ছাত্রী ধর্ষণ ২

ছাত্রী ধর্ষণ – অতৃপ্ত আত্মার প্রতিশোধ পর্ব ২ | ভুতের গল্প | Bhoot Fm

ছাত্রী ধর্ষণ – অতৃপ্ত আত্মার প্রতিশোধ পর্ব ২ | ভুতের গল্প: গত পর্বে আমরা দেখেছি কিভাবে তুহিন স্যারকে ভয়ানক শায়েস্তা করেছিল কোন এক অতৃপ্ত আত্মা। আজ দেখব তার পরের ঘটনা।

তুহিন স্যারের দশা

তুহিন স্যারের হুশ নেই। উনি এই যে অজ্ঞান হয়েছেন, টানা দুইদিন বিছানা ছাড়তে পারেনি। এরপর থেকে শুরু আরো ভয়ংকর ঘটনা। এমন ভয়ংকর কিছু শুরু হয়, যা অন্যের মুখ থেকে শুনলেও,ভয়ে শরীর হিম খেয়ে যায়। শিরশির করে উঠে শরীরের লোম।

একদিন তুহিন স্যার ক্লাস নিচ্ছিলো। ক্লাসে খেয়াল করে, সবার লাস্ট বেঞ্চে একজন ছেলে বসে আছে। ছেলেটি অদ্ভুত ভাবেই স্যারের দিকে তাকাচ্ছে। স্যার কিছুটা ভয় পায়৷ এই ছেলে আবার ওটার মত নাতো? তুহিন স্যার সেই ছেলেটির উদ্দেশ্যে বলল “এই ছেলে এভাবে তাকাও কেন।” স্যারের কথা শুনে ক্লাসের সব ছাত্রছাত্রীদের মাঝে হাসির টুল পড়ে যায়। স্যার অবাক হয়ে সবাইকে ধমক দিয়ে জিজ্ঞেস করে কেনো হাসছে। সবাই উত্তর দিলো, “স্যার, পিছনের বেঞ্চে তো কেও নেই। আপনি কার কথা বলছেন?”

সবার কথা শুনে স্যার ভয়ে সোজা হয়ে যায়৷ এই ছেলেকে কেও দেখেনা, শুধু তিনিই দেখছেন। এর চাইতে বড় ভয় আর কি হবে। স্যার তৎক্ষনাৎ ক্লাস ত্যাগ করে চলে আসে অফিসে। অন্যান্য স্যাররা তাদের ক্লাস করছে৷ মিলায়াতন রুমে স্যার একাই। ঠিক তখনি কেও স্যারকে টেবিলের উপর চেপে ধরে। তুহিন স্যারের কপালের রগ দাড়িয়ে একাকার। কলিজাটা ধুপধুপ করছে উনার। রুহ থেকে যেনো পানি শুকিয়ে গেলো৷ আবার আগের বারের মত কেও পিছন থেকে থেরাপি দেওয়া শুরু করে।

২০ মিনিট পর..অন্যান্য স্যাররা মিলায়াতন রুমে এসে দেখে, তুহিন স্যার টেবিলের উপর উলঙ্গ হয়ে শুয়ে আছে। মেডামরা চোখ বন্ধ করে রুম ত্যাগ করে তখনি। বাকি স্যাররা এসে তুহিন স্যারকে প্যান্ট পড়ায়। তুহিন স্যার অজ্ঞান আছে। পরে উনার মুখে পানি মারায় জ্ঞান ফিরে উনার। চোখ মেলেই তিনি পায়চারি শুরু করে। খুব ভয়ে আছে। এই বুঝি উনাকে কেও হামলা করবে।

তুহিন স্যারের টিসি

উনার এসব কান্ড দেখে হেডস্যার বলেন- অফিসে উলঙ্গ হয়ে শুয়ে থাকা, ছাত্রীদের হয়রানি করা, বাসায় অনেক মেয়ের বুকে হাত দেওয়ার চেষ্টা করা, ক্লাসে মেয়েদের পিঠে হাত দেওয়ার অপরাধে আপনাকে TC ( ট্রান্সফার সার্টিফিকেট) দেওয়া হলো।

তুহিনঃ কিন্তু স্যার, আমি কিছুই ইচ্ছে করে করিনা। কেও একজন আমাকে দিয়ে এসব করাচ্ছে।
হেডস্যারঃ কে..?
তুহিনঃ কোনো ভূত, প্রেত।
হেডস্যারঃ ওও আচ্ছা? অর্থাৎ আপনি গাঞ্জাও সেবন করেন? এখন তো আরো একটা অভিযোগ পড়লো৷ যান এক্ষুনি বের হন। অন্য স্কুলে জব খুজেন।
তুহিনঃ জ্বী স্যার।

তুহিন স্যার মন খারাপ করে স্কুল থেকে চলে আসে। বাজারের উপর দিয়ে হেটে আসার সময় খেয়াল করলো, সেই ছেলেটি (যে উনাকে থেরাপি দেয়) একটা দোকানের সামনে দাড়িয়ে আছে। তুহিন স্যার ছেলেটিকে দেখেই এক দৌড়ে বাজারের পাবলিক টয়লেটে লুকিয়ে পড়ে।

১০ মিনিট পর, বাথরুমের দরজা অটোমেটিক খুলে যায়। তুহিন স্যার অবলার মত দুর্বল শরীর নিয়ে বাজারের সবার সামনে দিয়ে হেটে আসে। এক্ষুনি যেনো উনি পড়ে যাবে। একটা মদ খাওয়া মাতালরা যেভাবে হাটে,সেইভাবে হেটে হেটে আসছিলো। উনাকে দেখে বাজারের সবাই হাসতে লাগলো। হাসার পিছনে অন্যতম কারণ হচ্ছে,তুহিন স্যারের পরনে প্যান্ট নেই। ল্যাংটা হেটে যাচ্ছে।

তুহিনের বাজে সময়

তুহিনে স্যার, না থুক্কু, উনাকে তো শিক্ষকতা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এখন তুহিন স্যার নয়, শুধু তুহিন হবে।

তো তুহিন নিজের মান সম্মান ইজ্জৎ সব ভ্রষ্ট করে চলে আসে বাসায়৷ পশ্চাৎ( পিছনের) সময়টা উনারা খুবি বাজে গেলো। এই প্রবণতা ( সময়,যুগ) উনার কেমন যাবে তা নিজেও জানেনা।বাসায় এসে দরজা খুলে দেখে,বাসার ভিতরে সেই ছেলেটি বসে আছে। রফিম ক্লান্ত হয়ে ফ্লোরে পড়ে যায়। কিন্তু এসবে লাভ কি। থেরাপি ঠিকই চলেছে।

তুহিন চোখ মেলে দেখে উনি এখনো ফ্লোরে পড়ে আছে। রাত প্রায় ৮ টার কাছাকাছি। পিছনের সাইট উনার ব্যাথায় কাতর হয়ে আছে। কোনোভাবে হামাগুড়ি দিয়ে ফ্রিজের পাশে যায়৷ ফ্রিজ খুলে পানির বতলটা নিয়ে কিছু পানি পান করে। পানি পান করার পর,ফ্রিজে পানি রাখতে গিয়ে দেখে, ছেলেটি ফ্রিজের ভিতর বসে আছে।

ধুপপপ করে ফ্রিজের দরজাটা আটকিয়ে তুহিন চলে আসে নিজের রুমে। এসে দরজা জানালা সব অফ করে মোবাইল ফোনটা হাতে নেয়। এরপর সোজা কল দেয় পলাশকে।

তুহিনঃ হ্যালো পলাশ। কই তুই?
পলাশঃ আরেহহ তুহিন ভাই যে। কি খবর ভাইয়া?
তুহিনঃ আরে বলিস না। খবর একেবারে খারাপ।
পলাশঃ কেনো ভাইয়া, কি হয়েছে।
তুহিনঃ আচ্ছা, তুই তো ভূত প্রেত নিয়ে গবেষণা করিস তাইনা?
পলাশঃ হ্যা, কলেজে আপনি আমার সিনিয়র ব্যাসে ছিলেন। আর আমার কাজ নিয়ে কত র‍্যাগিং করেছেন আমায়।
তুহিনঃ হুম, সেসব বাদ দে। এখন তোকে আমার খুব প্রয়োজন।
পলাশঃ বলেন কি ভাইয়া। আমি তো হাসনাবাদ শশুরবাড়ি আছি। আপনার ওখানে এতো রাত যাবো কিভাবে? গাড়িও তো পাবোনা।
তুহিনঃ আমি এখন সাভারে নেই। যাত্রাবাড়ী আছি।
পলাশঃ ওও তাহলে তো আমি এক্ষুনি আসতে পারি।
তুহিনঃ হ্যা আয়, তাড়াতাড়ি আয়।
পলাশঃ আচ্ছা ভাইয়া, আমার বউ, মানে আপনার মুক্তা ভাবিরে একটু বুঝাই কন। হেতি আমারে ছাড়েনা৷ সারাদিন খালি ওটা করতে কয়।
তুহিনঃ ওকে, আমি বলে দিচ্ছি। তুই তাড়াতাড়ি আয়।
পলাশঃ আচ্ছা।

তুহিনের বাসার পলাশ

তুহিন কল দেয় পলাশকে। পলাশ যখন ইন্টার দ্বিতীয় বর্ষে পড়তো। তখন তুহিন ছিলো অনার্স ১ম বর্ষের ছাত্র। পলাশকে অনেক র‍্যাগিং করাতো। পলাশ ভূত প্রেত নিয়ে লেখালেখি করে। ভালোই সাড়া পায়। কিন্তু ওর পলাশ হোসেন ইমরান নামের আইডিটা নষ্ট করে দেয় তুহিন। প্রায় ১২ হাজার ফলোয়ার ছিলো। এরপর পলাশ অনেক আইডি খোলে। তুহিনে সব খেয়ে দিতো। এখন সবুজ রানা নিয়ে আইডি খুলছে।এইটা আর তুহিনে খায়নি। খাবেও বা কিভাবে। উনাকেই তো খাচ্ছে অন্যজন। একদিন পলাশ কলেজের পুকুর পাড় থেকে একটা জ্বীন ধরে৷ তুহিন ভাবলো পলাশ হিরো সাজার জন্য এসব করে আসছে। এরপর তিনি পলাশকে পুকুরের পানিতে প্রায় ২ মিনিট চুবিয়ে রাখে। শাস্তি দিয়েছে। আজ সেই তুহিন হেল্প চাচ্ছে পলাশের কাছে। অদ্ভুত প্রবণতা।

পলাশ এই রাতেই রওনা দেয় তুহিনের বাড়িতে। রাস্তায় রিক্সা বাস যাই পেয়েছে, অনেক্ষন সময় পার করে বাড়িতে আসে। তুহিনের বাসার নিছে এসে পলাশ কলিং বেল বাজায়। কিন্তু কেও দরজা খোলেনা। পলাশ আরো কয়েকবার নক দেয়। তাও কোনো সাড়াশব্দ নেই। এবার পলাশ দরজা ধাক্কা দিয়ে দেখে, রুমের দরজা খোলা। অদ্ভুত ব্যাপার, তুহিন ভাই দরজা লক না করে কোথায় গেলো।

পলাশ ভিতরে গিয়ে অনেক্ষন ডাকাডাকি করেও কারো সাড়াশব্দ পায়নি। সব কয়টা রুমও চেক করে ফেলেছে। অবশেষে ক্লান্ত হয়ে পলাশ সোফায় এসে বসে। আর তখনি খেয়াল করে,মুখের মধ্যে রক্ত মিশ্রিত একটা ছেলে পলাশের সামনে বসে আছে। পলাশও ছেলেটির দিকে অদ্ভুত ভাবেই তাকিয়ে আছে। ছেলেটির হাভ ভাব দেখতে সুবিধাজনক না। পলাশ আরো ভালো করে খেয়াল করে বুঝতে পারে, এইটা কোনো মানুষ না। হতে পারে অদৃশ্য কোনো সাইকো।

চলবে…

পরের পর্ব: ছাত্রী ধর্ষণ – অতৃপ্ত আত্মার প্রতিশোধ শেষ পর্ব

আরো পড়ুন: অভিশপ্ত ফাঁদে প্রেমের ধোঁকা

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *