প্রকৃত ভালোবাসা পর্ব ১

প্রকৃত ভালোবাসা পর্ব ১ – রিয়েল লাভ স্টোরি | সত্যিকারের প্রেম

প্রকৃত ভালোবাসা পর্ব ১ – রিয়েল লাভ স্টোরি: ভালোবাসা শব্দটার মাঝে অনেক অনুভূতি ও দায়িত্ব মিশে থাকে। মুখ দিয়ে আই লাভ ইউ বললে বা ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বললেই ভালোবাসা হয় না, ভালবাসতে সুন্দর একটি মন লাগে, যে মন আরেক মনকে দেখে তার চেহারা বা চরিত্র নয়। আজ এমনি এক ভালোবাসার গল্প বলব আপনাদের। হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়ার মত একটি গল্প। চলুন শুরু করা যাক।

অস্বাভাবিক জীবন যাপন

অনেক দিন পর অফিসের কাজ থেকে একটু মুক্তি পেলাম। খুব খুশি লাগছে, বৈশাখি উপলক্ষ্যে কম্পানি কিছুদিন এর জন্য ছুটি দিয়ে দিলাম।

এবার আমি ও একটু লাইফটা ইনজয় করতে পারবো। এসব ভাবতে ভাবতে আপন মনে গাড়ি চালাচ্ছিলাম।

ও আগে পরিচয়টা দেই।

আমার নাম আলোক আহমেদ। বাবা-মা, ভাই-বোন কেউ নেই। আছে শুধু বাবার রেখে যাওয়া বিশাল সম্পত্তি আর ব্যবসা। যেগুলো বাবার অবর্তমানে এখন আমি দেখাশোনা করি। আর কিছু না জানলেও চলবে।

গাড়ি চালাতে চালাতে একটি নাইট ক্লাবের সামনে এসে গাড়ি থামালাম।

এই সেই ক্লাব। যেখানে সময় পেলে বন্ধুরা মিলে আড্ডা দিতাম। কিন্ত এখন আর সেই সময়টা নেই।

সবাই যে যার মতো বিয়ে করে বউ‌-বাচ্চা নিয়ে সুখে সংসার করছে, শুধু আমি বাদে।

আজ এ পর্যন্ত মনের মতো কোনো মেয়ে পাইনি। আর বিয়ে করার তেমন ইচ্ছাও আমার নেই।

আছে শুধু নেশা। মদ,গাজা, হিরোইন। এসব আরো কয়েক বছর আগে আমার কাছে একটা নেশার মতো ছিলো।

প্রতিদিন এগুলো খেয়ে দিন পার করতাম। বাবার মৃত্যুর পর খুব বেশি একটা খাওয়ার সময় পেতাম না। মাজে মাজে খেতাম। আমার জীবনটা এখানেই সীমাবদ্ধ হয়ে রয়েছে।

বাড়ি থেকে অফিস। অফিস থেকে আবার বাড়িতে। লাইফটা কেমন যেনো বোরিং বোরিং লাগতো। তাই তো যখনই সময় পাই। চলে আসি এই আড্ডা খানায়।

যাক সেসব কথা আর ভেবে কাজ নেই। চলে গেলাম ক্লাবের ভিতরে।

গিয়ে প্রথমে ওয়েটার কে বললাম একটা বিয়ারের ক্যান দিতে। বিয়ার খেতে খেতে মেয়েদের ডান্স উপভোগ করছিলাম।

খুব সুন্দর সুন্দর মেয়েরা এখানে নাচ গান করে। এতে আরো বেশি কাস্টমার বাড়ে।

অতপর আমি বিয়ার খাওয়াতে মনোযোগ দিলাম।

মনের প্রশান্তির খোঁজে

আর কিছুক্ষণ পরই……

একটা লোক এসে আমার পাশে বসলো। আমার সেদিকে তেমন কোনো খেয়াল ছিলো না। কিন্ত লোকটার গলার আওয়াজ শুনে পাশে তাকালাম।

লোকটাঃ হেলো ব্রো কেমন আছো?

আমিঃ ভালো বাট তুমি কে?

লোকটাঃ আমাকে তুমি চিনবে না। আমি এই ক্লাবে কাজ করি।

আমিঃ কি কাজ?

লোকটাঃ সুখ বিলি করি!

আমিঃ মানে কি বলছো এসব, কিছু বুজতে পারলাম না। (লোকটার কথা শুনে বেশ অবাগ হয়ে কথাটা জিজ্ঞেস করলাম)

পরে লোকটা আমার দিকে চেয়ার ঘুরিয়ে বসলো। আর তার ব্যাগ থেকে একটা এলবাম বের করলো। আর আমাকে দেখাতে লাগলো।

লোকটাঃ এই যে ব্রো, দেখছো কত সুন্দর সুন্দর মেয়ে এদের নিয়ে আমার কাজ। তুমি যদি সুখ পেতে চাও তবে এখান থেকে যেকোনো একটা মেয়েকে চুস করো। সেই মেয়েটাই তোমাকে সুখ দিতে রাজি। তবে হ্যা বিনা পয়সাতে সুখ পাওয়া যায় না।

আমি লোকটার কথা শুনে বেশ অবাক হলাম।

অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললাম,

আমিঃ তুমি দালাল, তাইতো!

লোকটাঃ হমমম, তাই বলতে পারো। এখন বলো, তোমার কোন মেয়েকে পছন্দ হয় এখান থেকে। (এলবামটা আমার দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল)

আমি ও এলবামটা উলটিয়ে উলটিয়ে দেখছিলাম। সুন্দর কোনো মেয়ে পাওয়া যায় কি না।

কারণ আমার ও একটু নেশা ধরে গেলো, মেয়েদের প্রতি। আর, তাছাড়া এরা তো সব পতিতা নারী। এদের কাজই তো সুখ দেওয়া।

এলবাম এর প্রতিটি পাতায় পাতায় অনেক সুন্দর সুন্দর মেয়ের ছবি লাগানো আছে। বাট একটা কেউ আমার ভালো লাগলো না। তাই আমি লোকটাকে বললাম,

আমিঃ এখানে তো, তেমন কোনো সুন্দরি মেয়ের ছবি দেখতে পাচ্ছি না।

লোকটাঃ এখানে যেসব মেয়ের ছবি আছে। এদের সাথে রাত কাটানোর দাম ও কম। বিআইপি গার্লস আছে কিছু যাদের সাথে রাত কাটাতে গেলে অনেক খরচা করতে হবে।

আমিঃ টাকা কোনো বিষয় নয়। যত খরচ লাগবে পেয়ে যাবে। বাট সব থেকে সুন্দর মেয়েটাই চাই।

লোকটাঃ ওকে ব্রো তাহলে আমার সাথে চলো।

আমিঃ কোথায়?

লোকটাঃ যেখানে গেলে সব থেকে সুন্দর নারিদের দেখা পাবে সেখানে।

আমিঃ ওকে চলো।

ভালোবাসার নেশা

অতপর আমি আর লোকটা ক্লাব থেকে বেরিয়ে পরলাম। আমি গাড়ি নিতে চাইলেও লোকটা মানা করে দেয়। কারণ জায়গাটা বেশি দূরে নয়। পাচ মিনিটের পথ হেটে যাওয়া যাবে।

পাঁচ মিনিট পর..

আমি আর লোকটা একটা দোতোলা বাসায় মধ্যে ডুকলাম। দোতলা সবার শেষে একটা রুমে গেলাম। গিয়ে তো আমি অবাক। আমার চোখ ছানাবড়া হয়ে গেলো। তাই ভালো করে চোখ ডলে নিলাম। আবার সামনে তাকালাম। নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিনা।

কারণ, এই ঘরটাতে কম করে হলেও দশটা মেয়ে আছে। যারা দেখতে কোনো অংশে নায়িকাদের থেকে কম নয়।

লোকটা আমাকে বলল,

লোকটাঃ এখান থেকে যেকোনো একজন কে পছন্দ করতে পারো। (আমি কিছু বললাম না শুধু মাথা নাড়িয়ে হ্যা সুচক জবাব দিলাম)

সব মেয়েরা লাইন ধরে দাড়িয়ে রয়েছিলো। আমি তাদের কে একে একে দেখছিলাম। কোনটাকে পছন্দ করা যায়? বেশ সুন্দর দেখতে মেয়ে গুলা। নেশা ধরে যাচ্ছিলো ধীরে ধীরে। সব মেয়েকে দেখলাম। শুধু একটি মেয়েকে ছাড়া।

মেয়েটার গায়ের রং ফর্সা ছিলো। চুল গুলো বেশ লম্বা ছিলো। আর তার পরনে ছিলো, একটা কালো জামা। সে তার জামার ওরনা দিয়ে মুখ ডেকে রেখেছিলো।

মেয়েটাকে দেখতে পারছিলাম না। কারণ মেয়েটা মাথা নিচু করে সবার পিছনে দাড়িয়ে ছিলো। এতে আমি অবাক না হয়ে পারলাম না। কিন্ত মেয়েটার গায়ের রং আমাকে নেশা ধরিয়ে দিলো।

আমি লোকটাকে বললাম,

আমিঃ সবার শেষে যেই মেয়েটা দাড়িয়ে রয়েছে ওইটাই চাই।

লোকটাঃ ব্রো, তুমি সত্যি খুব লাকি। ওই মেয়েটার প্রথম কাস্টমার তুমি। গতকালই ওই মেয়েটাকে এখানে আনা হয়েছিলো।

আমিঃ তাই নাকি! আচ্ছা বলেন তাহলে কতো দিতে হবে?

অতঃপর লোকটা যত চাইলো তাই দিয়ে দিলাম। খুব বেশি চায়নি এক রাতের জন্য।

মায়াবী রাজকন্যা

কিছুক্ষণ পর মেয়েটাকে একটা রুমে রেখে দিয়ে আসা হলো। তার কিছুক্ষণ আমি লোকটার সাথে আরো কিছু কথা বললাম।

তারপর রুমের মধ্যে গেলাম। গিয়ে দেখি মেয়েটা খাটের এক কোনায় গুটিসুটি মেরে বসে আছে। কিন্ত অবাক করা বিষয় হলো, আমি এখনো ওর মুখ দেখতে পারলাম না। যার গায়ের রং এত সুন্দর। তার রূপ না জানি কত সুন্দর হবে।

আমি ধীরে ধীরে মেয়েটার কাছে গিয়ে বসলাম। কিন্ত মেয়েটা আমার দিকে ফিরে তাকালো না। এতে আমি অবাক দৃষ্টিতে মেয়েটার দিকে তাকিয়ে ছিলাম।

মেয়েটাকে পেছন থেকে দেখে আমার জরিয়ে ধরতে ইচ্ছে করেছিলো। কিন্ত আমি তা করিনি।

আমি মেয়েটার কাধে হাত রেখে বললাম,

আমিঃ কি হলো এদিকে তাকান দেখি একটু আপনাকে?

মেয়েটা সাথে সাথে উঠে জানালার দাড়ে চলে গেলো। কিন্ত কেনো তা বুজতে পারলাম না। শুধু ভেবলার মতো তাকিয়ে রইলাম, মেয়েটার দিকে।

তখন আমার হঠাৎ করে ওই লোকটার কথা মনে পরলো। লোকটা তো বলেছিলো। মেয়েটা গতকাল এখানে এসেছে। আর আমি নাকি তার প্রথম কাস্টমার। তাই হয়তো লজ্জা পাচ্ছে।

কিন্ত লজ্জা পেলে তো আর চলবে না। আমি তো ওর জন্য টাকা খরচ করেছি। এমনি এমনি তো আর ছাড়া যাবে না।

তাই আমি ও বিছানা থেকে উঠে গেলাম, মেয়েটার সামনে। মেয়েটা তখনও ওড়না দিয়ে মুখ ডেকে রেখেছে।

শুধু ওর হাত আর চোখ গুলো ছারা আর কিছুই দেখতে পাইনি। চোখ গুলোর দিকে তেমন একটা খেয়াল করিনি। কিন্ত চোখে খুব একটা মায়া কাজ করে।

কাজল দিয়েছিলো মেয়েটা। কালো পাপড়িগুলো বার বার উঠানামা করছিলো। বেশ দেখতে লেগেছিলো তখন।

আমি মেয়েটার পিছনে দাঁড়িয়ে রয়েছি। কিন্ত আমার কানে ভেসে আসচ্ছিলো, কান্নার গুন গুন শব্দ। বেশ বুজতে পেরেছিলাম, মেয়েটা কাঁদতেছে।

কিন্ত মেয়েটা কাঁদছে কেনো এইটা আমার প্রশ্ন। ও তো নিজের ইচ্ছায় এসব করতে রাজি হয়েছে। তা না হলে এখানে কি কেউ আসে নাকি।

মনের মিনতি

আমি মেয়েটার কাধে আবার হাত রেখে জিজ্ঞেস করলাম,

আমিঃ কি হয়েছে আপনার?

মেয়েটা সাথে সাথে আমার পা জরিয়ে ধরলো। কান্নার শব্দ আরো বেড়ে গেলো। কান্না ভেজা কন্ঠে আমায় বলতে লাগলো।

মেয়েটাঃ খোদায় দোহায় লাগে, আপনি আমার এত বড় সর্বনাশ করবেন না। আমি আপনার দুটি পায়ে পরছি, আমাকে মুক্তি দিন। আমার এত বড় সর্বনাশ করবেন না, প্লিজ।

কয়েক মহূর্তের জন্য স্তব্দ হয়ে গেলাম আমি। এটা কি হলো কিছুই বুজতে উঠতে পারছিলাম না।

যে মেয়ে নিজের ইচ্ছায় পতিতালয়ে এসেছে। দেহ ব্যবসা করার জন্য। সে আবার তার সম্মান রক্ষার্তে পায়ে পরছে কেনো।

তাহলে কি মেয়েটা পতিতা নয়। সে কি নিজ ইচ্ছায় এখানে আসেনি! তাকে কি এখানে জোর করে আনা হয়েছে? না আর কিছুই ভাবতে পারছিলাম না। সব কেমন গুলিয়ে যাচ্ছিলো।

মেয়েটা ধীরে ধীরে আমার পায়ে লুটিয়ে পরে। পায়ে মাথা রেখে কান্না স্বরে বলতে লাগলো।

মেয়েটাঃ প্লিজ আমার জীবনটা নষ্ট করবেন না। দয়া করেন আমাকে। দয়া ভিক্ষা চাই আপনার কাছে। আমার স্বত্বিতটা এইভাবে নষ্ট করবেন না। তাহলে যে আমি সমাজে নষ্টা মেয়ের পরিচয় পাবো। যা আমি কোনোদিনই মেনে নিতে পারবো না। দয়া ভিক্ষা দেন আমাকে, প্লিজ। (কেদে কেদে)

মেয়েটার কথা শুনার পরই আমি ওর সামনে থেকে সরে পিছনে চলে আসি। আমার সব কিছু কেমন এলোমেলো হয়ে গেলো। কিছুই ভাবতে পারছিলাম না।

মেয়েটা উঠে দাড়ালো।

আমি তার সামনে গিয়ে দাড়ালাম। এখন লাইটের আলোতে মেয়েটার চোখ গুলো স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছিলাম। তার চোখের কাজল গুলো এলোমেলো হয়ে গিয়েছিলো।

পাপড়িগুলো চোখের নোনা জলে ভিজে গেছে। আর সে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কেঁদেই চলেছিলো।

ওর কান্নার আওয়াজে বুকের ভেতরটা কেমন দুমরে মুচরে গেলো। দয়া মায়া ভাবটা আমার মধ্যে আসে না।

কিন্ত কেনো জানি না মেয়েটার প্রতি একটু মায়া লাগছে। একটু খারাপও লাগছে।

নিষিদ্ধ পল্লির নারীরা। নিজের স্বতিত্ব অন্যের কাছে বিলিয়ে দেয়। দেহ দিয়ে লোকদের সুখ দেয়। সুখ বিলিয়ে দেওয়াই তাদের কাজ। কিন্ত এই মেয়েটা নিজের স্বতিত্ব রক্ষার জন্য লড়াই করছে। তার মানে কি মেয়েটা কোনো ভদ্র ঘরের মেয়ে। মেয়েটা কি পতিতা নয়,তাহলে কে মেয়েটা আর এখানেই বা কেনো এসেছে। সেকি জানে না, এটা নিষিদ্ধ পল্লি এলাকা। এখানে যেসব মেয়েরা একবার ডুকে তারা আর কখনো বের হতে পারে না।

প্রথম ভালোবাসা

হাজারো প্রশ্নের জবাব খুজার জন্য মেয়েটাকে জিজ্ঞেস করলাম,

আমিঃ আপনি কি আগে কখনো এসব করেননি। আমার প্রশ্ন শুনে মেয়েটার কান্নার শব্দ আরো বেড়ে গেলো। ওর চোখ দিয়ে অঝর দারায়। নোনা জল বইতে লাগলো। নিশ্চুপ দাড়িয়ে শুধু কেদেই চলেছিলো মেয়েটা।

এতে আমার খুব বিরক্ত বোধ হলো। আমি মেয়েটাকে দমক দিয়ে বললাম,
আমিঃ আরে চুপ করেন তো। শুধু কেদেই যাচ্ছেন, কেদেই যাচ্ছেন। কিছু বলছেন না কেনো যা জিজ্ঞেস করেছি তার জবাব দিন।

দমক দেওয়ার সাথে সাথে মেয়েটা তার কান্না থামিয়ে দিলো।

কিছুক্ষণ পর মেয়েটা তার কপালে হাত দিয়ে বলল,

মেয়েটাঃ মাথাটা কেমন ঘুরাচ্ছে!

কথাটা বলেই মেয়েটা মাটিতে পরে গেলো।

আমি অবাক না হয়ে পারলাম না। মনের মধ্যে ভয় ডুকে গেলো কি হলো মেয়েটার হঠাৎ করে। এভাবে জ্ঞান হারিয়ে ফেলার কারণ কি?
আমি তাড়াতাড়ি মেয়েটার সামনে নিচু হয়ে ডাকতে লাগলাম,

আমিঃ এইযে শুনছেন, কি হলো আপনার।

কিন্ত কোন সারাশব্দ পেলাম না। অতপর আর কোনো উপায় না পেয়ে মেয়েটাকে কোলে তুলে নিলাম।

কোলে নিয়ে বুজতে পারলা‌ম। মেয়েটা হয়তো এখনো না খেয়ে আছে।
কারণ একটা ক্ষুধার্ত মানুষের ওজন আর পাচটা মানুষের থেকে একটু কম হয়। অতপর মেয়েটাকে কোলে নিয়ে। খাটে শুয়িয়ে দিলাম।

কিন্ত কি করবো কিছুই বুজতে পারছিলাম না। কাউকে এখন ডাকতে গেলে আমাকেই ফাসতে হবে।

তাই কাউকে ডাকলাম না, আমি খাটের এক পাশে বসে আছি। আর মেয়েটা সেন্সলেজ অবস্তাতে খাটে শুয়ে আছে। চিন্তা পরে গেলাম।
কি করা যায় সেটাই ভাবছিলাম। হঠাৎ টেবিলে উপর রাখা জগটার ওপর চোখ পরলো। তারতারি গিয়ে জগটা নিয়ে এলাম।

কিন্ত মেয়েটার মুখটা ওড়না দিয়ে ডাকা রয়েছে। ওকে না বলে ওড়নাটা কি সরানো ঠিক হবে।

নিষ্পাপ মন

পরক্ষনেই আবার ভাবলাম। আজ রাতের জন্য ওকে তো আমি কিনে নিয়েছি। তাহলে তো আমার যা খুশি আমি করতে পারি।
তাই আর কিছু না ভেবে। মেয়েটার মুখের ওরনা সরিয়ে দিলাম।

অপলক দৃষ্টিতে আমি ওর জ্ঞানহীন রুপের দিকে তাকিয়ে রইলাম। চোখের পলক পরতে চাচ্ছে না আমার।

এত সুন্দর অপরুপ যে নারী পতিতা লয়ে তার বসবাস এটা কি করে সম্ভব।
মেয়েটার চোখের কাজল গুলো, ওর চোখের জলের সাথে মিশে একাকার হয়ে গেছে।

চোখের কোনে, বিন্দু বিন্দু জল জমা পরে রয়েছে। এখনো গোলাপি রঙের সেই সুন্দর ঠোট গুলো। একটি অপরটির সাথে আষ্টে পিষ্টে রয়েছে।
ঠোটের কোনে এক পাশে ছোট্ট একটা তিল। কি যে অপরুপ সুন্দর লাগছে। লেখার মতো ভাষা খুজে পাচ্ছি না।

শুধু এই টুকু বলতে পারি। একটি ঘুমন্ত পরিকে দেখতে যতটা না সুন্দর লাগে তার থেকে কয়েক শো গুন বেশি সুন্দর লাগছিলো মেয়েটাকে।
আমি কোনো দিন কোনো পরি দেখিনি।

তবে এই মহূর্তে যে আমার সামনে জ্ঞানহিন অবস্তায় রয়েছে। সেই আমার কাছে পরিদের থেকেও বেশি কিছু।

আর কোনো কিছু না ভেবে। মেয়েটার মুখে পানি ছিটিয়ে দিলাম।

একটু পর মেয়েটা মাথা নারাছিলো। আর কি জানি বিড় বিড় করে বলেছিলো।

কিন্ত কি বলেছিলো বুজে উঠার আগেই…

হঠাত ঠাসস…

চড় মারার শব্দ শুনতে পেলাম।

চলবে….

পরের পর্ব- প্রকৃত ভালোবাসা পর্ব ২

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *