা কি?
অনন্যাঃ খুব সহজ আমি তোমার হবু ভাবির বোন মানে তোমার বেয়াইন।
রাজঃ কি কি, এটা কি মায়া হুম তোমার বোন আছে আর আমাকে একবারও বললে না।
মায়াঃ তখন নাই বলি তো কি হয়েছে এখন তো জানলে।
আমি আর কিছু বললাম না তারপর আইসক্রিম খাওয়া শেষে।


পর্ব ৫

মায়াঃ তখন নাই বলি তো কি হয়েছে এখন তো জানলে।
আমি আর কিছু বললাম না তারপর আইসক্রিম খাওয়া শেষে।

মায়াঃ এই চলো না আমার কিছু কিনতে হবে তুমি তোমার প্রছন্দ মতো জিনিস কিনে দিবে?
ভাইয়াঃ আচ্ছা চলো।
অনন্যাঃ এটা কি দুলাভাই আমি কি যাব না?
ভাইয়াঃ আচ্ছা চলো।
রাজঃ তাহলে তোমরা যাও আমি বাসা চলে যাই।
মায়াঃ আচ্ছা যাও।

ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে একটা হাসি দিলাম যেই হাসির মানে ভাইয়া জানেনা।
ভাইয়াঃ কি রে তুই আমার দিকে তাকিয়ে হাসলি কেন?
রাজঃ এমনি সময় হলে সব বুঝতে পারবি।
সেখান থেকে চলে আসলাম আর ভাইয়া মায়া অনন্যা গেল মার্কেটে। তারা দুইবোনে এটা একবার দেখছে ওটা একবার দেখছে সেই দুইঘণ্টা ধরে ভাইয়া তাদের পিছু পিছু ঘুড়তেছে আর রাগে তো সেই রকম ভাবে আছে কিছু বলতে পারছে না। অবশেষে চারঘণ্টা পর মার্কেট করা হলো। তাদের দুইবোনকে বাসায় দিয়ে ভাইয়া আসতেছে আর আমি টিভি দেখছি।

রাজঃ কি রে কেমন গেল শেষ সময়টা।
ভাইয়াঃ তুই আগে বলবি না মেয়ে মানুষের মার্কেট করতে এত সময় লাগে জানলে আমি কি যেতাম না কি!
রাজঃ বিয়ে করবি তুই এটুকু কষ্ট তো করতে হবে।
গেম খেলতছি তখন ফোনের রিংটোন বেজে উঠলো আর অনন্যা নামটা ভেসে উঠল।
রাজঃ হুম বলো।
অনন্যাঃ বাবু খাইছ?

রাজঃ এই ওয়েট আমি তোমার বাবু না ওকেহ।
অনন্যাঃ হুম জানি, কি করো আর ডিনার করস?
রাজঃ গেম খেলি, একটু পর আব্বু আসবে তারপর একসাথে খাব।
অনন্যাঃ ওহ আচ্ছা, আমি খেলাম কিনা বলবে না?

রাজঃ আমি তো জানি তুমি খাইছ তাই বলে কি করব।
অনন্যাঃ ওহ আচ্ছা যাও খেয়ে নেও আর রাত জাগবে না তাড়াতাড়ি খেয়ে নাও শুভ রাত্রি।
রাজঃ হুম।

হঠাৎ এত কেয়ার কই থেকে আসলো এসব ভাবছি তখন আম্মু ডেকে গেল খাওয়ার জন্য।
খেয়ে এসে ঘুমালাম, সকালে উঠে হাটাহাটি করে বাসায় আসার পর আব্বু বলল।
আব্বুঃ রাজ ডেকোরেশনের সব ব্যবস্থা কর আর বিয়ের সব কাজ তোকে সামলাতে হবে।
রাজঃ আমি একা পারব না ভাইয়া তো আছে ভাইয়াকে বলো।

আব্বুঃ বিয়ের কথা তুই বলছি তাই সব কাজ তোকে করতে হবে।
দূড় ভাল্লাগেনা সব কাজ আমি একা করব কেমন করে। সাকিবকে ফোন দিলাম একবার রিংটোন বাজতে ধরল।
রাজঃ কই রে তুই।
সাকিব;- বাসায় আছি কেনো?

রাজঃ তাড়াতাড়ি বাজারে আয় তো।
সাকিবঃ ওকেহ ওয়েট আমি আসতেছি।
কিছুক্ষণ পর সাকিব আসলো।
সাকিবঃ হুম বল?

রাজঃ আমার সাথে চল ডেকোরেশনের দোকানে।
তারপর সাকিব সহ ডেকোরেশনের সব কাজ বুঝে দিলাম এখন যেতে ইনভাইটেশন কার্ড বানাতে দিতে হবে কারণ এক সপ্তাহ পর ভাইয়ার বিয়ে।
অনেক ডিজাইনের কার্ড দেখালো সব গুলো পুরান ডিজাইন তখন একটা কর্ড এ চোখ আটকে গেলো তখন ফোনের রিংটোন বেজে উঠল।
রাজঃ হুম বলো কি বলবে?
অনন্যাঃ তুমি কি বিকালে ফ্রি আছ? (ফোনের অপরপাশে)

রাজঃ হুম আছি কিন্তু কেনো?
অনন্যাঃ তাহলে একবার পার্কে এসো তো তোমার সাথে জরুরি কথা আছে?
রাজঃ আচ্ছা যাব বাই।
সাকিবঃ কি রে ভাই একটা কার্ডও তো ভালো দেখছি না?

রাজঃ ওয়েট, ভাইয়া এই ডিজাইনের কার্ড বানিয়ে দিবেন?
তারপর বাসায় আসলাম ফ্রেস হয়ে খাওয়া করে ঘুমালাম।
ফোনের রিংটোনে ঘুম ভাঙল চোখ কচলাতে কচলাতে তাকিয়ে দেখি অনন্যা ফোন দিয়েছে
তাড়াতাড়ি ফোনটা ধরলাম।
অনন্যাঃ কই তুইরে হুম।

রাজঃ এই তো বাসায় কিন্তু ফোন দিয়ে রাগ দেখাচ্ছ কেনো।
অনন্যাঃ তোর কি মনে নাই আমাদের দেখা করার কথা ছিলো তুই যদি পাঁচ মিনিটের মধ্যে না আসিস তাহলে তোর কি যে করব না।
ফোন কেটে দিলাম, শালার মনে নেই দেখা করতে চাইছি ফ্রেস হয়ে তাড়াতাড়ি বাইক নিয়ে বের হলাম, বাইক অনন্যার সামনে দাড় করালাম।
রাজঃ সরি তোমাকে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করলাম

অনন্যাঃ তোমার জন্য আমি এভাবে সারাজীবন অপেক্ষায় করে থাকতে পারি। (বির বির করে)
রাজঃ এই কি বলে কিছু তো শুনি না।
অনন্যা হাসতেছে। কিন্তু কেনো হাসতছে তা আমার জানা নেই।
রাজঃ এই তুমি এভাবে হাসতেছ কেনো?

অনন্যাঃ দাড়াও আগে হেসে নেই।
রাজঃ আরে বলো তো আমি এখানে হাসির জন্য আসিনি কি বলবে বলো।
অনন্যাঃ এটুকু সহ্য করতে পারচ্ছ না, আচ্ছা বলি এটা তুমি কি পড়ে আসছ।

নিজের দিকে একবার তাকালাম এই রে জিহ্বা কামর দিয়েছি কারন হলো তাড়াতাড়ি আসার জন্য কোনো রকমে ট্রি- শার্ট গায়ে দিয়েছি আর একটা ছোট প্যান্ট পড়ে আসছি ছোট বললে ভুল হবে হাটু থেকে হয় আর কি।
রাজঃ সব তোমার জন্য হয়েছে তুমি রাগ না দেখালে তো এই ভুল হতো না।
অনন্যাঃ আচ্ছা বাদ দেও এসব কথা চলো হাটি।

রাজঃ হুম চলো, (দুইজন পাশাপাশি হাটছি) এবার বলো তো কি বলবে কেনো ডাকছ?
অনন্যাঃ বলতে তো অনেক কিছু চাই কিন্তু বলব না। (আস্তে আস্তে)
রাজঃ কি হলো বলো কেনো ডাকছ?
অনন্যাঃ তোমার সাথে হাটার জন্য।

রাজঃ তাই বলে আমার কাচা ঘুম ভাঙালে।
বাসায় এসে ফ্রেস হলাম তারপর নাস্তা করে গল্পের বই পড়তে লাগলাম গল্প পড়তে অনেক ভালো লাগে।
অনন্যা ফোন দিলো।
রাজঃ হুম বলো?
অনন্যাঃ কি করো?

রাজঃ বই পড়ি তুমি?
অনন্যাঃ তোমার সাথে কথা বলি।
রাজঃ ওহ আচ্ছা আর কিছু করে না?
অনন্যাঃ না, তুমি খাইছ?
রাজঃ না তুমি?

অনন্যাঃ না, তুমি আগে খেয়ে আস তারপর কল করে বলবে খাইছি তারপর খাব।
রাজঃ কিন্তু কেনো আমি খাওয়ার পর খাবে?
অনন্যাঃ ওহ তুমি বুঝবে না যেটা বলছি সেটা করো যাও।
তারপর আর কি রাতে ডিনার করে নিলাম তারপর অনন্যাকে বললাম, বুঝতেছি না কি হলো আবার এই মেয়ের এত কেয়ার কই থেকে আসলো🤔🤔 ডালমে কুচ কালা হে।
পরেরদিন কলেজে গেলাম।

সেদিনের সব ক্লাস করে নিলাম তারপর পিন্সপল স্যারের কাছে অগ্রিম এক সপ্তাহে ছুটি নিলাম স্যার আমার পরিচিত হওয়ার ছুটি নিতে কোনো সমস্যা হয়নি।
বিয়ের আর তিনদিন বাকি আছে, এতি মধ্য সবাইকে নিমন্ত্রণ দেওয়া হয়েছে আর ডেকোরেশন চলে এসেছে বাসা সাজানে জন্য, আমি তাদের কাজে সহায়তা করতে লাগলাম কোথায় কি লাগতে হবে। খুব ক্লান্ত থাকায় তাড়াতাড়ি ঘুমাতে গেলাম।

ঘুম আর হলো কই কে যেন ফোন দিল তাকিয়ে দেখি অনন্যা।
অনন্যাঃ খুব ব্যাস্ত না একবারও ফোন করা যাবে না আমার ফোনটা রিসিভ করা পর্যন্ত যায় না, নাকি অন্য কাউকে পেয়েছ।
রাজঃ এসব কি বলো হুম।
অনন্যাঃ ঠিকই তো বলছি।

রাজঃ আরে তেমন কিছু না সারাদিন ব্যাস্ত ছিলাম আর ফোন সাইলেন্ট করা ছিল তাই ধরতে পারি নি।
অনন্যাঃ বুঝি তো আমার কলে মনে হয় ডিস্টার্ব ফিল করো?
রাজঃ দূড়ও ঘুম ধরছে ঘুমালান বাই।
পরেরদিন সকালে নাস্তা করছি তখন।


পর্ব ৬

অনন্যাঃ বুঝি তো আমার কলে মনে হয় ডিস্টার্ব ফিল করো?
রাজঃ দূড়ও ঘুম ধরছে ঘুমালান বাই।
পরেরদিন সকালে নাস্তা করছি তখন।

আব্বুঃ হিমেল মার্কেট এ কখন যাবি?

ভাইয়াঃ আমি যাব না রাজ নিয়ে যাক সবাইকে।
রাজঃ হুম বললে হলো আমি নাই।
আব্বুঃ চুপ কর তোরা দুইজনে যাবি?
দুপুরবেলা মার্কেটে আইছি, আমি, আপু, ভাইয়া, আম্মু, মায়া ভাবি, অনন্যা, আর অঙ্কেল আন্টি।
অনন্যাঃ আপু তোরা যা আমি রাজের সাথে আছি।

মায়া ভাবিঃ হুম যা দেখে রাখিস আবার যেন পালিয়ে না যায়।
অনন্যাঃ তুইও না দূড় ভাল্লাগেনা না রাজ আসতো।
রাজঃ আমি তোমাদের মাঝে নাই আমি গেলাম?

অনন্যাঃ এই কোথায় পালাও শুনি।
রাজঃ কই যাই আবার তোমরা কেনাকাটা করো আমি একটু ঘুড়ে আসি।
অনন্যাঃ কোথাও যাওয়া হবে না আমার সাথে আসো। (অনন্যা হাত ধরে নিয়ে গেল তার সাথে)
রাজঃ এই তুমি তো ভাইয়া আঙ্কেল আন্টির সাথে থাকতে পারতে আমার সাথে কেনো।
অনন্যাঃ এত কথা কেনো কও তুমি আমার সব কিছু প্রছন্দ করে দিবে।
রাজঃ আমি কেনো?

অনন্যাঃ এত কথা না বলে বলো তো কোন শাড়িতে মানাবে আমায়।
রাজঃ নীল শাড়িটা নিতে পারও অনেক ভালো লাগে আমার।
অনন্যাঃ তোমার প্রছন্দ হয়েছে তাহলে এটাই নিব।
রাজঃ আমার প্রছন্দ হলে নিতে হবে না কি আমার চয়েস তো ভালো না
অনন্যাঃ এত কথা বলো না তো চলো তো।

এক দোকান থেকে আরেক দোকান শুধু ঘুড়তে আছি,
অনন্যাঃ এই এদিকে আস তো।
তারপর অনন্যা একটা প্যান্ট মাপ নিলো আমাী মাপে তারপর ট্রি- শার্ট আমি শুধু দাড়িয়ে তামাশা দেখছি।
রাজঃ এই তুমি এসব আমার মাপ নিয়ে কিনছ কেনো?

অনন্যাঃ আমার মামাতো ভাই আর তোমাী মাপ একই তাই এসব কিনা।
ছয় সাত ঘণ্টা কেনাকাটা করার পর সব শেষ হলো, রাতের ডিনার রেস্টুরেন্টে করে নিলাম। অনেকে অনেক কিছু কিনছে যা বলার মতো না।
বাসা এসে ঘুমালাম,
আজ ভাইয়ার গায়ে হলুদ কাল বিয়ে, আমার সব হারামি বন্ধুরা চলে আসছে তাদের সাথে মজা করছি।
সাকিবঃ এই রাজ শুন বলছি যে চল মায়া ভাবির বাসা যাব।
রাজঃ কিন্তু কেনো?
সাকিবঃ আরে বেটা মায়া ভাবিকে হলুদ মাখাতে হবে।

দিগন্তঃ হুম ঠিক বলছি চল যাব
রাজঃ না না আমি যাব না তোরা যা। (শালা তোদের মতলব বুঝতেছি না মেয়ে পটানোর ধান্ধা)
সাকিবঃ ভাই চল না রে।
রাজঃ না আমি যাব না।

রেজওয়ানঃ তুই তো ভিতু তাই যেতে পারচ্ছি না সাহস থাকলে চল।
রাজঃ কি আমি ভিতু তাহলে চল দেখাব আমার কত সাহস। (আমাকে আবার কেউ ভিতু বললে মনে হয় তার নাক ফাটিয়ে দিয়ে দেখে দেই আমার সাহস কেমন)
আমরা মোর চার জন যাচ্ছি চার খান মোটরসাইকেল। সবাই এখানে একাই।
বিয়ে বাড়িতে চলে আসলাম মায়া ভাবিকে সবাই হলুদ মাখাচ্ছে।
দিগন্তঃ বাহ দোস্ত এত মেয়ে এখানে আজকে তো একটাকে পটাবো।

রাজঃ এই সাবধান অনন্যার চাচ্চু পুলিশ কমিশনার ধরবে আর জেলে ডুকাবে।
সাকিবঃ দূড় তুই দিলি তো মনে ভয় ডুকে।
রেজওয়ানঃ আচ্ছা বাদদে রাজ তুই অনন্যা ভাবিকে হলুদ মাখাবি আর কোলে তুলে নিয়ে যাবি না হলে তোর সব কির্তি কলা ফার্স।
রাজঃ কি কি আমি পারব না, আর তুই কি ফাস করবি শুনি?

সাকিবঃ এই দেখ ভিডিও যদি একবার দেই ভাইরাল করে তাহলে কি হবে।
মোর লজ্জা করে এমন ভিডিও রেকড করছে তাই বলমু না।
রাজঃ এ ভাই এটা তোরা কি বলিা আমাকপ যদি দরে জেলে দেয়া নারী নির্যাতন খেস দিলে মুই শেষ।
দিগন্তঃ তা বললে হবে না যা বলছে তাই করতে হব।

দেখে নিব তোদের হুম সুযোগ একবার আসতে দেয় তারপর দেখাব ব্লাকমেইল কাকে বলে। বাধ্য হয়ে গেলাম সেখানে। আঙ্কেল আন্টির সাথে দেখা তাদের সাথে কথা বলে স্টেজে গেলাম মায়া ভাবিকে হলুদ মাখালাম শালার সবাই আশপাশের মেয়েকে হলুদ মাখাচ্ছে সাকিব ইশারা করে অনন্যাকে হলুদ মাখাতে বলল। তার আগেই।
অনন্যা আমাকে হলুদ দিয়ে পুরো মুখটা মাখিয়ে দিল। আমিও দিলাম অনন্যাকে হলুদ তারপর আর কি অনন্যাকে কোলে তুলে নিলাম। আশপাশের সবাই অবাক চোখে তাকিয়ে আছে আমি যে এটা করব অনন্যাও ভাবতে পারে নি।

সাকিবঃ শাবাশ ব্রো এগিয়ে যাও
কারো কোনো কথায় কান না দিয়ে অনন্যাকে তার রুমে নামিয়ে দিলাম। অনন্যা কেমন একটা রাগি লুকে তাকিয়ে আছে।
রাজঃ সরি অনন্যা আমি ইচ্ছা করে করতে চাইনি বন্ধুরা জোড় করে করিয়েছে।
অনন্যা একটা হাসি দিল। সেদিকে আর কোনো খেয়াল না করে বাইক নিয়ে বাসায় আসলাম অনন্যার বাসা থেকে আসতে ১৫মিনিটের মতো লাগে। বাসা আসতে আবার আপু শুরু করে দিলো।

আপুঃ কি রে কি শুনলাম সাকিব যা বলল তা কি সত্যি।
রাজঃ কি বলছে শুনি?

আপুঃ তুই না কি অনন্যাকে কিস, করছি?
রাজঃ । (আকাশ থেকে পড়লাম মনে হয়) মিথ্যা কথা সব বানিয়ে বুনিয়ে বলছে আমি এসব কাজ করিনি।
আপুঃ সে যাই হউক আব্বু আম্মুর কানে যাওয়ার আগে পাঁচশত টাকা ছাড়তো নাহলে?

রাজঃ থাক বুঝছি ধরন নে, তোদের মতো ভাই বোন আর বন্ধু থাকলে জীবনে আর শত্রুর অভাব হবে না।
আজকে যে বাশ দিলো না জানি এখন আঙ্কেল আন্টি আমায় কি ভাববে হয়তো ভাববে আমি খারাপ ছেলে না আন্টিকে ফোন করে সরি বলি না হলে খারাপ ভাববে।যেই ভাবা সেই কাজ,
রাজঃ আসসালামু আলাইকুম আন্টি

অনন্যার আম্মুঃ আলাইকুম আসসালামু।
রাজঃ সরি আন্টি তখন বিয়ে বাড়িতে আপনার মেয়েকে ভরা মজলিসে কোলে তুলে নিয়েছিলাম।
আন্টিঃ ঠিক আছে বাবা।
রাজঃ ক্ষমা করছেন তো?

আন্টিঃ হুম করছি অনন্যা সব বলছে।
রাজঃ থ্যাংকস আন্টি।
আন্টিঃ আচ্ছা রাখি বাই।
আহ এখন একটু ভালো লাগছে কিন্তু অনন্যা কি বলল আন্টিকে যে ক্ষমা করে দিল।
তখন আবার ফোনরে রিংটোন বেজে উঠল।

অনন্যাঃ এই কুত্তা বানর তুই কার সাথে এতক্ষণ কথা বলছি।
রাজঃ কেনো বলব কেন তোমায় আর তুমি তুই করে বলছ কেনো?
অনন্যাঃ একশ বার বলব তুই কার সাথে এত কথা বলিা হুম।

রাজঃ তোমার আম্মুর সাথে কথা বলছিলাম কেনো কিছু বলবে। (যে রেগে আছে আর রাগানো ঠিক না)
অনন্যাঃ সত্যি তো, যদি অন্য মেয়ের সাথে কথা বলো তো তোমার বারোটা বাজাব।
রাজঃ এটা বলার জন্য ফোন দিছ?
অনন্যাঃ না এখন আর বলব না কালকে বলব আর তোমার জন্য সারপ্রাইজ আছে বাই বাই গুড নাইট।
রাজঃ ওকেহ বাই শুভ রাত্রি

আজকে ভাইয়ার বিয়ে, কথায় আছে না যার বিয়ে তার কোনো খোজ নাই আর পাড়াপড়শির ঘুম নাই। ভাইয়ার যে বিয়ে সেটা মনে হচ্ছে না খালি খাচ্ছে আর ঘুমাচ্ছে আমাকে দিয়ে খাটাচ্ছে।
সবাই সাজতেছে, আমার হারামি বন্ধুরা এমন সাজন সাজসে কি বলব বিয়ে যেন এদের।
রাজঃ কি রে তোরা কি সবাই বিয়ে করতে যাচ্ছি না কি?

রেজওয়ানঃ বিয়ে যাই করুক বিয়ে বাড়ি বলে কথা একটা সম্মান আছে তো।
রাজঃ তোর সম্মানের গুল্লি মারি শালা মেয়ে পটানোর ব্যবস্থা করে আসছ ভাবিকে ফোন করে বলব নি তুই বিয়ে বাড়িতে মেয়ে পটাতে যাচ্ছি।
সাকিবঃ আরে বাদদে না ভাই একটা পটাতে পারলে তো হবে।
রাজঃ আচ্ছা তোরা পাঁচ মিনিট দ্বারা আমি রেডি হয়ে আসছি।
আমার রুমে চলে আসলাম রেডি হয়ে নিচে নামলাম সবাই যেন হা করে তাকিয়ে আছে।কাহিনী কি আমি কি এলিয়েন না কি?
রাজঃ কি হলো আমার দিকে কি দেখস?

ভাইয়াঃ আচ্ছা বিয়েটা কি আমার না তোর?
রাজঃ কেন তোর আমার হবে কেনো।
সাকিবঃ দোস্ত যা লাগছে না তোকে পুরো জোস যেকোন মেয়ে তোকে দেখে ক্রাস খাবে।
রাজঃ চলতো এসব আজাইরা বাশ খাওয়ার ধান্ধা আমার নাই।
তখন ফোন বেজে উঠল শুভ নামটা ভেসে উঠল।
রাজঃ কি রে এতদিন পর।

শুভঃ দোস্ত খুব বিপদে পড়ছি প্লিজ একবার রংপুর মেডিকেল আসবি?
রাজঃ এখন যেতে হবে না কি?
শুভঃ হুম আয় খুব জলদী।
রাজঃ আম্মু আমি একটু আসছি তোমরা সবাই যাও আমি বিয়ে বাড়িতে সরাসরি যাব।
আম্ম:- কিন্তু কেনো কে ফোন দিলো?

রাজঃ সেটা এসে বলব।
সাকিবঃ দোস্ত আমি যাই তোর সাথে।
রাজঃ না থাক তোরা এদিকে সব দেখে রাখ।
বাইক নিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজে চলে গেলাম ৩০ মিনির পর পৌছালাম।

শুভঃ দোস্ত তুই আসছ প্লিজ আমার আম্মুকে বাচা এক ব্যাগ ও পজেটিভ রক্ত লাগবে এখন পাওয়া যাচ্ছে না প্লিজ বাচা আম্মুকে।
রাজঃ আরে চিন্তা করিস না আন্টির কিছু হবে না চল।
তারপর এক ব্যাগ রক্ত দিলাম কারন আমার রক্তের গ্রুপ ও পজেটিভ?
বিয়ে বাড়িতে কি হচ্ছে তা আমার জানা নেই?

রক্ত দেওয়া শেষ করে। মোবাইলের দিকে তাকিয়ে দেখি অনন্যা ৩০টা মিসকল, আব্বু আম্মু আপুও ফোন দিছে।
আম্মুকে ফোন দিলাম।
রাজঃ হ্যালো আম্মু সব ঠিক আছে তো?

আম্মুঃ হুম সব ঠিক আছে খালি অনন্যা একটু মণ খারাপ করে বসে আছে তুই কই কখন আসবি।
রাজঃ আম্মু আমি তো যেতে পারব না।
আম্মুঃ কিন্তু কেন তুই ঠিক আসস তো?

রাজঃ হুম ঠিক আছি, তারপর সব কাহিনী খুলে বললাম,
আম্মুঃ ওহ আচ্ছা যা বাসা গিয়ে রেস্ট নে।

রাজঃ হুম আর তুমি ঐ দিকে দেখে রাখ।
বাসায় এসে ঘুমালাম, শুভর মায়ের কি হয়েছে তা বললাম না সব কিছু কি বলতে হবে নাকি।


পর্ব ৭

বাসায় এসে ঘুমালাম, শুভর মায়ের কি হয়েছে তা বললাম না সব কিছু কি বলতে হবে নাকি।।

অপরদিকে,
অনন্যাঃ কি হয়েছে আন্টি রাজ কি আসবে না?
আম্মুঃ না রে মা সে আসতে পারবে না তার জরুরি কাজ পড়ছে,

অনন্যা মন খারাপ করে নিজের রুমে চলে গেল তারপর বিয়ের সব কাজ শেষ করে বউকে বাসায় আনা হলো।
সকালে ঘুৃম থেকে উঠে ফ্রেস হয়ে আম্মু আব্বুর সাথে দেখা করলাম সবাইকে সব ঘটনা খুলে বললাম তারা কিছু বলল না।
ধীরে ধীরে সব আত্মীয় স্বজন আসতে লাগলো নতুন বউ দেখতে। আমি রেডি হতে যাব তখন দেখি টেবিলের উপর একটা চিরকুট আর কিছু কাপড় পড়ে আছে। আমি তো এগুলো রাখিনি আর এই কাপড় গুলো তো অনন্যা কিনছিল। তারপর চিরকুট খুলে পড়তে লাগলাম।

প্রিয় রাজ,
এটা আমার দেওয়া তোমায় প্রথম গিপ্ট। আশা করি তুমি এগুলো নিবে আর তোমার ভাইয়ার বিয়েতে পড়বে।
ইতি
নামটা না হয় অজানা থাক।
কে হতে পারে আমার প্রিয় নীল কালের পাঞ্জাবি,

এটা, কি নিব, কি যেন মনে পড়ে এই পাঞ্জাবি পড়ে নিলাম নিচে নামতে অনেক মেয়ে হা করে তাকিয়ে আছে।
কারনটা আজানা নয়, নীল পাঞ্জাবি, নীল শু নীল কালারে প্যান্ট, চুল গুলো স্পাইক করা, ব্যান্ডের ঘড়ি, এককথা নায়কের কোনো অংশে কম হব না।
সাকিবঃ বাহ দোস্ত আজকে তুই নিশ্চয়ই দশ- বারোটা মেয়ে পটাবি।
দিগন্তঃ যা বলছি এই শালার জন্য আজ একটা মেয়েও আমাদের পাত্তা দিচ্ছে না দেখ সব মেয়ে কেমন তার কাছে যাচ্ছে।
বউ ভাতের অনুষ্ঠান তাই অনেকে আসছে।

আমি সবার সাথে কথা বলছি হেসে হেসে অনেকে তো মাঝে মাঝে প্রপোজ করে বসছে।
তখন কে যেন কলার ধরে টান দিয়ে একটা রুমে নিয়ে গেল রুমটা সম্পূর্ণ অন্ধকার কোনো আলো নেই ভালো করে বুঝতে চেষ্টা করলাম কোথায় আছি জায়গাটা খুব চেনা লাগছে আরে এটা তো আমাদের চিলে কোটার ঘর যেখানে দিন রাত সমান।
রাজঃ কে এখানে আমাকে আনার মানে কি?

  • খুব শখ না তোর মেয়েদের সাথে হেসে কথা বলা তোর শখ বের করছি দ্বারা।
    বুঝতে বাকি নেই এটা অনন্যা তাই আমি মজা করে বললাম।
    রাজঃ তুমি যেই পেত্নী হয়ও না কেনো আমি ভয় পাই না আর মেয়েদের কথা বলছ যে আমি তো তাদের সাথে কথা বলব তাতে তোমার কি।
    অনন্যাঃ কি বললি আর একবার বলত দেখি।

রাজঃ কি তুমি তো পেত্নী আর কি বলব।
অনন্যাঃ হুম আমি পেত্নী তোর ঘাড় মটকাবো আগে।
রাজঃ এই তুমি কি করছ আমার কাছে আসতেছ কেনো।
অনন্যাঃ তুমি কি কিছু বুঝ না?
রাজঃ কি বুঝব কি বলতে চাও তুমি?

অনন্যাঃ আমি তোমায় ভালোবাসি সেই প্রথম দেখা থেকে তুমি কি আমাকে তোমার হাত ধরার অধিকার দিবে।
রাজঃ কি বললে আমি শুনি নাই আর এক বার বলবে।
অনন্যাঃ আমি তোমায় ভালোবাসি ভালোবাসি ভালোবাসি।
রাজঃ মজা করছ আমার সাথে?
অনন্যাঃ না মজা করছি না সত্যি ভালোবাসি তোমায়।

রাজঃ দেখ আমি তোমায় ভালোবাসতে পারব না এটা হয়, না আর আমি তোমায় কখনো সেই, নজরে কখনো দেখিনি।
কথা গুলো বলে চলে আসলাম নিজের কাছে এখন খারাপ লাগছে আমি তো অনন্যাকে শুধু বন্ধু ভাবতাম দূড় যাই হউক এসব ভেবে কাজ নাই আমার।
অনন্যা যখনই দেখা, করে তখনই শুধু বলে ভালোবাসি প্লিজ ফিরিয়ে দিও না।

ধীরে ধীরে সব আত্মীয় চলে গেল অনন্যা এখানে থেকে গেল, না এই মেয়ের কাছে দূরে থাকতে হবে।
সকালে বুকে ভারি কিছু অনুভব করলাম ঘুম চোখে তাকিয়ে দেখি অনন্যা আমার বুকে শুয়ে আছে কেউ দেখার আগে তাকে সরিয়ে দিয়ে তাড়াতাড়ি উঠলাম।
রাজঃ এই তোমার সমস্যা কি আমার রুমে কেনো তুমি।
অনন্যাঃ কেনো আসতে পারি না কি?

রাজঃ আসতে পার কিন্তু তুমি আমার বুকে কেনো শুয়ে ছিলে কেউ যদি দেখে ফেলত?
অনন্যাঃ দেখলে দেখবে তাহলে আমার তো আরও ভালো হবে আর রইল তোমার বুকে শুয়ে থাকা তোমাকে ঘুমন্ত অবস্থা খুব ভালো লাগছিল আর তোমার এই বুকে তো আমি থাকব আজ না হয় কাল।
যা শালা এটা কি হলো আমার রুমে এসে আমাকে কথা শোনাচ্ছ।
সবাই মিলে বসে নাস্তা করছি, তখন।
রাজঃ আউউ।(কে যেন পায়ে চিমটি কাটলো)

আম্মুঃ কি হলো রে এভাবে চিল্লাস কেন?
অনন্যা দিকে তাকিয়ে দেখি খিল খিল করে হাসছে বুঝতে বাকি নেই এই কাজ অনন্যা ছাড়া আর কেউ করে নাই।
রাজঃ তেমন কিছু না আম্মু পায়ে মনে হয় পিপড়া কামড় দিয়েছে তাই(মিথ্যা বললাম)
অনন্যা দিকে একটা রাগি লুক নিয়ে তাকালাম সে হয়তো ভাবছে আমি সব বলে দিব, আমি ইশারা করলাম তোমার খবর আছে। সে একটু ভয় পেলো।
অম্মু:- ওহ আচ্ছা দেখে খাবি।

গোসল করছি তো হঠাৎ করে পানি পুড়িয়ে গেল এখন কি করি কেবল গায়ে সাবান লাগিয়েছি এখন কি করি।
রাজঃ আম্মুইইই কই তুমি একটু আসবে প্লিজ।
কোনো সারা নেই।
রাজঃ আম্মুইউউ।
কোনো সারা নেই তখন অনন্যা।
অনন্যাঃ এই তুমি এভাবে চিল্লাচ্ছ কেনো?

রাজঃ পানি শেষ হয়েছে দয়া কি এক বালতি পানি এনে দিবে।
অনন্যাঃ হুম দিতে পারি তাহলে আমায় তো ভিতরে ডুকতে হবে।
রাজঃ এই না না তুমি এখানে এনে দাও আমি নিব।
অনন্যাঃ তা বললে হবে না আমি ভিতরে ডুকব তারপর পানি দিব।
বাধ্য হয়ে তার আবদার মানতে হলো।

রাজঃ আচ্ছা ভিতরে ডুকতে দিব কিন্তু চোখ বন্ধ করে থাকতে হবে।
অনন্যাঃ ওকেহ দরজা খোলো।
রাজঃ এই তুমি না আমার সাথে কথা বললে তহলে পানি কখন আনলে?
অনন্যাঃ সেটা তোমায় বুঝতে হবে না দরজা খোলো।

বাধ্য হয়ে দরজা খুলে দিলাম, আমার পরণে ছিল একটা তোয়ালা আর কিছু নেই। অনন্যা পানি দিয়ে পালিয়েছে সেই মুহূর্ত এত লজ্জা জনক ছিল যা বলার মতো না😪😪।
বিকালে বাহিরে বের হব তখন।
অনন্যাঃ এই কোথায় যাচ্ছ?
রাজঃ বন্ধুদের সাথে দেখা করতে।
অনন্যাঃ আমি যাই না তোমার সাথে?
রাজঃ না তুমি বাসায় থাকো।

অনন্যাঃ একা কি ভালো লাগে সারাক্ষণ বসে থাকতে থাকতে।
রাজঃ আমি তোমায় নিয়ে যেতে পারব না।
কোথায় থেকে যেন আম্মু আসলো।
আম্মুঃ এই নিয়ে যা আর মেয়েটা এই ভাবে ঘরে বসে থেকে কি করবে?

রাজঃ আম্মু তুমিও, আচ্ছা যাও রেডিয়ে আসও কিন্তু পাঁচ মিনিট দেরি করলে চলে যাব।
অনন্যাঃ ওকেহ এই যাব আর আসব।
পাঁচ মিনিট পর অনন্যা আসলো রেডি হয়ে আপনাদের অনন্যা বিষয় কিছু বল হয় নি দেখতে স্বর্গের অপ্সরার চেয়ে কোনো অংশে কম না ঠোঁটের নিচে একটা তিল যা সৌন্দর্যকে আর দ্বিগুণ বৃদ্ধি করছে।
সাকিবঃ মামা আজ দেখি ভাবিকে সাথে নিয়ে আসছে।

রাজঃ এই চুপ করবি তুই।
অনন্যাঃ কেনো চুপ করবে হুম ভাইয়ারা আজ থেকে আমায় ভাবি বলে ডাকবে এই ডাক শুনতে কত ভালো লাগে আমার।
রাজঃ এই তোমায় কি এজন্য আনছি?
দিগন্তঃ তা ভাবি ভাইয়া কি রাজি হলো?

অনন্যাঃ না গো ভাইয়ারা তোমার ভাই তো আমাকে বুঝতে চায় না।
আমাকে নিয়ে মজা করতে লাগল, আমিও সায় দিলাম আমি যে অনন্যাকে ভালোবাসি, আপনারা কেউ আবার বলে দিয়েন না।
সেদিনের মতো আড্ডা দিয়ে বাসায় আসলাম।
সকালে এমন কিছু ঘটবে কে জানে?


পর্ব ৮

সেদিনের মতো আড্ডা দিয়ে বাসায় আসলাম।
সকালে এমন কিছু ঘটবে কে জানে?

সকালে নাস্তা করা শেষে এখন না কি সবাই ঘুড়তে যাব তো যে যার মতো করে রেডি হচ্ছে আমিও মোটামুটি ভালে কাপড় পড়ছি।
সবাই বসে রেডি হয়ে বসে আছে অনন্যার আসার নাম নেই। অনন্যা যখন নিচে নামলো।
রাজঃ ভুত ভুত। (মায়া ভাবির পিছনে লুকিয়েছে)

সবাইঃ সবাই যেন ভুত বলে আটকিয়া উঠল।
অনন্যাঃ এই তোমরা ভুত বলে চিল্লাচ্ছ কেনে?
মায়া ভাবিঃ কি এটা তো অনন্যার গলা অনন্যা তুই?
অনন্যাঃ হুম আমি কিন্তু সবাই ভায়ে আছ কেনো?
রাজঃ আয়না কি নিজের মুখটা দেখতে পাও না।

তারপর অনন্যা আয়নার সামনের গিয়ে দেখে তার পুরো মুখে কালি দিয়ে ভর্তি।
রাজঃ এখন বুঝলে তো কেনো ভয়ে আছি কোনো দিন ভুত দেখি নি তবে এই বার দেখলাম মানুষ, রূপি ভূত বা তুমি কানাল করে দিয়েছ।
আব্বুঃ তুই থামবি এটা কেমন করে হলো মা?
অনন্যাঃ সেটা তো আমিও জানি না আসার সময় তোয়ালা দিয়ে মুখটা মুছে এখানে আসলাম আর।

আব্বুঃ হুম বুঝছি এই তোয়ালায় মনে হয় কালি আছে যাও আনত?

অনন্যা সেই তোয়ালা টা আনলো আর আব্বুর কথা সত্যি হলো তোয়ালা কালি আছে।
রাজঃ তোয়ালায় কালি আসলো কেমব করে?
মায়া ভাবিঃ হুম সেটাই তো কালি আসলো কেমন করে?

আমি দেখলাম ভাইয়া চুপসে আছে এবার খেলা জমবে মনু দ্বারাও।

  • দেখ ভাবি ভাইয়া কেমন জনে করে আছপ মনে হয় ভাইয়া এই কাজ করছে।
    আমি তো জানি যে ভাইয়া ভূতে খুব ভয় পা এই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে দিলাম ব্যাস খেলা শুরু।
    ভাবিঃ রাজ যা বলল তা কি সত্যি তুমি এই কাজ করছ?

ভাইয়াঃ না না আমি কেমন করে করব আমি তো। (বলতে না দিয়ে)
রাজঃ হুম এখন বললে হবে না এটা শিখার করতে হবে যে তুই করছ এই কাজ এখন সাধু সাজা হচ্ছে।
আম্মুঃ আজ তোর খাওয়া দাওয়া সব বন্ধ আজ ঘরের বাহিরে এক পা দিতে পারবি না,
ভাইয়াঃ আম্মু আমি কিছু করি নাই?

আম্মুঃ কোনো কথা শুনতে চাই না যা বলছি তাই অনন্যা মা তুমি যাও তো ফ্রেস হয়ে আবার আসো।
অনন্যা উপরে গেল ফ্রেস হতে, বেচারা ভাইয়া দোষ না করে দোষী হলো আমার পিছনে লাগতে আসা না এবার বুঝ ঠেলা কাকে বলে।

ভাইয়াকে বাসায় রেখে বাহির থেকে তালা লাগিয়ে দিয়েছে আম্মু ভাইয়ার জন্য একটু কষ্ট হচ্ছে। আমরা এখন সবচেয়ে জনপ্রিয় একটা জায়গা ভিন্নজগতে আছি চারাদিকে গাছপালা অপূর্ব লাগছে পরিবেশটা তখন দেখলাম ভাবির মন খারাপ কারন বুঝতে পারলাম এই প্রথম সবাই মিলে এক সাথে বেড়াতে বের হয়েছি কিন্তু মনে মানুষ না থাকলে কি আর ভালো লাগে খুব আপসোস হচ্ছে ভাইয়ার জন্য বেচারা মনে হয় ঘরে বসে মন মরা হয়ে আছে তাই আপুকে বললাম।
রাজঃ এই আপু শুনতো?
আপুঃ হুম বল জি বলবি?
রাজঃ দেখ ভাবি মন খারাপ করে একা বসে আছে যা না কিছু একটা কর?

অনন্যাঃ হুম আপু রাজ ঠিক বলছে তুমি আর আপু ঘোড়ো আমি আর রাজ আঙ্কেল আর আন্টি, প্লানটা কেমন হলো?
রাজঃ না না এই প্লান চলবে না আমি তোমার সাথে ঘুড়তে পারব না।
আপু;- ঠিক তো বলছে অনন্যা যাও তোমরা ঘোড়ো আমি দেখছি। (আপু অনন্যাকে চোখ মারল আর একটা আবাল মার্কা হাসি দিল)
অনন্যাঃ হুম আপু যাচ্ছি।
আপুঃ সাবধানে রাখিও আবার যেন অন্য কেউ না নিয়ে যায়।

অনন্যাঃ হুম সেটা বলতে।এই চলো আমরা ঠ দিকে যাই।
রাজঃ না আমি যাব না ঐ দিকে অনেক বকাটে ছেলের আড্ডা।
অনন্যাঃ দূর তুমি সাথে থাকলে কিছু হবে না আমি গেলাম। (অনন্যা হনহনিয়ে যচ্ছে বাধ্য হয়ে আমি তার পিছনে গেলাম)
কিছু দূর যাওয়ার পর কিছু ছেলে অনন্যাকে আটক করলো আর।

১ম ছেলে:- এই সুন্দরি কই যাও আমিও যাব বা কি তোমার সাথে?
২য় ছেলে:- আহ আজকে অনেক দিন পর পাইছি মালটা হেব্বি আছে চল আজ জমিয়ে পুর্তি হবে
৩য় ছেলে:- হুম যা বলছি এরকম মাল আগে কখনো দেখি নি যা ফিগার মাইরি।
অনন্যা তাদের কাছে গিয়ে।

অনন্যাঃ ঠাসসস ঠাসস তোদের কি বাড়িতে মা বোন নাই মেয়েদের রাস্তা ঘাটে দেখলে কি তোদের মাল মনে হয়।
১ম ছেলে:- তুই কার গায়ে হাত তুলছি জানিস রাজু মাস্তানের গায়ে তোকে তো ছাড়ছি না সুন্দরি। (অনন্যা ভয় পেয়ে গেল আর আশপাশের আমাকে খুঁজতে লাগল আমাকে না দেখে নিরাশ হলো কিন্তু না।)

অনন্যাঃ ঠাসসস, তোর এত বড় সাহস তুই আমার হাত ধরিস তুই যেই হোা না কেন আমি ভয় পাই না।
রাজুঃ মাদাদো তুই আমারা গায়ে আবার হাত দেইস সিয়াম এই খা* পুত রে ধরে নিয়ে আয় আজ মজা হবে।
সিয়াম:- হুম। (২য় ছেলের নাম সিয়াম তা এখন জানলাম তারা অনন্যাকে জোড় করে তাদের সাথপ নিয়ে যাচ্ছে না আর চুপ থাকা যাবে না।)
রাজঃ এই যে মনু আপনারা কারা আমার হবু বউকে নিয়ে যাচ্ছেন। (তাদের সামনে গিয়ে)
আমাকে দেখে অনন্যা একটু সাহস পেল।
রাজুঃ এই তুই কে রে যা সর সামন থেকে।

রাজঃ এত তারা কিসের অনন্যাকে ছেড়ে দিয়ে চলে যা ভালে চাইস তো।
সিয়াম:- যাদি না যাই কি করবি তুই।
রাজঃ কি করব মানে দ্বারা। ডিসুম ডিসুম করে সব কয়টারে পিটালাম তারা যেন এরকম কাজের জন্য প্রস্তুত ছিল না। এই তুই আমাকে জানস হুম স্কুল বক্সিংয়ে চ্যাম্পিয়ন ছিলাম আর তুই আমাকে সাহস দেখাস থেরাপি কি আরও দিব?

রাজুঃ ভাইয়া আপনার পায়ে পড়ি আর মারিয়েন না আমি এই মাইর কখন খাই নাই শিক্ষা হয়ে গিয়েছে আমার।
রাজঃ আমার কাছে মাপ ছেয়ে লাভ নেই যাকে তুলে এনেছি তার কাছে মাপ চা তাহলে ক্ষমা পাবি?
রাজুঃআপু আমাকে ক্ষমা করে দেও আর কখনো খারাপ কাজ করব না?
অনন্যাঃ ক্ষমা করে দিব যদি আজ থেকে তুই মেয়েদের সম্মান করিস আর কারো সাথে খারাপ ব্যবহার করবি না গুণ্ডামি না করে ভালো মানুষ হবি কারন তোর উপর তোর বাবা মায়ের অনেক আশা আছে।
রাজুঃ হুম আপু আজ, থেকে ভালো হয়ে যাব।

রাজঃ এই যে বাকিরা আপনার কি আলাদাভাবে বলতে হবে না কি?

  • না না ভাই তা আর বলতে আজ থেকে ভালো হয়ে যাব আমরা আর মেয়েদের অসম্মান করব না।
    রাজঃ হুম ভালে হয়ে যাবু তোদের মুখ গুলো চেনা হয়েছে যদি আর একবার দেখি খারাপ কাজ করার তাহলে তোদের কি যে করব না।
    সবাইঃ না ভাই ভালো হয়ে যাব আজ থেকে।
    তারা চলে গেল তখন।

অনন্যাঃ এই যে মিস্টার আপনি তো ভালো মারামারি জানে ফিল্মের হিরো দেখছি আজ বাস্তব রিয়াল হিরো দেখলাম।
রাজঃ হয়েছে তোমার ডপ মারা আমি তো পটছি না।

অনন্যাঃ সত্যি বলছি আমারা দেখা তুমি রিয়াল হিরো।
রাজঃ হুম বুঝতে হবে। (একটু ভাব নিয়ে)
তারপর সবুজ ঘাসের উপর বসে বাদাম খাচ্ছি আর গল্প করছি তখন।


পর্ব ৯


অনন্যাঃ সত্যি বলছি আমারা দেখা তুমি রিয়াল হিরো।
রাজঃ হুম বুঝতে হবে। (একটু ভাব নিয়ে)
তারপর সবুজ ঘাসের উপর বসে বাদাম খাচ্ছি আর গল্প করছি তখন।

অনন্যাঃ আচ্ছাএকটা সত্যি কথা বলবে আমায়?
রাজঃ হুম বলো কি বলবে?

অনন্যাঃ তুমি কি আমায় সত্যি ভালোবাস না?
রাজঃ হঠাৎ এই কথা কেনো?
অনন্যাঃ খুব জানতে ইচ্ছা করছে প্লিজ সত্যি বলো?
রাজঃ ইয়ে মানে।
অনন্যাঃ আমাকে ভালোবাসত। ।
রাজঃ হুম অনেক ভালোবাসি তোমায়।

অনন্যাঃ সত্যি ভালোবাসও।
রাজঃ হু সত্যি ভালোবাসি।
অনন্যাঃ তাহলে এতদিন বলো নি কেনো?
রাজঃ সব কি বলতে হয় না কি কিছুটা বুঝে নিতে হয়।
অনন্যাঃ ওলে আমার বাবুটা। (জড়িয়ে ধরে)

রাজঃ এই ছাড় কি করছ হুম।
অনন্যাঃ হুম ছাড়ছি না আগে একটা কিস করবে তারপর।
রাজঃ আমি পারব না?
অনন্যাঃ তা বললে তো হবে না আমি তাহলে ছাড়ছি না এভাবে জড়াই ধরব?
রাজঃ মানুষ খারাপ বলবে ছাড় প্লিজ।

অনন্যাঃ কে কি বলল তা আমি দেখে কি করব তুমি আগে কিস করবে তারপর ছাড়ব তার আগে না।
বাধ্য হয়ে কিস করতে যাব তখন।অনন্যা নিজেই আমার ঠোট জোড়া তার দখলে নিয়ে নিলো।
রাজঃ আহ, মাগো গেলো গো আমার ঠোট শেষ করে দিলো। (ঠোঁটে কামড় দিয়েছে)
অনন্যাঃ হা হা হা হা।
রাজঃ দ্বারা হাসি বের করছি তোর।
অনন্যাঃ আগে তো ধরে। (দৌড় দিয়েছে)

আমিও পিছনে পিছনে দৌড়াতে লাগলাম এই অনন্যা নদীতে পড়ে যাবে তো। অনন্যা আমার কথা না শুনে নদীর পাশ দিয়ে দৌড়াতে লাগছে আমি তার কাছে যেতে সে যেই পড়ে যাবে তখনই তার হাত ধরে ফেললাম।
রাজঃ এখবই তো পড়ে যেতে না ধরলে।
অনন্যাঃ আমার বিশ্বাস ছিল তোমার উপর তুমি পড়তে দিবে না।

রাজঃ ওহ তাই বুঝি লেও সামলাও। (হাত ছেড়ে দিলাম আর অনন্যা পানিতে পড়ে গেল)
অনন্যা পানিতে ছুবানি ডুবানি খাচ্ছে আমিও লাফ দিলাম পানিতে সেই একটা রোমান্টিক মোমেন্ট যদি আপনারা দেখতে না তাহলে বুঝতে পারতেন। অনন্যা আর আমি এত কাছাকাছি যে তার নিশ্বাস অনুভব করতে পারছি ভিজা গায়ে সেই লাগছে অনন্যাকে যা বলে বুঝাতে পারব না আপানাদের হঠাৎ।
মায়া ভাবিঃ এই যে দেবর মশাই পানিতে কি রোমান্স করবেন না বিয়ের জন্য কিছু বাকি রাখবেন। (ভাবির কথা হুস এলে এভাবে যে কতক্ষণ ছিলাম ডা বলে বুঝাতে পারব না অনন্যা লজ্জা পেয়ে আমার বুকে মুখ লুকালো)

ভাবিঃ আরে লজ্জা পেতে হবে না তোর আমি সব জানি এবার উপরে আয় ঠাণ্ডা লেগে যাবে তো।
রাজঃ হুম যাচ্ছি, সব রোমান্টিক মুডটাই তো নষ্ট করে দিলে।

আপুঃ হয়েছে যা কাপড় চেন্জ করে আয়। (আমাদের সবার জন্য আলাদাভাবে কাপড় আনা হয়েছে কারন এখানকার সুইমিং পুলে গোসল করব বলে)
সেদিনের মতো ঘুড়ে বাসায় আসলাম রাতে ডিনার করছি দেখলাম ভাবির মন খারাপ কারনটা ভাইয়া এখনো না খেয়ে আছে আমি খেয়ে নিয়ে সবার আড়ালে এক প্লেট ভাত নিলাম কিন্তু একজন দেখে নিয়েছে।

রাজঃ ভাইয়া আসব?
ভাইয়াঃ না তোর আসতে হবে না ভাগ এখান থেকে। (বুঝতে পারলাম রাগ করে আছে)
রাজঃ ঠিক আছে যাই তোর জন্য কষ্ট করে ভাত আনলাম তুই যেহেতু খাবি না তাহলে এগুলো ধরে যাই।
ভাইয়াঃ এ ভাই শুন না।
রাজঃ হুম বলল।

ভাইয়া;- বলছি যে দে না কি আনছি না খেয়ে আছি রে।
রাজঃ হুম বুঝছি ভাই তোর কষ্টটা নে খেয়ে না।
ভাইয়া ফ্রেস হয়ে এসে খাওয়া শুরু করল এমন ভাবে খাচ্ছে যেন ক্ষুধার্ত বাগ যে ভাবে খায়।
রাজঃ ভাই একটা কথা বলব।
ভাইয়াঃ হুম বল।

রাজঃ মনে কিছু করবি না তো।
ভাইয়াঃ আরে না যেখানে কেউ খাবার দিল না সেখানে তুই দিলি তুই তো আমার সত্যি মায়ের পেটে ভাই।
রাজঃ কথাটা হচ্ছে তোর না অনন্যা মুখে কালি লাগার জন্য কোনো হাত নেই।
ভাইয়াঃ হুম আমিও তো সেটা ভাবি তাহলে এই কাজ করলো কে?
রাজঃ কে আবার আমি।

ভাইয়াঃ ওহ আচ্ছা, কি বললি আর একবার বলত।
রাজঃ কিছু না বলে দৌড় দিলাম ধরতে পারলে যে কি করবে আল্লাই জানে যে রেগে গিয়েছে।
ভাইয়াঃ এই রাজ দরজা খুল। (আমি রুমের দরজা বন্ধ করে দিয়েছি,)
রাজঃ না ভাই মরার শখ নাই আমার ।

ভাইয়াঃ তোর মতো ভাই থাকলে শত্রুর আর অভাব হবে না। (মন খারাপ করে)
রাজঃ যা যা তুই আবার কবে আমার বন্ধু হলি তুই তো নাম্বার ওয়ান শত্রুর আমার।
এখন একটু শান্তি লাগছে আমার পিছনে লাগা এক ডেলে দুই পাখি মারলাম।
কিছুক্ষণ পর,

অনন্যাঃ এই রাজ দরজা খুলো তোমার সাথে কথা আছে?
রাজঃ আজকে আর খুলব না কালকে কথা বলিও বাই গুড নাইট।
অনন্যাঃ খোলো না প্লিজ শুধু একটা কথা বলব।

দরজা খুলে দিলাম আশপাশের তাকিয়ে দেখি ভাইয়া নাই।
রাজঃ হুম বলো কি বলবে।
অনন্যাঃ ভাইয়া আসেন। (এই কথা বলতে ভাইয়া চলে আসল আমার তো যায় যায় অবস্থা অনন্যা দিকে তাকালাম আমার দিকে দেখে হাসতছে)
রাজঃ এটা তুমি ঠিক করো নাই কে আছ আমারে বাচাও।

অনন্যাঃ কি ঠিক করি নাই হুম তুমি সকালে আমার মুখে কালি লাগিয়েছ আমি তোমায় এত সহজে ছেড়ে দিব কেমন করে ভাবলে।
রাজঃ তাই বলে এরকম প্রতারণা করে একটা খাবিশের হাতে তুলে দিচ্ছ।

কথা বলতে না বলতে মারা শুরু ওমাগো গেলাম গো কেউ বাচাও আমায় পেত্নী আর খেক শিয়াল ধরছে গো। এমন মার মারল এখন উঠতে পারছি না।
ভাইয়াঃ আরও লাগবি আমার সাথে সব শুধে আসলে তুলে নিলাম। (ভাইয়া চলে গেল)
রাজঃ এটা তুমি ঠিক করলে না আমাকে এভাবে মারতে পারলে।

অনন্যাঃ মনে ছিল না আমার মুখে কালি লাগার সময় হুম।
রাজঃ তাই বলে এভাবে মার খোয়ালে আমার যদি কিছু হয়।
অনন্যাঃ এসব ন্যাকামো বাদদেও হুম।
রাজঃ ওহ আমি ন্যাকামো করি আড়ি তোমার সাথে।
অনন্যা চলে গেল, কি মাইরটা না মরল।
পরেরদিন,
আম্মুঃ এই রাজ দরজা খুল।

আমি শুনতে পারছি কিন্তু কিছু যেন বলতে পারছি না মনে হচ্ছে গলা দিয়ে কোনো কথা বের হচ্ছে না।
ভাবিঃ রাজ দরজা খুলো অনন্যা চলে যাচ্ছে।
ওহ আপনাদের বলা হয়নি অনন্যা আজকে। (আমাদের বাসা থেকে চলে যাবে তা কালকে বলছে)
আমি নিরবে শুনতেছি।

অনন্যাঃ এই রাজ দরজাটা খুলো চলে যাচ্ছি একবার দেখা করো কালকের জন্য সরি।
আমি অনেক চেস্টা করার পর উঠার চেষ্টা করছি কিন্তু পারছি না।
ভাবিঃ অনন্যা যা তোর দুলাভাই রেখে আসবে এখন।

বুঝতে পারলাম অনন্যা চলে যাচ্ছে কষ্ট করে হলেও উঠার চেষ্টা করছি কিন্তু পারছি না তখন খুব কাশি হলো কাশির সাথে রক্ত বের হলো কিছু বুঝতে পারলাম না সেসব কিছু কোনো রকমে পরিষ্কার করে যেই দরজা খুলতে যাব তখন মাথা ঘুড়ে পড়ে যাই। ফুলদানিতে হাত লেগে একটা শব্দ হয় আমার আর কিছু মনে নেই।

যখন জ্ঞান ফিরল তখন নিজেকে বেড রুমে আবিষ্কার করলাম আমার পাশে আব্বু আম্মু ভাইয়া ভাবি আপু আর অনন্যা বসে আছে। আমি একটু নরে উঠলাম তখন আম্মু ঝিমাচ্ছিল আর আমার নরে উঠাতে ঘুম ভেঙে গেল।
আম্মুঃ বাবা তোর জ্ঞান ফিরছে কখন।
রাজঃ এই তো আম্মু এখন। (বাহ এখন কথা বলতে পারছি)
আম্মুঃ জানিস কত চিন্তায় ছিলাম তোকে নিয়ে?

রাজঃ এই তো আমি এখন ঠিক আছি। (তখন সবাই জেগে গেল)
অনন্যাঃ এই তোমর কি হয়েছে হুম। (আমাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে)
রাজঃ এই ছাড় এখানে সবাই আছে দেখছে তো।
অনন্যাঃ দেখলে দেখুক জানো কত কষ্ট পেয়েছি আমি হুম।
অনন্যার কাহিনী দেখে সবাই হাসতেছে।

আপুঃ আম্মু এখানে থেকে চলো ওদের একটু একা থাকতে দেও।
আম্মুঃ হুম ঠিক বলছি।
সবাই চলে গেল।
রাজঃ আচ্ছা অনন্যা এখন কি সকাল না রাত বুঝতেছি না?
অনন্যাঃ তোমার বুঝতে হবে না আজ ক।


পর্ব ১০

রাজঃ আচ্ছা অনন্যা এখন কি সকাল না রাত বুঝতেছি না?
অনন্যাঃ তোমার বুঝতে হবে না আজ ক।

  • আজ কয়দিন পর জ্ঞান ফিরছে জানো।
    রাজঃ না কয়দিন পর।
    অনন্যাঃ আজ দুইদিন পর জ্ঞান ফিরল(মন খারাপ করে)
    রাজঃ কি কি দুইদিন পর মানে কি হয়েছিল আমার।

অনন্যাঃ তেমন কিছু না তুমি অজ্ঞান হয়ে পড়ে ছিলে আর জ্বর আসার জন্য।
রাজঃ ওহ আচ্ছা তা এখন কি সকাল না রাত বুঝতেছি না?
অনন্যাঃ আরে বোকা এখন তো রাত হয়েছে। এই তুমি উঠছ কেনো শুয়ে থাকও। (আমি বিছানা থেকে উঠে বসছি)
রাজঃ ভালো লাগছে না কিছু শুয়ে থালকে তাই ছাদে যাই।

অনন্যাঃ তুমি না অসুস্থ তাহলে কেমন করে যাবে শুয়ে থাকও।
রাজঃ এই দেখও ঠিক আছি আমি কিছু হয়নি আমার।
আমার জেদের কাছে হার মানল অনন্যা।
অনন্যাঃ আচ্ছা যাবে তবে একা না আমিও যাব তো মা র সা থে।
রাজঃ আচ্ছা চলো।

আমি আর অনন্যা দোলনায় বসে আছি চাদের আলোয় অনন্যাকে একটা পরি লাগছে কি যে অনুভূতি বলে বোঝাতে পারব না।
অনন্যাঃ এই কি দেখও এমব করে।
রাজঃ একটা পরিকে দেখি। (আমার কথা শুনে লজ্জা পেয়েছে)
অনন্যাঃ যাও তো আমার লজ্জা করে না বুঝি।

অনন্যাকে কাছে ঠেনে নিলাম, দেখলাম তার ঠোট গুলো কাঁপছে তারপর আর কি চার ঠোট এক করে দিলাম কিযে ফিলিংস কাজ করছে মনে হয় এভাবে সারাজীবন ধরে রাখি।
রাজঃ তোমার ঠোঁটে কি মধু লাগাও না কি?
অনন্যাঃ না কিন্তু কেনো?
রাজঃ এত মিষ্টি আগে জানলে বারাবার খেতাম।
অনন্যাঃ যা দুষ্টু আমার লজ্জা করে না বুঝি।
রাজঃ ওরে আমার লজ্জাবতীরে এতো লজ্জা কই রাখও।
অনন্যাঃ জানি না, চলো নিচে যাব অনেক রাত হয়েছে।
রাজঃ হুম চলো।

আমি আর অনন্যা যে যার রুমে গেলাম ঘুমাতে।
অনন্যা পরেরদিন চলে গেল রুমে আর ভালো লাগছে না, তাই ভাবলাম একটু বাহির থেকে হেঠে আসি মনটা ভালো হবে, আজ এক সপ্তাংশু পর বাসার বাহিরে বের হয়েছে ফুটপাত দিয়ে হাটছি আর মনে মনে হাসছি কেনো হাসছি সেটা না হয় অজানা থাক সব বলমু না কি।

  • – এই রাজ কই যাও। (পিছন থেকে মেয়েলি কণ্ঠে কে যেন ডাকল)

রাজঃ আরে জান্নাত যে কি খবর। (পিছনে ঘুরে দেখি মেয়েটা আর কেউ না আমার স্কুলের বেষ্ট ফ্রেন্ড জান্নাত পুরো না কাওছারা আক্তার জান্নাতুল আমি জান্নাত বলে ডাকি)
জান্নাতঃ হুম সেই কখন থেকে তোকে ডাকছি কিন্তু তুই শুনতেছি না।
রাজঃ সরি রে শুনতে পাইনি।
জান্নাত :- আচ্চা বাদদে বল কেমন আছিস?
রাজঃ ভালো তুই।

জান্নাতঃ হুম ভালো, আঙ্কেল আন্টি কেমন আছে?
রাজঃ হুম ভালো তোর?

জান্নাতঃ হুম ভালো।
রাজঃ তা তুই এতবছর পর কই থেকে আসলি। (আজ চারবছর পর দেখা তার সাথে)
জান্নাতঃ এতদিন লন্ডনে ছিলাম আর কালকে দেশে আসছি আর আজ প্রথম তোর সাথে দেখা করলাম।
রাজঃ ওহ ভালো তা বিয়ে করছি।
জান্নাতঃ না তবে করব খুব তাড়াতাড়ি।

রাজঃ তা পছন্দ আছে না কি?
জান্নাতঃ হুম, তুই বিয়ে করছ
রাজঃ আমি তো পি। (আর কিছু বলতে পারলাম তখন কাশি শুরু হলো)
জান্নাতঃ এই কি হয়েছে রে তোর কাশির সাথে রক্ত পড়ছে যে?
রাজঃ জানি না রে কিছুদিন আগেও একবার হয়েছে।
জান্নাতঃ এটা তো ভালো কথা না চল তোকে ডাক্তার দেখাই?

রাজঃ আরে না ঠিক আছি কিছু হয়নি।
জান্নাতঃ তা বললে হবে না চল আগে তারপর।
জান্নাতের জেদের কাছে হার মানলাম জোড় করে ডাক্তারে কাছে নিয়ে গেলও। জান্নাত যেন কাকে ফোন করে মেডিকেলে আসতে বলল। তবে এটুকু বুঝতে পারলাম একটা ছেলেকে ফোন করে আসতে বলল।
রাজঃ আরে ছাড় না আমি ঠিক আছি।

জান্নাতঃ কিছু ঠিক নেই আমি যতদূর জানি কিছু তো হয়েছে তোর।
তারপর আমাকে জোড় করে নিয়ে গিয়ে কি সব আজি বাজি পরিক্ষা করল পরিক্ষা শেষে।
জান্নাতঃ মেহেদি কিছু সমস্যা কি ধরা পড়ল। (তারমানে ছেলেটার নাম মেহেদি)
মেহেদিঃ রিপোর্ট আসতে চারদিন সময় লাগবে তারপর বলতে পারব।

জান্নাতঃ আচ্চা, তাহলে এর সাথপ পরিচয় করিয়ে দেই এ হলো রাজ আমার বেষ্টু আর রাজ এহলো তোর দুলাভাই।
রাজঃ কি তুই না বললি বিয়ে করিস নাই তাহলে দুলাভাই কেমন করে হলো?
জান্নাতঃ আরে বোকা বিয়ে না করলে কি হবে না কিছুদিন পর তো বিয়ে করতেছি।
মেহেদিঃ হাই ব্রো।
রাজঃ হ্যালো পানসা। (আমার কথা শুনে মেহেদির যা অবস্থা না)

জান্নাতঃ এই তুই এটা কি বললি।
রাজঃ কি বলছি হুম আমি তো তোর বরকে পানসা, বলে ডাকব।
জান্নাতঃ হারামি তুই সেই কথা এখন ভুলতে পারিস নাই।
রাজঃ কি করে ভুলি বল সেইদিনের কথা।
জান্নাতঃ দূর তুই ভালা হইলি না।

রাজঃ হও আমি তো ভালা না ভালা থাইকো। আচ্চা বাদদে ট্রিট কি পামুনে।
মেহেদিঃ আচ্চা চলো আমার খুব খাওয়ন পাইছে খামুনে।

পানসা বলার কারন টা বললাম না খুব হাসি পায় আমার, আর এটা বুঝতে পারলাম যে মেহেদি ছেলেটা অনেক মিশুক।
রাজঃ কি খাওয়াবি বল।
জান্নাতঃ তুই যা খাবি তাই।
রাজঃ হুম বুঝছি বরের টাকা তো তাই খাওয়াচ্ছি নিজের হলে তো এক টাকাও খাওয়াস না।
জান্নাত;- কি বললি তুই তোর কাছে এখনো চারশ টাকা পাই।

রাজঃ দেখছেন পানসা মিয়া সাধে বলি এক টাকাও ছাড়বে না সেই চার বছর আগে পায় এখন ফকিন্নির মতো চাচ্ছে।
মেহেদিঃ আচ্ছা তোমরা কি ঝগড়া করবে না কিছু খাবে।
রাজঃ হুম, এই পেত্নী এখানে থাকলে আর খাওয়া।

জান্নাত রেগে যাচ্ছে জান্নাতকে রাগাতে আমার খুব ভালা লাগে দেখতে গোল আলুর মতো রাগলে তো টমাটো হয় যায়।
রাজঃ ওয়েটার, আমি বেশি কিছু না দুইটা চিকেন, চিংড়ি মাছে মালাইকারী, আর কিছু বলমু না আপনারা নজর দিলে পেট খারাপ করবে।
তারাও এসব অডার করলো।
রাজঃ আচ্ছা আমি একটু আসতেছি। (খাওয়া শেষে)
মেহেদিঃ ওয়েটার বিল কত হলো।

ওয়েটার:- সরি স্যার আপনাদের বিল পেমেন্ট করা হয়েছে।
মেহেদিঃ কে করল
ওয়েটার:- আপনাদের সাথে যে ছেলেটা ছিল সেই দিয়েছে।
হুম আমি দিয়েছি, তখন বাহিরে আসার কথা বলে।

মেহেদিঃ এটা তুমি ঠিক করলে না কিন্তু।
জান্নাতঃ হুম ঠিক বলছ তুই কেন বিল দিলি হুম।
রাজঃ দূর এটা আমার পক্ষ থেকে তোদের শুভেচ্ছা।
মেহেদিঃ তারপরও তুমি কাজটা ঠিক করলে না।

রাজঃ আচ্ছা সরি আর একদিন তোমাদের বাসায় নিয়ে খাওয়ালে হবে। বাই দোস্ত।
জান্নাতঃ এই শুন তোর নাম্বারটা দে তো?
রাজঃ ০১৮৬৯****৬১ এটা হয় বাই।
সেখান থেকে চলে আসলাম, বাসায় আসতে বকা ঝকা শুরু হলো।

আম্মুঃ এই দ্বারা কই যাস হুম সেই কখন বের হয়েছি আর সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরলি যে।
রাজঃ এই তো আম্মু এক বন্ধুর সাথে দেখা হলো তাই আসতে দেরি হয়েছে।
আম্মুঃ যা উপরে আর যেন না হয় এমন।
রুমে এসে ফ্রেস হয়ে নিলাম কিছু ভালো লাগছে না কেমন যেন একটা লাগছে কিছু একটা হয়েছে আমার সেদিনের মতো অনন্যার সাথে কথা বলে ঘুমালাম আগের চেয়ে আরও ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়েছে অনন্যার সাথে, মেয়েটা আসলে পাগলি খুব ভালোবাসে আমায়।

এভাবে কেটে গেল চারদিন বিছানায় শুয়ে গান শুনতেছি হঠাৎ অচেনা নাম্বার থেকে কল আসল।
রাজঃ আসসালামু আলাইকুম।
জান্নাতঃ আলাইকুম আসসালামু, কই রে তুই।
রাজঃ বাসায় কেনো?
জান্নাতঃ তোর না আজ রিপোর্ট দিবে তাড়াতাড়ি চলে আয় মেডিকেলে।

রাজঃ ওহ, আমার মনে ছিল না যাচ্ছি ওয়েট কর।
রেডি হয়ে মিনিট দশেক পর মেডিকেলে গেলাম সেখানে জান্নাত দাড়িয়ে আছে।
তারপর জান্নাত সহ ভিতরে প্রবেশ করলাম মানে মেহেদির কেবিনে।
মেহেদিঃ ওহ তোমরা এসেছ। (আমাদের দেখে)
জান্নাতঃ রিপোর্ট কি আসছে?

মেহেদিঃ তুমি একটু সাইডে আস তো।
তারপর জান্নাত আর মেহেদি সাইডে গিয়ে কি যেন কথা বলল যখন আসল তখন দেখলাম জান্নাতের মন খারাপ বুঝতে পারলাম কিছু একটা হয়েছে।
রাজঃ কি হয়েছে তোমরা চুপ কেনো কিছু বলবে প্লিজ।
মেহেদিঃ দেখ ভাই তুমি জান্নাতের বেষ্ট ফ্রেন্ড তোমার কাছ থেকে লুকিয়ে লাভ নেই আর যা হয়েছে তা নিয়ে চিন্তা করবে না সঠিক চিকিৎসা করলে তা ঠিক হয়ে যাবে।
রাজঃ কি হয়েছে আমার তোমার কথা শুনে খুব ভয় লাগছে জান্নাত বল নারে কি হয়েছে।

জান্নাতঃ দোস্ত যা ভাবছিলাম সেটাই।
তারপর মেহদি ভাই যে কথা গুলো বলল তখন যেন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল। এটা কি করে হলো না না, তখন ফোন বেজে উঠল।
রাজঃ হ্যালো অনন্যা।

অনন্যাঃ হুম কই তুমি বিকালে দেখা করতে পারবে কতদিন তোমায় দেখি না।
রাজঃ আচ্ছা পার্কে দেখা করব।
অনন্যাঃ ওকেহ বাই জানু টাটাটা।

বিকালে পার্কে বসে আছি তখন।


পর্ব ১১

রাজঃ আচ্ছা পার্কে দেখা করব।
অনন্যাঃ ওকেহ বাই জানু টাটাটা।
বিকালে পার্কে বসে আছি তখন।

অনন্যা আসলো আর এসে।
অনন্যাঃ সরি জানু দেরি হয়ে কখন আসছ।
রাজঃ দেরি করাতে তো তোমার ভালো লাগে তাই না আমি তো খেলনার পুতুল যখন যেখানে যেভাবে সে ভাবে বসব থাকব। (রাগ দেখিয়ে)
অনন্যাঃ এভাবে বলছ কেনো বললাম তো সরি। (মন খারাপ করে)

রাজঃ রাখ তোর সরি আসার এক ঘণ্টা ধরে বসে রেখে আবার সরি বললে হবে আমার সময় ফিরে আসবে।
অনন্যাঃ কি হয়েছে তোমার এমন ভাবে বলছ কেনো?
রাজঃ কিছু হয় নাই যা সর।

অনন্যাঃ না আমি যাব না তুমি আমার কেনো রেগে আছ বলবে সরি বললাম তো আর দেরি হবে না।
রাজঃ যা সর সামন থেকে। (রাগ দেখিয়ে চলে আসলাম খুব খারাপ লাগল তোমাকে আমার অনিশ্চিত জীবনের সাথে জড়াতে চাই না ক্ষমা করে দিও)
অনন্যা সেখান বসে কাঁদতে লাগল আমি গাছের আড়াল থেকে দেখতে লাগলাম সব হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হলো অনন্যা বৃষ্টিতে ভিজতেছে আর কাঁদতেছে তারপর সে চলে গেল আমিও বাসায় আসলাম। এসে ফ্রেস হয়ে ঘুমাতে গেলাম রাতে আম্মু ভাবি আপু অনেক বার বলছে কি হয়েছে আমার কিছু বলি নি তাদের বললে তারা খুব চিন্তা করবে।

মাঝ রাতে হঠাৎ করে কাশি শুরু হলো আর কাশির সঙ্গে রক্ত বের হচ্ছে। সেসব পরিষ্কার করে আবার ঘুমাতে গেলাম। কিন্তু ঘুম আর আসলো অনন্যাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে। কি করব এখন। তাই বাসা থেকে চুপি সারে বের হলাম। বাইক নিয়ে অনন্যার বাসার উদ্দেশ্য বের হলাম। এখন আবার আর একটা সমস্যা বাসার ভিতরে যাব। কেমন করে অনন্যার রুমে দোতালায় দেয়াল ডিঙ্গিয়ে পার হলাম। সিঁড়ি দিয়ে যাওয়া যাবে না। কেউ দেখলে সমস্যা হবে। আশপাশের তাকিয়ে একটা মই দেখতে পেলাম। সেটা দিয়ে উঠে গেলাম কত মায়াবি লাগছে! আমি কিনা তাকে কষ্ট দিচ্ছি।

অনন্যা ঘুমের ঘোরে বলছে, রাজ আমাকে ক্ষমা করে দাও। প্লিজ, খুব কষ্ট হচ্ছে আমার তারপরও কিছু করতে পারছি না। অনন্যার ঘুম ভাঙার আগে চলে আসলাম।
নাস্তা করতেছি তখন?
ভাবিঃ রাজ তোর কি হয়েছে ভালো মতে খাচ্ছি না। কালকে না কি অনন্যাকে রাগ দেখিয়েছি। দেখ কিছু হলে বল আমাদের এভাবে মান অভিমান করে লাভ কি?
তখন ফোনটা বেজে উঠল।
রাজঃ হ্যাঁ বল। (অপর পাশে জান্নাত)

জান্নাতঃ কই তুই রে তাড়াতাড়ি মাঠে আয় জমিয়ে আড্ডা দিব আজ।
ফোন কেটে দিয়ে খাওয়ার টেবিল থেকে চলে আসব তো।
আম্মুঃ কই যাস তুই কিছু তো খেলি না।
রাজঃ খিদে নেই আমার।

স্কুল মাঠে গেলাম সেখানে দেখি সবাই বসে আছে। সাকিব, দিগন্ত, রেজওয়ান, শুভ, জান্নাত।
রাজঃ কেমন আছিস রে তোরা।
সবাইঃ ভালো তুই।
রাজঃ এই তো যেমন দেখছি।
রেজওয়ানঃ তা তোর এখন পাওয়া যায় না কেনো সারাদিন কই থাকিস।
রাজঃ কই থাকি আবার তোদের সাথেই তে আছি।

জান্নাতঃ তোমাদের যে জন্য ডাকা তা হলো।(বলতে না দিয়ে)
রাজঃ তুই একটু সাইডে আয় তো। (জান্নাত উঠে আসল)
রাজঃ এই তুই কি বলতে চলছি হুম। (বুঝতে পারছি আমার বিষয় বলবে)
জান্নাতঃ তোর এই অসুখের কথা বলতে।

রাজঃ না তুই ছাড়া যেন আর কেউ না জানতে পারে।
জান্নাতঃ কিন্তু কেন?
রাজঃ দেখ আমি চাই তারা সবাই ভুল বুঝে তাহলে হয়তো আমায় আমায় ভুলে যাবে আমার জীবনে কোনো গ্যারান্টি নেই আর তার জন্য তোর সাপোর্ট লাগবে।
জান্নাতঃ চিন্তা করিস না সব ঠিক হয়ে যাবে তুই আবার আগের মতো হয়ে যাবি আর তোর পাশে সব সময় আছি।
সাকিবঃ কি রে হলো তোদের আমাদের বলবি।

জান্নাতঃ কিছু না তোদের কে যে কথা বলতে চাচ্ছি চল এবার কোথাও ঘুড়তে যাই আমরা সবাই।
দিগন্তঃ গুড আইডিয়া। রাজ তুই কি বলিস।
রাজঃ হুম চল তাহলে দুইদিন পর যাব।
জান্নাতঃ এই দ্বারাও যাবি কই সেটাই তো ঠিক করা হলো না।
রেজওয়ানঃ কক্সবাজার যাওয়া যায়।

সাকিবঃ হুম ঠিক বলছি।
দিগন্তঃ তাহলে ভাবিকে নিব কি বলিস রাজ।
জান্নাতঃ আচ্ছা নেওয়া যাবে সমস্যা নাই তাহলে শুক্রবার রেডি হয়ে নে সকালে বের হবো।
রাজঃ এই তুই কি বলছি অনন্যা যাবে মানে। (আস্তে আস্তে)
জান্নাতঃ তুই খালি দেখে যা অনন্যা তোর পিছন ছেড়ে দিবে।
রাজঃ আচ্ছা বুঝছি তাহলে শুভকে নেই।

জান্নাতঃ হুম নেওয়া যায় কাজে আসবে।
সেদিনের মতো বাসায় চলে আসলাম, রাতে অনন্যা ফোন দিল বার বার বলছে সরি, ফোনটা বন্ধ করে রাখলাম।
অপরদিকে,
অনন্যাঃ কি করছি আমি তোমার এত কষ্ট দিচ্ছ কেনো, একটু দেরি করছি বলে এত শাস্তি।

আজ আমরা সবাই কক্সবাজার যাচ্ছি। অনন্যা আমাদের বাসায় আসছে আমার সাথে যাবে যদি রাগ ভাঙাতে পারে। কিন্তু সে তো জানে না তার জন্যা কি অপেক্ষা করছে।
রাজঃ আম্মু আমি আসছি।
অনন্যাঃ আন্টি আঙ্কেল আসছি।
সালাম করে বের হলাম।

আম্মুঃ বাবা নিজের খেয়াল রাখিস আর অনন্যা মামনির খেয়াল রাখিস।
সবাই গাড়ি চড়ে বসছে শুধু আমাদের দুইটা ফাকা আছে একটা জান্নাতের কাছে আর একটা শুভর কাছে কারন অনন্যা শুভকে চেনে না।
অনন্যাঃ আপু আপনি যদি উঠে অন্য ছিটে বসতেন ভালে হতো।
জান্নাতঃআপু তুমি শুভর পাশে বস রাজ এখানে বসবে।

জান্নাতের সাথে না পেরে অনন্যা চলে যাচ্ছে।
জান্নাতঃ এই শুন তুমি এখানে বস সাকিব তুই সামনে যা।
অনন্যা আমার পাশে বসতে পারবে বলে আবার চড়ে বসল, দুই পাশে দুইজন জান্নাত আর অনন্যা। অনন্যা যেন জান্নাতকে আমার পাশে বসতে রেগে যাচ্ছে।
অনন্যাঃ এই তুমি এই দিকে আসতে এই মেয়ে সুবিধার না দেখ তোমার দিকে কেমন কু নজরে চেয়ে আছে। গাড়ি অপন গতিতে চলছে জান্নাত আর অনন্যা ঝগড়া করছে। অবশ্যই অনন্যা না পেয়ে আমার কাধে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়ল।

রাত হয়েছে তাই সবাই ঘুমে পড়ল আমিও ঘুমিয়ে গেলাম হঠাৎ মনে হলো কেউ আমায় জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছে তখন ভোর হবে তাকিয়ে দেখি অনন্যা তাড়াতাড়ি উঠে বসলাম অনন্যার যখন ঘুম ভাঙল, আমার কাধে জান্নাতের মাথা দেওয়া দেখে।
অনন্যাঃ ঠাসস করে চর মারল। (জান্নাতকে জাগিয়ে দিয়ে)
জান্নাতঃ তোর সমস্যা কি তুই মারলি কেন আমায়।

অনন্যাঃ মারব না মানে তুই কোন সাহসে রাজের কাধে মাথা রেখে ঘুমাস রাজ শুধু আমার।
রাজঃ এই তোমরা থামতো চলো গাড়ি থেকে নামো নাস্তা করবে।
আমার কথায় চুপ হয়ে গেল সবার খিধে লাগছে তাই কেউ আর না করল না কাছে একটা রেস্টুরেন্টে গিয়ে ফ্রেস হয়ে নাস্তা করে আবার চলতে লাগলাম এখনো আরও দুই ঘণ্টা যাতায়াত করতে হবে আমাদের।

অনন্যাঃ তোমার কি হয়েছে তোমার সামনে আমায় অপমান করতেছে তুমি কিছু বলতেছ না কেনো।
রাজঃ কই তোমায় কিছু বলে নাই তুমি তো ওর সাথে লাগতে যাচ্ছ তাহলে।
জান্নাতঃ এই জানু এই মেয়ের সাথে কি কথা বলো আমার দিকে চেপে বসো।
অনন্যাঃ এই তোর সমস্যা কি তোর জানু মানে।

জান্নাতঃ হুম কয়দিন পর বিয়ে করব তো জানু বলব না।
অনন্যাঃ এই রাজ কি বলছে এসব তুমি কিছু বলছ না যে।
সাকিবঃ ঠিক তো কি হচ্ছে এসব?
রাজঃ যা দেখছি তাই, এখন নাম এসে পড়ছি।

সবাই নামল, আগে থেকে রুম বুক করা ছিল সবাই চাবি নিয়ে যে যার রুমে আসল। আমার পাশের রুম অনন্যার আর জান্নাতের।
ফ্রেস হয়ে সবাই খেয়ে নিল ক্লান্ত তাই ঘুমাতে গেল সবাই।


পর্ব ১২

সবাই নামল, আগে থেকে রুম বুক করা ছিল সবাই চাবি নিয়ে যে যার রুমে আসল। আমার পাশের রুম অনন্যার আর জান্নাতের।
ফ্রেস হয়ে সবাই খেয়ে নিল ক্লান্ত তাই ঘুমাতে গেল সবাই।

ঘুম থেকে উঠে দেখি জান্নাত কফি নিয়ে দাড়িয়ে আছে।
রাজঃ কখন আসলি?
জান্নাতঃ এইতো এসে দেখি তুই ঘুমাতেছি।
রাজঃ ওহ সরি।
জান্নাতঃ নে ধর কফি খা।

রাজঃ হুম দে।
জান্নাতের সাথে কফি খাইতেছি আর কথা বলতেছি, তখন জান্নাত হঠাৎ করে জড়িয়ে ধরল আর?
জান্নাতঃ বাবু তুমি কেমন যেন শুকিয়ে গিয়েছ ঠিক মতো খাও না কেনো।
রাজঃ এসব কি বলছি পাগল হলি না কি।
জান্নাতঃ আমি পাগল না তোমার পাগলি। (আস্তে করে বলল দরজার দেখ)

  • দরজায় তাকিয়ে দেখি অনন্যা দাড়িয়ে সব দেখছে যেমন রেগে আছে ঠিক তেমনি আর একটু হলে কেঁদে দিবে তাই আর না দাড়িয়ে চলে গেল
    রাজঃ তুই তো কামাল করে দিয়েছি।
    জান্নাতঃ এসব বললে হবে না আগে চল কোথাও ঘুড়ে আসি বাকি পরে দেখা যাবে।
    আমি আর জান্নাত বেড়িয়ে গেলাম ঘুড়তে, অপরদিকে, ।

অনন্যাঃ এটা হতে পারে না রাজ শুধু আমার আমি রাজকে ছাড়া বাচব না দেখে নিব এই মেয়েকে কেমন করে আমার থেকে রাজকে কেড়ে নেয়।
ঘড়ে সব জিনিস ভাঙতে লাগল, পাশে ছিল শুভর রুম, ।
শুভঃ এসব কি করছেন আপনি এসব ভাঙছেন কেনো। (অনন্যার রুমে প্রবেশ করে)
সাকিবঃ এসব কি করছ অনন্যা কার জন্য পাগলামি করছ রাজ তো এখন জান্নাতকে নিয়ে ব্যাস্ত রাজ তোমায় কখন ভালোবাসেনি।
অনন্যাঃ না রাজ আমায় ঠকাতে পারে না রাজ শুধু আমার।

শুভঃ আচ্ছা রাজ আর জান্নাত কোথায় রাজের কাছে জানতে চাই সে কি করবে আপনাকে কেনো অবহেলা করছে।
দিগন্তঃ রাজকে দেখলাম জান্নাতের সাথে বের হতে মনে হয় ঘুড়তে গিয়েছে।
রেজওয়ানঃ দ্বারাও একবার ফোন দিয়ে নেই।
রেজওয়ান আমায় ফোন দিল কিন্তু ফোন বন্ধ আমি ইচ্ছা করে ফোন সুইচঅফ করে রাখছি সাথে জান্নাতেরও।
রেজওয়ানঃ কি ব্যাপার ফোন বন্ধ কেনো?

অনন্যাঃ ভাইয়া প্লিজ দেখ না রাজের কোনো বিপদ হলো না তো।
সাকিবঃ দ্বারা জান্নাতকে ফোন দেই।
অনন্যাঃ কি হলো কিছু বলো না কেনো ভাইয়া?
সাকিবঃ জান্নাতের ফোন বন্ধ বলছে।

অনন্যাঃ আমার রাজের কোন বিপদ হয়েছে প্লিজ আমি যাব খুজতে আমাকে যেতে দেও।
রেজওয়ানঃ তোমরা এখানে থাকও আমি দেখতেছি কি হয়েছে যদি কিছু হয় তাহলে তোমাদের জানতে পারব।
অনন্যাঃ ভাইয়া আমিও তোমার সাথে যাব প্লিজ নিয়ে চলো?
রেজওয়ানঃ না তোমরা এখানে থাকও আমি যাচ্ছি বাকি সব কিছু ফোনে জানাব।
দিগন্তঃ আমিও যাই তোর সাথে সাকিব আর শুভ থাক এখানে।

রেজওয়ানঃ আচ্চা আয়।
সাকিবঃ খবর েপলে সঙ্গে সঙ্গে জানাবি।
রেজওয়ানঃ হুম সেটা বলতে।
রেজওয়ান আর দিগন্ত বের হলো আমাদের খুঁজতে হয়তো ভালোবাসা এমনি।
জান্নাতঃ এই রাজ তোর কি হয়েছে এরকম করছি কেনো।

ঘুড়তে এসে হঠাৎ করে কাশি শুরু হলো আর কাশির সাথে রক্ত বের হচ্ছে মনে হয় রোগ বেশি হয়েছে।
রাজঃ দোস্ত আমি মনে হয় আর বাচব না রে।
জান্নাতঃ তোর কিছু হবে না চল কাছে মেডিকেল আছে সেখানে যাই।
দূর থেকে রেজওয়ান আর দিগন্ত আমার এরকম অবস্থা দেখে ভয় পেয়েছে তারা দৌড়ে কাছে আসল।
রেজওয়ানঃ তোর কি হয়েছে রে এমন করছি কেন রক্ত কেনো তোর বের হচ্ছে মুখ দিয়ে।

জান্নাতঃ এখন কথা বলার সময় নয় মেডিকেল নিতে হবে চল আগে।
দিগন্ত অনন্যাকে ফোন করল তখন?
রাজঃ এটা তুই কি করছি দিগন্ত।
দিগন্তঃ অনন্যাকে জানানো উচিৎ তুই অসুস্থ।
রাজঃ না কখন বলবি না শুধু তোরা জানিস আর কেউ যেন না জানে।
রেজওয়ানঃ কিন্তু কেন

রাজঃ আমি চাইনা অনন্যা আমায় মনে রাখুক সে যেন ভুল বুঝে আমায় ঘৃণা করে আমি আর অল্প দিনের অতিথি।
জান্নাতঃ কেউ বলিস না রে অনন্যাকে রাজের অসুখের কথা যা হয় তা তোরা দেখে যা মুখ কখন খুলিস না।
আমাকে মেডিকেলে এডমিট করা হলো,

হ্যা ভাবতে পারেন কি হয়েছে আমার ব্লাড ক্যানসার যখন তখন মৃত্যু হতে পারে সময় খুব কম আমার হাতে। তারপর ডাক্তার কিছু মেডিসিন লিখে দিল এগুলো খেলে বর্তমানে কিছু হবে না আর ওনি বলছে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিদেশে চিকিৎসা করতে তা হলে না কি ভালো হতে পারি কিন্তু তার সম্ভাবনা ৫%।
তারপর আমার রিসোর্টে চলে আসলাম আগের মতো স্বাভাবিক ভাবে যেন কেউ বুঝতে না পারে। সেখানে গিয়ে বাহিরে দেখি অনন্যা দাড়িয়ে আছে।
অনন্যাঃ এই তোমার ফোন বন্ধ কেন আর কোথায় গিয়েছিলে তুমি।

রাজঃ সেটা কি তোমায় বলতে হবে না কি কোথায় যাই কি করি যা সর। (রাগ দেখিয়ে রুমে আসলাম)
শুভঃ কি হয়েছে তোমার সাথে রাজের তোমাকে কেন দেখতে পায় না।
রেজওয়ানঃ আরে সব ঠিক হবে ভাবি তুমি চিন্তা করো না তো।
রাতে ছাদে বসে আছি কি থেকে কি হলো এসব কথা ভাবছি তখন জান্নাত আসল।

জান্নাতঃ চিন্তা করিস না দোস্ত সব ঠিক হবে আমার মনে হয় অনন্যাকে তোর এসব কথা জানানো উচিৎ আর কত কষ্ট দিবি বল।
রাজঃ জানি না তবে যতদিন ঘৃণা না করে ততদিন।
অনন্যাঃ কি নিয়ে কথা হচ্ছে বাহ্বা আমাকে দেখে আবার চুপ হয়ে গেল কেন? নেও তোমাদের জন্য কফি আনছি। (পিছন থেকে)
জান্নাত নিল।
অনন্যাঃ কি হলো তুমি নিবে না।

রাজঃ খেতে ইচ্ছা করছে না।
জান্নাতঃ আরে দেও ওহ নিবে।
(জান্নাত আমার হাতে কফি ধরাই দিল)
একবার কফিতে চুমু দিতে, দিলাম সব ফেলাই।
রাজঃ এসব কফি না পানি।
অনন্যাঃ কেনো ভালো হয়নি তেমার যেরকম প্রছন্দ সেরকম করে তো বানালাম।
উঠে রুমে আসলাম রাগ দেখিয়ে, অনন্যা কিন্তু ভালো করে কফি বানাতে পারে একে বারে অমৃতকে হার মানবে।
পরেরদিন সবাই মিলে সারাদিন ঘুড়লাম বিশেষ করে জান্নাত আর আমি আলাদা ঘুড়েছি। তারাই মাজে অনন্যা বারা বার আসতে চেয়ছিল আমার সাথে আমিও তো চাই তাকে সাথে রাখতে কিন্তু সে যে সব জেনে যাবে তাই চাইনি কিছু জানুক সে।

অনন্যা রাতে আমার রুমে এসে।
অনন্যাঃ কি হয়েছে তোমার এত অবহেলা করো কেনে আমায় কিছু ভুল করলে আমায় ক্ষমা করে দাও তোমার অবহেলা আর নিতে পারছি না আমি।
রাজঃ তুমি কিছু করো নাই।
অনন্যাঃ তাহলে কেনে অবহেলা করছ আমায়।
রাজঃ তোমাকে আমার ভালে লাগে না তাই।

অনন্যাঃ আমি কি দেখতে খারাপ ঐ মেয়ের যা আছে আমার কি কমতি আছে বলো।
রাজঃ বলছি না তোমায় ভালে লাগে না তোমাকে দেখলে ঘৃণা হ আমার যাও এখান থেকে যতসব।
অনন্যাঃ চলে তো যাব আজকের পর আর তোমার পথের কাটা হব না আর বলব না ভালোবাসি। (কান্না করে রুমে চলে গেল)

কি বলল এসব কিছু করবে না তো আবার এসব ভাবতে ভাবতে অনেক রাত হয়ে গেলো না মনটা যেন কেমন করছ অনন্যা কিছু করে বসে নি তো আবার আর নিজেকে আটকাতে পাড়লাম না অনন্যা রুমে ডুকলাম সেখানে গিয়ে দেখি অনন্যা অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে। পাশে অনেক গুলো ঘুমের অসুধ।
রাজঃ অনন্যা, এই অনন্যা কি হলো কথা বলো।
তখন সবাই রুমে আসল তারপর।


পর্ব ১৩

রাজঃ অনন্যা, এই অনন্যা কি হলো কথা বলো।
তখন সবাই রুমে আসল তারপর?

সাকিবঃ কি হয়েছে অনন্যার এভাবে শুয়ে আছে কেনো?
রাজঃ জানি না।
দিগন্তঃ ওমাই গড পাশে এত ঘুমের ওষুধ খেয়ে ফেলছে নাই তো।
রেজওয়ানঃ সি ইজ ডেট।

রাজঃ না এটা হতে পারে না অনন্যা এই অনন্যা কথা বলো, কি হলো কথা বলবে না আমার সাথে দেখ তোমার রাজ তোমার সামনে বসে আছে আর রাগ করে থাক না প্লিজ।
জান্নাতঃ তোকে কিভাবে শান্তনা দিব জানি না যে চলে গিয়েছে সে তো আর আসবে না ফিরে।
রাজঃ না আমার অনন্যা আমায় ছেড়ে কোথায় যাবে না আমি বাচব না অনন্যাকে ছেড়ে।
সাকিবঃ পাগলামো করিস না।

রাজঃ এই কথা বলবে না আমার সাথে খুব ভালোবাসব তোমায় আর অবহেলা করব না।
হঠাৎ করে, সত্যি আগের মতো ভালোবাসবে আমায়।
রাজঃ এটা কে বলল আমার অনন্যা কণ্ঠে

  • আমি তোমার অনন্যা।

রাজঃ এটা কি করে হতে পারে একটা চিমটি দেও তো। (অনন্যা আমায় চিমটি কাটল সত্যি ব্যাথা পেলাম)
অনন্যাঃ এবার বিশ্বাস হলে তো।
রাজঃ হুম। (সবাই অবাক হয়েছে কিন্তু একজনের মুখে তাচ্ছিল্য হাসি)
অনন্যাঃ আগের মতো ভালোবাসবে তো।

রাজঃ না তুমি খুব পচা আমায় খালি কষ্ট দেও তুমি এমন করতে পারলে আমার সাথে আর অল্প একটু হলে তো।
অনন্যাঃ কি হ্যাঁ এসব কথা মুখে আনবে না যান যখন ইগনোর করস কম কষ্ট পেয়েছি তোমার যাই হউক আমি তোমাকে ভালেবাসব। (আমার মুখে হাত দিয় বলল)
রাজঃ আমার যে কিছু হয়েছে তুমি জানলে কি করে।
অনন্যাঃ থ্যাংকস আপু তোমায়, জান্নাত আপুর বলছে।
আমি জান্নাতের দিকে তাকালাম জান্নাত ভয় পেয়ে গেল।

জান্নাতঃ সরিরে অনন্যার কষ্ট আর সহ্য করতে পারলাম না তাই সব বল দিয়েছি।
সাকিবঃ তোরা আয় ওদের একটু একা থাকতে দে।
সবাই চলে গেল।
রাজঃ কি হয়েছিল একটু বলবে।

অনন্যাঃ তাহলে শুন, তুমি চলে আসার পর।আমি সেখানে বসে কান্না করতে লাগলাম পাশে জান্নাত আপু বসে ছিল। আমি জান্নাত আপুকে বললাম।
আপু তুমি আমার রাজকে কেড়ে নিয়ও না আমি তাকে ছাড়া বাচব না।
জান্নাতঃ না আমি কেন রাজকে তোমায় দিব রাজ আমার।
অনন্যাঃ তোমার দুইটি পায়ে পড়ি তবুও রাজকে আমায় ভিক্ষা দেও।

জান্নাতঃ এই কি করছ উঠ, ভালোবাসর মানুষকে কি করে তোমায় দিব?
অনন্যাঃ প্লিজ আপু রাজকে আমায় দেও।
জান্নাতঃ তুমি কি পারবে রাজকে আমায় দিতে পারলে বলো
অনন্যাঃ না কখন পারব না।
জান্নাতঃ তাহলে আমি কি করে পারব।

অনন্যাঃ আমি যদি রাজকে না পাই এখানে থেকে লাম দিয়ে নিজেকে শেষ করে দিব।
অনন্যা যখন লাফ দিবে তখন জান্নাত অনন্যাকে ধরে আর।
জান্নাতঃ ঠাসস, এত বড় হয়েছ না নিজেকে শেষ করে কি প্রমাণ করতে চাও ভালোবাসার জন্য নিজের জীবন দিয়েছ। আর রাজ স্বার্থপর হুম তুমি মরলে কি রাজ ভালো থাকবে বোঝাতে চাচ্ছ।
অনন্যাঃ কেনো বাচালে আমায় রাজকে না পেলে এজীব রেখে কি লাভ।
রাজঃ ওমা তুরু লাভ, তারপর কি হলো।

অনন্যাঃ দূর চাই আগে শুনবে তো। (আবার বলতে শুরু করল)
জান্নাতঃ বোকা মেয়ে রাজ এখনো তোমায় ভালোবাসে রাজ চায় না তার এই জীবনে তোমায় জড়াতে।
অনন্যাঃ কিন্তু কেনো?
জান্নাতঃ কারন রাজের ব্লাড ক্যান্সার মৃত্যুর।

অনন্যাঃ তো কি হয়েছে? আমি রাজকে ভালোবাসি। তার সুখে দুঃখে সঙ্গি হতে চাই। তার এই দুঃসময় পাশে থাকব না তা কি করে হয়। আমি রাজের কাছে যাচ্ছি।
জান্নাতঃ এই দ্বারাও এই ভুল করিও না তার চেয়ে আমার কথা মতো কাজ করো। আর দেখবে রাজ তোমায় নিজে থেকে ভালোবাসি কথা বলবে।
অনন্যাঃ হুম বলো কি বলবে।
বাকি কেচ্ছা আপনারা জানেন তারপর কি হয়েছিল।
অনন্যাঃ তুমি এমনটা কেনো করলে হুম তোমার যাই হউক আমি এই তুমিকে ভালোবাসব শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত।

রাজঃ সত্যি আজ আমার চেয়ে ভাগ্যবান কেউ নেই তোমার মতো একটা বউ পাব।
অনন্যাঃ এ্যা, আমাকে কাঁদিয়ে আবার ওনি খুশি
রাজঃ সরি।
অনন্যাঃ এসব সরি বললে হবে না আমার কয়েকটা কাজ করে দিবে তারপর।
রাজঃ হুম বলেন মহারানী আপনার জন্যা আমার প্রাণ হাজির করতে প্রস্তুত?
অনন্যাঃ থাক প্রাণ দিতে হবে না এখন একশ বার কান ধরে উঠবস করেন।

রাজঃ এ্যা একশ বার।একটু কম বললে হতো না।
অনন্যাঃএকশ বার দিলাম কম হলো না ঠিক আছে তাহলে দুইশত বার।
রাজঃ বাচ্চা পোলার উপর এত অত্যাচার আর সহ্য করা যায় না।
অনন্যাঃ কি হলে ধরো না আর একটা কথা বললে আরও বাড়িয়ে দিব।
বাধ্য হয়ে ধরলাম না জানি আরও কত বার করাবে ১, ২, ৩, ৬, ৭, ৯, ১০, ১৪। আর পাচ্ছি না।

অনন্যাঃ তা বললে হবে না তাড়াতাড়ি আবার উঠবস করো।
ফির করা শুরু করলাম এক বার করতে চিৎ হয়ে শুয়ে পড়লাম এমন ভাবে করলাম যেন অনন্যা দৌড়ে আসে। ঠিক তাই হলো অনন্যা বিছানা থেকে উঠে আমার কাছে এসে।
অনন্যাঃ এই রাজ কি হলো তোমার কথা বলো আর করতে বলব না। (কান্না করে)
রাজঃ সত্যি তো।

অনন্যাঃ চিটার বাটপার আমাকে বোকা বানানো। (কোল বালিশ দিয়ে মারতে লাগল)
রাজঃ হু লাগছে তো মরে যাব।
অনন্যাঃ লাগলে লাগুক খালি কষ্ট দেও আমায় হুম।
রাজঃ দ্বারাও তোমার রাগ ভাঙাচ্ছি, এই বলে অনন্যাকে জড়িয়ে ধরলাম অনন্যার চোখে দিকে তাকিয়ে আছি সেও সেম ভাবে আমার দিকে এভাবে কতক্ষণ ছিলাম জানি না হঠাৎ?

জান্নাতঃ দরজা ধাক্কা দিল আর, কি রে রোমাঞ্চ করবি না ঘুমাতে যাবি।
রাজঃ দিলে তো মুডটা নষ্ট করে তুই কি আসার সময় পাস না।
জান্নাতঃ সরি সরি অসময়ে ডিস্টার্ব করার জন্য।
(জান্নাত রুমের বাহিরে যেতে লাগল)

অনন্যাঃ এই আপু দ্বারাও কই যাও।
জান্নাতঃ তোমারা রোমান্স করো আমি কেনো কাব্বামে হাড্ডি হব।
অনন্যা :- দূড়ও আসতে, তোমায় দেখে মনে হয় কিছু বলবে কি বলবে বলে।
জান্নাতঃ হুম, কালকে আমায় চলে যেতে হবে।
রাজঃ কালকে কেন আমাদের না আরও একদিনে থাকার কথা।

জান্নাতঃ না রে আমার থাকা হবে না মেহেদি ফোন করছিল কি যেন জরুরি কাজ আছে তার সে জন্য ডাকছে আমায়।
রাজঃ ওহ তাহলে আমরাও যাব কালকে সবাইকে বলে রাখিস।
আজকে আবার কক্সবাজার থেকে রংপুরে ব্যাক যাচ্ছি সবাই ট্রেনে উঠছি। ট্রেন কিছু দূর যাওয়ার পর সামনের ষ্টেশনে দাড় করালো। আমি, দিগন্ত, সাকিব রেজওয়ান নাস্তা আনতে গেলাম। কারন ভোরে বের হয়েছি কিছু তো খাওয়া হয়নি এখন। নাস্তা নিলাম সবার জন্য যখন স্টেশনে আসব তখন কিছু ছেলে দুইটা মেয়েকে টেনে ট্রেনে থেকে নামলো।
রাজঃ চল তো দেখি কি হয়েছে।

দিগন্তঃ আরে বাধ দে না চল আগে খাই।
রাজঃ নে খা আমি দেখি কি হয়েছে?
আমারা সাথে সবাই আসল। দেখার জন্য অনেকে দাড়িয়ে আবার মজা নিচ্ছে সেখানে গিয়ে দেখি অনেক গুলো মেয়ে আর ছেলেদের সবার হাতে বিভিন্ন ধরনের চাকু ছুড়ি।


পর্ব ১৪

রাজঃ নে খা আমি দেখি কি হয়েছে?
আমারা সাথে সবাই আসল। দেখার জন্য অনেকে দাড়িয়ে আবার মজা নিচ্ছে সেখানে গিয়ে দেখি অনেক গুলো মেয়ে আর ছেলেদের সবার হাতে বিভিন্ন ধরনের চাকু ছুড়ি।

ওরা মোট সাতজন ছেলে আর পাঁচটা মেয়ে তখন আরও কিছু ছেলে দুইটা মেয়েকে নিয়ে আসল মেয়ে দুইটা আর কেউ না, অনন্যা আর জান্নাত। মাথায় রক্ত চড়ে গেল তখন।
সাকিবঃ এদের কিছু একটা করতে হবে?
রাজঃ আমি তো এদের ছাড়ব না আমার সামনে আমার কলিজার গায়ে হাত দেয় এত বড় সাহস এঁদের।

রেজওয়ানঃ শান্তা হয়ে নে ঠাণ্ডা মাথায় কাজ করতে হবে মাথা গরম করে পারব না এদের সাথে।
দিগন্তঃ হুম ঠিক বলছি।
অনন্যাঃ আপনারা কারা আমাদের কেনে ধরো এনেছেন এখানে?
একটা ছেলে বলল রাসেল দেখ তো কে কথা বলে।
তারমানে এই ছেলের নাম রাসেল।

রাসেলঃ ভাই এই মেয়েটা। (রাজুর সামনে মানে তাদের লিডার আর এই এলাকার মাস্তান)
রাজুঃ আরে এই মালটা তো হেব্বি জোস আছে মাইরি। (অনন্যাকে উদ্দেশ্য করে)
অনন্যাঃ আমাদের ছেড়ে দিন না হলে আপনাদের ভালো হবে না সাহস থাকলে ঐ ছেলের সাথে লাগেন। (আমাকে দেখিয়ে দিয়ে)
রাজুঃ আরাফাত যা তো নিয়ে আয় মালটারে।

আরাফাতঃ জ্বি ভাই। (আমাকে নিয়ে দ্বার করালো আমি অতি শান্ত শিষ্ট ভাবে দাড়িয়ে আছি মাথাটা নিচু করে)
রাজুঃ কে এই, ভ্যাবলা তোরা দেখ কেমন মাথা নিচু করে আছে।
রেজওয়ানঃ শালা তোরা ভুল জায়গায় ভুল কথা বলছি মাথা তুললে তোরা কেউ থাকতে পারবি না।
(মনে মনে এদের জন্য আজ আমি গেছি)

রাজুঃ তাহলে মাথাটা তোল দেখি কোন জঙ্গলে বাঘ আসল।
মাথাটা তুলতে রাজু কেমন যেন ভয় পেল কারন টা আমিও জানি।
রাজুঃ এই তোরা কাকে ধরে আনছি।ভাই ভুল হয়েছে মাপ করে দিন।
সবাই অবাক সাথে আমিও। কি বলছে এসব।

রাজুঃ হাহা হা তোরা কি মনে করছি আমি এই রকম করব হাসালি মফিজ।
রাজঃ তোর অনেক কথা শুনছি আর না সব কয়টারে সাইজ করে মাটিতে শুয়ে রাখব যদি এদের ছেড়ে না দেইস।
রাজুঃ কি করবি রে?

রাজঃ কি করব তাই না, কোমর থেকে রিবালবার বের করলাম, নে এবার দেখ কি করি তোদের বল কে আগে মরবি অনেক দিন কারো রক্ত খাওয়া হয়নি।
সবাই অবাল হচ্ছে ইতিমধ্যে তাদের দুই তিনটা পালিয়েছে।
রাজুঃ এই তোরা কই যাস এটা খেলনা?

রাজঃ তাই তাহলে দেখ।(উপরে গুলি করতে অনেক বড় শব্দ হলো সবাই আতঙ্কে পরে এদিক ওদিক ছোটাছুটি করতে লাগল।
রাজুর দলের সবাই পালিয়ে গেল কে মরতে চায় বলেন রাজু পালাতে চেয়েছে কিন্তু রেজওয়ান ধরছে।
রেজওয়ানঃ কই পালাবি তুই চান্দু।
রাজঃ এটার খেল খতম করে দেই কি বলেন আপুরা?

সবাইঃ হুম ভাই মারাও এদের জন্য মেয়েরা আক রাস্তা ঘাটে চলতে পারেনা।
রাজুঃ ভাই মাপ করে দিন ভুল হয়েছে আর এরকম কীব না।
রাজঃ তা বললে তো হবে না। (রাজুর দিকে বন্ধুক তাক করলাম তখন কোথা থেকে যেন পুলিশ আসল)
পুলিশঃ এই আপনি কি করছেন আইন নিজের হাতে নিবেন না।

রেজওয়ানঃ চুপ শালা তোদের কি জন্য মাইনে দেওয়া হয় দ্বারা তোদের চাকরি খাব এখন তোদের থানার নাম বলত কি? (পুলিশ অফিসার ভয় পেয়ে গেল)
অফিসারঃ সরি স্যার আমাদের কাছে এই মাত্র ইনফো করা হয়েছে।
সাকিবঃ আবার মিথ্যা আমি কখন ফোন করছিলাম আর তোরা আসলি এখন। (যে ভাবে কথা বলছে মনে হয় এরা বড় কেউ)
অফিসারঃ সরি স্যার আর হবে না, ।

জান্নাতঃ এই তোরা যেভাবে কথ বলছি মনে হয় তোরা এই ডিসি।

  • ভাইয়া আমার বন্দুক দিন। (একটা ছোট ছেলে)
    সবাই অবাক সেইখানকার বিশেষ করে রাজু।
    রাজঃ হুম নেও।

ছেলেটি:- থ্যাংকস ভাইয়া আমার আপুকে বাচানোর জন্য।
একটা মেয়ে:- থ্যাংকস আপনার সাহস দেখে সত্যি অবাক আপনি কি সিঙ্গেল।
রাজঃ হুম অবশ্যই।

মেয়েটি:- ওহ আমি না আপনাকে দেখে প্রমে পড়ছি।
অনন্যাঃ কি বললি তুই সিঙ্গেল তাহলে আমি কে আর এই মেয়ে তোর সাহস তো কম না আমার স্বামিকে তুই প্রপোজ করে বসিস।
মেয়েটি:- সরি আপু জানতাম না।

রাজঃ আচ্ছা বাদদেও অফিসার আপনি একে নিয়ে জান আর হ্যা মেয়েদের ডিস্টার্বর এজন্য কঠোরতম শাস্তি দিবেন না হলে।
অফিসারঃ হুম স্যার আপনাকে বলতে হবে না এই নে ধর একে।

সব মেয়েরা এসে ধন্যবাদ দিয়ে চলে গেল।
জান্নাতঃ আচ্ছা তাহলে তখন গুলির যে আওয়াজ হলো এটা কিসের।
রাজঃ তাহলে আর একবার হউক।

দিগন্ত+সাকিবঃ হুম হয়ে যাক তাহলে।
তারা একটা চকলেট বোমা ফাটালো।
জান্নাতঃ তোদের বুদ্ধি আছে বইকি।

রেজওয়ানঃ হুম চল ট্রেনে ছাড়বে এখন।
আবার সবাই মিলে ট্রেনে বসলাম কখন ঘুমিয়েছি মনে নেই ঘুম ভাঙল হেল্পারের ডাকে। নেমে দেখি রংপুরে স্টেশনে পৌঁছে গেছি।
সবাই নামল নেমে যে যার বাসা গেল আমি আর অনন্যা আমাদের বাসায় আসলাম।


পর্ব ১৫

[শুরুতে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি এত দিন গল্প না দেওয়ার জন্য। এতদিন অসুস্থ ছিলাম এখন মোটামুটি সুস্থ। এখন প্রতিদিন গল্প পাবেন ইনশাল্লাহ]
সবাই নামল নেমে যে যার বাসা গেল আমি আর অনন্যা আমাদের বাসায় আসলাম।

আম্মুঃ কেমন কাটলো তোদের দিন?
রাজঃ জ্বি আম্মু ভালো, বাসার সবাই কেমন আছে?
আম্মুঃ তোদের ছাড়া কেমন থাকব তোরা এসেছি এখন আমরা খুশি। (সবাই খুব ভালোবাসে আমাদের)
রাজঃ আমিও। (ডায়লগ)

আম্মুঃ অনন্যা তোমার মন খারাপ কেন কোনো বিষয় চিন্তা করস না কি?
অনন্যাঃ আসলে আন্টি রা। (বলতে না দিয়ে)
রাজঃ কিছু না আম্মু জার্নি করে আসছে তো তাই খুব ক্লান্ত এখন রুমে যাই?
আম্মুঃ হুম যা ফ্রেস হয়ে এসে নাস্তা করে নে আগে?

রাজঃ ওকে আম্মি।
তারপর ফ্রেস হলাম হয়ে নাস্তা করে রুমে আসলাম একটু পর অনন্যা আসল।
অনন্যাঃ তুমি তখন বাধা দিলে কেনো?
রাজঃ মা জানলে চিন্তা করবে তাই না করছি।

অনন্যাঃ কিন্তু তাদের তো জানানো উচিৎ?
রাজঃ চাই না আমার জন্য তাদের মুখে হাসি হারিয়ে যাক তুমি জানো চুপ থাক আমি কিছু আর শুনতে চাই না ঘুমাইলাম?
আমি শুয়ে পড়লাম অনন্যা কিছু না বলে আমার বুকে শুয়ে পড়ল।
রাজঃ এই কি করস কেউ দেখলে কি বলবে।
অনন্যাঃ দেখলে দেখব তাতে কি আমি এখন ঘুমাব যদি ডিস্টার্ব করো তাহলে তোমার একদিন কি আমার একদিন।

যা বাবা এটা কি হলো, অবশ্য ভালো লাগছে আমার আমিও ঘুমে গেলাম। রাতে তো আর ঘুম হয়নি। দুপুরে ঘুম ভাঙল ভাবির ডাকে উঠে দেখি অনন্যা নাই কই গেল কে জানে।
ভাবিঃ এই যে দেবর মশাই এদিক ওদিক করে কাকে খোঁজেন। (সয়তানি একটা হাসি দিয়ে)
রাজঃ কই কাকে ঘুঁজি মানে কি বলতে চাও। (ভয়ে ভয়ে)
ভাবিঃ থাক আর ভয় পেতে হবে না সব জানি আমি যাও ফ্রেস হয়ে এসে।

ভাবি চলে গেল আমিও ফ্রেস হয়ে এলাম, বদমাশ মাইয়ার জন্য মাম সম্মানের ফালুদা হইয়া যাবে। নিচে গেলাম খাইতে। কিন্তু কে জানত এমন হবে, খাওয়ার সময় হঠাৎ করে কাশি শুরু হয়ে গেলো মুখ দিয়ে গল গল করে রক্ত পড়তে লাগল।

আম্মুঃ এই রাজ কি হয়েছে তোর।

ভাবিঃ কি হয়েছে তোমার এরকম করে রক্ত পড়ছে কেনো?
অনন্যাঃ আগে ডাক্তারের কাছে নিয়ে চলো পড়ে সব জানা যাবে।
তারপর ডাক্তারের কাছে নিয়ে আসল, ডাক্তার আর কেউ না মেহেদি ভাই শাম্মীর হবু স্বামি। আমার এরকম অবস্থা থেকে তাড়াতাড়ি জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলো।
ভাবিঃ কি হয়েছে রাজের অনন্যা?

অনন্যা নিশ্চুপ হয়ে বসে থাকল কি বলব এখন তার জানা নেই।
আম্মুঃ কি হয়েছে আমার রাজের প্লিজ বলো আমায়।
ভাবিঃ অনন্যা চুপ না থেকে বল কি হয়েছে।

অনন্যা নিশ্চুপ হয়ে বসে কান্না করছে তখন শাম্মী দৌড়ে আসল সাথে সব হারামি বন্ধুরা তারপরেই ভাই আর আব্বু আসল।
আব্বুঃ রাজ কই রাজের কি হয়েছে।
মেহেদিঃ রোগির পরিবার কারা আসেন।

আম্মুঃ আমি ওর মা প্লিজ বলবেন কি হয়েছে আমার ছেলের? (অপারেশন থেকে বের হয়ে)
শাম্মীঃ এখন কেমন আছে রাজ মেহেদি?
মেহেদিঃ ভয়ের কিছু নেই বর্তমানে ঠিক আছে তবে খুব তাড়াতাড়ি তার একটা অপারেশন করতে হবে তা না হলে বাচানো যাবে না।
আব্বুঃ কি হয়েছে সেটা যদি দয়া করে বলেন তাহলে ভালো হয়।

অনন্যাঃ আঙ্কেল আমি বলছি রাজে কি হয়েছে, রাজের ব্লাড ক্যান্সার। (কান্না করে)
আম্মুঃ কি বলিস মা ডাক্তার যা বলল তা কি ঠিক?
মেহেদিঃ জ্বি আন্টি ওনি যা বলছেন তাই।

সবাই এখন জেনে গিয়েছে কি হয়েছে আমার, রাতে ছাদে বসে আছি পিছন থেকে ভাইয়া ডাক দিল।
ভাইয়াঃ এই রাজ তুই খুব বড় হয়েছি তাই না আমাদের কথা ভেবে কি তুই খুব মহান হতে চাস একবার বলতে পারতি আমাদের।
রাজঃ সরি ভাইয়া, আমি চাইনি এমন করতে তোমাদের মুখের হাসি কি ভাবে কেড়ে নিব বল চেয়েছিলাম হয়তো কেউ জানবে এভাবে চলে যাব না হয়।
আম্মুঃ খুব বড় হয়েছি তাই না আমাদের একবার জানানোর কথা তোর মনে পড়ল না। (পিছন থেকে আম্মু কান্না করতে করতে বলল)
রাজঃ সরি আর হবে না।

আর কিছুক্ষণ ছাদে থেকে ঘুমাতে গেলাম ঘুম যে আর আসছে না চোখে তখন অনন্যার কথা মনে পড়ল সারাদিন একবার দেখলাম না কই আছে। অনন্যাকে ফোন দিলাম।
রাজঃ কই তুমি,
অনন্যাঃ এত রাতে ফোন দিছ কেন হুম।
রাজঃ কেন দিতে পারি না।
অনন্যাঃ না পারও না বাই।

কি হলো আবার অনন্যার কথায় কষ্ট পেলেও কিছু করার নেই এখন রাত কালকে সরাসরি না হয় কথা বলব এসব ভাবতে ভাবতে ভোর হয়ে গেল।
আজান দিচ্ছে তাই আর দেরি না করে নামাজ পড়ে নিয়ে, রাস্তা দিয়ে হাঠছি।
বাসায় এসে নাস্তা করলাম ভাবিকে বললাম।
রাজঃ ভাবি অনন্যা কোথায়।
ভাবিঃ অনন্যা তো কালকে চলে গিয়েছে।

রাজঃ ওহ।
অনন্যাকে ফোন দিলাম নাম্বার ব্যাস্ত দেখাচ্ছে আবার দিলাম আবার ব্যাস্ত দেখাচ্ছে। আস দিলাম না হয়তো কোনো কাজে ব্যাস্ত হয়ে পড়ছে।
অনেক ক্ষন অপেক্ষায় করার পর অনন্যা ফোন দিল প্রায় তো এক ঘন্টা হবে। ফোন দিয়ে।
অনন্যাঃ কি সমস্যা তোমার হুম দেখতে পাচ্ছ ব্যাস্ত আছি তারপরও এত ফোন কেনো দেও।
রাজঃ বিকালে দেখা করতে পারবে পার্কে।

অনন্যাঃ না আমার কাজ আছে অন্য একদিন দেখা করব।
ফোন কেটে দিলো কি হলো যে এমন ব্যবহার করছে আমার সাথে, আমি বা কি করছি এসব চিন্তা করতে করতে মাথা ব্যাথা শুরু হলো আবার ঘুমালাম।বিকালে বন্ধুদের সাথে বসে আড্ডা দিচ্ছি তখন গ্রামের এক ছোট ভাই ফোন দিয়ে বলল।

  • ভাই আপনি কই আছেন অনন্যা ভাবিরে দেখলাম অন্য ছেলের বাইকে বসে থাকা।
    রাজঃ ওহ এখন কি করতেছে।
  • কি বলব ভাই আমার জানা নেই আপনি একবার বলুন এই ছেলের হাত পা ভেঙে দিচ্ছি।
    রাজঃ না থাক তাদের কাজ করতে দে শুধু কোথায় কখন যায় সেই খবর যেন পাই আমি।
  • ঠিক আছে ভাই পেয়ে যাবেন।

সাকিবঃ কে রে ফোন দিছিল আর তোকে এত চিন্তিত কেন দেখাচ্ছে এনে ডাউট।
রাজঃ আরে তেমন কিছু না আমার ভালো লাগছে না আমি যাই রে।
তাদের কাজ থেকে চলে আসলাম, কে এই ছেলে কি বা হয় অনন্যার আমায় ছেড়ে আবার অন্য ছেলের সাথে, না এটা কেমন করে হবে কাজিন তো হতে পারে, দূর কি ভাবছি এসব আমি তখন আবার ছোট ভাই মানে সাকিল ফোন দিলো আর।


পর্ব ১৬

তাদের কাজ থেকে চলে আসলাম, কে এই ছেলে কি বা হয় অনন্যার আমায় ছেড়ে আবার অন্য ছেলের সাথে, না এটা কেমন করে হবে কাজিন তো হতে পারে, দূর কি ভাবছি এসব আমি তখন আবার ছোট ভাই মানে সাকিল ফোন দিলো আর।

রাজঃ হ্যাঁ বল রে কি জানলি?
সাকিলঃ ভাই আপনাকে কি বলব নিজও জানি না। (বলতে না দিয়ে)
রাজঃ কি বলবি তাড়াতাড়ি বল এত কথা ঘোড়াস না।

সাকিলঃ ভাই অনন্যা ভাবি যে ছেলের সাথে আসল তাকে দেখলে আপনিও চিনবেন বলতে পারেন আপনার কাছের কেউ আর অনন্যা ভাবির সাথে ছেলেটার রিলেশন আছে।
রাজঃ তুই কি সিওর।
সাকিলঃ জ্বি ভাই, আর একটা কথা কালকে তাড়াতাড়ি বিকাল পাঁচটায় পার্কে দেখা করবে বলছে তারপর আর কিছু শুনতে পাই নি।
রাজঃ ধন্যবাদ তোকে আর কিছি করতে হনে না আমি দেখে নিব তাদের।

ফোন কেটে দিলাম তারপর অনন্যাকে ফোন দিলাম কিন্তু কোনো রেসপন্স নেই ফোন ওয়েটিং দেখাচ্ছে বার বার ট্রাই করে ব্যার্থ হলাম।
তখন একটা এসএমএস দিলাম ফোনটা ধরো প্লিজ।তার কিছুক্ষণ পর ফোন ধরল।
অনন্যাঃ কি সমস্যা তোমার হ্যাঁ এত ফোন দেও কেনো দেখছ কারো সাথে কথা বলছি তারপরও ফোন দিয়ে যাচ্ছ কেন? (রেগে বলল)
রাজঃ তুমি এতক্ষণ কার সাথে কথা বললে?

অনন্যাঃ আমার এক কাজিন ফোন দিয়েছিল তার সাথে কথা বলছি।
রাজঃ তাই বলে এতক্ষণ কথা বলবে।
অনন্যাঃ সেটা তোমায় বলব কেনো।
রাজঃ আচ্ছা না বলো নাই কালকে কি বিকাল পাঁচটায় পার্কে দেখা করতে পারবে।
অনন্যাঃ না কালকে আমি একটা কাজে বাহিরে যাব কাল হবে না এখন বাই।

ফোন কেটে দিলো, জানি তো কি কাজ থাকতে পারে তোমার কালকে বয়ফ্রেন্ডের সাথে দেখা করতে যাবে তাই তো, কালকে তোমার সাথে হিসাব চুকাব। রাতটা কোনো রকম পার করলাম পরেরদিন ঠিক সময়ে গিয়ে পার্কে পৌছালাম লায়লা আর মজনুর প্রম লিলা দেখার জন্য। কিন্তু ছেলেটাকে দেখে আমি নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছি না কারন ছেলেটা আর কেউ না শুভ। হ্যাঁ শুভই অনন্যার বয়ফ্রেন্ডের। আমি তাদের সামনে গেলাম।
রাজঃ কি রে কেমন আছিস।(শুভকে উদ্দেশ্য করে বললাম আমার কথা শুনে শুভ যেমন অবাক হয়েছে তার চেয়ে বেশি অবাল অনন্যা হয়েছে।
শুভঃ তুইই এখানে। (তোতলাতে তোতলাতে)

রাজঃ কেনো আসা করিস নি বোঝায় আমায় আর মিস অনন্যা তোমার না কাজ ছিল এই তোমার কাজ।
অনন্যাঃ মা মানে।
রাজঃ কি হয় তোমার ওহ। (আমি তো জানি কিন্তু না জানার ভান করে আছি)
অনন্যা নিশ্চুপ হয়ে দাড়িয়ে আছে, আবার বললাম কি হলো বলো কি হয় তোমার।
অনন্যাঃ ওহ আমার সব আমার জান আমার বিএফ। (চেঁচিয়ে বলল)

রাজঃ বাহ তাহলে আমি কি ছিলাম তোমার।
অনন্যাঃ কিছু না।
রাজঃ তাহলে এতদিনের রিলেশন কি মিথ্যা।
অনন্যাঃ হুম মিথ্যা আমি তোমায় কখন ভালোবাসি নি।

রাজঃ এসব কি বলছ তুমি প্লিজ এমন বলো না। (কিছু যেন হারানোর ভ কাজ করছিল আমার)
অনন্যাঃ হা হা হা। (হাসতছে)
রাজঃ কি হলে হাসতেছ কেনে।

অনন্যাঃ তুমি এত বোকা জানতাম না তো তুই ভাবলি কি করে তোর মতো একটা খ্যাত ছেলেকে ভালােবাসব তুই কখনো আয়নায় নিজেকে দেখছি তুই নিজেকে দেখ আর শুভকে দেখ তোর থেকে হাজার গুন স্মাট আর পরিপাটি।
রাজঃ স্মার্টন্সে টা কি সব ভালোবাসা বলতে কিছু নেই।

অনন্যাঃ না নেই আমার কাছে স্মাটন্সে আগে তোর মতে খ্যাত না বুঝলি যা ভাগ সামন থেকে।
রাজঃ তুই না আমার বন্ধু তার প্রতিদান এভাবে তুই দিলি আমায় বাহ রে বাহ, আর তোকে বলে রাখি তোর মতো মেয়ে আমার দরকার নেই যেদিন বুঝবি এই খ্যাত কি ছিলো তোর জীবনে সেদিন ফিরে আসতে চাবি কিন্তু তোর রাস্তা বন্ধ থাকবে।
অনন্যাঃ তোকে এত লেকচার দিতে কে বলছে আগে নিজে বেচে থাক তুই ভাবলি কি করে তোকে বিয়ে করে আমি বিধবা হব তুই তো আর কিছুদিন বাচবি মাত্র ততদিন আমাদের দেখে নে।

রাজঃ সময় হউক তখন আমার জন্য তোকে কাদতে হবে ভুলব না তোর ছলোনা কোনদিন তোর প্রতিটা নিতি কথা মাথায় থাকবে।
সেখান থেকে অনেক কান্না করে চলে আসি সাথে এক প্যাক সিগারেট যা কখন খাই নি আজ খুব যেন খেতে ইচ্ছা করছে, তুমি এমনটা ন। করতে পারলে কখন ভুলব না তোমায় কখন ক্ষমা করতে পারব না।
বাসায় এসে কাউকে কিছু না বলে নিশ্চুপে কান্না করছি শুনেছি ছেলেদের কান্না করতে নেই কিন্তু আমার যে চোখের বাদ আর সইছে না এটা কেনো করলে তুমি। আপনাদের বলে রাখি শুভ আমার চেয়ে স্মাট বটে।

সবাই অনেক বার বলছে কি হয়েছে আমার অনেক ডাকা ডাকি করছে আমি শুনছি কিন্তু বলার ভাষা হারিয়ে ফেলছি কি বলব তা জানা নেই।
সিগারেট জ্বালিয়ে খেতে লাগলাম আর বুকের কষ্ট কমানের ব্যাথা চেষ্টা করলাম। আজ দুইদিন ধরে কিছু খায়নি না বাহিরে বের হয়েছি অনেক ডাকছে আব্বু আম্মু ভাইয়া ভাবি সাথে আপু তো আছে রাতে শুয়ে আছি আর ভাবছি কি করব এখন।হঠাৎ করে কেউ দরজা ধাক্কা দিলো।
আপুঃ রাজ দরজা খুল বলছি তুই যদি না খুলিস আমি কিন্তু আর খাব না বলে দিলাম।
আমি নিশ্চুপ।

আপুঃ আচ্ছা না খুলবি তে ঠিক আছে আমি আর তোর সাথে কখন কথা বলব না আর আপু বলে কখন ডাকবি না আমায়।
আপু চলে যেতে লাগল আমি দরজা খুলে আপুকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দিলাম কি হয়েছে কেন এমন করছি তা আপু এখনো জানে না।
আপুঃ এই বোকা কাঁদছি কেন বল তোর আপুকে আর তুই সিগারেট খেয়েছিস না কি তোর মুখ থেকে সিগারেট গন্ধ আসতেছেন।
রাজঃ কি বলব বল আমার যে বলার ভাষা হারিয়ে ফেলছি।

আপুঃ তোর আপুকে বলবি না। (আপুও কান্না করে দিয়েছে আসলে খুব ভালেবাসে আমায়)
রাজঃ হুম বলব তোকে ছাড়া আর কাকে বলব বল।তারপর সব কথা আপুকে খুলে বললাম আপনারা তো জানেন তাই বলার প্রয়োজন মনে করি নাই। আমার কথা শুনে আপএ কেঁদে দিল।
রাজঃ এই তুই কাঁদছি কেন।
আপুঃ তুই কাঁদছি কেন হুম। (তখন দরকার আড়াল থেকে একজন বেড়িয়ে আসল সেটা কেউ না মায়া ভাবি)
রাজঃ ভাবি তুমি কখন আসলে। (একটু হাসার চেষ্টা করে)
ভাবিঃ থাক তোমায় আর বিথা হাসতে হবে না আমার নিজের ঘৃণা হচ্ছে যে এমনটা করবে অনন্যা তোমার সাথে আমার বোন বলতে লজ্জা করছে।
রাজঃ থাক না ভাবি সে তার মতো।

আপুঃ এ্যা বললে হলো আমার ভাইকে কষ্ট দিবে আমি তা সহ্য করতে পারব না দেখে নিব তাকে।
রাজঃ থাক দেখতে হবে না সে তার মতো চলুক।
আপুঃ চলবে মানে তুই যদি আগের মতো হয়ে যাস তাহলে কিছু করব না।
রাজঃ হুম এখন আর কাঁদব না দেখ হাসছি হিহিহি।

আপুঃ হয়েছে চল কিছু খেয়ে নিবি আগে।
ভাবিঃ হুম তোমরা যাও আমি খাবার লাগাচ্ছি।
তারপর খেয়ে রুমে আসলাম এখন পরিবারে সবাই জেনে গিয়েছ কি কারনে রুম থেকে বের হয়নি আব্বু তো অনেক কথা শুনিয়ে চলে গেল। রাতে কিছু একটা নিয়ে ভাবছি তখন ভাবি আমার রুমে এসে।


পর্ব ১৭

তারপর খেয়ে রুমে আসলাম এখন পরিবারে সবাই জেনে গিয়েছ কি কারনে রুম থেকে বের হয়নি আব্বু তো অনেক কথা শুনিয়ে চলে গেল। রাতে কিছু একটা নিয়ে ভাবছি তখন ভাবি আমার রুমে এসে।

রাজঃ একি ভাবি তুমি কান্না করছ কেনো?
ভাবিঃ কি বলব তোমায় বলো অনন্যাকে বোঝানো জন্য বাসা গিয়েছিলা সেখানে আমায় অপমান করে তোমার বিষয় অনেক খারাপ কথা শুনায়(কান্না করে)
রাজঃ তুমি কেনো গিয়েছ বোঝাতে হুম আমি কি বলছি তোমায় কিছু আর যেন এরকম না হয় আর অনন্যার কথা বাধ দিলাম সময় হলে ঠিক শাস্তি পাবে।
ভাবিঃ হুম যাব না আর ঐ বাড়িতে আমি।
রাজঃ তুমি একশবার যাবে ওটা তোমারও বাড়ি।

ভাবিঃ না যাব না যে বাড়িতে এরকম মেয়ে থাকে সে বাড়িতে না থাকাই ভালো।
রাজঃ বলছি তো যাবে ব্যস।
ভাবিঃ আচ্ছা যাব কিন্তু তুমি মন খারাপ করে থাকতে পারবে না এবার হাসো।
রাজঃ হুম আমার সুইট বেবি।

পরেরদিন সকালে হাটতে বের হয়েছি তখন জিনিয়ার দেখা রাস্তায় আমার কাছে এসে।
জিনিয়াঃ কেমন আছ রাজ?
রাজঃ ভালো তুমি।
জিনিয়াঃ ভালো কই যাও।
রাজঃ সামনে হাটতে বের হয়েছি তুমি?

জিনিয়াঃ ওহ আমিও চলো একসাথে যাই গল্প করতে করতে।
রাজঃ হুম চলো।
সকালে হাটার আনন্দটাই আলাদা, জিনিয়া আর আমি গল্প করতে করতে যাচ্ছি তখন রাস্তায় অনন্যার দেখা।
রাজঃ এই অনন্যা শুনছ। (ডাকদিয়ে)

জিনিয়াঃ কি রে তুই যে চলে যাচ্ছি রাজ ভাইয়া ডাকছে তো।
অনন্যাঃ ফালতু লোকের সাথে কথা বলার ইচ্ছা আমার নেই।
জিনিয়াঃ কেন রাজ ভাইয়া আবার কি করল?
অনন্যাঃ কিছু করে নাই বাট খ্যাত ছেলের সাথে আমি কথা বলি না।

জিনিয়াঃ বাহ এই তোর।(জিনিয়াকে থামিয়ে দিয়ে)
রাজঃ ক্ষ্যাত না হুম ক্ষ্যাত কিন্তু মনে রাখিস তোকে এই ক্ষ্যাতের জন্য কাদতে হবে। জিনিয়া চলো।
সেখান থেকে চলে আসলাম তবে অনন্যা তার শাস্তি অবশ্যই পাবে।
জিনিয়াঃ কি হলো তোমায় অপমান করল কিছু বললে না যে?

রাজঃ কি বলব, আগেই জানতাম ওহ আমায় কখনো ভালোবাসে নাই যা ছিল সব আবেগ আর এখন নতুন কাউকে পেয়ে আমায় ভুলে যাচ্ছে।
জিনিয়াঃ তারপরও আর তুমি তো ক্ষ্যাত না তাহলে।
রাজঃ মানুষ যেমন পুরানো পোষাক ত্যাগ করে নতুন পোষাক পরে তেমনি আমিও পুরাতন হয়েছি আর ছেড়ে যাওয়ার জন্য তো একটা বাহানা লাগে এটা না হয় সেটাই ধরে নাও।

জিনিয়াঃ কথা গুলো অদ্ভুত হলেও সত্যি।
রাজঃ আচ্ছা যাও আমি রেজওয়ান দেখা করে আসি।
জিনিয়া চলে গেলেও আমি আর দাড়িয়ে না থেকে রেজওয়ান এর সাথে দেখা করতে গেলাম। কলিং বেল বাজালাম।
রাজঃ আসসালামু আলাইকুম আন্টি, রেজওয়ান বাসায়।
আন্টিঃ আলাইকুম আসসালামু, ভিতরে আস বাবা।

তারপর ভিতরে ডুকলাম আন্টি নাস্তা দিল।
রাজঃ এত কষ্ট করে কেন নাস্তা বানাতে গেলেন তার চেয়ে রেজওয়ানকে ডাকদিন না তার সাথে দেখা করে চলে যাব।
আন্টিঃ তুমি দেখি খুব কথা বলে নাস্তা করো রেজওয়ান বাহিরে গিয়েছে আসতেছে।

তারপর নাস্তা করে নিলাম, নাস্তা করা শেষে রেজওয়ান কই থেকে যেন আসল।
রেজওয়ানঃ কখন আসলি রে।
রাজঃ কিছুক্ষণ আগে।
রেজওয়ানঃ আচ্ছা দ্বারা আগে ফ্রেস হয়ে আসি তারপর কথা বলব।

তারপর রেজওয়ান ফ্রেস হয়ে আসল তারপর তার সাথে কিছু কথা বল বাসায় চলে আসলাম আর।
আপুঃ এই দ্বারা তুই কই গিয়েছিল হুম। (সিঁড়ি দিয়ে উঠার সময়)
রাজঃ হাটতে আপু।
আপুঃ যা ফ্রেস হয়ে আয় নাস্তা করে নিবি।
রাজঃ আমি রেজওয়ানর বাসায় খেয়ে আসছি তোমরা খাও।
রাতে ডিনার করার সময়,

রাজঃ আমি তোমাদের সবাইকে কিছু বলতে চাই।
আব্বুঃ বলবি তাতে অনুমিত নেওয়ার কি আছে।
রাজঃ আমি কালকে সুইজারল্যান্ড যাব ফুফুর কাছে।
আমার কথা শুনে সবার যেন মাথার উপর দিয়ে গেলেও।
আম্মুঃ তুই কি ঠিক আছিস।
রাজঃ হুম কেনো?

আম্মুঃ তা না যে ছেলেকে বলে পাঠানো যায় না সে যাবে সুইজারল্যান্ড ভাবা যায়।
রাজঃ আমি কিছু শুনতে চাই না কালকে যাব ব্যাস।
আব্বুঃ আচ্ছা ভেবে দেখছি।
রাজঃ হুম দেখেও আর আমার উত্তর যেন হ্যাঁ হয়।

খাওয়া দাওয়া করে চলে আসলাম রাতে সব হারামিদের ভিডিও কলে ফোন দিলাম।
সাকিবঃ কি রে সবাইকে কল ভিডিও কল দিলি যে?
জান্নাতঃ কাহিনী কি রে খুব হাসি খুশি দেখছি তোকে?

রাজঃ হুম কালকে সুইজারল্যান্ড এ যাচ্ছি রে তোদের ছেড়ে খুব মিস করব।
রেজওয়ানঃ তোর মাথা ঠিক আছে তুই না অসুস্থ?
জান্নাত হাসতছে।
রেজওয়ানঃ কি রে তুই আবার হাসতেছি কেন?
জান্নাতঃ রাজ না কি অসুস্থ।

রাজঃ ঐ তুই থামবি বেশি হয়ে যাচ্ছে, আর আমি কাল যে সুইজারল্যান্ড যাচ্ছি তা যেন অনন্যা না জানে বুঝলি।
তাদের সাথে কথা বলে ঘুম দিলাম। সকালে ভাবির ডাকে ঘুম ভাঙল।
ভাবিঃ এই যে দেবর জ্বি উঠুন আর কথা ঘুমাবেন।

রাজঃ আর একটু ঘুমাই না জানু। (ভাবির হাত ধরে উল্টা পাল্টা কিছু ভাবলে কেলিয়ে আসব ভাবির সাথে আমার একদম ফ্রি)
ভাবিঃ দুষ্টামি করো না তো যাও।
রাজঃ ভাইয়াকে ডিভোর্স দেও না আমি তোমায় বিয়ে করব। (ভাইয়ার দরজার কাছে যখন আসল তখন কথাটা বললাম)
ভাবিঃ হুম দিব গো আর কত এভাবে প্রম করব।

ভাইয়াঃ উ তুই আমার ভাই না শত্রু রে আমার বউকে কেড়ে নিতে চাচ্ছি।
রাজঃ ঐ মিয়া দেখ না আমাদের প্রম লিলা চলছে আর আপনে ডিস্টার্ব দেন কেন।

  • তবে রে, আর আমায় পায় কে এক দৌড়ে ওয়াশ রুমে গেলাম ফ্রেস হয়ে নাস্তা করতে গেলাম তখন আম্মু বলল দুপুরে না কি আমার ফ্লাইট। নাস্তা শেষ করে কাপড় প্যাক করতে লাগলাম।

আপুঃ তোর না গেলে হয় না। (মন খারাপ করে)
রাজঃ না আপু যাব আর আমিত একাবারে যাচ্ছি না কিছুদিনের তো ব্যাপার তারপর চলে আসব।
আপুঃ আচ্ছা যা তবে সাবধানে যাবি আর যত্ন নিবি নিজের।

দুপুর বাজে দুইটা আর মাত্র পাচ মিনিট হাতে আছে তারপর ফ্লাইট সবাই এগিয়ে দিতে আসল আমি চলছি আমার গন্তব্য সুইজারল্যান্ড তবে অনন্যাকে দেখতে খুব ইচ্ছা করছিল সে ইচ্ছা কে বলি দিলাম আর মায়া বাড়িয়ে লাভ নাই।


পর্ব ১৮ (অন্তিম পর্ব)

দুপুর বাজে দুইটা আর মাত্র পাচ মিনিট হাতে আছে তারপর ফ্লাইট সবাই এগিয়ে দিতে আসল আমি চলছি আমার গন্তব্য সুইজারল্যান্ড তবে অনন্যাকে দেখতে খুব ইচ্ছা করছিল সে ইচ্ছা কে বলি দিলাম আর মায়া বাড়িয়ে লাভ নাই।

পাপ্পা পাপ্পা উঠ আম্মি রেগে আছে।

রাজঃ হুম উঠছি মামনি।
পুষ্পিতাঃ না এখন উঠবে আম্মি রেগে আছে।
বাধ্য উঠলাম, আপনারা কিছু বুঝতেছেন না তো কে এই পুষ্পিতা, পুষ্পিতা হচ্ছে আমার একমাত্র মেয়ে, । তাহলে চলুন ফ্লাশব্রাক থেকে ঘুড়ে আসি।
শুভঃ এই যে ম্যাডাম শুনছ তুমি কি জানো রাজ সুইজারল্যান্ড যাচ্ছে।

অনন্যাঃ না তো তোমায় কে বলল?
শুভঃ কি বলো তুমি জানো না সবাই জানে আর তোমায় জানানোর হয়নি আপসোস লাগছে আমার?
অনন্যাঃ আরে বাদদেও তো তোমায় দেখে মনে হয় কিছু বলতে চাও কিছু বলবে।
শুভঃ হুম, বলছি কি তুমি তো আমায় বিয়ে করবে তাই না?

অনন্যাঃ হুম তোমায় ছাড়া কাকে করব বলো। (একটা হাসি দিয়ে)
শুভঃ বলছি কি চলো না ফিজিক্যাল রিলেশন করি।
অনন্যাঃ কি বলছ এসব আমি পারব না।
শুভঃ ওহ তুমি আমায় একটু ভালোবাস না। (মন খারাপ করে)

অনন্যাঃ কে বলছে বাবু কিন্তু বিয়ের পর সব কিছু হবে এখন না।
শুভঃ না আমি আজকে চাই তো চাই আর বিয়ে তো তোমায় করব। (অনন্যার হাত ধরে)
অনন্যাঃ ঠাসসস, লুচ্চা বদমাশ তোকে ভালো ভাবছিলাম আর তুই আমার সাথে ছি ছি কোনোদিন যেন আর তোকে আমার পাশে না দেখি। (অনন্যা উঠে চলে আসতে যাবে)
অন্তুঃ আরে ম্যাডাম কই যাও আমায় একটু চান্স দিবে। (অনন্যার সামনে দাড়িয়ে)
অনন্যাঃ দেখ অন্তু মাথা গরম করাবি না সামন থেকে সরে যা। (অন্তুকে সরিয়ে সামনে চলে গেলও)

রাসেলঃ আরে এত দেখি পুরাই হট তা এত রাগ কই রাখ রাগলে না তোমায় টমাটোর মতো লাগে মনে হয় চিবিয়ে খাই। (অনন্যা কিছুদূর যাওয়ার পর রাসেল সামনে দাড়ায়)
শুভঃ পালিয়ে যাবি কই তুই আজকে তোকে দিয়ে চাহিদা মিটাব তুই অনেক হট রে আমার প্রমের ফাদ তুই বুঝলি না দেখ আজ তোর সত্যিকারের প্রেমিক সুইজারল্যান্ডে চলে যাচ্ছে।

অনন্যাঃ আমি কি করছি তোদের আমার কাছে আমার ভালোবাসা কেড়ে নিয়ে এখন আমায় খেতে চাস তবে তোদের সেই আশা কখনো পূরণ হবে না।
অন্তুঃ এত কথা কি ধরে নিয়ে চল তো।
তারপর অনন্যাকে জোড় করে একটা পুরাতন বাড়িতে নিয়ে গেল অনন্যা নিজেকে বাচানোর জন্য অনেক চেষ্টা করল কিন্তু পারল না তারা জোড় করে নিয়ে গেল।
অনন্যাঃ প্লিজ শুভ আমার এমন সর্বনাশ করে না আমি তোমার কি করছি। । (অনেক মিনতি সুরে)

শুভঃ তুই কিছু করিস নাই আমি তোকে রাজের আশেপাশে দেখতে পারি না তাছাড়া আজকাল টাকা ছাড়া কেউ আপন না টাকা যার দুনিয়া তার।
অনন্যাঃ তুই টাকার জন্য আমার সাথে প্রমের অভিনয় করলি ছি ছি।
শুভঃ বাহ তোর দেখি খুব বুদ্ধি এত তাড়াতাড়ি সব বুঝে গেলি।
অনন্যাঃ টাকা লাগবে আমায় বলতে পারতি আমি দিতাম তবুও ছেড়ে দে।

শুভঃ আচ্ছা দে পাঁচ লক্ষ টাকা।
রাসেলঃ তোর মাথা ঠিক আছে।
অনন্যাঃ ছেড়ে দেয় কালকে সকালে পেয়ে যাবি।
শুভঃ আচ্ছা যা তোকে ছেড়ে দিলাম।
অন্তুঃ আরে পাখি কই যাও মনের আশাটা পূরণ করো না গো তোমায় যে আমার সন্তানের আম্মু বানাতে চাই। (অনন্যা দরজার সামনে যখন যাবে তার সামনে অন্তু এই কথাটা বলল)

সবাই হাসতেছে।
শুভঃ তুই এত বোকা জানতাম না তোরে আজ ছেড়ে দেই আর তুই কাল গিয়ে পুলিশকে বলে দে তুই ভাবলি কি করে, এই শুভ টাকাকে ভালোবাসে কিন্তু তোর প্রতি আমার একটা অন্য রকম ফিলিংস কাজ করে ময়না পাখি।
রাসেলঃ তোরা কি বকবক করবি না কি মজা করবি।

অন্তুঃ হুম আগে মদ ডাল খেয়ে লই।
তারা তিনজনে মদের নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ল অনন্যা এক কোনায় বসে কান্না করছে তার যে কিছু করার নেই। হঠাৎ করে ঘরের আলো নিবে গেল। কি হলো কেউ বুঝতে পারছে না। চারদিকে অন্ধকার হয়ে পড়ল।
রাসেলঃ কি হলো রে হঠাৎ করে আলো নিভে গেলো কেন?

শুভঃ হুম তাই তো।
অন্তুঃ আরে বাদদে চল আর নিজেকে আটকাতে পারছি না, । ওগো সুন্দরী কই গো তুমি একটু মজা দেও না।
অনন্যা নিশ্চুপ হয়ে সব শুনছে, আবার হঠাৎ করে ঘরে একটা ১০০ ভোল্টেজ এর বাল্ব জ্বলে উঠল একজন লম্বা টুপি পড়ে চেয়ারে বসে আছে।
শুভঃ এটা কি হলো রে এ আবার কে।

অন্তুঃ কে রে তুই।
রাসেলঃ কি রে এটা বোবা নাকি না চোখের ভুল।
হঠাৎ করে বাল্ব জ্বলছে আর নিভে যাচ্ছে তা দেখে রাসেল অন্তু শুভ আর অনন্যা ভয় পেয়ে গেল। ভুতের মতো শব্দ হতে থাকল।
হাউ মাউ খাউ মানুষের গন্ধ পাও,
অন্তুঃ ভূত ভূত। (চিংকার দিয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলল)

ঘরের চারদিকে ছোটাছুটি শুরু হলো বাল্ব জ্বলছে নিভছে তা দেখে সবাই জ্ঞান হারিয়ে ফেলল।
তাদের সবার যখন জ্ঞান ফিরল একটা বধ্য ঘরে নিজেদের আবিষ্কার করল সবার হাত পা বাধা অবস্থায় আছে। তাদের সামনে একজন বসে আছে। সেটা আর কেউ না অনন্যা।
সবাই মনে হয় অনন্যার এরকম কাহিনী দেখে অবাক আর ভয়েও পেয়েছে।
অনন্যাঃ কি রে কেমন দিলাম বল।
শুভঃ অনন্যা তুমি এসব কখন করলে।

অনন্যাঃ হা হা হা তাতে অবাক হয়েছি এখন বল তোদের কি করব।
শুভঃ তুমি না আমায় ভালোবাসও। (ভয়ে ভয়ে)
অনন্যাঃ তাতে অবাক হয়েছি আরও একজন আছে তাকে দেখে তোদের কি হবে বলত একবার।
রাজ দরজার আড়াল থেকে বের হলো তারা এবার ভয়ে শেষ জান যায় যায় অবস্থা সবার।
রাজঃ কি রে ভয় পেলি না কি।
শুভঃ তুইইই তুই না কি সুইজারল্যান্ড যাবি তাহলে।
রাজঃ হা হা হা, তোরা এত কিছু করবি আর আমি জানব না।

শুভঃ মানে কি বলতে চাস তুই।
রাজঃ আমি কিছু বলব না বাকিটা তুই নিজে দেখে নে।
আমার কথা শেষে, রেজওয়ান, দিগন্ত, সাকিব, আর জান্নাত রুমে প্রবেশ করল। তাদের সবাইকে একসাথে দেখে শুভর কলিজা যায় যায় অবস্থা।

জান্নাতঃ তুই ভাবলি কি করে তোর মতো চরিত্র হীন ছেলেকে আমি ক্ষমা করব তোকে যা বলছি সব মিথ্যা আর তুই বুঝতে পারলি না।
শুভঃ মানে তুই আমায় ভুয়া নিউজ দিছিস রাজ সুইজারল্যান্ড যায় নাই।
রাজঃ হুম ঠিক ধরছি, তুই ভাবতে পারলি না তোর জালে তুই নিজে পড়লি তোর সব প্লান আমি জানি তাই তো তোর সাথে গেম খেললাম একটা।

অন্তুঃ আমায় ছেড়ে দে রাজ আমি কিছু জানি না এই রাসেল টাকা লোভ দেখিয়ে সব করিয়েছ আমায় আমি কিছু জানি না।

রাজঃ তুই সত্যি কিছু জানিস না, আচ্ছা যা ছেড়ে দিলাম যা পালা।
অন্তু ছাড়া পেয়ে দৌড় দিবে যখন তখন আউ করে ব্যাথায় চিংকার দিলো।
তার চিংকার শুনে শুভ আর রাসেলের প্রাণ যায় যায়।

রেজওয়ানঃ তুই ভাবলি কি করে তোকে ছেড়ে দিব তোর সমস্যা আমাদের খেলা নিয়ে তাই না তার জন্য তুই অনেক বড় প্লান করছি তোদ জন্য তো একটু নাটক করতে হলো আমাদের।
রাজঃ তো শুভ তুই কি সব সত্যি বলবি না হালকা পাতলা ডোস দিব।

শুভঃ না না বলছি, আমায় অন্তু আর রাসেল টাকার লোভ দেখিয়ে অনন্যাকে প্রমের ফাদে ফেলতে বলছে আর অনন্যাকে দেখে আমার খুব ভালো লেগে যায় তাই।
রাজঃ থাক তোকে বলতে হবে না সব জানি আমি।
শুভঃ তুই আমাদের প্লান সম্পর্কে জানলি কেমনে আর তোর যে ব্লাড ক্যান্সার তাহলে তুই এত স্বাভাবিক ভাবে কথা বলতেছি কেন যেন কিছু হয়নি।
রাজঃ হাহাহা, আমি সেটাই ভাবছি তুই এটা বলবি আচ্ছা বলি তাহলে।

তোর মনে আছে যেদিন তোর মায়ের জন্য এক ব্যাগ রক্তয়ের প্রয়োজন ছিল সেদিন রক্ত দিতে গিয়ে তোর সাথে একজনের ফোনে কথা বলতে দেখি আর তোর কথা শুনে মনে হলো তুই কারো ক্ষতি করতে চাস তাও টাকার জন্য পরে সব খোজ নিয়ে জানতে পারি সেটা কেউ না আমি তোর সাথে এরা দুইজন ছিল, বলতি পারবি তোর কি ক্ষতি করছি জানি পাবি না তুই কত মেয়েকে নিয়ে খেলা করছু জানিস আর একটা বড় ভুল তুই নিজের মাকে স্বার্থের জন্য Accident করাইছি শুধু আমার জন্য তোকে তো ক্ষমা কখনো করব না।
শুভঃ তুই তো জেনে গিয়েছি, প্লিজ ক্ষমা করে দে ভাই দেখ ভালো হয়ে যাব।

অন্তুঃ ক্ষমা কর দে, আর কখনে কোনো মেয়েকে অসম্মান করব না কোনে মেয়ের দিকে খারাপ নজরে দেখব না।
রাজঃ তোকে অনেক বাধা করছি তুই শুনিস নাই আর রাসেল তোকে তো অনেক আগে লাস্ট ওয়ার্নিং দিয়েছিলাম ভালো হয়ে নে নিজের মায়েী সেআা কর তা না করে তুই ছি ছি। আর হ্যাঁ আমার কোনো ব্লাড ক্যান্সার নেই সব তোদের দেখানোর জন্য আর অনন্যাকে আমি তোদের সাথে নাটক করতে বলছি।

অনন্যাঃ জানু দিলে তো সব বলে।
জান্নাতঃ এদের কি করবি।
রাজঃ কি রে তোদের কি বলতে হবে না কি।
দিগন্তঃ থাক কিছু বলতে হবে না আমরা বুঝে গেছি কি করতে হবে।

রাজঃ জানু চলে বিয়ের আয়োজন করতে হবে তো।
তাদের সবাইকে অনেক মারল মারা পর মুখে এসিড ছুড়ে মারল। তারা আর নিজের মুখ নিয়ে কখনো সমাজের সামনে দাড়াতে পারবে না নিজের মুখ নিয়ে।
আমাদের একসাথে দেখে বাসার সবাই অবাক।

আম্মুঃ কি রে তুই না সুইজারল্যান্ড যাবি তাহলে আজ এখানে সাথে অনন্যা কেনো।
রাজঃ ওহ আম্মু আনার কথা শুনবে তো, তারপর তাদের সব খুলে বললাম আর আমাদের প্লান সম্পর্কে।
আপুঃ আমাদের একবারেও বলার দরকার মনে করলি না তুই। (মন খারাপ করে)
জান্নাতঃ আহ আপু বাদদেও এদের বিয়ের ব্যবস্থা করো তো।

আম্মুঃ হুম।
তারপর সব নিয়ম মেনে বিয়ে হলো। হঠাৎ করে একদিন অনন্যা অসুস্থ হয়ে পড়ল পরে জানতে পারি মা হতে চলছে আর আমি বাবা। আমাদের কোল উজাড় করে ফুটফুটে একটা মেয়ে হয় নাম পুষ্পিতা। বর্তমানে তার বয়স তিন বছর।
পুষ্পিতাঃ পাপ্পা আম্মুি রেগে আছে আর তুমি এখনো রেডি হয়ও নি।

রাজঃ দেখছেন আপনাদের বলতে গিয়ে এখন বউয়ের বকা শুনতে হবে আপনারা ভালো না কেউ।
অনন্যাঃ এই তোর এতক্ষণ লাগে রেডি হতে হুম কখন থেকে বলছি রেডি হতে।
রাজঃ জানু রাগ করো কেনো। (রেগে গেলে তুই তুই করে বলে, জড়িয়ে ধরে)
পুষ্পিতাঃ পাপ্পা আমি কিছু দেখি নাই।
অনন্যাঃ খুব শখ না আদর করার রাতে দেখব কেমন পারও।

রাজঃ হুম দেখা যাবে।
অনন্যাঃ যাও রেডি হয়ে নেও সাকিব ভাইয়ার বিয়ে মনে হয় শেষ হয়ে গেলো।
ওগ আজকে সাকিবের বিয়ে, আমি অনন্যা আর পুষ্পিতা বিয়ে বাড়িতে গেলাম সেখানকার কাজ শেষ করে বাসায় আসলাম। এসে।
অনন্যাঃ এই তুই বিয়েতে অন্য মেয়েদ দিকে তাকিয়ে ছিলি কেনো।
রাজঃ কই বা তো।
অনন্যাঃ সত্যি দেখে নাই তো।
রাজঃ আরে না বাবা, এখন কি দিবে।

অনন্যাঃ কি?
রাজঃ কি মানে তুমি বুঝ না।
অনন্যাঃ সব বলতে হবে নাকি জোড় করে নিতে পারও না।
পুষ্পিতাকে তার দাদুর কাছে পাঠিয়েছি,

এই যে আপনারা ভাগেন মোর লজ্জা করে মুই ইতিহাস পারি না তাই আর বলতে পারলাম না।
আপনাদের লজ্জা করে না মুই সিঙ্গেল আসি কেউ একটা ভিটামিন জিএফ ধার দিবেন, বিশ্বাস করেন মোটা হয়ে আপনাকে দিয়ে দিমু।
আপনাদের সবার মতামত চাই কেমন লাগল প্লিজ কমেন্ট করে জানাবেন সবাই।

লেখা – রাজ (ভাবুক ছেলে)

সমাপ্ত

(পাঠক আপনাদের ভালোলাগার উদ্দেশ্যেই প্রতিনিয়ত আমাদের লেখা। আপনাদের একটি শেয়ার আমাদের লেখার স্পৃহা বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। আমাদের এই পর্বের “ভাইয়ার হবু শালিকা – প্রেম ভালোবাসা” গল্পটি আপনাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন। পরবর্তী গল্প পড়ার আমন্ত্রণ জানালাম। ধন্যবাদ।)

আরো পড়ুন – ভাবির জমজ বোন – হারানো ভালোবাসার গল্প

1 thought on “ভাইয়ার হবু শালিকা – প্রেম ভালোবাসা”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *