মিস বাড়িওয়ালী – ঘরের কোণায় চুটিয়ে প্রেম

মিস বাড়িওয়ালী – ঘরের কোণায় চুটিয়ে প্রেম: জুহি আমাকে টেনে ওর একেবারে কাছে নিয়ে গেল কমলার মতো ঠোটগুলো আমার ঠোটে ঘষা খাচ্ছিলো। আর ওর চোখ আমাকে চোখে নিশ্বাসের শব্দ শুনতে পাচ্ছিলাম যেন আমি নেশাগ্রস্ত হয়ে গেছি।


মূলগল্প

আমি সাব্বির হাসান।

ভার্সিটিতে পড়াশোনা করি। মা বাবা ছোট বোন এই তিন নিয়েই আমার জীবন কাটে।
আমি ঢাকা মেসে থেকে পড়াশোনা করি আর আম্মু আব্বু সবাই গ্রামের বাড়িয়ে থাকে।
ভার্সিটি থেকে কাছেই একটা বাড়িতে ১ মাস হলো ব্যাচেলর হিসেবে থাকতেছি।

আজ সকালে হঠাৎ করেই আজ আমার দরজাল বেল বাজতে লাগলো। এমনটা খুবই দুর্লভ কারন আমার ফ্ল্যাটে কেউই আসেনা, ফ্রেন্ডরাও না। তাহলে আজ আবার কে এলো আম্ম, আব্বু নাতো?

তড়িঘড়ি করে গিয়ে দরজা খুললাম দরজা খুলতেই কে যেন একটা ধপাস করে আমার ওপরে এসে পড়লো।
হঠাৎ করে সবটা হওয়ায় আমার হার্টরেট ১৮০ হয়ে গেছিলো।
কিন্তু সেটা আরো বেড়ে গেলো যখন দেখলাম যে আমার ওপর যে শুয়ে ছিলো সে পুরুষ না মেয়ে।

এবং তার ঠোট আমার ঠোটে মেয়েটা চাতক পাখির মতো আমার দিকে চেয়ে আছে আমি খালি গায়ে মেঝেতে শুয়ে আছি।
সরি পড়ে আছি।

সাব্বিরঃ এই এই স স সরুন।
এই কথা বলার সাথে সাথে মেয়েটি উঠে দাড়ালো গুন্ডা স্টাইলে আর আমি দাঁড়িয়ে কাপছিলাম।
মেয়েঃ ছি ছি ছি ছি কি বাজে ব্যাপার আব্বু জানলে আমাকে মেরেই ফেলবে প্লিজ আব্বুকে বলবেন না।

সাব্বিরঃ ক ক কি বলবোনা? আর আপনি কে হ্যা সেতা বলুনতো বলা নেই কওয়া নেই কারোর রুমের দরজায এসে হানা দেন।

মেয়েঃ সরি আসলে আমি ভেবেছিলাম আপনি ঘুমাচ্ছেন। আর আসতে একটু সময় লাগবে তাই ভাবলাম একটু চিল করে হেলান দিয়ে দাড়াই। কিন্তু এই হেলান যে আমাকে কেলানি খাওয়াবে আমি কি জানতাম নাকি?

সাব্বিরঃ আপনি কি সেটা বলুন আর এখানে কি চান একটা ব্যাচেলর রুমে এসে।
মেয়েঃ যেটা চাই সেটা হলো।
সাব্বিরঃ কি চান?
মেয়েঃ বাড়িভাড়া।
সাব্বিরঃ কিহহহহ বাড়িভাড়া?

কিন্তু আপনি কে আর ভাড়া চাইতে কেন এসেছেন?
মেয়েঃ আমি বাড়িওয়ালার মেয়ে মিস বাড়িওয়ালী।
সাব্বিরঃ ওহ আচ্ছা তো আংকেল কোথায়?

মেয়েঃ আব্বু বাইরে গেছেন কয়েকদিনের জন্য তাই আমিই ভাড়া তুলছি।
সাব্বিরঃ ওহ আচ্ছা ওয়েট।
বলেই আমি ভেতরে গেলাম এবং ব্যাগ থেকে বাড়ীভাড়ার টাকাটা এনে ওনাকে দিলাম।
ছেলেঃএই নিন ধরুন।

মেয়েটি টাকাটা নিয়ে গুনে চলে গেলো।
যাওয়ার সময় কেনো জানিনা মুচকি হেসে গেলো।

আমি ভেতরে গিয়ে ব্রাশ খুজে পেস্ট লাগিয়ে যেই আয়নার সামনে দাড়ালাম ঠিক তখনি দেখলাম আমি মেয়ে হয়ে গেছি থুক্কু আমার ঠোট পুরোটা লাল হয়ে আছে ঐ মেয়েটার লিপ্সটিকে হয়তো আমি হাত দিয়ে মুছতে গিয়েও কেন জানি থেমে গেলাম আবার সবটা মনে করলাম এই প্রথম কোন মেয়ের এতোকাছি এসেছিলাম আর মেয়েটিকে কিসও করলাম।

যখন আমার সামনে দাঁড়িয়ে মেয়েটি কথা বলছিলো ওর ঠোট কাপছিলো থরথর করে যেন শীত নেমে এসেছে।
আর মেয়েটি যাওয়ার সময় হাসলো কেন?
কি জানি বাপু?

আমি রেডি হয়ে ভার্সিটিতে গেলাম।
ভার্সিটিতে আজ বসন্ত উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে আমি এটা ভেবে খুশি হলাম কারন আমি অনুষ্ঠান ভালো লাগে।

তখনি মাইকে এনাউন্স হলো এখন আপনাদের সামনে নৃত্য পরিবেশন করবেন আমাদের ভার্সিটির ছাত্রী জুহি।
আমি নাচ দেখতে ভালোবাসি তাই আমিও ভেতরে গেলাম।

ভেতরে একটা মেয়ে পিছন ঘুরর দাঁড়িয়ে আছে যেই গান স্টার্ট হলো মেয়েটি জন সম্মুখে ঘুরে দাড়ালো।
আমার চিনতে অসুবিধা হলোনা যে এটা আমাদের বাড়িওয়ালার মেয়ে মিসেস বাড়িওয়ালী কিন্তু উনি এখানে এর মানে উনিও এই ভার্সিটতেই।

জুহির চেহারা আমি যতদুর দেখেছি একেবারে ডানা কাটা পরি যদি থাকতো তাহলে ওর মতোনই হতো দুধে আলতা গায়ের গরন তার ওপর ওনার চেহারা একেব্বারে ঘায়েল করে দেওয়ার মতো।
গান বাজছিলো।

আমার হিয়ার মাঝে লুকিয়ে ছিলে দেখতে আমি পাই নি। তোমায় দেখতে আমি পাই নি। বাহির-পানে চোখ মেলেছি, আমার হৃদয়-পানে চাই নি।আমার সকল ভালোবাসায় সকল আঘাত সকল আশায় তুমি ছিলে আমার কাছে, তোমার কাছে যাই নি।

তুমি মোর আনন্দ হয়ে ছিলে আমার খেলায়– আনন্দে তাই ভুলেছিলেম, কেটেছে দিন হেলায়। গোপন রহি গভীর প্রাণে আমার দু: খসুখের গানে সুর দিয়েছ তুমি, আমি তোমার গান তো গাই নি।

আর জুহি নাচছিলো গানের সাথে সাথে যেন ও নিজেও আমার মনে জায়গা করে নিলো।
আমি মুগ্ধ নয়নে জুহির পানে তাকিয়ে ছিলাম।
মনে হচ্ছিলো হারিয়ে যাচ্ছি।
ধ্যান ভাংগলো কারোর ধাক্কায়।

মেয়েঃ এই ছেলে এভাবে তাকিয়ে আছো কেন? নাচ শেষ হয়ে গেছে তাকিয়ে দেখো।
সাব্বিরঃ আসলেই নাচ শেষ হয়ে গেছে কিন্তু আমি এতোক্ষন ধ্যানে ছিলাম।
ওহ আচ্ছা আমি একটু বেখেয়ালি ছিলাম।
মেয়েঃ কেন?

সাব্বিরঃ মেয়েটা যে আমাকে জিজ্ঞেস করছে তার দিকে তাকিয়ে দেখলাম জুহি নিজে দাড়িয়ে আচ্ছে।
আমার হৃদয় যেন এক্ষুনি ওকে পেতে চাইছিলো কিন্তু সেটা সম্ভব না।
মেয়েঃ এই ছেলে তাকিয়ে আছো কেন সেটা বলো আর তুমি এই ভার্সিটিতে কেন?
সাব্বিরঃ আমি এখানেই পড়ি।

মেয়েঃ ওহ আচ্ছা তাহলে থাকো।
আমি যাই।
সাব্বিরঃ জুহি চলে যাচ্ছিলো আমি পিছন থেকে ডাক দিলাম, জুহি!

জুহি ঘুরে দাড়ালো।
সাব্বিরঃ নাচটা খুবই হৃদয়স্পর্শী ছিলো।
জুহি কেবল একটা হাসি বিনিময় করে চলে গেলো।
আর আমি মুগদ্ধ নয়নে তাকিয়ে রইলাম।

প্যান্ডেল থেকে বাইরে বেড়িয়ে দেখলাম জুহি একটা ছেলের সাথে গাড়ির সাথে হেলান দিয়ে দাড়ালো।
একটা মেয়ে এতো সুন্দর কিভাবে হতে পারে আমার জানা নেই।
ওকে দেখলে আর কোন নেশা না করলেও আপনিও মাতাল হয়ে যাবেন।

জুহিঃ ছেলেটা কখন থেকে আমাকে দেখছে কিভাবে যেন (মনে মনে)
সাব্বিরঃ জুহি আমার দিকে তার কাজল কালো নয়নে তাকালো যেন আমাকে নিয়ে কিছু ভাবছে।
জুহিঃ এই ছেলে ভ্যাবলা কান্তের মতো এভাবে হাসছে কেন? (মনে মনে)
এইদিকে আমার ফোনে কল আসলো আম্মু কল দিয়েছে।

সাব্বিরঃ হ্যালো আম্মু কি হয়েছে ফোন দিলে কেন অসময়ে?
আম্মুঃতোর আব্বু স্টোক করেছে জলদি আয়।
এই বলে আম্মু ফোন কেটে দিলো

আমার মাথায় যেন আকাশ ভেংগে পড়লো।
একমুহুর্তে গোটা পৃথিবীতে নিজেকে এতিম মনে হচ্ছিলো।
আমি আমার ব্যাগ ফেলে দিলাম এক দৌড়।

গোটা ভার্সিটি আমার দিকে তাকিয়ে আছে হয়তো বোঝার চেস্টা করছে যে কি হয়েছে।
জুহিঃ এই ছেলে এভাবে দৌড় দিলো কেন কি সমস্যা হয়েছে?
বাড়িতে নিশ্চয়ই কোন প্রবলেম হয়েছে আমাকে দেখতে হবে।
আমি বাড়িতে পৌছালাম।

বাড়িতে পৌছাতেই দেখতে পাই আব্বুকে এম্বুলেন্সে তোলা হচ্ছে।
আমিও সাথে গেলাম আম্মুর চেহারার দিকে তাকাতে পারছিলাম না।
আব্বু আমার দিকে তাকালো একবার আর একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে চোখ দুটো বন্ধ করে ফেললো।
আমি আব্বু বলে একটা চিৎকার দিলাম।

এম্বুলেন্সটা খুব দ্রত গতিতে হাসপাতালের দিকে এগোতে লাগলো।
হাসপাতালে পৌছে আমি যেন ছন্ন ছাড়া হয়ে গেছিলাম।
আমার কোন চেতনা নেই আমি পাগলের মতো সাইডে বসে আছি।
আম্মুর চেহারার দিকে তাকিয়ে কাদতে পারছিলাম না।
একটু পরেই ডাক্তার বেরোলেন।

সাব্বিরঃ ডাক্তার সাহেব আমার আব্বু ঠিক আছেতো?
ডাক্তারঃ আসলে আপনার আব্বুর তেমন কিছু হয়নি বয়স হয়েছে তো তাই এখন টেনশনে এরকম হতেই পারে।
খেয়াল করবেন যেন কোন চাপ না নেয় উনি আর ওনাকে কোন প্রেসার দিবেন না।
সাব্বিরঃ আচ্ছা ঠিক আছে।

ওনাকে কি এখন বাড়িতে নিয়ে যাওয়া যাবে?
ডাক্তারঃ হ্যা পারবেন কিন্তু এখন না রাতে নিয়ে যেয়েন।
সাব্বিরঃ আচ্ছা।

আব্বু সুস্থ হয়ে গেছে এটা শুনে একটা প্রশান্তি পেলাম একটু পরেই রাত হলো আব্বুকে নিয়ে বাড়িতে আসলাম।
আব্বুকে রুমে রেখে আমি একটা বাইরে গেলাম ঔষুধ আনতে।
ঔষুধ এনে আমি রুমে গিয়ে বসলাম রুমে বসতেই আম্মু আসলো এবং আমার দিকে তাকিয়ে কি যেন একটা বলবে এমন ভাব করলো।

সাব্বিরঃ আম্মু কিছু বলবে?
আম্মুঃবাবা একটা কথা বলার ছিলো তোকে না করিস না প্লিজ।
সাব্বিরঃ আরে কি এমন কথা যে আমি না করবো বলো তুমি।
আম্মুঃবলবো তাহলে

সাব্বিরঃ হ্যা বলো।
আম্মুঃবোস তুই তোর আব্বুর তো অবস্থা জানিসই এখন এই অবস্থায় উনি একটা ইচ্ছা পোষন করেছে যেটা তোকে রাখতে হবে।
সাব্বিরঃ হ্যা বলো আমি চেস্টা করবো।
আম্মুঃআমরা তোর জন্য মেয়ে দেখেছি।

সাব্বিরঃ মানেহহহহ!
মেয়ে দেখেছো বলতে কি বোঝাতে চাও।
আম্মুঃ তোর বিয়ে কালকে।
আর আমরা মেয়ে দেখেছি বিশেষ করে তোর আব্বু আর এটাকে তোর আব্বুর শেষ ইচ্ছাও বলতে পারিস।
সাব্বিরঃ আম্মু!

এমন করে বলছো কেন আব্বুর ইচ্ছা করেছে আমি বিয়ে করবো অসুবিধা নেই কিন্তু ও কথা আর বলোনা।
আম্মুঃসত্যিই তুই রাজী?
সাব্বিরঃ হ্যা আমি রাজী।
এ কথা বলার সাথে সাথে আম্মু চলে গেল।

আমি পড়ে গেলাম চরম প্যারায় ভেবেছিলাম জুহিকে আপন করে নেব। কিন্তু এখন আব্বুর এই অবস্থায় ইচ্ছাটা আমার সব ভেংগে চুড়ে চুরমার করে দিলো।
সকালে….

সারা বাড়ি ময় বিয়ের সাজ সাজানো হচ্ছে চারিদিকে হইচই হচ্ছে আত্ত্বীয় স্বজনদের আনাগোনা হচ্ছে।
একটু বাদেই কাজী চলে আসলো আমি কাজী আসার আগে একবার রুম থেকে বের হয়েছিলাম। জুহিকে দেখার জন্য কিন্তু জুহিকে কোথাও পেলাম না মনের ইচ্ছাটা আর বলা হলোনা। কথাটা না বলাই থেকে গেল।

কাজী আসার পরে আমার বিয়ে হলো কোন মেয়ে কিভাবে কি আমি কিছুই বুঝতে পারলাম না।
কাজী এসে বিয়ে পড়িয়ে চলে গেলে আমি বসে রইলাম। আমার রুমেই কিন্তু আমার মাথায় ঢুকছিলোনা যে আমি অন্যদের মতো মেয়েদের বাড়িতে গেলাম না কেন?

আর এই মেয়েটাই বা কে যার সাথে আমার বিয়ে হলো?
হঠাৎ আম্মু রুমে প্রবেশ করলো আর বললো রুম থেকে বেরোতে।
আম্মুঃএই রুমে কি তোর?
হ্যা বাইরে যাহ।

সাব্বিরঃ আমার রুম আর আমিই থাকবোনা?
আম্মুঃতোর বউ আসবে না?
সাব্বিরঃ কোথায় বউ কোন গাড়ি টারির আওয়াজ তো পেলাম না।
আম্মুঃআছে আছে সময় হলে ঠিকই দেখতে পারবে।

বলেই আমাকে রুম থেকে বের করে দিলো। আমি রুমে থেকে এতিমদের মতো বেড়িয়ে গেলাম। আব্বুকে অনেক খুশি মনে হচ্ছিলো। রাত ১২ টা বাজতেই কিছু ছেলে আর মেয়েরা আমাকে ধরে আমার রুমে নিয়ে গেলো এবং রুমে ধাক্কা দিয়ে দরজা বন্ধ করে দিলো। আমি রুমে প্রবেশ করে টালমাটাল অবস্থায় হুমড়ি খেয়ে পড়লাম। আর এটা দেখে কে যেন খকখক করে হাসতে লাগলো।

সাব্বিরঃ কোন হতচ্ছাড়া আমার রুমে যে এভাবে হাসছে?
মেয়েঃ আমি হাসছি আর এটা আপনার রুম না এটা আমার বাড়ি।
সাব্বিরঃ কিহহহ! আপনি কে আর আমার রুমকে নিজের বাড়ি ফেলছেন কেন?

মেয়েঃ আমি আপনার বউ আর এটা আমার বাড়ি
সাব্বিরঃ আরে কিসের বাড়ি বাড়ি করছেন আপনি আমার বউ এট বুঝলাম কিন্তু আপনার বাড়ি মানে?
মেয়েঃ আমি জুহি

সাব্বিরঃ কিহহহহ!
আমার বিশ্বাস হচ্ছিলো না যে জুহি আমার বউ কিন্তু জুহি তো অনেক মানুষের নামই।
কোন জুহি আপনি?

জুহিঃ আপনার বাড়িওয়ালার মেয়ে মানে জুনিয়র বাড়িওয়ালী।
সাব্বিরঃ জুহি? এই বলেই আমি বিছানায় লাফ দিলাম এবং ঘোমটা সরালাম
ঘোমটা সরিয়ে দেখতে পেলাম আমার রক্তের হিমোগ্লোবিন আর আমার মস্তিস্কের নিউরনকে মানে আমার জুহি রানীকে।

মনটা যেন গার্ডেন গার্ডেন হয়ে গেল।
খুশিতে ইয়াহহু বলে চিৎকার দিলাম।
কিন্তু খুশিটা বেশিক্ষন স্থায়ী হলোনা হাট ভেংগে নিচে পড়ে গেলাম আর জুহি আমার ওপরে
ওর ঠোটে দুটো আমার ঠোট লেপ্টে আছে।

জুহিঃ আস্তে কামড়ান এই ঠোট আপনারি সমপত্তি কেউ নিয়ে যাবেনা।
সাব্বিরঃ আমি কখন বললাম যে কেউ নিয়ে যাবে।
জুহিঃ তাহলে এতো জোড়ে কামড়াচ্ছেন কেন?
সাব্বিরঃ ওহ সরি সরি।

জুহিঃ ইটস ওকে।
সাব্বিরঃ আমি জুহির দিকে তাকাতে পারছিলাম না কেমন যেন লজ্জা লাগছিলো।
জুহিঃ একটা প্রশ্নের উত্তর দিবেন?
সাব্বিরঃ হুম জিজ্ঞাসা করুন।

জুহিঃ আপনি আমাকে কেন ভালবাসবেন বলুনতো আমি আপনার বউ এই জন্য নাকি আগে থেকেই ভালবাসতেন?
সাব্বিরঃ জুহির কথার কি উত্তর দিবো ভাবতে পারছিলাম না। কারন আমি ওকে এই বাড়িতে আসার পর থেকেই ভালবেসে ফেলেছি। আর ওর সাথে আমার বিয়ে না হলেও আমার মনের সবটা জুড়েই কেবল শুধু ওরই বসবাস থাকতো।
ও শুধু এই বাড়ির বাড়িওয়ালার মেয়ে না আমার মনের বাড়িওয়ালী ও।

সেখানের মালিকানা শুধু আমি ওকেই দিয়ে রেখেছি।
জুহিঃ কি হলো কথা বলছেন না কেন?
সাব্বিরঃ আসলে।

জুহিঃ থাক আর বলতে হবেনা যা বোঝার আমার বোঝা হয়ে গেছে আপনার চোখ সব বলে দিচ্ছে।
সাব্বিরঃ জুহি এই কথা বলে মুখ ভেংচি কেটে উলটো পাশে বসে পড়লো।
সাব্বিরঃ মিস বাড়িওয়ালী আপনি কি রাগ করলেন নাকি?
জুহিঃ আমি কে যে রাগ করবো?

সাব্বিরঃ আপনি আমার স্ত্রী আমার অর্ধাঙ্গিনী আমার মনের মালিক আর কিছু শুনতে চান?
জুহিঃ তাহলে আপনি আগে থেকেই আমাকে ভালবাসতেন?
সাব্বিরঃ হ্যা বাসতাম, বাসি, আর বেসে যাবো।

জুহিঃ ইয়ে ইয়ে ইয়ে আমি বাজিতে জিতে গেছি কালকেই ওর কাছ থেকে পাচশো টাকা নিবো।
সাব্বিরঃ কিসের বাজী?
জুহিঃ আপনি যে দিন আমাদের বাড়িতে ভাড়া এসেছিলেন সেদিন আমার এক কাজিন বলে ছিলো আপনি নাকি আমাকে পছন্দ করেন না ওকে পছন্দ করেন আর আমি নাকি আপনার সাথে লাইন মারলেও আমাকে পাত্তা দিবেন না।

হাহা হা এখন জানতে পারলাম যে আপনি আমাকে টুরু লাভ করেন তাই আমি জিতে গেছি আর ও হেরে গেছে।
সাব্বিরঃ এটা নিয়ে বাজী ধরেছেন?
জুহিঃ হ্যা ধরেছিতো।

সাব্বিরঃ আমার কেন জানিনা রাগ হচ্ছিলো। ভেবেছিলাম ভালবাসার কথা শুনে জডিয়ে ধরবে কিন্তু এ মেয়ে তানা করে আমাকে নিয়ে। নাহ আর ভাল্লাগছেনা আমি খাট থেকে নেমে খাট টা ঠিক করে নিলাম। তারপর একপাশে বিছানা করে শুয়ে পড়তে গেলে জুহি ডাক দিলো।
জুহিঃ এই যে মশাই নিচে শুচ্ছেন কেন?

সাব্বিরঃ তোহ কি করবো?
জুহিঃ আপনি রাগ করেছেন? রাগ করবেন না প্লিজ যান আপনাকে ৫০℅ টাকা দিবোনি এখন খূশি।
সাব্বিরঃ কিহহহ! পাগল নাকি আমি কখন টাকা চাইলাম।
জুহিঃ তোহ কি চান?

সাব্বিরঃ এট্টু ভালবাতা দিবে?
জুহিঃ আপনার চাইই।
সাব্বিরঃ কেন না চাইলে দিবে না?
জুহিঃ কেন আপনাকে ছাড়া আর কাকে দিবো?

সাব্বিরঃ এই বলে জুহি আমাকে টেনে ওর একেবারে কাছে নিয়ে গেল কমলার মতো ঠোটগুলো আমার ঠোটে ঘষা খাচ্ছিলো আর ওর চোখ আমাকে চোখে নিশ্বাসের শব্দ শুনতে পাচ্ছিলাম যেন আমি নেশাগ্রস্ত হয়ে গেছি।
ওর নেশায়।

এর থেকে বেশি আপনাদের জানার দরকার নেই বাকিটা ইতিহাস জানত্র হলে বিয়ে করে নেন আর কোলবালিশ বয়কট করুন সবাই এবার আসতে পারেন।

লেখা – সাব্বির হোসাইন

সমাপ্ত

(পাঠক আপনাদের ভালোলাগার উদ্দেশ্যেই প্রতিনিয়ত আমাদের লেখা। আপনাদের একটি শেয়ার আমাদের লেখার স্পৃহা বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। আমাদের এই পর্বের “মিস বাড়িওয়ালী – ঘরের কোণায় চুটিয়ে প্রেম” গল্পটি আপনাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন। পরবর্তী গল্প পড়ার আমন্ত্রণ জানালাম। ধন্যবাদ।)

আরো পড়ূন – মিঃ রফিক – একজন অচেনা মানুষের গল্প

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *