হৃদয়স্পর্শী ভালোবাসার গল্প ৯

হৃদয়স্পর্শী ভালোবাসার গল্প – বেলা শেষে পর্ব ৯ | Love Story

হৃদয়স্পর্শী ভালোবাসার গল্প – বেলা শেষে পর্ব ৯: গত পর্বে আমরা দেখেছি নীল ও প্রিয়ন্তী একসাথে বাইকে করে টি এস সি তে আসে, দুজনে একটু আড্ডা আর নিশ্চুপ চাহনির মাঝে সময় কাটাচ্ছিল। তারপর কি হল তাদের মাঝে, চলুন দেখি।

অল্প অল্প প্রেমের গল্প

নীল প্রিয়ন্তীকে বাসার নিচে ড্রপ করে দিল। প্রিয়ন্তী বাইক থেকে নেমে বলল:”থ্যাঙ্কস এতক্ষন সময় দেয়ার জন্য। অনেক ভাল লাগল।”
নীল হেসে বিদায় নিল।

প্রিয়ন্তী বাসায় ঢুকে গান গেয়ে নেচে নেচে রুমে গেল। প্রিয়ন্তীর মা বলল: “তুই কি পাগল হইলি নাকি? নাচানাচি করিস কেন?”
প্রিয়ন্তী কিছু না বলে মায়ের দিকে তাকিয়ে একগাল হাসি দিল।

নিজের রুমে গিয়েই গান ছাড়ল:
ভালোবেসে সখী
নিভৃতে যতনে
আমার নামটি লিখো
তোমার মনেরই মন্দিরে..

প্রিয়ন্তীর এখনো বিশ্বাস হচ্ছিল না। নীলের সাথে এতো সময় কাটিয়েছে সে! এভাবে সময় কাটতে থাকলে ও যে আরো বেশিই প্রেমে পড়ে যাবে।
এসব ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়ল ও।

পরদিন সকালে উঠেই প্রিয়ন্তীর মন ভাল হয়ে গেল। কিছুতেই কালকের সন্ধ্যাটা ভুলতে পারছেনা সে।
ফোন হাতে নিয়ে দেখল। নাহ এই ছেলের কি আর এত্ত সময় আছে ওকে ম্যাসেজ দিবে!

বিকালে প্রিয়ন্তী ছাদে বসে আছে। আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখছে আর ভাবছে, পৃথিবীটা কত সুন্দর!! সব কেমন অন্যরকম ভাল লাগছে!
হঠাৎ ফোনে ম্যাসেজ এলো!
ওপেন করতেই দেখল, ‘মিস প্রিয়ন্তী আপনি কি ব্যস্ত? খুব চা খেতে ইচ্ছে হচ্ছে। কিন্তু একা একা আড্ডা জমবে না। যেতে পারবেন আমার সাথে?’
প্রিয়ন্তী হাসবে না কাদবে বুঝে উঠতে পারছেনা। এই বুদ্ধু যেতে পারব না কি রে আমিতো যাওয়ার জন্যই বসে আছি।
প্রিয়ন্তী রিপ্লাই দিল – ‘হ্যা যাওয়া যায়’।

বন্ধুত্বের আমন্ত্রণ

প্রিয়ন্তী একটা হোয়্যাইট টপ্সের সাথে ব্লু জিন্স পড়েছে। ক্যাজুয়ালি যেতে চায় সে। হঠাৎ বাইকের হর্ন শুনে বারান্দায় যেতেই দেখে নীল বাইকের মিররে চুল ঠিক করছে!
উফফ এই দৃশ্যটা যদি থেমে যেত! কি সুন্দর লাগছে ছেলেটাকে।
নীল ফোন দিল,প্রিয়ন্তী কেটে দিয়ে নিচে চলে গেল।

চায়ের আড্ডায় নীল বেশ অনেক কথা বলছে আজ। বাহহ ছেলেটাকে হাসলে কতোই না ভাল লাগে!
প্রিয়ন্তী: “একটা কথা বলব মাইন্ড করবেন না তো?”
নীল বলল, আরে বলোই না!
প্রিয়ন্তী: “আপনাকে কিন্তু হাসলে বেশ ভালোই লাগে। তাহলে সবসময় এমন গোমড়া মুখ করে কেন থাকেন? ভাল্লাগে এমন নাকি এটা ডাক্তারদের স্টাইল?”

এই কথা শুনে নীল হেসে কুটিকুটি হয়ে যাচ্ছে। প্রিয়ন্তী শুধু তাকিয়ে দেখছে।
নীল শেষে বলল: “কি বললে! মজার ছিল লজিক দুটোই। বাট এই দুটির একটাও ঠিক না। কারন আমি হাসি, অনেক হাসি। তুমি আমার গোমড়া মুখ দেখলে কোথায়?”
প্রিয়ন্তী নিচে তাকিয়ে হেসে দিল। কেন যেন মনে হচ্ছে নীল আজ অন্যরকম বিহ্যাভ করছে। অনেক ফ্র্যাঙ্ক আর ফ্রী।

বাসায় ফেরার সময় হয়ে গেছে। ইশ এই একটা সময় প্রিয়ন্তীর খুব বিরক্ত লাগে,
নীলের সাথে সারাদিন কাটালেও যেন কম হয়ে যায়!
ব্যাক সিটে বসে হঠাৎ প্রিয়ন্তী প্রশ্ন করল: “আচ্ছা আমরা কি ফ্রেন্ড হতে পারি?”
নীল হেসে হেসে জবাব দিল : “আমি কিন্তু তোমার চেয়ে অনেক বড়।”
প্রিয়ন্তীর খুব মেজাজ খারাপ হলো! এ কেমন কথা ধ্যাত!

বাসার নিচে যেতেই প্রিয়ন্তীর মন খারাপ হয়ে গেল। কেন এই সময়টা আসে! যদি আরো কিছুক্ষন থাকা যেত নীলের সাথে!

(চলবে)

পরের পর্ব- হৃদয়স্পর্শী ভালোবাসার গল্প – বেলা শেষে পর্ব ১০

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *