না বলা ভালবাসার গল্প – প্রথম প্রেম কখনোই ভোলা যায়না

না বলা ভালবাসার গল্প – প্রথম প্রেম কখনোই ভোলা যায়না: মনের সাথে আর যুদ্ধ করে পারলাম না। গালবেয়ে টুপটুপ করে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে পিছু ফিরে এগিয়ে চললাম। কি মনে করে যেন আবার পিছু ফিরে তাকালাম…..


মূলগল্প

  • আচ্ছা অবনি ধর তোকে এমন কিছু বল্লাম যে কথাটা বন্ধুত্বের মাঝে বলা ঠিক না তবে সেটা কি তুই মেনে নিবি? (আমি)
  • হঠাৎ কি এমন বলবি যে এভাবে বুঝাচ্ছিস? (অবনি)
  • না মানে কথাটা বলা খুব দরকার,

না বলে থাকতে পারছিনা আবার বলতেও ভয় ভয় করছে যদি তুই ভুল বুঝিস আমায়।

  • দেখ অভ্র যাই বলিস না কেন অন্তত এমন কিছু বলিসনা যে কথার জন্য তোর আর আমার বন্ধুত্বটা নষ্ট হয়। (অবনি)
  • ওহহহ তাহলে থাক কথাটা বলব না। (আমি)
  • বলবিনা মানে! বলবি!

এই টপিক কেন টানলি বল? (অবনি)

  • বলব তাহলে…
  • হ্যা বলবি বল। (অবনি)
  • ভুল বুঝবি না তো। (আমি)
  • আগে বল।
  • অবনি আমি না তোকে আর বন্ধু ভাবতে পারছিনারে। (আমি)
  • কিইইইই!
    কুত্তা তুই আমাকে বন্ধু ভাবিসনা। (রেগে অবনি)
  • আরে আরে ভুল বুঝিস কেন আগে পুরো কথাটা শোন। (আমি)
  • হ্যা বল শুনছি তো। (অবনি)
  • অবনি আমি না ঠিক মতো কিছু করতে পারছিনা রে মনে মনে শুধু তোর নামই যপে যাচ্ছে।
    না পারছি পড়তে, না ঘুমোতে।
    অবনি আমি না তোকে অনেকটা ভালোবাসে ফেলছি রে। (আমি)
  • অভ্রোওওওও!
    চুউউউপ কর প্লিইইইইইইজ চুপ কর।

আমি বলেছিলাম না কখনো এসব না বলতে।
তবুও তুই ভালোবাসার কথা বললি? (রেগে অবনি)

  • কি করবো বল মন যে মানে না। (আমি)
  • তুই আমার বিশ্বাস ভেঙে দিয়েছিস আর যে বিশ্বাস ভাঙে তার সাথে কোন বন্ধুত্বের সম্পর্ক হতে পারেনা। (অবনি)
  • এই অবনি প্লিইইইজ এভাবে বলিস না। (আমি)
  • এভাবে বলবো না তো কি ভাবে বলবো?

আর হ্যা তোকে আমি কেন ভালোবাসতে পারবোনা তা শুনবি না? (অবনি)

  • হ্যা বল। (আমি)
  • আমি আবিরকে ভালোবাসি। (অবনি)
  • আবির! (আমি)
  • হ্যা আবির। (অবনি)
  • মানে আমাদের আবির। (আমি)
  • হ্যা। (অবনি)
  • কি বলিস! কবে থেকে?
    আমি তো কিছুই জানিনা।

আর আমাদের এতো দিনের বন্ধুত্বে এটা তো বলিসনি। (আমি)

  • আমরা একে অপরকে আজ ৪ বছর ভালোবাসি তবে আমার কথামতই তুই তুকারি করে বলি। (অবনি)
  • ওহহহ স্যরি রে আমি তো জানতাম না আর…
  • নো স্যরি তোর সাথে আর কোন কথা নেই।
    বলেই অবনি চলে যেতে চাইলে আমি ওর হাতটা টেনে ধরে বলি।
  • এই এই অবনি স্যরি।। স্যরি।

এইযে দেখ কান ধরেছি আর কোন দিন তোকে ভালোবাসার কথা বলব না। তবুও তোর পাশে আমাকে বন্ধু ভেবেই রাখিস প্লিইইইইজ অবনি। (আমি)

  • ওকে ওকে মনে থাকে যেন তবে এটাই শেষ বার বলছি আর কোন দিনও বলবিনা কেমন।
  • ওক্কে দোস্ত তুই তো আমার ভাব্বি লাগিস।

(কষ্টটাকে বুকের মাঝে চাপা দিয়ে ৩৩টা দাঁতে বের করে হেসে বললাম)

  • হিহিহি ওকে ওকে এখন আমি যাই কালকে দেখা হবে।
  • ঠিক আছে সাবধানে যাস কেমন!
  • আচ্ছা বাই।
  • বাই।

মেসে এসে শুয়ে আছি বুকের ভিতর কেমন কেমন যেন লাগছে কিন্তু কেন?
নাহ্,,,, আবির আর অবনির মাঝে আমার এভাবে আসাটা ঠিক হয়নি।
কিন্তু আমারই বা কি দোষ আমি তো শুধুই ভালোবেসেছি।

তবে এবার থেকে না হয় একাই ভালোবেসে যাবো। অবনি তো আমাকে না আবিরকে ভালোবাসে। আর ও আবিরের কাছেই বেশি ভালো থাকবে। আর ওর ভালো থাকার মাঝেই না হয় আমি আমার ভালোথাকাটা খুঁজে নেব।

এখন থেকে ফ্রেন্ড হয়েই ওর পাশে থাকবো।
ওহহ পরিচয়টা দেই।
আমি আসিফ আহমেদ অভ্র।

গরিব ঘরের ছেলে, কেন রকমে বাবা পড়াশোনাটা করাচ্ছেন।
ভালো ছাত্র বলে ঢাকাতে এসে একটা মেসে উঠছি। ভার্সিটির প্রথমেই আবিরের সাথে আমার বন্ধুত্ব হয়। আর তারপর পরিচয় অবনির সাথে ৩জন একই ডিপার্টমেন্টের ছিলাম খুব তারাতারিই আমাদের মাঝে অদ্ভূত রকমের টান সৃষ্টি হয়।

কেউ কাউকে ছাড়া চলতেই পারিনা।
আবির ছেলেটা বড়লোকের হলেও খুব মিশুক দেখতেও খুব কিউট আর অবনি ওর কথা নাইবা বললাম ঠিক যেন মায়া পরী।
আমাদের দেখে সবাই খুব হিংসে করতো।

করবে না কেন সারা ভার্সিটি মাতিয়ে রাখতাম আমরা।
রাগ, অভিমান, ঝগড়া, মারামারি, চুল টানাটানি, একসাথে ঘুড়তে যাওয়া এসবের মাঝে চলে যায় ভার্সিটির ৩টা বছর।
আর এর মাঝে কবে কখন থেকে যে অবনিকে নিজের করে ভাবতে শুরু করেছি তা নিজেই জানিনা।
আর তাই আজ সাহস করে বলেই দিলাম যার ফলে হারাতে বসেছিলাম এমন একটা বন্ধুত্ব।
নাহ।

ভালোবাসার চাইতে বন্ধুত্বটা বড়।
এখন থেকে না হই অবনির পাশে বন্ধু হয়েই থাকবো।
এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে ভোর হয়ে গেছে টেরই পাইনি।
আজ থেকে মনটাকে শক্ত রাখতে হবে।
একটুও অবনিকে বুঝতেই দেওয়া যাবেনা যে,
আমি ওকে ভালোবাসি ।

ফ্রেশ হয়ে নাস্তাটা করে ভার্সিটি চলে গেলাম গিয়ে দেখি আবির আর অবনি বসে বসে গল্প করছে।
আমি গিয়েই আবিরের কলারটা ধরে বললাম,

  • শালা তুই এটা পারলি আমাকে না বলে তুই এটা করতে পারলি?
  • আরে আরে কলারটা ছাড়।

তোকে না বলে আমি কি করলাম। (আবির)

  • ওলে শালা প্রেম করতেছ সেই কলেজ থেকে আর এই তিনটা বছরেও আমি জানলাম না।
    বলেই ধুম ধাম কিল ঘুষি মারা শুরু করলাম।
  • এ অবনি আমাকে বাঁচা। (আবির)
  • হিহিহি।
    তোরা পারিস ও। (অবনি)
  • দুই শালা আজ আমাকে ট্রিট দিবি।

না হলে খবর আছে। (আমি)

  • ওকে বল কি ট্রিট চাস।
    যা চাইবি দিবো বল। (অবনি)
  • সত্যি যা চাইবো তাই দিবি তো? (আমি)
  • হ্যা বলে ফেল।
  • তোরা দুজন তারাতারি বিয়েটা করে ফেল।
    প্লিইইইইজ।

আমার খুব বিয়ে খেতে ইচ্ছে করছে হিহিহি।
অবনি আর আবির দুজনে আমার দুইটা কান ধরে টেনে বলল,

  • শালা এটা কেমন ট্রিট!
  • আমি চাইছি দিবি এই ট্রিট।

কি দিবিনা? (আমি)

  • আমি তো রাজি আবিরকে বিয়ে করতে। (অবনি)
  • ওকে বাবা ওকে।

খুব তারাতারি তোমাকে মানে তোকে বিয়ে করবো। আর অভ্র তোর বিয়েও খাওয়াবো এবার খুশি তো? (আবির)

  • খুশি মানে সিরাম খুশি। (আমি)
    এরপর থেকে আবার আমাদের খুনসুটির বন্ধুত্ব চলতে লাগলো।
    শুধু ভেতরের হাহাকারটা ভেতরেই থেকে গেল।
    হাহাহা।

হঠাৎ মায়ের অসুখের কারণে আমি গ্রামের বাসায় চলে আসি।
একটু বেশিই ব্যস্ত থাকার কারণে প্রায় ২সপ্তাহ কারো সাথেই ঠিকঠাক যোগাযোগ করতে পারিনি।
প্রায় ১৭দিন পর ঢাকায় ফিরে আসি।

তারপর ২দিন রেস্ট নিয়ে ভার্সিটিতে যাই।
গিয়ে দেখি অবনি মনমরা হয়ে বসে আছে।
আমি যে ওর পাশে বসে আছি সেই কখন থেকে এটা ও টেরই পায়নি।

  • এই অবনি কি হয়েছে তোর? মন খারাপ?
  • ……..
  • এই অবনি। (গায়ে হালকা ধাক্কা দিয়ে)
    কি ভাবিস কি হয়েছে তোর?
  • নারে তেমন কিছুনা। (অবনি)
  • কিছু না মানে কি হয়েছে বল আমাকে।
  • আবির না কেমন যেন হয়ে গেছে রে।
    এখন আমাকে কেন যানি খুব এভোয়েড করে আমার বুকটা ফেঁটে যায় রে। আমি আবিরকে খুব ভালোবাসি ফুপিয়ে ফুপিয়ে কেঁদে দেয় অবনি। ওর কান্না আমি একটুও সহ্য করতে পারিনা।
    বুকের মাঝে কেমন যেন করে তাই আবির কে ফোন দিলাম।
  • হ্যালো। (আবির)
  • আবির তুই কই?
  • এইতো বাসায়, কেন?
  • এখনই ভার্সিটি আয়। (আমি)
  • কিন্তু আমিতো একটু বিজি রে।
  • গুষ্টি কিলাই তোর বিজির।

১৫মিনিটের মধ্যে তোকে ক্যাম্পাসে না পেলে খবর আছে।

  • ওকে ওকে আসতেছি।
    তাকিয়ে দেখি অবনি কেদেই যাচ্ছে।
  • এই পাগলি এই তোর কিচ্ছু হবেনা।
    আরে তোর আবির তোরই থাকবে।
    আমি আছিনা।

প্রায় আধা ঘন্টা পর আবির আসলো।

  • কি রে এতো তারাতারি ডাকলি যে। (আবির)
  • এসব কি শুনছি? (আমি)
  • কি শুনছিস? (আবির)
  • তুই নাকি অবনিকে এভোয়েড করছিস?
    ঠিক মতো কথা বলছিস না।

তুই বুঝিসনা অবনি তোকে কতটা ভালোবাসে। (আমি)

  • অওও এই কথা।
    আরে আমি একটু বিজি তাই ওকে টাইম দিতে পারছিলাম না।
    আর এমন হবে না। (আবির)
  • কান ধরে ওর কাছে ক্ষমা চা আর শাস্তি হিসেবে অবনিকে এখন ফুচকা খেতে নিয়ে যাবি।
    তারপর ঘুড়ে ওকে সন্ধ্যার আগে বাসায় পৌছে দিবি। (আমি)
  • আচ্ছা নিয়ে যাচ্ছি। (আবির)
  • আগে কান ধরে স্যরি বল শালা। (আমি)
    আবির কান ধরে বলল,
  • স্যরি অবনি আর এমন হবেনা।
    অবনি ফিক করে হেসে দিল।

এই হাসিটুকুর জন্য আমি হাজার কষ্ট লুকাতে পারি।

  • হইছে এখন ওকে নিয়ে বেড়াতে যা। (আমি)
  • আচ্ছা গেলাম বাই।
    বলেই আবির অবনিকে নিয়ে চলে গেল।
    সত্যি আবির খুব লাকি অবনির মত মেয়েকে জীবনে পেড়েছে।
    গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়া জলটা মুছে মেসের পথে হাটা ধরলাম।
    এখন খুব ভালো লাগছে।
    এভাবে অনেকদিন চলে গেল।

ভার্সিটিতে বসে আছি একটুপর অবনি আসল তারপর পাশে বসল।

  • কিরে আবির কই? (আমি)
  • ওর কথা আর বলিসনা রে।
    ইদানিং ও কেমন যেন হয়ে গেছে।
    আমার সাথে আগের মতো আর দেখা করেনা।
    কথাও বলেনা।

আজ ৪টা দিন হলো দেখাই করেনা।
ফোন দিলেই বলে বাবার অফিসের কাজে একটু দেখাশোনা করছি।

  • তাহ ভালো তো অফিসেই তো আছে।
    অন্য কোথাও তো না। (আমি)
  • না রে ওকে আমার কেমন যেন লাগছে।
    ফোনেও এখন ওয়েটিং পাই।
  • আরে কি যে বলিস।
    আবির তোকে খুব খুব খুব ভালোবাসে।
    ও অন্য কোন মেয়ের দিকে তাকায়ই না। (আমি)
  • তাই যেন হয়রে।
    আমি ওকে ছাড়া বাঁচবো না।
  • আরে পাগলি চুপ থাক।

আবির শুধু তোর আর তোরই থাকবে।

  • অভ্র অনেকদিন ঐ নদীর পাড়টায় ঘুড়তে যাইনা একটু নিয়ে যাবি কি? (অবনি)
  • তুই বলছিস।
    ওকে চল।
    কি আর করা মনটাও ভালো নেই তাই অবনিকে নিয়ে সেই চিরচেনা নদীর পাড়টায় বসে আছি।
    ১০টাকার বাদাম কিনে দুজনে খাচ্ছি।
    হঠাৎ অবনি বলল,
  • অভ্র ছেলেটাকে চেনা চেনা লাগছে।
    ওটা আবির না।
    (অবনি কিছুদুরের গাছের আড়ালে বসে থাকা এক কাপলকে দেখিয়ে বলল)
  • আরে ধুরর কি যে বলিসনা।
    আবির কেন হবে ও তো অফিসে।
  • আমার মনে হচ্ছে ওটা আবির।
  • আরে না আবির না। ( আমি)

অবনির হয়ত আমার কথা বিশ্বাস হলোনা তাই নিজের চোখে দেখতে উঠে গেল আর আমি বসে বসে বাদাম খাচ্ছি।
আস্তে আস্তে এগিয়ে যাচ্ছে অবনি যতই এগুচ্ছে ওর ততই মনে হচ্ছে এটা আবির।
তবে মনে বুঝাচ্ছে যেন এটা আবির না হয়।
আস্তে আস্তে কাপলদের সামনে চলে যায় অবনি।

  • আবিইইইইইইর!

অবনির চিৎকার শুনে এক দৌড়ে উঠে আসি আমি আমি দেখে পুরাই নির্বাক।
আবিরের সাথে একটা মেয়ে।
রাগটা আর কন্ট্রোল করতে পারলাম না।
গিয়েই আবিরের কলারটা ধরে ঠাসসস ঠাসসস করে কয়েকটা থাপ্পর দিলাম।

  • ছি আবির ছি।
    তুই এভাবে অবনিকে ধোঁকা দিলি।

হাতে নাতে ধরা খেয়ে আবির মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছে আর ফুপিয়ে ফুপিয়ে কান্না করছে অবনি।

  • আবির আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি আবির সেই ৫টা বছর থেকে।
    তুমিও তো আমাকে অনেক ভালোবাসো।
    তবে আজ কেন এমনটা করলে আমার সাথে কি জন্য বলো?
    চুপ করে আছে আবির।
  • কি হলো বলোনা?

এই অভ্র তুই না বলতি আবির খুব ভালো ছেলে ও তোকে ছাড়া অন্য কারো দিকে তাকায়ই না। এটা আজ কি হলো অভ্র বলনারে।
আমি নিজেই তো হতবাক অবনিকে কি বলব।

  • তোরা আমাকে এভাবে ধোকা দিলিরে আমার ভালোবাসা নিয়ে এভাবে খেলতে পারলি।
    বলেই কাঁদতে কাঁদতে চলে গেল অবনি।

অনেক ডাকলাম তবু শুনলো না।

  • কাজটা তুই ভালো করলিনারে আবির।
    অবনি তোকে ওর নিজের চাইতেও বেশি ভালোবাসে আর তুই ছি আবির ছি এই কি তোর ৫ টা বছরের ভালোবাসা।
    আমার তোকে বন্ধু ভাবতেও খারাপ লাগছে।

শোন আবির অবনির যদি কিছু হয়না তোর খবর আছে। আর অবনি শুধুই তোর আমি থাকতে ওর ভালোবাসাকে হারাতে দেব না।
বলেই রাগে চলে আসি আমি।
এদিকে মেসে এসে থেকে হাজার বার অবনিকে ফোন দিয়ে যাচ্ছি ফোনটা সুইচড অফ।
চিন্তায় কিছুই ভালো লাগছেনা।

এদিকে রাত কিছু করতেও পারছিনা, বিছানায় শুয়ে এপাশ ওপাশ করছি।
রাত প্রায় দেড়টা বাজে ঠিক তখনই একটা আননোন নাম্বার থেকে ফোন আসে তারাতারি ফোনটা রিসিব করলাম।

  • হ্যালো আস্সালামুআলাইকুম। (আমি)
  • বাবা তুমি কি অভ্র? (অপরিচিত মহিলার কন্ঠ)
  • জি কিন্তু আপনি কে? (আমি)
  • বাবা আমি অবনির মা।

অবনি রাতে ঘুমের ট্যাবলেট খেয়েছে অনেকগুলা আমরা ওকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। বাবা তুমি একটু তাড়াতাড়ি চলে আসো বলেই অবনির মা কান্না করতে লাগলেন।
এদিকে এ কথা শুনে আমার মাথাটা ঘুড়ে গেল।

পায়ের নিচের মাটি মনে হচ্ছে সরে গেছে কি করছি কিছুই বুঝছি না। কোন রকমে টিশার্ট টা গায়ে দিয়ে কিভাবে যে হাসপাতালে আসলাম। তা আমিই জানি।
এক দৌড়ে হাসপাতালে এসে ভিতরে গিয়ে দেখি অবনির মা বাবা আর ওর ছোট ভাই দাড়িয়ে আছে। আমি গিয়ে অবনির বাবাকে বললাম,

  • আঙ্কেল অবনি কই? কেমন আছে ও?
    কোথায় ও?
  • ওর এখন ঙ্গান নেই বাবা ট্যাবলেট বের করেছে।
    এখন আর চিন্তা নেই। (অবনির বাবা)
  • আলহামদুলিল্ল- আলহামদুলিল্লাহ।
    আমি গিয়ে অবনির বেডের পাশে বসলাম।
    আমার পরিটার মুখটা একদম শুকিয়ে গেছে।
    চোখটা ফোলা, এলোমেলো চুল।
    দেখেই চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ল।

ঠিক কতক্ষণ ওর দিকে তাকিয়ে ছিলাম মনে নাই তবে অবনির মায়ের ডাকে ঘোর কাটে।

  • বাবা অনেকক্ষণ তো হলো সেই কাল রাত থেকে বসে আছো যাও ফ্রেশ হয়ে কিছু খেয়ে নাও না হলে অসুখ করবে।
  • না আন্টি কিছু হবেনা। (আমি)
    অনেক জোড়াজুড়ির পর আমি মেসে চলে আসি।

তবে অবনির কাছ থেকে আসার পর থেকে একটুও শান্তি পাচ্ছি না মনটা শুধু ছটফট করছে কখন ওকে দেখবো।
মেসে এসে হাতমুখ ধুয়েই ছুটে গেলাম। অবনির কাছে গিয়ে দেখি ওর মা ওকে খাওয়ানোর চেষ্টা করছে আমাকে দেখেই বলল,

  • দেখো তো বাবা সেই কখন থেকে ওকে খাওয়ানোর চেষ্টা করছি কিছুই মুখেই দিচ্ছেনা।
    আমি পায়েসের প্লেটটা হাতে তুলে নিলাম।
  • আপনি যান আমি ওকে খাওয়াচ্ছি।
  • ঠিক আছে বাবা দেখো একটু খাওয়াতে পারো কিনা। চেয়ারটা টেনে অবনির পাশে বসলাম।
    আমার পরিটার দিকে তাকালেই বুকটা ফেটে যাচ্ছে। হাসিখুশি মুখটা শুকিয়ে গেছে চেনাই যাচ্ছে না। চোখের দিকে অপলক তাকিয়ে আছি।
  • কি রে খাবিনা কেন, হ্যা?
    এই নে হা কর আমি খাইয়ে দিচ্ছি।

অবনির চোখ দিয়ে পানি পরছে।

  • কি রে হা কর বলছি।
    তবুও কেঁদেই চলেছে।
    অবনি কি বুঝেনা ওর চোখের জল আমি সইতে পারিনা।
  • এই অবনি প্লিইইইজ খেয়ে নে।
    তুই না খেলে কিন্তু আমিও খাবোনা।

আমি কিন্তু কাল রাতের পর থেকে কিচ্ছু খাইনি একটু খেয়ে নে প্লিইইইজ।
অবনি ছোট্ট করে হা করলো আমি পায়েস তুলে দিলাম পাগলিটা এখনো কান্না করছে তো করছেই।

  • এই পাগলি দেখ আর যদি একটু কান্না করিস তো তোর সাথে আড়ি কেটে আমি কিন্তু চলে যাবো চুপ চাপ খেয়ে নে।
    কথাটা বলাতে অবনি খেতে লাগলো।
  • এইতো লক্ষী মেয়ে।
    সবটুকু খাইয়ে দিলাম।
  • এবার একটু ঘুমা তো।
    আমি তোর মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছি।
    এই চোখটা বন্ধ করে ঘুমা বলছি।
    অবনি চোখটা বন্ধ করল আমি ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছি। আর অপলক ভাবে তাকিয়ে আছি একটু পর অবনি ঘুমিয়ে গেল।
  • অবনি খেয়েছে? (অবনির বাবা)
  • জি আঙ্কেল খেয়েছে। (আমি)
  • আলহামদুলিল্ল- আলহামদুলিল্লাহ।
    বাবা তুমি না থাকলে আমরা খুব অসহায় হয়ে পড়তাম তা তুমি কিছু খেয়েছ?
  • ইয়ে মাম মানে।
  • যাও বাসায় যাও।

চোখ তো লাল হয়ে গেছে একটু ঘুমিয়ে আসো নিজেরও ভালো থাকতে হবে তো।

  • না আঙ্কেল আমি ঠিক আছি। (আমি)
  • আরে যাও তো।
    বলেই জোর করে আমাকে পাঠিয়ে দিলেন।
    এদিকে মেসে এসে শুয়ে আছি ঠিকই কবে চোখের পাতা দুটো কিছুতেই এক করতে পারছিনা।
    মনটা শুধু ছটফট ছটফট করছে অবনির জন্য।

কখন যে চোখটা লেগে গেছে আর ঘুমিয়ে গেছি টেরই পাইনি।
ঘুমটা ভাঙলো ফোনের শব্দে ফোনটা রিসিব করলাম।

  • হ্যালো। (ঘুম ঘুম চোখে)
  • হ্যালো বাবা তুমি ঘুমাচ্ছিলে ডিস্টার্ব করলাম। (অবনির মা)
  • আরে না না কি যে বলেন।

এখন কেমন আছে অবনি? (আমি)

  • ওকে তো বাসায় নিয়ে এসেছি তবে কিছুই তো মুখে দিচ্ছে না। তুমি কি কষ্ট করে একটু আসতে পারবে বাবা?
  • জি জি আন্টি আমি এক্ষুণি আসছি বলেই ফোনটা কেটে কোন রকমে ফ্রেশ হয়ে অবনিদের বাসায় গেলাম। গিয়ে দেখি অবনির মা খাওয়ানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু ও কিছুতেই খাচ্ছেনা।
  • এই যে খাচ্ছিস না কেন হুম।
    এবার আমি এসে গেছি খেয়ে নে।
  • অভ্র তুই? (অবনি আস্তে আস্তে)
  • হ্যা আমি এখন খেয়ে নে তো।
    আমার কথাতে অবনি খেয়ে নিল।
    এরপর থেকে প্রতিদিন সব সময় আমি অবনির পাশে থাকি।
    কথা দিয়েছিলাম থাকবো ওর পাশে।
    ওকে সব সময় খাইয়ে দিই।

ছাদে নিয়ে যাই গল্প বলি ঘুম পাড়িয়ে দিই।
যতটা পারি অবনিকে আবিরের কথা ভুলে থাকানোর জন্য ব্যস্ত রাখি।
এভাবে প্রায় ২০ দিন চলে গেল।
অবনি এখন অনেকটাই সুস্থ অনেকটা।
আমারও এখন ভালো লাগছে।

মেসে শুয়ে শুয়ে অবনির কথা ভাবছি। ঠিক তখনই বাড়ি থেকে ফোন দিল। মায়ের অসুখটা বেড়েছে তাই কোন কিছু না ভেবেই তারাতারি গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
গ্রামে এসেই মাকে হাসপাতালে ভর্তি করালাম।
কয়টা দিন খুব কষ্টেই কেটে গেল তবে সময় পেলেই অবনির সাথে কথা বলে ওকে হাসিখুশি রাখার চেষ্টা করতাম।
গ্রামে এসেছি আজ প্রায় ১০দিন এখন মায়ের শরীর কিছুটা ভালো।

হঠাৎ মনে পড়ে গেল কালকে না অবনির জন্মদিন ইশশশ।
একটুর জন্যই তো ভুলে গেছিলাম।
মা কে বলে বিদায় নিয়ে রাতেই ঢাকার গাড়িতে উঠলাম সকালে পেয়ে গেলাম।
তবে অবনিকে কিছু বলিনি।
এসেই বিকেলে মার্কেটে গিয়ে অবনির জন্য একটা পায়েল আর জন্মদিনের একটা চমৎকার সারপ্রাইজ দিবো বলে আরো কিছু কিনলাম।

রাত ১২টা….

  • ফুউউউউউ
    মোমটা নিভে গেল।
    হ্যাপি বার্থ ডে টু ইউ।
    হ্যাপি বার্থ ডে টু ইউ মামনি।

বলেই অবনির আম্মুরা ওকে উইশ করল।
এখন অবনির খুব ভালো লাগছে কেক কাটা।
খাওয়া শেষে অবনি ঘরে এসে শুয়ে আছে।
খুব খারাপ লাগছে এখন তার।
আজ আবির থাকলে মনে করেই কান্না করছে আর অভ্র ওউ তো উইশ করলো না ভেবেই কান্না পাচ্ছে অবনির। হঠাৎ ফোনের মেসেজ রিংটোন বেজে ওঠে অবনির।
অভ্রর মেসেজ।

  • আজ।

চাঁদটা অনেক সুন্দর বেলকুনিতে এসেই দেখ।
মেসেজটা পড়ে আরো কান্না পায় অবনির ও ভেবেছিল বার্থডে উইশ হয়ত।
রেগে মেগেই বেলকুনিতে যায় অবনি।
আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখে চাঁদটা আসলেই সুন্দর হঠাৎ নিচের দিকে চোখ পড়তেই অবাক হয়ে যায় অবনি।
অন্নেক গুলা মোমবাতি দিয়ে।
HAPPY BIRTH DAY
TO
ABONI লেখা

লেখাটা দেখেই অবনি তারাতারি নিচে নেমে যায়।
গিয়ে গেছে অভ্র দাড়িয়ে আছে।

  • অভ্র তুই এত্ত রাতে এখানে!
  • happy birth day অবনি।
  • তুই এভাবে এত্ত সুন্দর করে সারপ্রাইজ দিবি আমি তো ভাবতেও পারিনি।
  • তা কি ভেবেছিলি রে তুই।
  • আমি ভেবেছিলাম তুই একদম ভুলেই গেছিস।
  • আমার পাগলিটার জন্মদিন আমি কিভাবে ভুলি বল বলেই আমি একটা মোমবাতি দিয়ে একটা ফানুস জ্বালালাম।
  • ওয়াও খুব সুন্দর। (অবনি)
  • এইযে ধর একসাথে উড়িয়ে দিই। (আমি)
  • হ্যা হ্যা।

ফানুসের ঐ ক্ষীণ আলোতে অবনির মায়াভরা মুখটা দেখে মনটা কেমন যেন করে ওঠে। ফানুসটা ছেড়ে দিয়ে দুই হাত দিয়ে অবনির মুখটা আলতো করে চেপে ধরে চোখের দিকে অপলক ভাবে তাকিয়ে আছি।

হঠাৎই অবনিকে ছেড়ে দিয়ে ছিটকে সরে।
যাই না না এটা আমি কি করছি?

  • স্যরি অবনি আসলে আমি না নিজেকে আসলে হঠাৎ যে কি হলো আমার আমি।
    কথাটা বলার আগেই বুকে কিছু অনুভব করলাম।
    অবনি আমাকে জড়িয়ে ধরে আছে।
    খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আছে।
  • মনের মাঝে কবে যে একটু একটু করে তুই আমার পুরোটা জুড়ে চলে এসেছিস। আমি কিছুই বুঝিনিরে তোকে যে কি ভাবে এতটা ভালোবেসে ফেলছি জানিনা রে শুধু এটুকু জানি তোর বুকটা ছাড়া আমার চলবে নারে।
  • তোর বুকে আমাকে রাখবি তো বল না রে? (অবনি)
    আমি খুশিতে কখন যে কান্না শুরু করে দিছি নিজেই বুঝিনি।
  • হ্যারে পাগলি রাখবো তো।

তোর জন্যই তো আমি আর আমার বুকের জমানো সব ভালোবাসাই তো তোর।
এরপর অবনির পায়ে কেনা পায়েলটা পরিয়ে দিলাম। অবনি আমার বুকে অনেকক্ষণ মাথা রেখেছিল। তারপর বলল,

  • এই পাগল একদিনেই কি আমাকে তোর পাগলি করে দিবি ঘুমাবি না?
  • বুকের মাঝে পাগলি থাকলে আর কি লাগে।
  • এত ভালোবাসিস আমায়?
  • আমার সব ভালোবাসাই তো তোর।
  • এখন বাসায় যাই (অবনি)
  • হ্যা যাও।

একটু গিয়েই অবনি আবার ফিরে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরল,
আমি ওরর কপালে একটা চুমা দিয়ে ঘরে পাঠিয়ে দিলাম।
তারপর আমিও মেসে চলে আসলাম।

এরপর থেকে আমার আর অবনির দিনগুলো একদম স্বপ্নের মতোই কাটছে।
একসাথে ঘুড়তে যাওয়া, কাধে মাথা রেখে বসে থাকা ঠিক যেন দুইটা বাবুই পাখি।
খুব ভালোভাবেই কাটছে দিনগুলো যেন প্রজাপ্রতির রঙে রাঙানো।
কেটে গেল প্রায় এক মাস।

সকালে অবনির ফোন।

  • এই পাগল বিকেলে আমাকে নিয়ে ঘুড়তে যাবা তো?
  • হ্যারে পাগলি যাবো।
  • ওকে বাই।
  • বাই।

আমি টিউশনিতে চলে গেলাম।
তারাতারি এসেই আজ পাগলিটাকে নিয়ে সেই নদীর পাড়টায় যেতে হবে।
এদিকে খুশি মনে অবনি একটু মার্কেটে শপিং করে ফুচকা খেতে এসেছে।

  • অবনি। (আবির)

কারো ডাক শুনে ফিরে তাকায় অবনি দেখে আবির।

  • তুই এখানে। (আবিরকে দেখেই উঠে চলে যেতে বসে অবনি)
  • অবনি এই অবনি প্লিইইইজ আমার কথা শোন অবনি।
  • কিসের কথা?

তোর মত বিশ্বাস ঘাতকের সাথে আমার কোন কথা নেই সামনে থেকে সরে যা।

  • প্লিইইইজ অবনি তোমার পায়ে পরি আমার কথা শোন এরপর যা বলার বলো। (আবির)
  • আরে আরে পা ছাড়।

ছাড় বলছি।

  • না আগে আমার কথা শোন।
  • ওকে বল তারপর এখান থেকে চলে যাবি। (অবনি)
  • ঠিক আছে। আবির অবনিকে নিয়ে নদীর পাড়ে যায়।
  • এবার কি বলবি বল? (অবনি)
  • আমি স্যরি।

আমি তোমাকে ভুল বুঝে চলে গিয়েছিলাম।
তবে বিশ্বাস করো অবনি আমি তোমাকে ছাড়া একটা দিন ও ভালো ছিলাম না।
অনেক চেষ্টা করেছি তোমার কাছে আসার তবে লজ্জার কারণে পারিনি।

  • স্যরি আবির আমি আর তোমাকে ভালোবাসতে পারবোনা। (অবনি)
  • তোমার পায়ে পরি অবনি প্লিইইইজ আমাকে ফিরিয়ে দিওনা। আমাদের এতো দিনের ভালোবাসা।

অবনি আমি তোমার পায়ে ধরে বলছি প্লিইইজ অবনি বলেই কান্না করতে থাকে আবির।
অবনিও আবিরকে ভালোবাসে।

এতোদিনের ভালোবাসা কি আর ভোলা যায়।
তবে এদিকে অভ্র।
সেও তো পাগলের মতো ভালোবাসে।
তবে ওকে এখন কি বলবে?

বিকেল ৫টা…

রক্তিম সূর্যের আলো ছড়িয়ে পড়েছে চারদিকে আর এদিকে চুপচাপ দাড়িয়ে আছে অভ্র অবনি আর আবির।

  • অভ্র এখন তুমিই বলো আমি কি করবো? (অবনি কান্না করতে করতে)
  • এখানে আমি আর কিই বা বলব। (আমি)
  • আমি অবনিকে ছাড়া বাঁচবো না।
  • ওকে আমি এখনই বিয়ে করবো। (আবির)
  • অভ্র প্লিইইইজ তুমি কিছু তো বলো। (অবনি)
  • দেখো অবনি তোমরা একে অপরকে আজ প্রায় ছয় বছর ধরে ভালোবাসো। আবির তোমার প্রথম ভালোবাসা। তুমি যেমন আবিরকে তোমার চাইতে বেশি ভালোবাসো তেমনি আবির তোমাকে। মাঝখানে একটা অঘটনার মাঝে চলে আসি আমি।

তবে এখন আবির ফিরে এসেছে আর প্রথম ভালোবাসা কখনোই ভোলা যায়না।
তাই বলছি কি আবির কেই তুমি তোমার জীবনসাথি করে নাও। (কথাটি বলতে যে কতটা কষ্ট হয়েছে শুধু আমার ভিতরটাই বুঝছে, গলাটা কেমন যেন ধরে আসছে)

  • আর তুমি কি করবে অভ্র? তুমিও তো – – আ – –
  • আরে এসব কথা রাখো। ধরে নাও আমি ছিলাম তোমার। “কুড়িয়ে পাওয়া ভালোবাসা”
  • কিন্তু (অবনি)
  • কোন কিন্তু না।

আবির তুই এখনই অবনিকে বিয়ে কর যা। এটা কিন্তু আমার ট্রিট ছিল পাওনা হাহাহা। (আমি)

  • এই অবনি আবিরের কাছে যা। চোখটা মুছে অবনি আবিরের বুকে চলে এলো। আর আমি।
    হাহাহাহা।

মনের সাথে আর যুদ্ধ করে পারলাম না। গালবেয়ে টুপটুপ করে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে পিছু ফিরে এগিয়ে চললাম। কি মনে করে যেন আবার পিছু ফিরে তাকালাম। বাহ্!

পরম ভালোবাসায় আবিরের বুকে লেপ্টে আছে অবনি। এটাই তো প্রাপ্তি। চোখটা ঝাপসা হয়ে এলো। শার্টের হাতা দিয়ে চোখটা মুছে মুচকি হেসে হাটা শুরু করলাম।

লেখা – রক্তিমের বাবা

সমাপ্ত

(পাঠক আপনাদের ভালোলাগার উদ্দেশ্যেই প্রতিনিয়ত আমাদের লেখা। আপনাদের একটি শেয়ার আমাদের লেখার স্পৃহা বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। আমাদের এই পর্বের “না বলা ভালবাসার গল্প – প্রথম প্রেম কখনোই ভোলা যায়না”গল্পটি আপনাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন। পরবর্তী গল্প পড়ার আমন্ত্রণ জানালাম। ধন্যবাদ।)

আরো পড়ূন – মিলেমিশে থাকা – পারিবারিক ভালবাসার গল্প

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *